ইজাজুল হক, ঢাকা
দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ। কোরআন-হাদিস এবং রাসুল (সা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবনে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই। যুগে যুগে মুসলমানরা নিজেদের আকিদা-বিশ্বাস সমুন্নত রেখে দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও কল্যাণকামিতার আদর্শ লালন করে এসেছেন।
আল্লাহর নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা হন এবং পবিত্র কাবাঘরের পুনর্নির্মাণ করেন, তখন তিনি পবিত্র মক্কা নগরীর জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। সেই দোয়ায় দেশ-মাতৃকার প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। দেশের শান্তি-নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আর্থিক সচ্ছলতা ও উন্নতির জন্য আল্লাহর কাছে তিনি আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, এ শহরকে নিরাপদ স্থান বানিয়ে দিন এবং এর বাসিন্দাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের ফলমূলের মাধ্যমে জীবিকা প্রদান করুন।...’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৬) তাফসিরকারেরা বলেন, আলোচ্য আয়াতে মোমিন ও কাফের নির্বিশেষে সমগ্র মক্কাবাসীর জন্য শান্তি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দোয়া করা হয়েছে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাতৃভূমি মক্কাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। মক্কার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে নবুওয়তপ্রাপ্তির আগেই তিনি সামাজিক সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’ গঠন করেন। স্বদেশিদের জন্য তিনি এতই আন্তরিক ও নিঃস্বার্থ হয়ে কাজ করেছেন যে, মক্কার লোকজন তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বস্ত আখ্যা দিয়েছিল। কাবা শরিফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁকেই বিচারক নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইসলামের বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর কাছেই মক্কার কাফিরেরা নিজেদের ধনসম্পদ আমানত রাখত। এসব ঘটনা দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার উজ্জ্বল প্রমাণ।
মক্কার শাসকগোষ্ঠী যখন রাসুল (সা.)-কে হত্যার পরিকল্পনা করে, তখন আল্লাহ তাঁকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন। নিজের মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে দূর মদিনায় চলে যাওয়া তাঁর জন্য বড়ই বেদনাদায়ক ছিল। হিজরতের মুহূর্তে মক্কার সাউর পর্বত থেকে যখন মদিনা অভিমুখে যাত্রা করছিলেন, তখন তিনি নাড়ির টান অনুভব করছিলেন। জীবনের ৫৩টি বসন্ত যে নগরীর মাটির সঙ্গে মিশে কাটিয়ে দিয়েছেন, যে শহরের আলো-বাতাসে শৈশব-কৈশোর-যৌবন পেরিয়ে জীবনের পড়ন্ত বেলায় উপনীত হয়েছেন, সেই শহরের সবকিছু আজ স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে—ভাবতেই তাঁর বড় কষ্ট হচ্ছিল। উটের পিঠে চড়ে বারবার পবিত্র কাবাঘর ও মক্কা নগরীর দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিলেন এবং এক বুক হাহাকার নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যাচ্ছিলেন। সেদিন চোখের জলে বুক ভাসিয়ে মাতৃভূমির উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, তুমি (মক্কা) আল্লাহর সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং পৃথিবীর সব ভূখণ্ডের মধ্যে আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর কসম, তোমার থেকে আমাকে উচ্ছেদ করা না হলে আমি কখনো চলে যেতাম না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩১০৮)
তাঁর সেই কঠিন কষ্ট লাঘবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনার বাণী শুনিয়েছেন এবং স্বদেশে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যিনি আপনার জন্য কোরআনকে বিধান করেছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৮৫)
মদিনায় হিজরত করার পর তিনি মাতৃভূমি মক্কাকে ভুলে যাননি। যারা তাঁকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে নালিশ করেছেন এবং বারবার মক্কায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। পবিত্র কাবাঘরে তাওয়াফ করার জন্য তাঁর মন কাঁদত। আল্লাহর হুকুমে তিনি মক্কায় রওনা হয়েছিলেন, এর ফলেই ঐতিহাসিক হুদাইবিয়ার সন্ধি স্থাপিত হয় এবং অবশেষে বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন। সেদিন মক্কার মানুষের প্রতি তাঁর কোনো অভিযোগ ছিল না; সবাইকেই তিনি ক্ষমা করে দেন। মক্কাকে নিরাপদ নগরী হিসেবে ঘোষণা দেন।
শুধু মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা)-ই নন, যুগে যুগে আসা প্রত্যেক নবী-রাসুলই দেশপ্রেমিক ছিলেন। আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁরা দেশ, জাতি ও মানুষের সেবায় আত্মনিবেদন করেছেন এবং মানুষের প্রয়োজনে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন। এ কারণেই দেখা যায়, প্রায় সব নবী-রাসুলকে একদল লোক দেশান্তর করার হুমকি দিয়েছে সব সময়। যদি তাঁরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক না হতেন, তাহলে তাঁদের দেশান্তরের হুমকি দেওয়া হতো না। বোঝা গেল, দেশের প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ এবং দায়বদ্ধতা নবী-রাসুলদের আদর্শ। একজন মুসলমানকে অবশ্যই নবী-রাসুলদের আদর্শ ধারণ করতে হবে; তাঁদের অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
আসুন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার শপথ নিয়েই উদ্যাপন করি বিজয়ের ৫০ বছর। সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে, আমাদের হৃদয় উজ্জীবিত হোক মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতি পরম মমতা ও ভালোবাসায়।
দেশ-মাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কোনো সচেতন নাগরিকই দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না; জন্মভূমির প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে পারে না। দেশের প্রতি অকৃত্রিম মমতা ও ভালোবাসা ইসলামি মূল্যবোধের অংশ। কোরআন-হাদিস এবং রাসুল (সা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবনে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই। যুগে যুগে মুসলমানরা নিজেদের আকিদা-বিশ্বাস সমুন্নত রেখে দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও কল্যাণকামিতার আদর্শ লালন করে এসেছেন।
আল্লাহর নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মক্কার স্থায়ী বাসিন্দা হন এবং পবিত্র কাবাঘরের পুনর্নির্মাণ করেন, তখন তিনি পবিত্র মক্কা নগরীর জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন। সেই দোয়ায় দেশ-মাতৃকার প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। দেশের শান্তি-নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আর্থিক সচ্ছলতা ও উন্নতির জন্য আল্লাহর কাছে তিনি আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, এ শহরকে নিরাপদ স্থান বানিয়ে দিন এবং এর বাসিন্দাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের ফলমূলের মাধ্যমে জীবিকা প্রদান করুন।...’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১২৬) তাফসিরকারেরা বলেন, আলোচ্য আয়াতে মোমিন ও কাফের নির্বিশেষে সমগ্র মক্কাবাসীর জন্য শান্তি ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দোয়া করা হয়েছে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাতৃভূমি মক্কাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। মক্কার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে নবুওয়তপ্রাপ্তির আগেই তিনি সামাজিক সংগঠন ‘হিলফুল ফুজুল’ গঠন করেন। স্বদেশিদের জন্য তিনি এতই আন্তরিক ও নিঃস্বার্থ হয়ে কাজ করেছেন যে, মক্কার লোকজন তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বস্ত আখ্যা দিয়েছিল। কাবা শরিফে হাজরে আসওয়াদ স্থাপনের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁকেই বিচারক নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইসলামের বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর কাছেই মক্কার কাফিরেরা নিজেদের ধনসম্পদ আমানত রাখত। এসব ঘটনা দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসার উজ্জ্বল প্রমাণ।
মক্কার শাসকগোষ্ঠী যখন রাসুল (সা.)-কে হত্যার পরিকল্পনা করে, তখন আল্লাহ তাঁকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং মদিনায় হিজরত করার আদেশ দেন। নিজের মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে দূর মদিনায় চলে যাওয়া তাঁর জন্য বড়ই বেদনাদায়ক ছিল। হিজরতের মুহূর্তে মক্কার সাউর পর্বত থেকে যখন মদিনা অভিমুখে যাত্রা করছিলেন, তখন তিনি নাড়ির টান অনুভব করছিলেন। জীবনের ৫৩টি বসন্ত যে নগরীর মাটির সঙ্গে মিশে কাটিয়ে দিয়েছেন, যে শহরের আলো-বাতাসে শৈশব-কৈশোর-যৌবন পেরিয়ে জীবনের পড়ন্ত বেলায় উপনীত হয়েছেন, সেই শহরের সবকিছু আজ স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে—ভাবতেই তাঁর বড় কষ্ট হচ্ছিল। উটের পিঠে চড়ে বারবার পবিত্র কাবাঘর ও মক্কা নগরীর দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিলেন এবং এক বুক হাহাকার নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যাচ্ছিলেন। সেদিন চোখের জলে বুক ভাসিয়ে মাতৃভূমির উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কসম, তুমি (মক্কা) আল্লাহর সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং পৃথিবীর সব ভূখণ্ডের মধ্যে আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। আল্লাহর কসম, তোমার থেকে আমাকে উচ্ছেদ করা না হলে আমি কখনো চলে যেতাম না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩১০৮)
তাঁর সেই কঠিন কষ্ট লাঘবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সান্ত্বনার বাণী শুনিয়েছেন এবং স্বদেশে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যিনি আপনার জন্য কোরআনকে বিধান করেছেন, তিনি আপনাকে অবশ্যই জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনবেন।’ (সুরা কাসাস, আয়াত: ৮৫)
মদিনায় হিজরত করার পর তিনি মাতৃভূমি মক্কাকে ভুলে যাননি। যারা তাঁকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে নালিশ করেছেন এবং বারবার মক্কায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। পবিত্র কাবাঘরে তাওয়াফ করার জন্য তাঁর মন কাঁদত। আল্লাহর হুকুমে তিনি মক্কায় রওনা হয়েছিলেন, এর ফলেই ঐতিহাসিক হুদাইবিয়ার সন্ধি স্থাপিত হয় এবং অবশেষে বিজয়ী বেশে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করেন। সেদিন মক্কার মানুষের প্রতি তাঁর কোনো অভিযোগ ছিল না; সবাইকেই তিনি ক্ষমা করে দেন। মক্কাকে নিরাপদ নগরী হিসেবে ঘোষণা দেন।
শুধু মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা)-ই নন, যুগে যুগে আসা প্রত্যেক নবী-রাসুলই দেশপ্রেমিক ছিলেন। আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁরা দেশ, জাতি ও মানুষের সেবায় আত্মনিবেদন করেছেন এবং মানুষের প্রয়োজনে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন। এ কারণেই দেখা যায়, প্রায় সব নবী-রাসুলকে একদল লোক দেশান্তর করার হুমকি দিয়েছে সব সময়। যদি তাঁরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক না হতেন, তাহলে তাঁদের দেশান্তরের হুমকি দেওয়া হতো না। বোঝা গেল, দেশের প্রতি ভালোবাসা, মমত্ববোধ এবং দায়বদ্ধতা নবী-রাসুলদের আদর্শ। একজন মুসলমানকে অবশ্যই নবী-রাসুলদের আদর্শ ধারণ করতে হবে; তাঁদের অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
আসুন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার শপথ নিয়েই উদ্যাপন করি বিজয়ের ৫০ বছর। সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে, আমাদের হৃদয় উজ্জীবিত হোক মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতি পরম মমতা ও ভালোবাসায়।
বিয়ের বর-কনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, বিয়েতে কারও পছন্দের ব্যাপারে মানুষ চারটি বিষয় দেখে। যথা—সম্পদ, আভিজাত্য, সৌন্দর্য এবং খোদাভীতি। এর মধ্যে ভাগ্যবান এবং শ্রেষ্ঠ সে, যে একজন ধার্মিক মেয়েকে বিয়ে করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষকে আরও সতর্ক করে দেন...
৮ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
১ দিন আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
১ দিন আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
১ দিন আগে