মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে মারওয়ান এবং মায়ের নাম উম্মে আসিম বিনতে আসিম। তিনি ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)–এর নাতি, যিনি ইসলামের ইতিহাসে সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য আকাশছোঁয়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চা
শৈশব থেকেই ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ইসলামি শিক্ষা ও ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে বড় হন। মদিনায় অবস্থানকালে তিনি তাবেয়ি উরওয়া ইবনে জুবাইর, সালিম ইবনে আবদুল্লাহ এবং কাসিম ইবনে মুহাম্মদ–এর মতো খ্যাতনামা আলেমদের কাছে ফিকহ, হাদিস ও কোরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
শাসনভার গ্রহণ
১০১ হিজরিতে উমাইয়া খলিফা সুলাইমান ইবনে আবদুল মালিক মৃত্যুর আগে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা মনোনীত করেন। সাধারণত উমাইয়া বংশে খিলাফত উত্তরাধিকারসূত্রে চলে আসত, তবে সুলাইমান তাঁর অন্তিম সময়ে ওমর ইবনে আবদুল আজিজকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেন এবং তাঁকে শাসক হওয়ার জন্য বাধ্য করেন।
শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য
ন্যায়বিচার ও জনগণের কল্যাণ: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ শাসনভার গ্রহণের পর প্রথমেই উমাইয়া শাসকদের জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটান। তিনি জনগণের সম্পদ ও রাজকোষ থেকে আত্মীয়স্বজনের জন্য বিশেষ সুবিধা বাতিল করেন এবং জনগণের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।
জাকাত ও অর্থনৈতিক সংস্কার: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ জাকাত ব্যবস্থাকে এমনভাবে কার্যকর করেন যে, তাঁর শাসনামলে গরিবদের খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি কূপ ও খাল খনন, সড়ক নির্মাণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেন।
সুবিচার ও প্রশাসনিক সংস্কার: তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ এবং দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেন। অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতেন এবং শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেন। রাজকীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে পৃথক করে, নিজের সম্পদ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।
অসাম্প্রদায়িক শাসন: ওমর ইবনে আবদুল আজিজ অমুসলিমদের প্রতি সুবিচার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ নিষিদ্ধ করেন এবং খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ওপর অযৌক্তিক কর আরোপ বন্ধ করেন।
শিক্ষায় উন্নয়ন: তিনি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন এবং ইসলামি গবেষণায় উৎসাহ দেন। তাঁর শাসনকালে অনেক মসজিদ, মাদরাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইমাম জুহরি তাঁর আমলে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন।
সাধারণ জীবনযাপন
একবার তাঁর স্ত্রী ফাতিমা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার তো রাজকীয় সম্পদ ভোগ করার অধিকার আছে, কিন্তু আপনি কেন এত সাধারণ জীবনযাপন করেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সম্পদ ভোগ করার কারণে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে আমাকে জবাবদিহি করতে হোক।’
মৃত্যুর পূর্বাভাস
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চিকিৎসকেরা তাঁকে জানান যে, তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমি সন্তুষ্ট।’ অবশেষে ১০৩ হিজরিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ছিলেন প্রকৃতপক্ষে ইসলামের খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণকারী এক মহান শাসক। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি, প্রকৃত শাসক তিনিই, যিনি জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইসলামের বিধান অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তাঁর শাসনব্যবস্থা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে কাছির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
২. তাবারি, তাঁরিখ আত-তাবারি।
৩. আবু দাউদ, সুনান আবু দাউদ।
৪. ইবনে সা’দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা।
৫. আবু নুয়াইম, হিলিয়াতুল আউলিয়া।
৬. ইবনে আবদুল বার, আল-ইসতিআব।
৭. ইবনে আসাকির, তাঁরিখ দামেশক।

নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ওমর ইবনে আবদুল আজিজ ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অন্যতম মহান শাসক, যিনি তাঁর ন্যায়পরায়ণতা এবং সৎ শাসনব্যবস্থার জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৬১ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল আজিজ ইবনে...
১৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে