মাহমুদ হাসান ফাহিম
চারটি উন্নত ও অনুপম সদ্গুণ এমন আছে, যেগুলো সাধারণত কোনো নীতিপরায়ণ, চরিত্র মাধুরীসম্পন্ন বিনয়ী ব্যক্তির হয়ে থাকে। নবীজির মধ্যে গুণগুলো ষোলো আনায় বিদ্যমান ছিল।
এক. অসুস্থের সেবা-শুশ্রূষা: নবী (সা.) ধনী-গরিব, আজাদ-গোলামনির্বিশেষে সবার খোঁজখবর নিতেন। কারও অসুস্থতার সংবাদ পেলে নিঃসংকোচে তার শুশ্রূষার জন্য যেতেন। এমনকি একবার তাঁর জনৈক ইহুদি খাদেম অসুস্থ হলে তিনি তারও শুশ্রূষা করেন। চাচা আবু তালিব ইসলাম গ্রহণ করেননি। তিনি তাঁরও শুশ্রূষা করেছেন।
দুই. লাশের সঙ্গে যাওয়া: নবীজি (সা.) মৃতের জানাজায় শরিক হতেন। নিজেই জানাজার ইমামতি করতেন। জানাজার পর লাশের সঙ্গে গোরস্থান পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে দাফনকাজে শরিক হতেন। একবার মসজিদে নববির পরিচ্ছন্নতাকর্মী এক মহিলা রাতে ইন্তেকাল করেন। রাতে নবীজি (সা.)-এর কষ্ট হতে পারে এ আশঙ্কায় মৃতের আত্মীয়স্বজন তাঁকে সংবাদ দেয়নি। নিজেরাই মহিলার কাফন-দাফনের কাজ সম্পন্ন করে। পরে এ সংবাদ শুনে নবীজি (সা.) অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তিন. দরিদ্রদের নিমন্ত্রণ কবুল করা: দরিদ্রদের নিমন্ত্রণ কবুল করা এবং তাদের কথা শোনা মানুষের অন্যতম সদ্গুণ। প্রিয় নবী (সা.) সব মানুষের বক্তব্য শুনতেন। কোনো গোলামও যদি তাঁকে নিজ প্রয়োজনের সমাধা করে দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতে চাইত, তিনি নিঃসংকোচে গোলামের সঙ্গে চলে যেতেন। এটাকে নিজের সম্মানহানি মনে করতেন না।
চার. গাধার পিঠে আরোহণ করা: প্রিয় নবী (সা.)-এর জন্য উট, ঘোড়া ইত্যাদি উন্নত বাহন গ্রহণের ব্যবস্থা ছিল। অথচ তিনি বিনয় প্রকাশার্থে গাধা ও খচ্চরের পিঠেও সওয়ার হতেন। এটাকে নিজের জন্য অপমানজনক মনে করতেন না। খাইবার যুদ্ধ, বনু কুরায়জা ও নাজির যুদ্ধে তিনি একজন সেনাপতি ও মুসলমানদের প্রধান হিসেবে রণক্ষেত্র অতিক্রম করছিলেন, তখন তাঁর বাহন ছিল সামান্য একটি গাধা। কিন্তু নবীজি (সা.)-এর চরিত্র ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী। (মিশকাতুল মাসাবিহ: ৫৮২১; আখলাকুন্নবী: ১২০)
চারটি উন্নত ও অনুপম সদ্গুণ এমন আছে, যেগুলো সাধারণত কোনো নীতিপরায়ণ, চরিত্র মাধুরীসম্পন্ন বিনয়ী ব্যক্তির হয়ে থাকে। নবীজির মধ্যে গুণগুলো ষোলো আনায় বিদ্যমান ছিল।
এক. অসুস্থের সেবা-শুশ্রূষা: নবী (সা.) ধনী-গরিব, আজাদ-গোলামনির্বিশেষে সবার খোঁজখবর নিতেন। কারও অসুস্থতার সংবাদ পেলে নিঃসংকোচে তার শুশ্রূষার জন্য যেতেন। এমনকি একবার তাঁর জনৈক ইহুদি খাদেম অসুস্থ হলে তিনি তারও শুশ্রূষা করেন। চাচা আবু তালিব ইসলাম গ্রহণ করেননি। তিনি তাঁরও শুশ্রূষা করেছেন।
দুই. লাশের সঙ্গে যাওয়া: নবীজি (সা.) মৃতের জানাজায় শরিক হতেন। নিজেই জানাজার ইমামতি করতেন। জানাজার পর লাশের সঙ্গে গোরস্থান পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে দাফনকাজে শরিক হতেন। একবার মসজিদে নববির পরিচ্ছন্নতাকর্মী এক মহিলা রাতে ইন্তেকাল করেন। রাতে নবীজি (সা.)-এর কষ্ট হতে পারে এ আশঙ্কায় মৃতের আত্মীয়স্বজন তাঁকে সংবাদ দেয়নি। নিজেরাই মহিলার কাফন-দাফনের কাজ সম্পন্ন করে। পরে এ সংবাদ শুনে নবীজি (সা.) অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তিন. দরিদ্রদের নিমন্ত্রণ কবুল করা: দরিদ্রদের নিমন্ত্রণ কবুল করা এবং তাদের কথা শোনা মানুষের অন্যতম সদ্গুণ। প্রিয় নবী (সা.) সব মানুষের বক্তব্য শুনতেন। কোনো গোলামও যদি তাঁকে নিজ প্রয়োজনের সমাধা করে দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতে চাইত, তিনি নিঃসংকোচে গোলামের সঙ্গে চলে যেতেন। এটাকে নিজের সম্মানহানি মনে করতেন না।
চার. গাধার পিঠে আরোহণ করা: প্রিয় নবী (সা.)-এর জন্য উট, ঘোড়া ইত্যাদি উন্নত বাহন গ্রহণের ব্যবস্থা ছিল। অথচ তিনি বিনয় প্রকাশার্থে গাধা ও খচ্চরের পিঠেও সওয়ার হতেন। এটাকে নিজের জন্য অপমানজনক মনে করতেন না। খাইবার যুদ্ধ, বনু কুরায়জা ও নাজির যুদ্ধে তিনি একজন সেনাপতি ও মুসলমানদের প্রধান হিসেবে রণক্ষেত্র অতিক্রম করছিলেন, তখন তাঁর বাহন ছিল সামান্য একটি গাধা। কিন্তু নবীজি (সা.)-এর চরিত্র ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী। (মিশকাতুল মাসাবিহ: ৫৮২১; আখলাকুন্নবী: ১২০)
নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; বরং মুমিনের আত্মিক প্রশান্তি, চারিত্রিক পরিশুদ্ধি ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষার একটি মহান উপায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
৯ ঘণ্টা আগেআমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১ দিন আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগে