মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হজ ও কোরবানি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন, হজে গিয়ে কী লাভ? সম্পদ অপচয় ছাড়া হজ থেকে কী অর্জিত হয়? আর কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয় কি? এর বিপরীতে এসব টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়াই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ নয় কি? মূলত এসব প্রশ্নের বেশির ভাগই বিদ্বেষপ্রসূত। কারণ ইসলামে পৃথকভাবে দান-সদকার প্রতি যেভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো সভ্যতায় করা হয়নি।
সুতরাং ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত দুটি বিধানকে দান-সদকার চটকদার স্লোগান দিয়ে বাদ দেওয়ার আলাপ ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধসম্পন্ন কোনো মানুষ করতে পারে না।
ইসলামে হজ ও কোরবানির বদলে সেই সম্পদ দান করে দেওয়ার কোনো বিধান নেই। কারণ ইসলামের কোন বিধানের বিকল্প আছে, কোন বিধানের নেই, বিকল্প থাকলে সেটা কী এবং কখন তা প্রযোজ্য হবে—এসব বিষয় আল্লাহ তাআলাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিছু বিধান সরাসরি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, কিছু অহির মাধ্যমে রাসুল (সা.)কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তা সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং পবিত্র কোরআন ও হাদিসে যেসব বিধানের বিকল্প উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন—শর্ত সাপেক্ষে অজু-গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম, অশীতিপর বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য রোজার বিকল্প হিসেবে ফিদইয়া ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোনো বিধানের বিকল্প নির্ধারণ করার সুযোগ নেই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার অনুগ্রহের পূর্ণতা দান করলাম এবং একমাত্র ইসলামকেই তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা: ৩) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার এই দ্বীনে এমন কিছু সংযোজন করে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, সেটা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, যুগের প্রয়োজনে বা সংস্কারের নামে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে—তা বাহ্যিক দৃষ্টিতে যত মহৎই হোক না কেন, ইসলামের নির্ধারিত বিধানের কোনো হেরফের করা যাবে না; যেভাবে উল্লেখ আছে, সেভাবেই তা পালন করতে হবে।
হজ ও কোরবানি এমন দুটি বিধান, যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থ ইসলামের প্রতিই প্রশ্ন তোলা। অন্য সব বিধানের মতো এ দুটি বিধানও আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণেই প্রবর্তন করেছেন। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আল্লাহর প্রতি বান্দার কৃতজ্ঞতা এবং বান্দার প্রতি তাঁর সন্তুষ্টির নিদর্শন হিসেবে কোরবানির বিধান পালিত হয়ে আসছে। যুগে যুগে সব নবী-রাসুল তাঁদের জাতিকে আল্লাহর নামে কোরবানি করার আদেশ দিয়েছেন। পৃথিবীর বুকে প্রথম নির্মিত ঘর হিসেবে পরিচিত পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ ও হজ মুসলিম জাতির গোড়াপত্তনকারী নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত বিধান। তাঁর সময় থেকেই পৃথিবীতে হজ পালিত হয়ে আসছে।
সমাজ ও সভ্যতার বিনির্মাণে এ দুটি বিধানের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। ইসলামের মূলমন্ত্রই হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর নির্দেশিত পথে পৃথিবীর জীবন পরিচালিত করা এবং এর মাধ্যমে পরকালের অনন্ত জীবনের সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করা। ইসলামের অন্য ১০টি বিধানের মতো হজ ও কোরবানিও মানুষকে সেই পথে পরিচালিত করে। হজের সব কটি বিধানই মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় করার প্রয়াস। কোরবানিও আমাদের মহান আল্লাহর নামে পশু উৎসর্গ করে তাঁর অফুরন্ত–নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ করে দেয়।
শুধু কি তাই? হজ সারা বিশ্বের মুসলমানদের এক জায়গায় একত্র করে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ডাক দেয়, যা সূক্ষ্মভাবে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। বর্ণ-গোত্র ও জাতীয়তাবাদের যে সংকীর্ণতা ইসলাম-পূর্ব যুগের সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হজের শিক্ষার বিকল্প নেই। এ ছাড়া হজ আল্লাহ, পরকাল, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়কে এমনভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, হজ থেকে ফিরে অনেক অপরাধী অপরাধ ছেড়ে দেয়, যা দেশ ও জাতিকে স্বস্তি দেয়। ফলে হজের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও বিশ্ব আরও শুদ্ধ, নৈতিক ও উন্নত হওয়ার সুযোগ পায়।
একইভাবে কোরবানিও দারুণ সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। কোরবানির মাংস বণ্টনের যে নীতি ইসলাম প্রণয়ন করেছে, এর মাধ্যমে বছরে অন্তত একবার হলেও সমাজের সব শ্রেণির মানুষ মনভরে মাংস খেতে পারে। তা ছাড়া কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়, কারণ এসব প্রাণীকে মানুষের কল্যাণেই আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং অত্যন্ত মানবিক উপায়ে তা জবাই করার বিধান দিয়েছে ইসলাম। আর ইসলাম এমন কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করার কথা বলেনি, যা পৃথিবীতে অপ্রতুল বা বিপন্ন হতে পারে। বরং যে ছয় ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটিই পৃথিবীতে বিপুল পরিমাণে বিদ্যমান। বরং কোরবানিকে কেন্দ্র করেই বিশ্বজুড়ে কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে এবং পৃথিবী অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
এর পরও কেউ যদি কোরবানি ও হজের টাকা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার কথা বলে, যার জন্য আল্লাহ তাআলা জাকাত-সদকার পৃথক বিধান দিয়েছেন, তাহলে কোরবানি ও হজের মহৎ উদ্দেশ্যগুলো কী করে সাধিত হবে? মানুষের আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের পাশাপাশি সমাজ-সভ্যতার সমৃদ্ধিতে হাজার বছর ধরে অবদান রেখে চলা এসব বিধানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা নিঃসন্দেহে বিদ্বেষপ্রসূত, যা কেবল ইসলাম, সমাজ ও সভ্যতার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষের পক্ষেই শোভা পায়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

হজ ও কোরবানি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন, হজে গিয়ে কী লাভ? সম্পদ অপচয় ছাড়া হজ থেকে কী অর্জিত হয়? আর কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয় কি? এর বিপরীতে এসব টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়াই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ নয় কি? মূলত এসব প্রশ্নের বেশির ভাগই বিদ্বেষপ্রসূত। কারণ ইসলামে পৃথকভাবে দান-সদকার প্রতি যেভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো সভ্যতায় করা হয়নি।
সুতরাং ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত দুটি বিধানকে দান-সদকার চটকদার স্লোগান দিয়ে বাদ দেওয়ার আলাপ ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধসম্পন্ন কোনো মানুষ করতে পারে না।
ইসলামে হজ ও কোরবানির বদলে সেই সম্পদ দান করে দেওয়ার কোনো বিধান নেই। কারণ ইসলামের কোন বিধানের বিকল্প আছে, কোন বিধানের নেই, বিকল্প থাকলে সেটা কী এবং কখন তা প্রযোজ্য হবে—এসব বিষয় আল্লাহ তাআলাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিছু বিধান সরাসরি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, কিছু অহির মাধ্যমে রাসুল (সা.)কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তা সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং পবিত্র কোরআন ও হাদিসে যেসব বিধানের বিকল্প উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন—শর্ত সাপেক্ষে অজু-গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম, অশীতিপর বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য রোজার বিকল্প হিসেবে ফিদইয়া ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোনো বিধানের বিকল্প নির্ধারণ করার সুযোগ নেই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার অনুগ্রহের পূর্ণতা দান করলাম এবং একমাত্র ইসলামকেই তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা: ৩) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার এই দ্বীনে এমন কিছু সংযোজন করে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, সেটা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, যুগের প্রয়োজনে বা সংস্কারের নামে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে—তা বাহ্যিক দৃষ্টিতে যত মহৎই হোক না কেন, ইসলামের নির্ধারিত বিধানের কোনো হেরফের করা যাবে না; যেভাবে উল্লেখ আছে, সেভাবেই তা পালন করতে হবে।
হজ ও কোরবানি এমন দুটি বিধান, যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থ ইসলামের প্রতিই প্রশ্ন তোলা। অন্য সব বিধানের মতো এ দুটি বিধানও আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণেই প্রবর্তন করেছেন। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আল্লাহর প্রতি বান্দার কৃতজ্ঞতা এবং বান্দার প্রতি তাঁর সন্তুষ্টির নিদর্শন হিসেবে কোরবানির বিধান পালিত হয়ে আসছে। যুগে যুগে সব নবী-রাসুল তাঁদের জাতিকে আল্লাহর নামে কোরবানি করার আদেশ দিয়েছেন। পৃথিবীর বুকে প্রথম নির্মিত ঘর হিসেবে পরিচিত পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ ও হজ মুসলিম জাতির গোড়াপত্তনকারী নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত বিধান। তাঁর সময় থেকেই পৃথিবীতে হজ পালিত হয়ে আসছে।
সমাজ ও সভ্যতার বিনির্মাণে এ দুটি বিধানের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। ইসলামের মূলমন্ত্রই হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর নির্দেশিত পথে পৃথিবীর জীবন পরিচালিত করা এবং এর মাধ্যমে পরকালের অনন্ত জীবনের সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করা। ইসলামের অন্য ১০টি বিধানের মতো হজ ও কোরবানিও মানুষকে সেই পথে পরিচালিত করে। হজের সব কটি বিধানই মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় করার প্রয়াস। কোরবানিও আমাদের মহান আল্লাহর নামে পশু উৎসর্গ করে তাঁর অফুরন্ত–নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ করে দেয়।
শুধু কি তাই? হজ সারা বিশ্বের মুসলমানদের এক জায়গায় একত্র করে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ডাক দেয়, যা সূক্ষ্মভাবে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। বর্ণ-গোত্র ও জাতীয়তাবাদের যে সংকীর্ণতা ইসলাম-পূর্ব যুগের সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হজের শিক্ষার বিকল্প নেই। এ ছাড়া হজ আল্লাহ, পরকাল, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়কে এমনভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, হজ থেকে ফিরে অনেক অপরাধী অপরাধ ছেড়ে দেয়, যা দেশ ও জাতিকে স্বস্তি দেয়। ফলে হজের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও বিশ্ব আরও শুদ্ধ, নৈতিক ও উন্নত হওয়ার সুযোগ পায়।
একইভাবে কোরবানিও দারুণ সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। কোরবানির মাংস বণ্টনের যে নীতি ইসলাম প্রণয়ন করেছে, এর মাধ্যমে বছরে অন্তত একবার হলেও সমাজের সব শ্রেণির মানুষ মনভরে মাংস খেতে পারে। তা ছাড়া কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়, কারণ এসব প্রাণীকে মানুষের কল্যাণেই আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং অত্যন্ত মানবিক উপায়ে তা জবাই করার বিধান দিয়েছে ইসলাম। আর ইসলাম এমন কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করার কথা বলেনি, যা পৃথিবীতে অপ্রতুল বা বিপন্ন হতে পারে। বরং যে ছয় ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটিই পৃথিবীতে বিপুল পরিমাণে বিদ্যমান। বরং কোরবানিকে কেন্দ্র করেই বিশ্বজুড়ে কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে এবং পৃথিবী অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
এর পরও কেউ যদি কোরবানি ও হজের টাকা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার কথা বলে, যার জন্য আল্লাহ তাআলা জাকাত-সদকার পৃথক বিধান দিয়েছেন, তাহলে কোরবানি ও হজের মহৎ উদ্দেশ্যগুলো কী করে সাধিত হবে? মানুষের আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের পাশাপাশি সমাজ-সভ্যতার সমৃদ্ধিতে হাজার বছর ধরে অবদান রেখে চলা এসব বিধানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা নিঃসন্দেহে বিদ্বেষপ্রসূত, যা কেবল ইসলাম, সমাজ ও সভ্যতার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষের পক্ষেই শোভা পায়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হজ ও কোরবানি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন, হজে গিয়ে কী লাভ? সম্পদ অপচয় ছাড়া হজ থেকে কী অর্জিত হয়? আর কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয় কি? এর বিপরীতে এসব টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়াই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ নয় কি? মূলত এসব প্রশ্নের বেশির ভাগই বিদ্বেষপ্রসূত। কারণ ইসলামে পৃথকভাবে দান-সদকার প্রতি যেভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো সভ্যতায় করা হয়নি।
সুতরাং ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত দুটি বিধানকে দান-সদকার চটকদার স্লোগান দিয়ে বাদ দেওয়ার আলাপ ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধসম্পন্ন কোনো মানুষ করতে পারে না।
ইসলামে হজ ও কোরবানির বদলে সেই সম্পদ দান করে দেওয়ার কোনো বিধান নেই। কারণ ইসলামের কোন বিধানের বিকল্প আছে, কোন বিধানের নেই, বিকল্প থাকলে সেটা কী এবং কখন তা প্রযোজ্য হবে—এসব বিষয় আল্লাহ তাআলাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিছু বিধান সরাসরি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, কিছু অহির মাধ্যমে রাসুল (সা.)কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তা সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং পবিত্র কোরআন ও হাদিসে যেসব বিধানের বিকল্প উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন—শর্ত সাপেক্ষে অজু-গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম, অশীতিপর বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য রোজার বিকল্প হিসেবে ফিদইয়া ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোনো বিধানের বিকল্প নির্ধারণ করার সুযোগ নেই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার অনুগ্রহের পূর্ণতা দান করলাম এবং একমাত্র ইসলামকেই তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা: ৩) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার এই দ্বীনে এমন কিছু সংযোজন করে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, সেটা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, যুগের প্রয়োজনে বা সংস্কারের নামে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে—তা বাহ্যিক দৃষ্টিতে যত মহৎই হোক না কেন, ইসলামের নির্ধারিত বিধানের কোনো হেরফের করা যাবে না; যেভাবে উল্লেখ আছে, সেভাবেই তা পালন করতে হবে।
হজ ও কোরবানি এমন দুটি বিধান, যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থ ইসলামের প্রতিই প্রশ্ন তোলা। অন্য সব বিধানের মতো এ দুটি বিধানও আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণেই প্রবর্তন করেছেন। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আল্লাহর প্রতি বান্দার কৃতজ্ঞতা এবং বান্দার প্রতি তাঁর সন্তুষ্টির নিদর্শন হিসেবে কোরবানির বিধান পালিত হয়ে আসছে। যুগে যুগে সব নবী-রাসুল তাঁদের জাতিকে আল্লাহর নামে কোরবানি করার আদেশ দিয়েছেন। পৃথিবীর বুকে প্রথম নির্মিত ঘর হিসেবে পরিচিত পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ ও হজ মুসলিম জাতির গোড়াপত্তনকারী নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত বিধান। তাঁর সময় থেকেই পৃথিবীতে হজ পালিত হয়ে আসছে।
সমাজ ও সভ্যতার বিনির্মাণে এ দুটি বিধানের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। ইসলামের মূলমন্ত্রই হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর নির্দেশিত পথে পৃথিবীর জীবন পরিচালিত করা এবং এর মাধ্যমে পরকালের অনন্ত জীবনের সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করা। ইসলামের অন্য ১০টি বিধানের মতো হজ ও কোরবানিও মানুষকে সেই পথে পরিচালিত করে। হজের সব কটি বিধানই মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় করার প্রয়াস। কোরবানিও আমাদের মহান আল্লাহর নামে পশু উৎসর্গ করে তাঁর অফুরন্ত–নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ করে দেয়।
শুধু কি তাই? হজ সারা বিশ্বের মুসলমানদের এক জায়গায় একত্র করে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ডাক দেয়, যা সূক্ষ্মভাবে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। বর্ণ-গোত্র ও জাতীয়তাবাদের যে সংকীর্ণতা ইসলাম-পূর্ব যুগের সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হজের শিক্ষার বিকল্প নেই। এ ছাড়া হজ আল্লাহ, পরকাল, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়কে এমনভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, হজ থেকে ফিরে অনেক অপরাধী অপরাধ ছেড়ে দেয়, যা দেশ ও জাতিকে স্বস্তি দেয়। ফলে হজের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও বিশ্ব আরও শুদ্ধ, নৈতিক ও উন্নত হওয়ার সুযোগ পায়।
একইভাবে কোরবানিও দারুণ সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। কোরবানির মাংস বণ্টনের যে নীতি ইসলাম প্রণয়ন করেছে, এর মাধ্যমে বছরে অন্তত একবার হলেও সমাজের সব শ্রেণির মানুষ মনভরে মাংস খেতে পারে। তা ছাড়া কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়, কারণ এসব প্রাণীকে মানুষের কল্যাণেই আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং অত্যন্ত মানবিক উপায়ে তা জবাই করার বিধান দিয়েছে ইসলাম। আর ইসলাম এমন কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করার কথা বলেনি, যা পৃথিবীতে অপ্রতুল বা বিপন্ন হতে পারে। বরং যে ছয় ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটিই পৃথিবীতে বিপুল পরিমাণে বিদ্যমান। বরং কোরবানিকে কেন্দ্র করেই বিশ্বজুড়ে কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে এবং পৃথিবী অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
এর পরও কেউ যদি কোরবানি ও হজের টাকা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার কথা বলে, যার জন্য আল্লাহ তাআলা জাকাত-সদকার পৃথক বিধান দিয়েছেন, তাহলে কোরবানি ও হজের মহৎ উদ্দেশ্যগুলো কী করে সাধিত হবে? মানুষের আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের পাশাপাশি সমাজ-সভ্যতার সমৃদ্ধিতে হাজার বছর ধরে অবদান রেখে চলা এসব বিধানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা নিঃসন্দেহে বিদ্বেষপ্রসূত, যা কেবল ইসলাম, সমাজ ও সভ্যতার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষের পক্ষেই শোভা পায়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

হজ ও কোরবানি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন, হজে গিয়ে কী লাভ? সম্পদ অপচয় ছাড়া হজ থেকে কী অর্জিত হয়? আর কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয় কি? এর বিপরীতে এসব টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়াই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ নয় কি? মূলত এসব প্রশ্নের বেশির ভাগই বিদ্বেষপ্রসূত। কারণ ইসলামে পৃথকভাবে দান-সদকার প্রতি যেভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোনো সভ্যতায় করা হয়নি।
সুতরাং ভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত দুটি বিধানকে দান-সদকার চটকদার স্লোগান দিয়ে বাদ দেওয়ার আলাপ ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধসম্পন্ন কোনো মানুষ করতে পারে না।
ইসলামে হজ ও কোরবানির বদলে সেই সম্পদ দান করে দেওয়ার কোনো বিধান নেই। কারণ ইসলামের কোন বিধানের বিকল্প আছে, কোন বিধানের নেই, বিকল্প থাকলে সেটা কী এবং কখন তা প্রযোজ্য হবে—এসব বিষয় আল্লাহ তাআলাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিছু বিধান সরাসরি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, কিছু অহির মাধ্যমে রাসুল (সা.)কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তা সাহাবিদের শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং পবিত্র কোরআন ও হাদিসে যেসব বিধানের বিকল্প উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন—শর্ত সাপেক্ষে অজু-গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম, অশীতিপর বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য রোজার বিকল্প হিসেবে ফিদইয়া ইত্যাদি ছাড়া অন্য কোনো বিধানের বিকল্প নির্ধারণ করার সুযোগ নেই।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার অনুগ্রহের পূর্ণতা দান করলাম এবং একমাত্র ইসলামকেই তোমাদের দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা মায়িদা: ৩) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার এই দ্বীনে এমন কিছু সংযোজন করে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, সেটা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, যুগের প্রয়োজনে বা সংস্কারের নামে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে—তা বাহ্যিক দৃষ্টিতে যত মহৎই হোক না কেন, ইসলামের নির্ধারিত বিধানের কোনো হেরফের করা যাবে না; যেভাবে উল্লেখ আছে, সেভাবেই তা পালন করতে হবে।
হজ ও কোরবানি এমন দুটি বিধান, যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থ ইসলামের প্রতিই প্রশ্ন তোলা। অন্য সব বিধানের মতো এ দুটি বিধানও আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণেই প্রবর্তন করেছেন। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আল্লাহর প্রতি বান্দার কৃতজ্ঞতা এবং বান্দার প্রতি তাঁর সন্তুষ্টির নিদর্শন হিসেবে কোরবানির বিধান পালিত হয়ে আসছে। যুগে যুগে সব নবী-রাসুল তাঁদের জাতিকে আল্লাহর নামে কোরবানি করার আদেশ দিয়েছেন। পৃথিবীর বুকে প্রথম নির্মিত ঘর হিসেবে পরিচিত পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ ও হজ মুসলিম জাতির গোড়াপত্তনকারী নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত বিধান। তাঁর সময় থেকেই পৃথিবীতে হজ পালিত হয়ে আসছে।
সমাজ ও সভ্যতার বিনির্মাণে এ দুটি বিধানের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। ইসলামের মূলমন্ত্রই হলো এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্যের মাধ্যমে তাঁর নির্দেশিত পথে পৃথিবীর জীবন পরিচালিত করা এবং এর মাধ্যমে পরকালের অনন্ত জীবনের সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করা। ইসলামের অন্য ১০টি বিধানের মতো হজ ও কোরবানিও মানুষকে সেই পথে পরিচালিত করে। হজের সব কটি বিধানই মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় করার প্রয়াস। কোরবানিও আমাদের মহান আল্লাহর নামে পশু উৎসর্গ করে তাঁর অফুরন্ত–নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ করে দেয়।
শুধু কি তাই? হজ সারা বিশ্বের মুসলমানদের এক জায়গায় একত্র করে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ডাক দেয়, যা সূক্ষ্মভাবে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। বর্ণ-গোত্র ও জাতীয়তাবাদের যে সংকীর্ণতা ইসলাম-পূর্ব যুগের সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হজের শিক্ষার বিকল্প নেই। এ ছাড়া হজ আল্লাহ, পরকাল, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়কে এমনভাবে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, হজ থেকে ফিরে অনেক অপরাধী অপরাধ ছেড়ে দেয়, যা দেশ ও জাতিকে স্বস্তি দেয়। ফলে হজের মাধ্যমে ব্যক্তি, সমাজ ও বিশ্ব আরও শুদ্ধ, নৈতিক ও উন্নত হওয়ার সুযোগ পায়।
একইভাবে কোরবানিও দারুণ সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। কোরবানির মাংস বণ্টনের যে নীতি ইসলাম প্রণয়ন করেছে, এর মাধ্যমে বছরে অন্তত একবার হলেও সমাজের সব শ্রেণির মানুষ মনভরে মাংস খেতে পারে। তা ছাড়া কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়, কারণ এসব প্রাণীকে মানুষের কল্যাণেই আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং অত্যন্ত মানবিক উপায়ে তা জবাই করার বিধান দিয়েছে ইসলাম। আর ইসলাম এমন কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করার কথা বলেনি, যা পৃথিবীতে অপ্রতুল বা বিপন্ন হতে পারে। বরং যে ছয় ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিটিই পৃথিবীতে বিপুল পরিমাণে বিদ্যমান। বরং কোরবানিকে কেন্দ্র করেই বিশ্বজুড়ে কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে এবং পৃথিবী অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে।
এর পরও কেউ যদি কোরবানি ও হজের টাকা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার কথা বলে, যার জন্য আল্লাহ তাআলা জাকাত-সদকার পৃথক বিধান দিয়েছেন, তাহলে কোরবানি ও হজের মহৎ উদ্দেশ্যগুলো কী করে সাধিত হবে? মানুষের আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের পাশাপাশি সমাজ-সভ্যতার সমৃদ্ধিতে হাজার বছর ধরে অবদান রেখে চলা এসব বিধানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা নিঃসন্দেহে বিদ্বেষপ্রসূত, যা কেবল ইসলাম, সমাজ ও সভ্যতার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষের পক্ষেই শোভা পায়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
৮ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
৯ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

হজ ও কোরবানি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন, হজে গিয়ে কী লাভ? সম্পদ অপচয় ছাড়া হজ থেকে কী অর্জিত হয়? আর কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয় কি? এর বিপরীতে এসব টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়াই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ নয় কি? মূলত এসব প্রশ্নের বেশির ভাগই বিদ্বেষপ্রসূত। কারণ ইসলামে পৃথ
০৭ জুন ২০২৪
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
৯ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

হজ ও কোরবানি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন, হজে গিয়ে কী লাভ? সম্পদ অপচয় ছাড়া হজ থেকে কী অর্জিত হয়? আর কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয় কি? এর বিপরীতে এসব টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়াই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ নয় কি? মূলত এসব প্রশ্নের বেশির ভাগই বিদ্বেষপ্রসূত। কারণ ইসলামে পৃথ
০৭ জুন ২০২৪
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
৮ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

হজ ও কোরবানি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন, হজে গিয়ে কী লাভ? সম্পদ অপচয় ছাড়া হজ থেকে কী অর্জিত হয়? আর কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয় কি? এর বিপরীতে এসব টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়াই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ নয় কি? মূলত এসব প্রশ্নের বেশির ভাগই বিদ্বেষপ্রসূত। কারণ ইসলামে পৃথ
০৭ জুন ২০২৪
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
৮ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
৯ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

হজ ও কোরবানি সম্পর্কে অনেকে প্রশ্ন করেন, হজে গিয়ে কী লাভ? সম্পদ অপচয় ছাড়া হজ থেকে কী অর্জিত হয়? আর কোরবানি পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নয় কি? এর বিপরীতে এসব টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়াই জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কারণ নয় কি? মূলত এসব প্রশ্নের বেশির ভাগই বিদ্বেষপ্রসূত। কারণ ইসলামে পৃথ
০৭ জুন ২০২৪
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
৮ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
৯ ঘণ্টা আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১২ ঘণ্টা আগে