ইসলাম ডেস্ক
পারস্যের অন্তর্গত মাদইয়ান শহরের অধিবাসীরা একসময় ছিল অত্যন্ত খারাপ ও অত্যাচারী। তাদের অসংখ্য অপরাধের মধ্যে প্রধান ছিল ওজনে কম দেওয়া। তারা জিনিসপত্রের পুরো মূল্য আদায় করত, কিন্তু পরিমাণে কম দিত। এ ছাড়া তারা জাল মুদ্রা তৈরি করে সমাজে সমস্যা সৃষ্টি করত, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট করত এবং দেব-দেবী ও মূর্তির পূজা করত।
এই পথভ্রষ্ট জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ তাআলা হজরত শোয়াইব (আ.)-কে নবী হিসেবে পাঠান। তিনি হজরত হুদ (আ.)-এর বংশধর ছিলেন, যদিও কেউ কেউ তাঁকে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর পুত্র মাদইয়ানের বংশধর বলে মত দেন। হজরত শোয়াইব (আ.)-এর কণ্ঠ ছিল উচ্চ এবং ভাষা ছিল অত্যন্ত সুন্দর।
নবীর দাওয়াত ও অবাধ্যতা
হজরত শোয়াইব (আ.) মাদইয়ান জাতিকে আল্লাহর দিকে আহ্বান জানাতে লাগলেন এবং তাদের যাবতীয় অপরাধের জন্য উপদেশ দিতে লাগলেন। তিনি বললেন, ‘তোমরা জিনিসের যে পরিমাণ মূল্য আদায় করো, সে পরিমাণ জিনিস দেবে। তোমরা যদি ওজনে কম দাও, তাহলে তোমাদের ওপর আল্লাহর গজব আসবে।’ এই উপদেশ শুনে সামান্য কিছু লোক ইমান আনলেও বেশির ভাগ মানুষই পথভ্রষ্ট ও খারাপ পথে রয়ে গেল। তারা নবীকে উপহাস করে বলল, ‘হে শোয়াইব, তোমার কথা কেন আমরা শুনব? তুমি আমাদের রাজা-বাদশাহ নাকি?’
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ওজনে কম দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘তোমরা মাপে পূর্ণমাত্রায় দেবে; যারা মাপে কমতি করে, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না এবং তোমরা ওজন করবে সঠিক দাঁড়িপাল্লায়। লোকদের তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিয়ো না এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে ফিরো না এবং তোমরা ভয় করো তাঁকে, যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে, তাদের সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা শুআরা: ১৮১-১৮৪)
ভয়াবহ পরিণতির সতর্কবার্তা
অবাধ্য মাদইয়ান জাতিকে হজরত শোয়াইব (আ.) বললেন, ‘তোমরা নুহ (আ.)-এর জাতি, কওমে লুত, আদ জাতি ও সামুদ জাতির ঘটনাগুলো স্মরণ করো। অন্যায়-অপরাধ করার কারণে আল্লাহ তাদের ভয়াবহ গজব দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তোমরা এখন তওবা করে আল্লাহর প্রতি ইমান এনে খাঁটি ধর্ম গ্রহণ করো।’
কিন্তু তারা তাঁর কথায় কর্ণপাত না করে তাঁকে ভয় দেখাতে শুরু করল, ‘তোমাকে আমরা বারবার নিষেধ করেছি, এ ধরনের বাজে কথা আমাদের কাছে বলতে আসবে না। তুমি কিছুতেই বিরত হচ্ছ না। আবার তোমাকে সাবধান করে দিলাম, এমন কথা বললে তোমার অকালে মৃত্যু হতে পারে।’
তাদের এমন অবাধ্যতায় হজরত শোয়াইব (আ.) নিরাশ হয়ে পড়লেন।
আল্লাহর গজব ও মাদইয়ানের ধ্বংস
এমন সময় ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এসে হজরত শোয়াইব (আ.)-কে জানালেন যে, আল্লাহ তাআলা অচিরেই তাঁর অবাধ্য কওমের প্রতি গজব নাজিল করবেন। তিনি যেন তাঁর অনুসারী ১ হাজার ৭০০ মুমিন বান্দা নিয়ে দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে চলে যান।
জিবরাইলের পরামর্শ শুনে শোয়াইব (আ.) তাঁর পরিবার ও মুমিনদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। তখন মাদইয়ান জাতির লোকজন উপহাস করে বলল, ‘তোমরা আমাদের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছ?’ জবাবে হজরত শোয়াইব (আ.) বললেন, ‘আমরা পালাচ্ছি না, বরং আল্লাহর নির্দেশেই দেশ ত্যাগ করছি। কেননা এ দেশে আল্লাহর গজব আসবে।’
এ কথা শুনে তারা হাসাহাসি করতে লাগল এবং গজবকে ‘ফাঁকা ভয়’ বলে উড়িয়ে দিল।
হজরত শোয়াইব (আ.) যেদিন দেশ ত্যাগ করলেন, এর পরদিন ভোরে আল্লাহর গজব এসে উপস্থিত হলো। ঘরবাড়ি, পথঘাট—সবকিছু আগুনের উত্তাপে দাঁড়ানোর অযোগ্য হয়ে পড়ল। লোকজন ঘরে টিকতে না পেরে দৌড়ে মাঠে গেল। তখন আকাশ থেকে অগ্নিবৃষ্টি শুরু হলো। সবশেষে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এত জোরে হাঁক দিলেন যে, সেই গর্জনে লোকজন কেঁপে উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল এবং সঙ্গে সঙ্গে মারা গেল।
আমাদের শিক্ষা
মাদইয়ান জাতির ধ্বংসের এ ঘটনা আমাদের জন্য এক বড় শিক্ষা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে আমাদের দেশে ও বিদেশে বহু ব্যবসায়ী অবৈধ ও হারাম ব্যবসা করছেন। তাঁরা ওজনে কম দিচ্ছেন, সিন্ডিকেট করে ঠকাচ্ছেন এবং নকল পণ্য সরবরাহ করছেন। বাজারে মাছ ও গোশত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বহু দোকানদার মাপে কম দিচ্ছেন ও বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি করছেন।
এসব হারাম ব্যবসায়ীর জন্য আল্লাহর কঠোর হুঁশিয়ারি রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মন্দ পরিণাম তাদের জন্য, যারা মাপে কম দেয়, যারা লোকের নিকট হতে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে এবং যখন তাদের জন্য মেপে অথবা ওজন করে দেয়, তখন কম দেয়। তারা কি চিন্তা করে না যে তারা পুনরুত্থিত হবে সেই মহান দিনে, যেদিন দাঁড়াবে সমস্ত মানুষ জগৎসমূহের রবের সম্মুখে।’ (সুরা মুতাফ্ফিফিন: ১-৬)
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক
পারস্যের অন্তর্গত মাদইয়ান শহরের অধিবাসীরা একসময় ছিল অত্যন্ত খারাপ ও অত্যাচারী। তাদের অসংখ্য অপরাধের মধ্যে প্রধান ছিল ওজনে কম দেওয়া। তারা জিনিসপত্রের পুরো মূল্য আদায় করত, কিন্তু পরিমাণে কম দিত। এ ছাড়া তারা জাল মুদ্রা তৈরি করে সমাজে সমস্যা সৃষ্টি করত, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট করত এবং দেব-দেবী ও মূর্তির পূজা করত।
এই পথভ্রষ্ট জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ তাআলা হজরত শোয়াইব (আ.)-কে নবী হিসেবে পাঠান। তিনি হজরত হুদ (আ.)-এর বংশধর ছিলেন, যদিও কেউ কেউ তাঁকে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর পুত্র মাদইয়ানের বংশধর বলে মত দেন। হজরত শোয়াইব (আ.)-এর কণ্ঠ ছিল উচ্চ এবং ভাষা ছিল অত্যন্ত সুন্দর।
নবীর দাওয়াত ও অবাধ্যতা
হজরত শোয়াইব (আ.) মাদইয়ান জাতিকে আল্লাহর দিকে আহ্বান জানাতে লাগলেন এবং তাদের যাবতীয় অপরাধের জন্য উপদেশ দিতে লাগলেন। তিনি বললেন, ‘তোমরা জিনিসের যে পরিমাণ মূল্য আদায় করো, সে পরিমাণ জিনিস দেবে। তোমরা যদি ওজনে কম দাও, তাহলে তোমাদের ওপর আল্লাহর গজব আসবে।’ এই উপদেশ শুনে সামান্য কিছু লোক ইমান আনলেও বেশির ভাগ মানুষই পথভ্রষ্ট ও খারাপ পথে রয়ে গেল। তারা নবীকে উপহাস করে বলল, ‘হে শোয়াইব, তোমার কথা কেন আমরা শুনব? তুমি আমাদের রাজা-বাদশাহ নাকি?’
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ওজনে কম দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘তোমরা মাপে পূর্ণমাত্রায় দেবে; যারা মাপে কমতি করে, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না এবং তোমরা ওজন করবে সঠিক দাঁড়িপাল্লায়। লোকদের তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিয়ো না এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে ফিরো না এবং তোমরা ভয় করো তাঁকে, যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে, তাদের সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা শুআরা: ১৮১-১৮৪)
ভয়াবহ পরিণতির সতর্কবার্তা
অবাধ্য মাদইয়ান জাতিকে হজরত শোয়াইব (আ.) বললেন, ‘তোমরা নুহ (আ.)-এর জাতি, কওমে লুত, আদ জাতি ও সামুদ জাতির ঘটনাগুলো স্মরণ করো। অন্যায়-অপরাধ করার কারণে আল্লাহ তাদের ভয়াবহ গজব দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তোমরা এখন তওবা করে আল্লাহর প্রতি ইমান এনে খাঁটি ধর্ম গ্রহণ করো।’
কিন্তু তারা তাঁর কথায় কর্ণপাত না করে তাঁকে ভয় দেখাতে শুরু করল, ‘তোমাকে আমরা বারবার নিষেধ করেছি, এ ধরনের বাজে কথা আমাদের কাছে বলতে আসবে না। তুমি কিছুতেই বিরত হচ্ছ না। আবার তোমাকে সাবধান করে দিলাম, এমন কথা বললে তোমার অকালে মৃত্যু হতে পারে।’
তাদের এমন অবাধ্যতায় হজরত শোয়াইব (আ.) নিরাশ হয়ে পড়লেন।
আল্লাহর গজব ও মাদইয়ানের ধ্বংস
এমন সময় ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এসে হজরত শোয়াইব (আ.)-কে জানালেন যে, আল্লাহ তাআলা অচিরেই তাঁর অবাধ্য কওমের প্রতি গজব নাজিল করবেন। তিনি যেন তাঁর অনুসারী ১ হাজার ৭০০ মুমিন বান্দা নিয়ে দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে চলে যান।
জিবরাইলের পরামর্শ শুনে শোয়াইব (আ.) তাঁর পরিবার ও মুমিনদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। তখন মাদইয়ান জাতির লোকজন উপহাস করে বলল, ‘তোমরা আমাদের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছ?’ জবাবে হজরত শোয়াইব (আ.) বললেন, ‘আমরা পালাচ্ছি না, বরং আল্লাহর নির্দেশেই দেশ ত্যাগ করছি। কেননা এ দেশে আল্লাহর গজব আসবে।’
এ কথা শুনে তারা হাসাহাসি করতে লাগল এবং গজবকে ‘ফাঁকা ভয়’ বলে উড়িয়ে দিল।
হজরত শোয়াইব (আ.) যেদিন দেশ ত্যাগ করলেন, এর পরদিন ভোরে আল্লাহর গজব এসে উপস্থিত হলো। ঘরবাড়ি, পথঘাট—সবকিছু আগুনের উত্তাপে দাঁড়ানোর অযোগ্য হয়ে পড়ল। লোকজন ঘরে টিকতে না পেরে দৌড়ে মাঠে গেল। তখন আকাশ থেকে অগ্নিবৃষ্টি শুরু হলো। সবশেষে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এত জোরে হাঁক দিলেন যে, সেই গর্জনে লোকজন কেঁপে উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল এবং সঙ্গে সঙ্গে মারা গেল।
আমাদের শিক্ষা
মাদইয়ান জাতির ধ্বংসের এ ঘটনা আমাদের জন্য এক বড় শিক্ষা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে আমাদের দেশে ও বিদেশে বহু ব্যবসায়ী অবৈধ ও হারাম ব্যবসা করছেন। তাঁরা ওজনে কম দিচ্ছেন, সিন্ডিকেট করে ঠকাচ্ছেন এবং নকল পণ্য সরবরাহ করছেন। বাজারে মাছ ও গোশত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বহু দোকানদার মাপে কম দিচ্ছেন ও বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি করছেন।
এসব হারাম ব্যবসায়ীর জন্য আল্লাহর কঠোর হুঁশিয়ারি রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মন্দ পরিণাম তাদের জন্য, যারা মাপে কম দেয়, যারা লোকের নিকট হতে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে এবং যখন তাদের জন্য মেপে অথবা ওজন করে দেয়, তখন কম দেয়। তারা কি চিন্তা করে না যে তারা পুনরুত্থিত হবে সেই মহান দিনে, যেদিন দাঁড়াবে সমস্ত মানুষ জগৎসমূহের রবের সম্মুখে।’ (সুরা মুতাফ্ফিফিন: ১-৬)
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম ডেস্ক
পারস্যের অন্তর্গত মাদইয়ান শহরের অধিবাসীরা একসময় ছিল অত্যন্ত খারাপ ও অত্যাচারী। তাদের অসংখ্য অপরাধের মধ্যে প্রধান ছিল ওজনে কম দেওয়া। তারা জিনিসপত্রের পুরো মূল্য আদায় করত, কিন্তু পরিমাণে কম দিত। এ ছাড়া তারা জাল মুদ্রা তৈরি করে সমাজে সমস্যা সৃষ্টি করত, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট করত এবং দেব-দেবী ও মূর্তির পূজা করত।
এই পথভ্রষ্ট জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ তাআলা হজরত শোয়াইব (আ.)-কে নবী হিসেবে পাঠান। তিনি হজরত হুদ (আ.)-এর বংশধর ছিলেন, যদিও কেউ কেউ তাঁকে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর পুত্র মাদইয়ানের বংশধর বলে মত দেন। হজরত শোয়াইব (আ.)-এর কণ্ঠ ছিল উচ্চ এবং ভাষা ছিল অত্যন্ত সুন্দর।
নবীর দাওয়াত ও অবাধ্যতা
হজরত শোয়াইব (আ.) মাদইয়ান জাতিকে আল্লাহর দিকে আহ্বান জানাতে লাগলেন এবং তাদের যাবতীয় অপরাধের জন্য উপদেশ দিতে লাগলেন। তিনি বললেন, ‘তোমরা জিনিসের যে পরিমাণ মূল্য আদায় করো, সে পরিমাণ জিনিস দেবে। তোমরা যদি ওজনে কম দাও, তাহলে তোমাদের ওপর আল্লাহর গজব আসবে।’ এই উপদেশ শুনে সামান্য কিছু লোক ইমান আনলেও বেশির ভাগ মানুষই পথভ্রষ্ট ও খারাপ পথে রয়ে গেল। তারা নবীকে উপহাস করে বলল, ‘হে শোয়াইব, তোমার কথা কেন আমরা শুনব? তুমি আমাদের রাজা-বাদশাহ নাকি?’
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ওজনে কম দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘তোমরা মাপে পূর্ণমাত্রায় দেবে; যারা মাপে কমতি করে, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না এবং তোমরা ওজন করবে সঠিক দাঁড়িপাল্লায়। লোকদের তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিয়ো না এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে ফিরো না এবং তোমরা ভয় করো তাঁকে, যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে, তাদের সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা শুআরা: ১৮১-১৮৪)
ভয়াবহ পরিণতির সতর্কবার্তা
অবাধ্য মাদইয়ান জাতিকে হজরত শোয়াইব (আ.) বললেন, ‘তোমরা নুহ (আ.)-এর জাতি, কওমে লুত, আদ জাতি ও সামুদ জাতির ঘটনাগুলো স্মরণ করো। অন্যায়-অপরাধ করার কারণে আল্লাহ তাদের ভয়াবহ গজব দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তোমরা এখন তওবা করে আল্লাহর প্রতি ইমান এনে খাঁটি ধর্ম গ্রহণ করো।’
কিন্তু তারা তাঁর কথায় কর্ণপাত না করে তাঁকে ভয় দেখাতে শুরু করল, ‘তোমাকে আমরা বারবার নিষেধ করেছি, এ ধরনের বাজে কথা আমাদের কাছে বলতে আসবে না। তুমি কিছুতেই বিরত হচ্ছ না। আবার তোমাকে সাবধান করে দিলাম, এমন কথা বললে তোমার অকালে মৃত্যু হতে পারে।’
তাদের এমন অবাধ্যতায় হজরত শোয়াইব (আ.) নিরাশ হয়ে পড়লেন।
আল্লাহর গজব ও মাদইয়ানের ধ্বংস
এমন সময় ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এসে হজরত শোয়াইব (আ.)-কে জানালেন যে, আল্লাহ তাআলা অচিরেই তাঁর অবাধ্য কওমের প্রতি গজব নাজিল করবেন। তিনি যেন তাঁর অনুসারী ১ হাজার ৭০০ মুমিন বান্দা নিয়ে দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে চলে যান।
জিবরাইলের পরামর্শ শুনে শোয়াইব (আ.) তাঁর পরিবার ও মুমিনদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। তখন মাদইয়ান জাতির লোকজন উপহাস করে বলল, ‘তোমরা আমাদের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছ?’ জবাবে হজরত শোয়াইব (আ.) বললেন, ‘আমরা পালাচ্ছি না, বরং আল্লাহর নির্দেশেই দেশ ত্যাগ করছি। কেননা এ দেশে আল্লাহর গজব আসবে।’
এ কথা শুনে তারা হাসাহাসি করতে লাগল এবং গজবকে ‘ফাঁকা ভয়’ বলে উড়িয়ে দিল।
হজরত শোয়াইব (আ.) যেদিন দেশ ত্যাগ করলেন, এর পরদিন ভোরে আল্লাহর গজব এসে উপস্থিত হলো। ঘরবাড়ি, পথঘাট—সবকিছু আগুনের উত্তাপে দাঁড়ানোর অযোগ্য হয়ে পড়ল। লোকজন ঘরে টিকতে না পেরে দৌড়ে মাঠে গেল। তখন আকাশ থেকে অগ্নিবৃষ্টি শুরু হলো। সবশেষে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এত জোরে হাঁক দিলেন যে, সেই গর্জনে লোকজন কেঁপে উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল এবং সঙ্গে সঙ্গে মারা গেল।
আমাদের শিক্ষা
মাদইয়ান জাতির ধ্বংসের এ ঘটনা আমাদের জন্য এক বড় শিক্ষা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে আমাদের দেশে ও বিদেশে বহু ব্যবসায়ী অবৈধ ও হারাম ব্যবসা করছেন। তাঁরা ওজনে কম দিচ্ছেন, সিন্ডিকেট করে ঠকাচ্ছেন এবং নকল পণ্য সরবরাহ করছেন। বাজারে মাছ ও গোশত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বহু দোকানদার মাপে কম দিচ্ছেন ও বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি করছেন।
এসব হারাম ব্যবসায়ীর জন্য আল্লাহর কঠোর হুঁশিয়ারি রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মন্দ পরিণাম তাদের জন্য, যারা মাপে কম দেয়, যারা লোকের নিকট হতে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে এবং যখন তাদের জন্য মেপে অথবা ওজন করে দেয়, তখন কম দেয়। তারা কি চিন্তা করে না যে তারা পুনরুত্থিত হবে সেই মহান দিনে, যেদিন দাঁড়াবে সমস্ত মানুষ জগৎসমূহের রবের সম্মুখে।’ (সুরা মুতাফ্ফিফিন: ১-৬)
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক
পারস্যের অন্তর্গত মাদইয়ান শহরের অধিবাসীরা একসময় ছিল অত্যন্ত খারাপ ও অত্যাচারী। তাদের অসংখ্য অপরাধের মধ্যে প্রধান ছিল ওজনে কম দেওয়া। তারা জিনিসপত্রের পুরো মূল্য আদায় করত, কিন্তু পরিমাণে কম দিত। এ ছাড়া তারা জাল মুদ্রা তৈরি করে সমাজে সমস্যা সৃষ্টি করত, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট করত এবং দেব-দেবী ও মূর্তির পূজা করত।
এই পথভ্রষ্ট জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ তাআলা হজরত শোয়াইব (আ.)-কে নবী হিসেবে পাঠান। তিনি হজরত হুদ (আ.)-এর বংশধর ছিলেন, যদিও কেউ কেউ তাঁকে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর পুত্র মাদইয়ানের বংশধর বলে মত দেন। হজরত শোয়াইব (আ.)-এর কণ্ঠ ছিল উচ্চ এবং ভাষা ছিল অত্যন্ত সুন্দর।
নবীর দাওয়াত ও অবাধ্যতা
হজরত শোয়াইব (আ.) মাদইয়ান জাতিকে আল্লাহর দিকে আহ্বান জানাতে লাগলেন এবং তাদের যাবতীয় অপরাধের জন্য উপদেশ দিতে লাগলেন। তিনি বললেন, ‘তোমরা জিনিসের যে পরিমাণ মূল্য আদায় করো, সে পরিমাণ জিনিস দেবে। তোমরা যদি ওজনে কম দাও, তাহলে তোমাদের ওপর আল্লাহর গজব আসবে।’ এই উপদেশ শুনে সামান্য কিছু লোক ইমান আনলেও বেশির ভাগ মানুষই পথভ্রষ্ট ও খারাপ পথে রয়ে গেল। তারা নবীকে উপহাস করে বলল, ‘হে শোয়াইব, তোমার কথা কেন আমরা শুনব? তুমি আমাদের রাজা-বাদশাহ নাকি?’
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ওজনে কম দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘তোমরা মাপে পূর্ণমাত্রায় দেবে; যারা মাপে কমতি করে, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না এবং তোমরা ওজন করবে সঠিক দাঁড়িপাল্লায়। লোকদের তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিয়ো না এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে ফিরো না এবং তোমরা ভয় করো তাঁকে, যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে, তাদের সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা শুআরা: ১৮১-১৮৪)
ভয়াবহ পরিণতির সতর্কবার্তা
অবাধ্য মাদইয়ান জাতিকে হজরত শোয়াইব (আ.) বললেন, ‘তোমরা নুহ (আ.)-এর জাতি, কওমে লুত, আদ জাতি ও সামুদ জাতির ঘটনাগুলো স্মরণ করো। অন্যায়-অপরাধ করার কারণে আল্লাহ তাদের ভয়াবহ গজব দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তোমরা এখন তওবা করে আল্লাহর প্রতি ইমান এনে খাঁটি ধর্ম গ্রহণ করো।’
কিন্তু তারা তাঁর কথায় কর্ণপাত না করে তাঁকে ভয় দেখাতে শুরু করল, ‘তোমাকে আমরা বারবার নিষেধ করেছি, এ ধরনের বাজে কথা আমাদের কাছে বলতে আসবে না। তুমি কিছুতেই বিরত হচ্ছ না। আবার তোমাকে সাবধান করে দিলাম, এমন কথা বললে তোমার অকালে মৃত্যু হতে পারে।’
তাদের এমন অবাধ্যতায় হজরত শোয়াইব (আ.) নিরাশ হয়ে পড়লেন।
আল্লাহর গজব ও মাদইয়ানের ধ্বংস
এমন সময় ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এসে হজরত শোয়াইব (আ.)-কে জানালেন যে, আল্লাহ তাআলা অচিরেই তাঁর অবাধ্য কওমের প্রতি গজব নাজিল করবেন। তিনি যেন তাঁর অনুসারী ১ হাজার ৭০০ মুমিন বান্দা নিয়ে দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে চলে যান।
জিবরাইলের পরামর্শ শুনে শোয়াইব (আ.) তাঁর পরিবার ও মুমিনদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। তখন মাদইয়ান জাতির লোকজন উপহাস করে বলল, ‘তোমরা আমাদের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছ?’ জবাবে হজরত শোয়াইব (আ.) বললেন, ‘আমরা পালাচ্ছি না, বরং আল্লাহর নির্দেশেই দেশ ত্যাগ করছি। কেননা এ দেশে আল্লাহর গজব আসবে।’
এ কথা শুনে তারা হাসাহাসি করতে লাগল এবং গজবকে ‘ফাঁকা ভয়’ বলে উড়িয়ে দিল।
হজরত শোয়াইব (আ.) যেদিন দেশ ত্যাগ করলেন, এর পরদিন ভোরে আল্লাহর গজব এসে উপস্থিত হলো। ঘরবাড়ি, পথঘাট—সবকিছু আগুনের উত্তাপে দাঁড়ানোর অযোগ্য হয়ে পড়ল। লোকজন ঘরে টিকতে না পেরে দৌড়ে মাঠে গেল। তখন আকাশ থেকে অগ্নিবৃষ্টি শুরু হলো। সবশেষে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এত জোরে হাঁক দিলেন যে, সেই গর্জনে লোকজন কেঁপে উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল এবং সঙ্গে সঙ্গে মারা গেল।
আমাদের শিক্ষা
মাদইয়ান জাতির ধ্বংসের এ ঘটনা আমাদের জন্য এক বড় শিক্ষা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে আমাদের দেশে ও বিদেশে বহু ব্যবসায়ী অবৈধ ও হারাম ব্যবসা করছেন। তাঁরা ওজনে কম দিচ্ছেন, সিন্ডিকেট করে ঠকাচ্ছেন এবং নকল পণ্য সরবরাহ করছেন। বাজারে মাছ ও গোশত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বহু দোকানদার মাপে কম দিচ্ছেন ও বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি করছেন।
এসব হারাম ব্যবসায়ীর জন্য আল্লাহর কঠোর হুঁশিয়ারি রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মন্দ পরিণাম তাদের জন্য, যারা মাপে কম দেয়, যারা লোকের নিকট হতে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে এবং যখন তাদের জন্য মেপে অথবা ওজন করে দেয়, তখন কম দেয়। তারা কি চিন্তা করে না যে তারা পুনরুত্থিত হবে সেই মহান দিনে, যেদিন দাঁড়াবে সমস্ত মানুষ জগৎসমূহের রবের সম্মুখে।’ (সুরা মুতাফ্ফিফিন: ১-৬)
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেযশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
১২ ঘণ্টা আগেঅগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
২১ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৬ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৮ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৬ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৮ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
পারস্যের অন্তর্গত মাদইয়ান শহরের অধিবাসীরা একসময় ছিল অত্যন্ত খারাপ ও অত্যাচারী। তাদের অসংখ্য অপরাধের মধ্যে প্রধান ছিল ওজনে কম দেওয়া। তারা জিনিসপত্রের পুরো মূল্য আদায় করত, কিন্তু পরিমাণে কম দিত। এ ছাড়া তারা জাল মুদ্রা তৈরি করে সমাজে সমস্যা সৃষ্টি করত, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট করত এবং দেব-দেবী...
২০ দিন আগেযশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
১২ ঘণ্টা আগেঅগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
২১ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেরায়হান আল ইমরান
যশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
আবু হানিফা (রহ.)-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
তাঁর পুরো নাম, নুমান বিন সাবেত বিন মারজুবান আল-কুফি। তবে ‘আবু হানিফা’ উপাধিতেই বেশি পরিচিত। বর্ণনা অনুযায়ী, তৎকালীন কুফায় ‘হানিফা’ শব্দটি দোয়াত বা কলমের কালি বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। যেহেতু তিনি অধিকাংশ সময় গবেষণা ও লেখালেখিতে ব্যস্ত থাকতেন, তাই তিনি ‘আবু হানিফা’ উপাধি লাভ করেন।
তিনি ৮০ হিজরি বর্তমান ইরাকের কুফায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি তীক্ষ্ণ মেধাবী ও অধ্যবসায়ী ছিলেন। মেধা ও সাধনার সমন্বয়েই একসময় তিনি নিজেকে সময়ের শ্রেষ্ঠ ফকিহ, মুহাদ্দিস ও মুফাসসির হিসেবে গড়ে তোলেন।
হানাফি মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা
তিনি ইসলামি ফিকহ তথা আইনশাস্ত্রের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। ফিকহ গবেষণায় তাঁর গভীর যুক্তি, তীক্ষ্ণ চিন্তাশক্তি ও উপলব্ধিই একদিন তাঁকে পরিণত করে হানাফি মাজহাবের স্থপতিতে, যা আজও বিশ্বের বহু দেশে অনুসৃত।
তিনি একজন তাবেয়ি
তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ি, যা তাঁর মর্যাদাকে ফুটিয়ে তোলে। তিনি কয়েকজন উল্লেখযোগ্য সাহাবির সাক্ষাৎ পেয়ে ধন্য হোন। যাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেন, তাঁরা হলেন হজরত আনাস বিন মালিক, আবদুল্লাহ বিন হারিস, আমর বিন হুরাইস, জাবির বিন আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ বিন আবি আওফা, সাহল বিন সাদ, আবু তোফাইল, ওয়াসেলা বিন আসকা, আবদুল্লাহ বিন উনাইস, মাকিল বিন ইয়াসার, আয়েশা বিনতে আজরাদ (রা.)।
বিচারপতি পদ গ্রহণে অস্বীকৃতি
তখন ক্ষমতার মসনদে ছিলেন উমাইয়া খলিফা ইয়াজিদ বিন হুবায়রা। তিনি একদিন সময়ের শ্রেষ্ঠ ফকিহ ইমাম আবু হানিফা (রা.)-কে ডেকে পাঠান রাজপ্রসাদে। সেখানে এলে তিনি তাঁকে কুফার বিচারপতি (কাজি) হওয়ার প্রস্তাব দেন।
এ প্রস্তাব বাহ্যিকভাবে যদিও সম্মানের; কিন্তু এর পেছনে ছিল খলিফার চতুর রাজনীতি। খলিফা মনে করতেন—তিনি বিচারপতি হলে খিলাফতের ভিত মজবুত হবে, খলিফার বৈধতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু এ দায়িত্ব যে এতটা মসৃণ নয়; তা আবু হানিফা (রহ.) আগে থেকেই বুঝতে সক্ষম হোন। তাই তিনি স্পষ্টভাবে অস্বীকৃতি জানান।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর এই স্পষ্ট অস্বীকৃতিতে থমকে যায় পুরো রাজদরবার। কিন্তু শাসকের ক্রোধ থামেনি। তিনি ইমামকে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেন।
শাসকের আদেশ লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। তাই শুরু হয় মর্মান্তিক শাস্তি। প্রতিদিন ১০টি করে মোট ১০০টি বেত্রাঘাত করা হয় তাঁকে। তবু তিনি ন্যায়ের পথ থেকে একচুলও নড়েননি।
আবারও প্রস্তাব, আবারও প্রত্যাখ্যান
সময় গড়ায়। ক্ষমতায় আসেন আব্বাসি খলিফা আবু জাফর আল-মানসুর। এবার তিনিও আবু হানিফা (রহ.)-কে একই পদের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু হানিফা (রহ.) আগের মতোই দৃঢ়ভাবে নাকচ করেন এবং খলিফার রোষানলে পড়েন। খলিফা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারের জীবদ্দশায় খলিফা একদিন আবু হানিফা (রহ.)-কে ডেকে নেন এবং জিজ্ঞেস করেন, এ দায়িত্ব গ্রহণে কেন আপনি অনিচ্ছুক? তিনি জবাব দেন—আমি নিজেকে এ দায়িত্বের যোগ্য মনে করি না। তাঁর এ কথায় খলিফা ক্ষুব্ধ হন। বললেন, তুমি মিথ্যা বলছ! আবু হানিফা (রহ.) দৃঢ়ভাবে জবাব দেন, যদি আমি সত্য বলি, তবে আমি অযোগ্য; আর যদি মিথ্যা বলি, তবে আপনি একজন মিথ্যাবাদীকে বিচারপতি বানাতে চাচ্ছেন। খলিফা তাঁর এমন যুক্তিসংগত কথায় খুব বেশি ক্ষিপ্ত হন এবং তাঁকে পুনরায় কারাগারে বন্দী ও বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন।
খলিফার কথামতো বেত্রাঘাতসহ নানা নিপীড়ন শুরু হয় তাঁর ওপর। ফলে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। অতঃপর ১৫০ হিজরিতে, বন্দিদশায়ই আপন প্রভুর সান্নিধ্যে গমন করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা
সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে, তবুও সত্য বলাই শ্রেয়। সম্মান বা পদ নয়, একজন মানুষের আসল পরিচয়—তার নীতি ও আদর্শ। ক্ষমতার মোহ সবাইকে পায় না; বরং কেউ হন ব্যতিক্রম, যিনি যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকেন।
তথ্যসূত্র: উকুদুল জুমান ফি মানাকিবিল ইমাম আজম আবি হানিফা আন নুমান ও আল-খাইরাতুল হিসান ফি মানাকিবিল ইমাম আজম আবি হানিফা আন নুমান।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
যশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
আবু হানিফা (রহ.)-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
তাঁর পুরো নাম, নুমান বিন সাবেত বিন মারজুবান আল-কুফি। তবে ‘আবু হানিফা’ উপাধিতেই বেশি পরিচিত। বর্ণনা অনুযায়ী, তৎকালীন কুফায় ‘হানিফা’ শব্দটি দোয়াত বা কলমের কালি বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। যেহেতু তিনি অধিকাংশ সময় গবেষণা ও লেখালেখিতে ব্যস্ত থাকতেন, তাই তিনি ‘আবু হানিফা’ উপাধি লাভ করেন।
তিনি ৮০ হিজরি বর্তমান ইরাকের কুফায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি তীক্ষ্ণ মেধাবী ও অধ্যবসায়ী ছিলেন। মেধা ও সাধনার সমন্বয়েই একসময় তিনি নিজেকে সময়ের শ্রেষ্ঠ ফকিহ, মুহাদ্দিস ও মুফাসসির হিসেবে গড়ে তোলেন।
হানাফি মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা
তিনি ইসলামি ফিকহ তথা আইনশাস্ত্রের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। ফিকহ গবেষণায় তাঁর গভীর যুক্তি, তীক্ষ্ণ চিন্তাশক্তি ও উপলব্ধিই একদিন তাঁকে পরিণত করে হানাফি মাজহাবের স্থপতিতে, যা আজও বিশ্বের বহু দেশে অনুসৃত।
তিনি একজন তাবেয়ি
তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ি, যা তাঁর মর্যাদাকে ফুটিয়ে তোলে। তিনি কয়েকজন উল্লেখযোগ্য সাহাবির সাক্ষাৎ পেয়ে ধন্য হোন। যাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেন, তাঁরা হলেন হজরত আনাস বিন মালিক, আবদুল্লাহ বিন হারিস, আমর বিন হুরাইস, জাবির বিন আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ বিন আবি আওফা, সাহল বিন সাদ, আবু তোফাইল, ওয়াসেলা বিন আসকা, আবদুল্লাহ বিন উনাইস, মাকিল বিন ইয়াসার, আয়েশা বিনতে আজরাদ (রা.)।
বিচারপতি পদ গ্রহণে অস্বীকৃতি
তখন ক্ষমতার মসনদে ছিলেন উমাইয়া খলিফা ইয়াজিদ বিন হুবায়রা। তিনি একদিন সময়ের শ্রেষ্ঠ ফকিহ ইমাম আবু হানিফা (রা.)-কে ডেকে পাঠান রাজপ্রসাদে। সেখানে এলে তিনি তাঁকে কুফার বিচারপতি (কাজি) হওয়ার প্রস্তাব দেন।
এ প্রস্তাব বাহ্যিকভাবে যদিও সম্মানের; কিন্তু এর পেছনে ছিল খলিফার চতুর রাজনীতি। খলিফা মনে করতেন—তিনি বিচারপতি হলে খিলাফতের ভিত মজবুত হবে, খলিফার বৈধতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু এ দায়িত্ব যে এতটা মসৃণ নয়; তা আবু হানিফা (রহ.) আগে থেকেই বুঝতে সক্ষম হোন। তাই তিনি স্পষ্টভাবে অস্বীকৃতি জানান।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর এই স্পষ্ট অস্বীকৃতিতে থমকে যায় পুরো রাজদরবার। কিন্তু শাসকের ক্রোধ থামেনি। তিনি ইমামকে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেন।
শাসকের আদেশ লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। তাই শুরু হয় মর্মান্তিক শাস্তি। প্রতিদিন ১০টি করে মোট ১০০টি বেত্রাঘাত করা হয় তাঁকে। তবু তিনি ন্যায়ের পথ থেকে একচুলও নড়েননি।
আবারও প্রস্তাব, আবারও প্রত্যাখ্যান
সময় গড়ায়। ক্ষমতায় আসেন আব্বাসি খলিফা আবু জাফর আল-মানসুর। এবার তিনিও আবু হানিফা (রহ.)-কে একই পদের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু হানিফা (রহ.) আগের মতোই দৃঢ়ভাবে নাকচ করেন এবং খলিফার রোষানলে পড়েন। খলিফা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারের জীবদ্দশায় খলিফা একদিন আবু হানিফা (রহ.)-কে ডেকে নেন এবং জিজ্ঞেস করেন, এ দায়িত্ব গ্রহণে কেন আপনি অনিচ্ছুক? তিনি জবাব দেন—আমি নিজেকে এ দায়িত্বের যোগ্য মনে করি না। তাঁর এ কথায় খলিফা ক্ষুব্ধ হন। বললেন, তুমি মিথ্যা বলছ! আবু হানিফা (রহ.) দৃঢ়ভাবে জবাব দেন, যদি আমি সত্য বলি, তবে আমি অযোগ্য; আর যদি মিথ্যা বলি, তবে আপনি একজন মিথ্যাবাদীকে বিচারপতি বানাতে চাচ্ছেন। খলিফা তাঁর এমন যুক্তিসংগত কথায় খুব বেশি ক্ষিপ্ত হন এবং তাঁকে পুনরায় কারাগারে বন্দী ও বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন।
খলিফার কথামতো বেত্রাঘাতসহ নানা নিপীড়ন শুরু হয় তাঁর ওপর। ফলে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। অতঃপর ১৫০ হিজরিতে, বন্দিদশায়ই আপন প্রভুর সান্নিধ্যে গমন করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা
সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে, তবুও সত্য বলাই শ্রেয়। সম্মান বা পদ নয়, একজন মানুষের আসল পরিচয়—তার নীতি ও আদর্শ। ক্ষমতার মোহ সবাইকে পায় না; বরং কেউ হন ব্যতিক্রম, যিনি যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকেন।
তথ্যসূত্র: উকুদুল জুমান ফি মানাকিবিল ইমাম আজম আবি হানিফা আন নুমান ও আল-খাইরাতুল হিসান ফি মানাকিবিল ইমাম আজম আবি হানিফা আন নুমান।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পারস্যের অন্তর্গত মাদইয়ান শহরের অধিবাসীরা একসময় ছিল অত্যন্ত খারাপ ও অত্যাচারী। তাদের অসংখ্য অপরাধের মধ্যে প্রধান ছিল ওজনে কম দেওয়া। তারা জিনিসপত্রের পুরো মূল্য আদায় করত, কিন্তু পরিমাণে কম দিত। এ ছাড়া তারা জাল মুদ্রা তৈরি করে সমাজে সমস্যা সৃষ্টি করত, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট করত এবং দেব-দেবী...
২০ দিন আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেঅগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
২১ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
অগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা। এই আমলগুলো কেবল মানসিক শক্তি জোগায় না, বরং আল্লাহর রহমতে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
১. উচ্চ স্বরে তাকবির দেওয়া: অগ্নিকাণ্ড দেখলে সর্বাগ্রে যে আমলটি রয়েছে, তা হলো তাকবির দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন (উচ্চ স্বরে) তাকবির দাও।’ (তাবরানি: ১ / ৩০৭)
২. কোরআনের আয়াত পাঠ: বিপদের সময় কোরআনের সাহায্য প্রার্থনা করা মুমিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। পবিত্র কোরআনে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যা আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.)-এর জন্য আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ করে দিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় এই আয়াতটি পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ: ‘ইয়া না-রু কু-নি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।’ অর্থ: ‘হে আগুন, তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)
৩. আল্লাহর কাছে সাহায্য ও আজান: তাকবির এবং আয়াত পাঠের পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নেভানোর নিয়তে উচ্চ স্বরে আজান দেওয়াও অনেক আলেম উত্তম বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ আজানের ধ্বনিও শয়তানকে বিতাড়িত করে। এ ছাড়া, সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) ও তওবা করা জরুরি।
আগুন মানুষকে মুহূর্তেই নিঃস্ব করে দিতে পারে, কিন্তু মুমিন কখনো নিরাশ হয় না। কারণ সে জানে, সব বিপদের নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতেই। অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়ংকর দুর্যোগেও একজন ইমানদার আল্লাহর স্মরণে আশ্রয় নেয়, তাকবির ও কোরআনের আয়াত পাঠে মন স্থির রাখে এবং দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য কামনা করে। পার্থিব চেষ্টা ও আধ্যাত্মিক আমলের এই সমন্বয়ই হলো প্রকৃত ইমানদারের পথ। কেননা, আগুন নেভানোর যন্ত্র যেমন বাহ্যিক আগুন নেভায়, তেমনি আল্লাহর স্মরণ অন্তরের ভয় ও অস্থিরতা নিভিয়ে দেয়।
অগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা। এই আমলগুলো কেবল মানসিক শক্তি জোগায় না, বরং আল্লাহর রহমতে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
১. উচ্চ স্বরে তাকবির দেওয়া: অগ্নিকাণ্ড দেখলে সর্বাগ্রে যে আমলটি রয়েছে, তা হলো তাকবির দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন (উচ্চ স্বরে) তাকবির দাও।’ (তাবরানি: ১ / ৩০৭)
২. কোরআনের আয়াত পাঠ: বিপদের সময় কোরআনের সাহায্য প্রার্থনা করা মুমিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। পবিত্র কোরআনে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যা আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.)-এর জন্য আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ করে দিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় এই আয়াতটি পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ: ‘ইয়া না-রু কু-নি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।’ অর্থ: ‘হে আগুন, তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)
৩. আল্লাহর কাছে সাহায্য ও আজান: তাকবির এবং আয়াত পাঠের পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নেভানোর নিয়তে উচ্চ স্বরে আজান দেওয়াও অনেক আলেম উত্তম বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ আজানের ধ্বনিও শয়তানকে বিতাড়িত করে। এ ছাড়া, সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) ও তওবা করা জরুরি।
আগুন মানুষকে মুহূর্তেই নিঃস্ব করে দিতে পারে, কিন্তু মুমিন কখনো নিরাশ হয় না। কারণ সে জানে, সব বিপদের নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতেই। অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়ংকর দুর্যোগেও একজন ইমানদার আল্লাহর স্মরণে আশ্রয় নেয়, তাকবির ও কোরআনের আয়াত পাঠে মন স্থির রাখে এবং দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য কামনা করে। পার্থিব চেষ্টা ও আধ্যাত্মিক আমলের এই সমন্বয়ই হলো প্রকৃত ইমানদারের পথ। কেননা, আগুন নেভানোর যন্ত্র যেমন বাহ্যিক আগুন নেভায়, তেমনি আল্লাহর স্মরণ অন্তরের ভয় ও অস্থিরতা নিভিয়ে দেয়।
পারস্যের অন্তর্গত মাদইয়ান শহরের অধিবাসীরা একসময় ছিল অত্যন্ত খারাপ ও অত্যাচারী। তাদের অসংখ্য অপরাধের মধ্যে প্রধান ছিল ওজনে কম দেওয়া। তারা জিনিসপত্রের পুরো মূল্য আদায় করত, কিন্তু পরিমাণে কম দিত। এ ছাড়া তারা জাল মুদ্রা তৈরি করে সমাজে সমস্যা সৃষ্টি করত, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট করত এবং দেব-দেবী...
২০ দিন আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেযশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
১২ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪১ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪২ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৫০ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫১ মিনিট | ০৫: ২৭ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৯ মিনিট | ০৬: ৪৩ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৪ মিনিট | ০৪: ৪১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪১ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪২ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৫০ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫১ মিনিট | ০৫: ২৭ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৯ মিনিট | ০৬: ৪৩ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৪ মিনিট | ০৪: ৪১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
পারস্যের অন্তর্গত মাদইয়ান শহরের অধিবাসীরা একসময় ছিল অত্যন্ত খারাপ ও অত্যাচারী। তাদের অসংখ্য অপরাধের মধ্যে প্রধান ছিল ওজনে কম দেওয়া। তারা জিনিসপত্রের পুরো মূল্য আদায় করত, কিন্তু পরিমাণে কম দিত। এ ছাড়া তারা জাল মুদ্রা তৈরি করে সমাজে সমস্যা সৃষ্টি করত, চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট করত এবং দেব-দেবী...
২০ দিন আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেযশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
১২ ঘণ্টা আগেঅগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
২১ ঘণ্টা আগে