আবরার নাঈম
নাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি শিশু তার আকিকার বিনিময়ে বন্ধক থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে আকিকা করতে হয়, মাথার চুল ফেলতে হয় এবং নাম রাখতে হয়।’ (আবু দাউদ: ২৮৩৮)। নাম রাখার ক্ষেত্রে আবশ্যক হলো, সুন্দর এবং অর্থবহ নাম রাখা। মানুষ হাসাহাসি করে এমন উদ্ভট ও আজগুবি নাম না রাখা কর্তব্য। সমবয়সী, সহপাঠী কিংবা বন্ধুদের মাঝে নাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপটা বেশি হয়। একে অন্যকে মজার ছলে ব্যঙ্গাত্মক নামে ডাকে। একে অন্যকে উপহাস করে। এসব থেকে বিরত থাকা উচিত।
মন্দ নামে ডাকা ইসলামে নিষেধ। কাউকে অসুন্দর নাম দেওয়া বা হাসি-ঠাট্টা করে ব্যঙ্গাত্মক নাম দেওয়াও অনুচিত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, কোনো মুমিন সম্প্রদায় যেন অন্য কোনো মুমিন সম্প্রদায়কে উপহাস না করে; কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে, তারা উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং নারীরা যেন অন্য নারীদের উপহাস না করে; কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে, তারা উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে। আর তোমরা একে অন্যের প্রতি দোষারোপ কোরো না এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না; ইমানের পর মন্দ নাম অতি নিকৃষ্ট। আর যারা তওবা করে না, তারাই তো জালিম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
নাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি শিশু তার আকিকার বিনিময়ে বন্ধক থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে আকিকা করতে হয়, মাথার চুল ফেলতে হয় এবং নাম রাখতে হয়।’ (আবু দাউদ: ২৮৩৮)। নাম রাখার ক্ষেত্রে আবশ্যক হলো, সুন্দর এবং অর্থবহ নাম রাখা। মানুষ হাসাহাসি করে এমন উদ্ভট ও আজগুবি নাম না রাখা কর্তব্য। সমবয়সী, সহপাঠী কিংবা বন্ধুদের মাঝে নাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপটা বেশি হয়। একে অন্যকে মজার ছলে ব্যঙ্গাত্মক নামে ডাকে। একে অন্যকে উপহাস করে। এসব থেকে বিরত থাকা উচিত।
মন্দ নামে ডাকা ইসলামে নিষেধ। কাউকে অসুন্দর নাম দেওয়া বা হাসি-ঠাট্টা করে ব্যঙ্গাত্মক নাম দেওয়াও অনুচিত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, কোনো মুমিন সম্প্রদায় যেন অন্য কোনো মুমিন সম্প্রদায়কে উপহাস না করে; কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে, তারা উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং নারীরা যেন অন্য নারীদের উপহাস না করে; কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে, তারা উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে। আর তোমরা একে অন্যের প্রতি দোষারোপ কোরো না এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না; ইমানের পর মন্দ নাম অতি নিকৃষ্ট। আর যারা তওবা করে না, তারাই তো জালিম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
তওবা মানে ক্ষমা চেয়ে সঠিক পথে ফিরে আসা। তওবা মানে নিজের ভুল স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত গড়ার চেষ্টা করা। সহজে বললে—পাপের পথ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে না ফেরার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা।
৪ ঘণ্টা আগেজীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১ দিন আগেসুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ। কীভাবে তিনি পারিবারিক ও...
২ দিন আগেজুমার দিন মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। ইসলামে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা হিসেবে বিবেচিত। নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীতে যত দিন সূর্য উদিত হবে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)। অন্য এক হাদিসে তিনি বলেন, দিবসসমূহের মধ্যে...
২ দিন আগে