আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
একজন ব্যক্তি হজ করার মতো সম্পদশালী, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে হজ পালন করতে মক্কায় যেতে পারছেন না। এই ব্যক্তির এখন করণীয় কী?
সজীব চৌধুরী, সিলেট
ইসলাম একটি সহজতর ও বাস্তবসম্মত জীবনব্যবস্থা। তাই কোনো ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারেন, তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
বদলি হজ হলো একজনের বদলে অন্যজন হজ করা; যেমন অসুস্থ ব্যক্তি নিজ খরচে অন্য কাউকে নিয়োগ করবেন, যিনি তাঁর পক্ষ থেকে হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। রাসুল (সা.)-এর কাছে এক নারী জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার পিতা বৃদ্ধ, তিনি বাহনে বসারও সক্ষমতা হারিয়েছেন। আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে হজ করতে পারি?’ রাসুল (সা.) জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, তুমি করতে পারো।’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ১৫১৩)
তবে যাঁকে পাঠানো হবে ইতিপূর্বে তাঁর নিজের ফরজ হজ আদায় করা আবশ্যক এবং যাঁর পক্ষ থেকে হজ পালন করা হচ্ছে, তাঁর দেশ থেকে তাঁকে হজের সফর শুরু করতে হবে।
বদলি হজের বিধান
একজন বিশ্বস্ত এবং ফরজ হজ আদায়কারী ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির সম্পদ থেকে এই হজের যাবতীয় খরচ প্রদান করতে হবে। প্রেরিত ব্যক্তি হজের ইহরাম বাঁধার সময় স্পষ্টভাবে নিয়ত করবেন—এটি অমুকের পক্ষ থেকে আদায় করছেন।
বদলি হজ করানোর পরে সেই অসুস্থ ব্যক্তি যদি সুস্থ হয়ে যান, সম্পদ থাকে এবং হজে যাওয়ার সক্ষমতা ফিরে পান, তবে তাঁর ওপর আবার নিজে সশরীরে হজ আদায় করা আবশ্যক হবে। কারণ, ফরজ হজ ব্যক্তি নিজে আদায় করাই মূল, আর বদলি হজ তখনই চূড়ান্ত হয়ে যায়, যখন অক্ষমতা চিরস্থায়ী হয়। সুস্থতা ফিরে এলে সেই দায়িত্ব নিজে পূর্ণ করতে হবে।
তাই বদলি হজের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে, যদি অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে বদলি হজ করানোর জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না, বরং সুস্থ হওয়ার অপেক্ষা করবেন। এরপর সুস্থ হলে নিজে সশরীরে গিয়ে হজ করে আসবেন। আর সুস্থ না হলে মৃত্যুর পূর্বে তাঁর সম্পদ থেকে বদলি হজ করানোর অসিয়ত করে যাবেন। এরপর ওয়ারিশগণ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি খরচ করে কোনো বিশ্বস্ত ব্যক্তির মাধ্যমে বদলি হজ করিয়ে নেবেন। এটা তাঁদের ওপর আবশ্যক। (বাদায়েয়ুস সানায়ে: ২/১২৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/ ২২৪)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
একজন ব্যক্তি হজ করার মতো সম্পদশালী, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে হজ পালন করতে মক্কায় যেতে পারছেন না। এই ব্যক্তির এখন করণীয় কী?
সজীব চৌধুরী, সিলেট
ইসলাম একটি সহজতর ও বাস্তবসম্মত জীবনব্যবস্থা। তাই কোনো ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারেন, তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
বদলি হজ হলো একজনের বদলে অন্যজন হজ করা; যেমন অসুস্থ ব্যক্তি নিজ খরচে অন্য কাউকে নিয়োগ করবেন, যিনি তাঁর পক্ষ থেকে হজের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। রাসুল (সা.)-এর কাছে এক নারী জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার পিতা বৃদ্ধ, তিনি বাহনে বসারও সক্ষমতা হারিয়েছেন। আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে হজ করতে পারি?’ রাসুল (সা.) জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, তুমি করতে পারো।’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ১৫১৩)
তবে যাঁকে পাঠানো হবে ইতিপূর্বে তাঁর নিজের ফরজ হজ আদায় করা আবশ্যক এবং যাঁর পক্ষ থেকে হজ পালন করা হচ্ছে, তাঁর দেশ থেকে তাঁকে হজের সফর শুরু করতে হবে।
বদলি হজের বিধান
একজন বিশ্বস্ত এবং ফরজ হজ আদায়কারী ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির সম্পদ থেকে এই হজের যাবতীয় খরচ প্রদান করতে হবে। প্রেরিত ব্যক্তি হজের ইহরাম বাঁধার সময় স্পষ্টভাবে নিয়ত করবেন—এটি অমুকের পক্ষ থেকে আদায় করছেন।
বদলি হজ করানোর পরে সেই অসুস্থ ব্যক্তি যদি সুস্থ হয়ে যান, সম্পদ থাকে এবং হজে যাওয়ার সক্ষমতা ফিরে পান, তবে তাঁর ওপর আবার নিজে সশরীরে হজ আদায় করা আবশ্যক হবে। কারণ, ফরজ হজ ব্যক্তি নিজে আদায় করাই মূল, আর বদলি হজ তখনই চূড়ান্ত হয়ে যায়, যখন অক্ষমতা চিরস্থায়ী হয়। সুস্থতা ফিরে এলে সেই দায়িত্ব নিজে পূর্ণ করতে হবে।
তাই বদলি হজের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা হচ্ছে, যদি অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে বদলি হজ করানোর জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না, বরং সুস্থ হওয়ার অপেক্ষা করবেন। এরপর সুস্থ হলে নিজে সশরীরে গিয়ে হজ করে আসবেন। আর সুস্থ না হলে মৃত্যুর পূর্বে তাঁর সম্পদ থেকে বদলি হজ করানোর অসিয়ত করে যাবেন। এরপর ওয়ারিশগণ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি খরচ করে কোনো বিশ্বস্ত ব্যক্তির মাধ্যমে বদলি হজ করিয়ে নেবেন। এটা তাঁদের ওপর আবশ্যক। (বাদায়েয়ুস সানায়ে: ২/১২৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/ ২২৪)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
গোটা পৃথিবীটাই এখন হাতের মুঠোয়। হজ ব্যবস্থাপনায়ও প্রযুক্তি আর উদ্ভাবনীর সন্নিবেশ ঘটেছে। হজের নিবন্ধন, তাঁবু বরাদ্দ, হোটেল ভাড়া ও অন্যান্য সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ প্রভৃতিই সম্পন্ন হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে।
১ ঘণ্টা আগেআজ থেকে এক যুগেরও আগে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে ‘হজ: জার্নি টু দ্য হার্ট অব ইসলাম’ নামে বিশ্বের প্রথম হজ-বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন হয়। প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগের হজযাত্রা, বরকতময় এ যাত্রার প্রস্তুতি, মক্কার প্রাণজুড়ানো প্রকৃতি, কাবার নয়নাভিরাম দৃশ্য, হৃদয় শীতল করা জমজম, হাজিদের স্মৃতিচারণাসহ নানা
৯ ঘণ্টা আগেবাদশাহ আওরঙ্গজেব আলমগীর ছিলেন উপমহাদেশের মোগল আমলের শ্রেষ্ঠতম সম্রাট। ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও শাসনদক্ষতার সমন্বয়ে তিনি অন্য মোগল সম্রাটদের ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। শিক্ষা-দীক্ষা, বিদ্যানুরাগ, বিচক্ষণতা, সাহসিকতা, সমরকুশলতা, উদারতা, দানশীলতা, দুনিয়াবিমুখতা, ইবাদত-বন্দেগি ও নিয়মানুবর্তিতার মতো বিরল সব গুণের
১০ ঘণ্টা আগেআরবি বর্ষপঞ্জির ১১তম মাস ‘জিলকদ।’ ইসলামের পূর্বে জাহিলিয়ার যুগে আরবের লোকজন এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ হারাম মনে করত। কেউ কাউকে হত্যা করত না, প্রতিশোধও নিত না। যেহেতু তারা এই মাসে হত্যা বা প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত ও বসে থাকত, তাই এ মাসের নাম দেওয়া হয় ‘জুলকদাহ’ বা জিলকদ, অর্থাৎ বসে থাকার মাস।
১০ ঘণ্টা আগে