ইসলাম ডেস্ক

প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা নিয়ে গঠিত আল-আহসা খেজুর মরূদ্যান। আরবের বিস্তীর্ণ মরুর বুকে এক সুবিশাল সবুজের সমারোহ। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান। প্রায় ৩০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে এখানে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আল-আহসার ইতিহাস
আরবি ‘আহসা’ শব্দটি মূলত ‘হাসা’ শব্দের বহুবচন। আরবিতে প্রবহমান ঝরনার কলকল শব্দকেই হাসা বলা হয়। এই অঞ্চলে পানির ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই জায়গাটির নাম আল-আহসা হয়েছে। মরুর বুকে স্বাদু পানির উপস্থিতির কারণে আল-আহসা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর। এ কারণে দেখা যায়, আল-আহসা মরূদ্যান আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে প্রাচীন জনবসতিগুলোর একটি। ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগেই এই অঞ্চলের সঙ্গে প্রাচীন লেভান্ত (সিরিয়া, ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, গ্রিস এবং লিবিয়ার কিছু অংশ), মিসরীয় এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতার যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মিষ্টি পানির প্রাচুর্যের কারণে আল-আহসার আশপাশে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষ খাল খনন এবং সেচের ব্যবস্থা করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল। পুরো আরব উপদ্বীপের মধ্যে আল-আহসাই একমাত্র স্থান, যেখানে চাল উৎপন্ন হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই বণিকেরা আল-আহসাকে যাত্রাপথের বিরতি হিসেবে ব্যবহার করত। মরিচ, ধূপসহ নানাবিধ পণ্যবাহী কাফেলাগুলোর নিয়মিত যাত্রাপথ ছিল এই স্থানটি। ফলে আল-আহসা নগরী ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে। এখানকার মানুষেরা কৃষিকাজ ছাড়াও কাপড় বোনা, সেলাইসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পে দক্ষ ছিল। ধারণা করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি আল-আহসার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর।
যা আছে আল-আহসায়
৩০ লাখ খেজুর গাছ ছাড়াও আল-আহসায় আছে নানা জাতের শস্য এবং ফলমূলের বৃক্ষ। খেজুর বাগান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫ টন খেজুর উৎপাদন করা হয়। খালাসা খেজুরসহ বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং বিখ্যাত জাতের কিছু খেজুরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আল-আহসা বিখ্যাত। কৃষিকাজের জন্য আল-আহসার জনগণ নির্ভর করে এর অনেকগুলো প্রাকৃতিক ঝরনার ওপর। আহসা মরূদ্যানে এ রকম ঝরনার সংখ্যা অন্তত ৬৫টি। এর মধ্যে শুধু স্বাদু পানির ঝরনাই না, আছে উষ্ণ পানির প্রস্রবণও, যেগুলোর কয়েকটির তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়।
আল-আহসার অধিকাংশ স্থানেই ভূ-গর্ভের ৫০০ থেকে ৬০০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু স্থানে ঝরনাগুলো ভূ-পৃষ্ঠের ৪০-৫০ ফুট গভীরতার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়, যেখান থেকে সহজেই যন্ত্রের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে ব্যবহার করা যায়। আহসার সর্ববৃহৎ ঝরনাগুলোতে গড়ে প্রতি মিনিটে ২০ হাজার গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়। সবগুলো ঝরনা দ্বারা একত্রে প্রতি মিনিটে প্রায় দেড় লাখ গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়।
বেশ কিছু স্থানে পানি ভূ-পৃষ্ঠে উঠে এসে ঝরনা এবং হ্রদের সৃষ্টি করে। এই হ্রদগুলো দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। মানুষ এখানে বনভোজন করার জন্য বা গোসল করার জন্য, কিংবা নিছক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্যও বেড়াতে আসে। এসব হ্রদের এবং ঝরনার পাশে বিভিন্ন স্থানে নারীদের জন্যও স্নানঘরের ব্যবস্থা রাখা আছে।
সৌদি আরবের অন্যতম বাণিজ্য নগরী
শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, আল-আহসা একই সঙ্গে সৌদি আরবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্য নগরী। ত্রিশের দশকে নিকটবর্তী দাম্মাম শহরে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই আহসা জেলাটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে শুরু করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আল-গাওয়ার অয়েল ফিল্ডের অবস্থান এই আহসা জেলাতেই। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পৌনে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।
পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় আল-আহসা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ‘আরবের প্রবেশপথ’ নামে পরিচিত ছিল। ইসলামের শুরুর দিকে আরবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত অঞ্চলগুলো থেকে আগত হজযাত্রীদের প্রতিটি কাফেলা আল-আহসার ওপর দিয়েই মক্কার দিকে অগ্রসর হতো। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এটি ছিল ইয়েমেন এবং ইরাকে যাতায়াতের মধ্যে প্রধান ট্রানজিট। এখনো পর্যন্ত এই এলাকাটি সৌদি আরব থেকে পার্শ্ববর্তী আরব আমিরাত, কাতার এবং ওমানে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম।

প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা নিয়ে গঠিত আল-আহসা খেজুর মরূদ্যান। আরবের বিস্তীর্ণ মরুর বুকে এক সুবিশাল সবুজের সমারোহ। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান। প্রায় ৩০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে এখানে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আল-আহসার ইতিহাস
আরবি ‘আহসা’ শব্দটি মূলত ‘হাসা’ শব্দের বহুবচন। আরবিতে প্রবহমান ঝরনার কলকল শব্দকেই হাসা বলা হয়। এই অঞ্চলে পানির ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই জায়গাটির নাম আল-আহসা হয়েছে। মরুর বুকে স্বাদু পানির উপস্থিতির কারণে আল-আহসা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর। এ কারণে দেখা যায়, আল-আহসা মরূদ্যান আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে প্রাচীন জনবসতিগুলোর একটি। ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগেই এই অঞ্চলের সঙ্গে প্রাচীন লেভান্ত (সিরিয়া, ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, গ্রিস এবং লিবিয়ার কিছু অংশ), মিসরীয় এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতার যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মিষ্টি পানির প্রাচুর্যের কারণে আল-আহসার আশপাশে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষ খাল খনন এবং সেচের ব্যবস্থা করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল। পুরো আরব উপদ্বীপের মধ্যে আল-আহসাই একমাত্র স্থান, যেখানে চাল উৎপন্ন হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই বণিকেরা আল-আহসাকে যাত্রাপথের বিরতি হিসেবে ব্যবহার করত। মরিচ, ধূপসহ নানাবিধ পণ্যবাহী কাফেলাগুলোর নিয়মিত যাত্রাপথ ছিল এই স্থানটি। ফলে আল-আহসা নগরী ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে। এখানকার মানুষেরা কৃষিকাজ ছাড়াও কাপড় বোনা, সেলাইসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পে দক্ষ ছিল। ধারণা করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি আল-আহসার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর।
যা আছে আল-আহসায়
৩০ লাখ খেজুর গাছ ছাড়াও আল-আহসায় আছে নানা জাতের শস্য এবং ফলমূলের বৃক্ষ। খেজুর বাগান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫ টন খেজুর উৎপাদন করা হয়। খালাসা খেজুরসহ বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং বিখ্যাত জাতের কিছু খেজুরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আল-আহসা বিখ্যাত। কৃষিকাজের জন্য আল-আহসার জনগণ নির্ভর করে এর অনেকগুলো প্রাকৃতিক ঝরনার ওপর। আহসা মরূদ্যানে এ রকম ঝরনার সংখ্যা অন্তত ৬৫টি। এর মধ্যে শুধু স্বাদু পানির ঝরনাই না, আছে উষ্ণ পানির প্রস্রবণও, যেগুলোর কয়েকটির তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়।
আল-আহসার অধিকাংশ স্থানেই ভূ-গর্ভের ৫০০ থেকে ৬০০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু স্থানে ঝরনাগুলো ভূ-পৃষ্ঠের ৪০-৫০ ফুট গভীরতার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়, যেখান থেকে সহজেই যন্ত্রের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে ব্যবহার করা যায়। আহসার সর্ববৃহৎ ঝরনাগুলোতে গড়ে প্রতি মিনিটে ২০ হাজার গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়। সবগুলো ঝরনা দ্বারা একত্রে প্রতি মিনিটে প্রায় দেড় লাখ গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়।
বেশ কিছু স্থানে পানি ভূ-পৃষ্ঠে উঠে এসে ঝরনা এবং হ্রদের সৃষ্টি করে। এই হ্রদগুলো দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। মানুষ এখানে বনভোজন করার জন্য বা গোসল করার জন্য, কিংবা নিছক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্যও বেড়াতে আসে। এসব হ্রদের এবং ঝরনার পাশে বিভিন্ন স্থানে নারীদের জন্যও স্নানঘরের ব্যবস্থা রাখা আছে।
সৌদি আরবের অন্যতম বাণিজ্য নগরী
শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, আল-আহসা একই সঙ্গে সৌদি আরবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্য নগরী। ত্রিশের দশকে নিকটবর্তী দাম্মাম শহরে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই আহসা জেলাটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে শুরু করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আল-গাওয়ার অয়েল ফিল্ডের অবস্থান এই আহসা জেলাতেই। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পৌনে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।
পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় আল-আহসা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ‘আরবের প্রবেশপথ’ নামে পরিচিত ছিল। ইসলামের শুরুর দিকে আরবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত অঞ্চলগুলো থেকে আগত হজযাত্রীদের প্রতিটি কাফেলা আল-আহসার ওপর দিয়েই মক্কার দিকে অগ্রসর হতো। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এটি ছিল ইয়েমেন এবং ইরাকে যাতায়াতের মধ্যে প্রধান ট্রানজিট। এখনো পর্যন্ত এই এলাকাটি সৌদি আরব থেকে পার্শ্ববর্তী আরব আমিরাত, কাতার এবং ওমানে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম।
ইসলাম ডেস্ক

প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা নিয়ে গঠিত আল-আহসা খেজুর মরূদ্যান। আরবের বিস্তীর্ণ মরুর বুকে এক সুবিশাল সবুজের সমারোহ। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান। প্রায় ৩০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে এখানে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আল-আহসার ইতিহাস
আরবি ‘আহসা’ শব্দটি মূলত ‘হাসা’ শব্দের বহুবচন। আরবিতে প্রবহমান ঝরনার কলকল শব্দকেই হাসা বলা হয়। এই অঞ্চলে পানির ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই জায়গাটির নাম আল-আহসা হয়েছে। মরুর বুকে স্বাদু পানির উপস্থিতির কারণে আল-আহসা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর। এ কারণে দেখা যায়, আল-আহসা মরূদ্যান আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে প্রাচীন জনবসতিগুলোর একটি। ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগেই এই অঞ্চলের সঙ্গে প্রাচীন লেভান্ত (সিরিয়া, ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, গ্রিস এবং লিবিয়ার কিছু অংশ), মিসরীয় এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতার যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মিষ্টি পানির প্রাচুর্যের কারণে আল-আহসার আশপাশে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষ খাল খনন এবং সেচের ব্যবস্থা করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল। পুরো আরব উপদ্বীপের মধ্যে আল-আহসাই একমাত্র স্থান, যেখানে চাল উৎপন্ন হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই বণিকেরা আল-আহসাকে যাত্রাপথের বিরতি হিসেবে ব্যবহার করত। মরিচ, ধূপসহ নানাবিধ পণ্যবাহী কাফেলাগুলোর নিয়মিত যাত্রাপথ ছিল এই স্থানটি। ফলে আল-আহসা নগরী ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে। এখানকার মানুষেরা কৃষিকাজ ছাড়াও কাপড় বোনা, সেলাইসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পে দক্ষ ছিল। ধারণা করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি আল-আহসার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর।
যা আছে আল-আহসায়
৩০ লাখ খেজুর গাছ ছাড়াও আল-আহসায় আছে নানা জাতের শস্য এবং ফলমূলের বৃক্ষ। খেজুর বাগান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫ টন খেজুর উৎপাদন করা হয়। খালাসা খেজুরসহ বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং বিখ্যাত জাতের কিছু খেজুরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আল-আহসা বিখ্যাত। কৃষিকাজের জন্য আল-আহসার জনগণ নির্ভর করে এর অনেকগুলো প্রাকৃতিক ঝরনার ওপর। আহসা মরূদ্যানে এ রকম ঝরনার সংখ্যা অন্তত ৬৫টি। এর মধ্যে শুধু স্বাদু পানির ঝরনাই না, আছে উষ্ণ পানির প্রস্রবণও, যেগুলোর কয়েকটির তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়।
আল-আহসার অধিকাংশ স্থানেই ভূ-গর্ভের ৫০০ থেকে ৬০০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু স্থানে ঝরনাগুলো ভূ-পৃষ্ঠের ৪০-৫০ ফুট গভীরতার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়, যেখান থেকে সহজেই যন্ত্রের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে ব্যবহার করা যায়। আহসার সর্ববৃহৎ ঝরনাগুলোতে গড়ে প্রতি মিনিটে ২০ হাজার গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়। সবগুলো ঝরনা দ্বারা একত্রে প্রতি মিনিটে প্রায় দেড় লাখ গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়।
বেশ কিছু স্থানে পানি ভূ-পৃষ্ঠে উঠে এসে ঝরনা এবং হ্রদের সৃষ্টি করে। এই হ্রদগুলো দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। মানুষ এখানে বনভোজন করার জন্য বা গোসল করার জন্য, কিংবা নিছক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্যও বেড়াতে আসে। এসব হ্রদের এবং ঝরনার পাশে বিভিন্ন স্থানে নারীদের জন্যও স্নানঘরের ব্যবস্থা রাখা আছে।
সৌদি আরবের অন্যতম বাণিজ্য নগরী
শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, আল-আহসা একই সঙ্গে সৌদি আরবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্য নগরী। ত্রিশের দশকে নিকটবর্তী দাম্মাম শহরে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই আহসা জেলাটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে শুরু করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আল-গাওয়ার অয়েল ফিল্ডের অবস্থান এই আহসা জেলাতেই। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পৌনে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।
পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় আল-আহসা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ‘আরবের প্রবেশপথ’ নামে পরিচিত ছিল। ইসলামের শুরুর দিকে আরবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত অঞ্চলগুলো থেকে আগত হজযাত্রীদের প্রতিটি কাফেলা আল-আহসার ওপর দিয়েই মক্কার দিকে অগ্রসর হতো। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এটি ছিল ইয়েমেন এবং ইরাকে যাতায়াতের মধ্যে প্রধান ট্রানজিট। এখনো পর্যন্ত এই এলাকাটি সৌদি আরব থেকে পার্শ্ববর্তী আরব আমিরাত, কাতার এবং ওমানে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম।

প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা নিয়ে গঠিত আল-আহসা খেজুর মরূদ্যান। আরবের বিস্তীর্ণ মরুর বুকে এক সুবিশাল সবুজের সমারোহ। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান। প্রায় ৩০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে এখানে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আল-আহসার ইতিহাস
আরবি ‘আহসা’ শব্দটি মূলত ‘হাসা’ শব্দের বহুবচন। আরবিতে প্রবহমান ঝরনার কলকল শব্দকেই হাসা বলা হয়। এই অঞ্চলে পানির ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই জায়গাটির নাম আল-আহসা হয়েছে। মরুর বুকে স্বাদু পানির উপস্থিতির কারণে আল-আহসা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর। এ কারণে দেখা যায়, আল-আহসা মরূদ্যান আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে প্রাচীন জনবসতিগুলোর একটি। ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগেই এই অঞ্চলের সঙ্গে প্রাচীন লেভান্ত (সিরিয়া, ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, গ্রিস এবং লিবিয়ার কিছু অংশ), মিসরীয় এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতার যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মিষ্টি পানির প্রাচুর্যের কারণে আল-আহসার আশপাশে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষ খাল খনন এবং সেচের ব্যবস্থা করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল। পুরো আরব উপদ্বীপের মধ্যে আল-আহসাই একমাত্র স্থান, যেখানে চাল উৎপন্ন হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই বণিকেরা আল-আহসাকে যাত্রাপথের বিরতি হিসেবে ব্যবহার করত। মরিচ, ধূপসহ নানাবিধ পণ্যবাহী কাফেলাগুলোর নিয়মিত যাত্রাপথ ছিল এই স্থানটি। ফলে আল-আহসা নগরী ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে। এখানকার মানুষেরা কৃষিকাজ ছাড়াও কাপড় বোনা, সেলাইসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পে দক্ষ ছিল। ধারণা করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি আল-আহসার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর।
যা আছে আল-আহসায়
৩০ লাখ খেজুর গাছ ছাড়াও আল-আহসায় আছে নানা জাতের শস্য এবং ফলমূলের বৃক্ষ। খেজুর বাগান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫ টন খেজুর উৎপাদন করা হয়। খালাসা খেজুরসহ বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং বিখ্যাত জাতের কিছু খেজুরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আল-আহসা বিখ্যাত। কৃষিকাজের জন্য আল-আহসার জনগণ নির্ভর করে এর অনেকগুলো প্রাকৃতিক ঝরনার ওপর। আহসা মরূদ্যানে এ রকম ঝরনার সংখ্যা অন্তত ৬৫টি। এর মধ্যে শুধু স্বাদু পানির ঝরনাই না, আছে উষ্ণ পানির প্রস্রবণও, যেগুলোর কয়েকটির তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়।
আল-আহসার অধিকাংশ স্থানেই ভূ-গর্ভের ৫০০ থেকে ৬০০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু স্থানে ঝরনাগুলো ভূ-পৃষ্ঠের ৪০-৫০ ফুট গভীরতার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়, যেখান থেকে সহজেই যন্ত্রের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে ব্যবহার করা যায়। আহসার সর্ববৃহৎ ঝরনাগুলোতে গড়ে প্রতি মিনিটে ২০ হাজার গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়। সবগুলো ঝরনা দ্বারা একত্রে প্রতি মিনিটে প্রায় দেড় লাখ গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়।
বেশ কিছু স্থানে পানি ভূ-পৃষ্ঠে উঠে এসে ঝরনা এবং হ্রদের সৃষ্টি করে। এই হ্রদগুলো দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। মানুষ এখানে বনভোজন করার জন্য বা গোসল করার জন্য, কিংবা নিছক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্যও বেড়াতে আসে। এসব হ্রদের এবং ঝরনার পাশে বিভিন্ন স্থানে নারীদের জন্যও স্নানঘরের ব্যবস্থা রাখা আছে।
সৌদি আরবের অন্যতম বাণিজ্য নগরী
শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, আল-আহসা একই সঙ্গে সৌদি আরবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্য নগরী। ত্রিশের দশকে নিকটবর্তী দাম্মাম শহরে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই আহসা জেলাটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে শুরু করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আল-গাওয়ার অয়েল ফিল্ডের অবস্থান এই আহসা জেলাতেই। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পৌনে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।
পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় আল-আহসা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ‘আরবের প্রবেশপথ’ নামে পরিচিত ছিল। ইসলামের শুরুর দিকে আরবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত অঞ্চলগুলো থেকে আগত হজযাত্রীদের প্রতিটি কাফেলা আল-আহসার ওপর দিয়েই মক্কার দিকে অগ্রসর হতো। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এটি ছিল ইয়েমেন এবং ইরাকে যাতায়াতের মধ্যে প্রধান ট্রানজিট। এখনো পর্যন্ত এই এলাকাটি সৌদি আরব থেকে পার্শ্ববর্তী আরব আমিরাত, কাতার এবং ওমানে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৯ ঘণ্টা আগে