ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
ইসলামে স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সব ধরনের যৌনাচার হারাম ও নিষেধ। যেমন বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার, সমকামিতা, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে বা পায়ুপথে যৌনাচার—সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। বিশেষ করে সমকামিতা বা পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানো স্বভাববিরোধী, হীন, জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজ।
ধ্বংসের কারণ সমকামিতা: সমকামিতার অপরাধে আল্লাহ তাআলা কওমে লুত তথা লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন। লুত (আ.) তাদের বারবার হালাল পন্থায় যৌন চাহিদা পূরণ করার অনুরোধ করলেও তারা তাঁর কথা শোনেনি। এসব দুশ্চরিত্র লোক চারটি জনপদে বাস করত। ফেরেশতাগণ সব জনপদকে একত্রে সমূলে উৎপাটিত করে শূন্যে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে উল্টিয়ে নিচে ছুড়ে মারেন। এভাবে সব বসতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। অনেকের মতে, এ জনপদগুলো উল্টে যাওয়ার ফলেই ডেড সি বা মৃত সাগর সৃষ্টি হয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে নিচু স্থান। পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এতটা নিচু নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন আমার আদেশ এসে পৌঁছাল, তখন আমি জনপদকে উল্টিয়ে দিলাম এবং তাদের ওপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম পাথর-কঙ্কর।’ (সুরা হুদ: ৮২)
বড় গুনাহের কাজ: সমকামিতা এক গর্হিত কুকর্ম এবং সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়ের এ ধরনের অশ্লীল কাজের সবিস্তার আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি লুতকে প্রেরণ করেছিলাম। সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল—তোমরা এমন কুকর্ম করছ, যা তোমাদের আগে বিশ্বে কেউ করেনি। তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারী ছেড়ে পুরুষের কাছে গমন করো, তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল—এদেরকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও; এরা এমন লোক, যারা পবিত্র থাকতে চায়। এরপর আমি তাকে এবং তার স্ত্রী ছাড়া পরিবার-পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম। তার স্ত্রী ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। আমি তাদের ওপর ভীষণভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। সুতরাং অপরাধীদের পরিণাম কী হয়েছিল তা লক্ষ করো।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮৪)
স্বভাববিরোধী অপরাধ: পৃথিবীর সব প্রাণীই কামোত্তেজনায় বিপরীত লিঙ্গের দ্বারস্থ হয়। এটাই স্বভাবসুলভ বিষয়। এ ক্ষেত্রে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ স্বভাববিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরআনে এ ব্যাপারে কঠোর ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘গোটা বিশ্বের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সঙ্গে কুকর্ম করো এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন করে থাকো? তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা শুআরা: ১৬৫-১৬৬)
সমকামিতার শাস্তি: ইসলামি আদালতে সমকামিতার অপরাধ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। কোরআনের অনেক সুরায় লুত (আ.)-এর জাতির এ ধরনের অপকর্ম বিষয়ে মানুষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তাদের করুণ পরিণতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা যাদের লুত (আ.)-এর জাতির মতো কাজে (সমকামিতায়) লিপ্ত দেখবে, তাদের উভয়কেই হত্যা করো।’ (আবু দাউদ: ৪৪৬২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এসব অপরাধের উৎস ও পরিবেশ সৃষ্টিকারী সবকিছু থেকে মুক্ত থেকে সমকামিতা ও বিকৃত যৌনাচার থেকে হেফাজত করুন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামে স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সব ধরনের যৌনাচার হারাম ও নিষেধ। যেমন বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার, সমকামিতা, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে বা পায়ুপথে যৌনাচার—সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। বিশেষ করে সমকামিতা বা পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানো স্বভাববিরোধী, হীন, জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজ।
ধ্বংসের কারণ সমকামিতা: সমকামিতার অপরাধে আল্লাহ তাআলা কওমে লুত তথা লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন। লুত (আ.) তাদের বারবার হালাল পন্থায় যৌন চাহিদা পূরণ করার অনুরোধ করলেও তারা তাঁর কথা শোনেনি। এসব দুশ্চরিত্র লোক চারটি জনপদে বাস করত। ফেরেশতাগণ সব জনপদকে একত্রে সমূলে উৎপাটিত করে শূন্যে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে উল্টিয়ে নিচে ছুড়ে মারেন। এভাবে সব বসতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। অনেকের মতে, এ জনপদগুলো উল্টে যাওয়ার ফলেই ডেড সি বা মৃত সাগর সৃষ্টি হয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে নিচু স্থান। পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এতটা নিচু নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন আমার আদেশ এসে পৌঁছাল, তখন আমি জনপদকে উল্টিয়ে দিলাম এবং তাদের ওপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম পাথর-কঙ্কর।’ (সুরা হুদ: ৮২)
বড় গুনাহের কাজ: সমকামিতা এক গর্হিত কুকর্ম এবং সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়ের এ ধরনের অশ্লীল কাজের সবিস্তার আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি লুতকে প্রেরণ করেছিলাম। সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল—তোমরা এমন কুকর্ম করছ, যা তোমাদের আগে বিশ্বে কেউ করেনি। তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারী ছেড়ে পুরুষের কাছে গমন করো, তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল—এদেরকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও; এরা এমন লোক, যারা পবিত্র থাকতে চায়। এরপর আমি তাকে এবং তার স্ত্রী ছাড়া পরিবার-পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম। তার স্ত্রী ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। আমি তাদের ওপর ভীষণভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। সুতরাং অপরাধীদের পরিণাম কী হয়েছিল তা লক্ষ করো।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮৪)
স্বভাববিরোধী অপরাধ: পৃথিবীর সব প্রাণীই কামোত্তেজনায় বিপরীত লিঙ্গের দ্বারস্থ হয়। এটাই স্বভাবসুলভ বিষয়। এ ক্ষেত্রে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ স্বভাববিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরআনে এ ব্যাপারে কঠোর ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘গোটা বিশ্বের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সঙ্গে কুকর্ম করো এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন করে থাকো? তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা শুআরা: ১৬৫-১৬৬)
সমকামিতার শাস্তি: ইসলামি আদালতে সমকামিতার অপরাধ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। কোরআনের অনেক সুরায় লুত (আ.)-এর জাতির এ ধরনের অপকর্ম বিষয়ে মানুষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তাদের করুণ পরিণতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা যাদের লুত (আ.)-এর জাতির মতো কাজে (সমকামিতায়) লিপ্ত দেখবে, তাদের উভয়কেই হত্যা করো।’ (আবু দাউদ: ৪৪৬২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এসব অপরাধের উৎস ও পরিবেশ সৃষ্টিকারী সবকিছু থেকে মুক্ত থেকে সমকামিতা ও বিকৃত যৌনাচার থেকে হেফাজত করুন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
ইসলামে স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সব ধরনের যৌনাচার হারাম ও নিষেধ। যেমন বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার, সমকামিতা, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে বা পায়ুপথে যৌনাচার—সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। বিশেষ করে সমকামিতা বা পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানো স্বভাববিরোধী, হীন, জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজ।
ধ্বংসের কারণ সমকামিতা: সমকামিতার অপরাধে আল্লাহ তাআলা কওমে লুত তথা লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন। লুত (আ.) তাদের বারবার হালাল পন্থায় যৌন চাহিদা পূরণ করার অনুরোধ করলেও তারা তাঁর কথা শোনেনি। এসব দুশ্চরিত্র লোক চারটি জনপদে বাস করত। ফেরেশতাগণ সব জনপদকে একত্রে সমূলে উৎপাটিত করে শূন্যে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে উল্টিয়ে নিচে ছুড়ে মারেন। এভাবে সব বসতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। অনেকের মতে, এ জনপদগুলো উল্টে যাওয়ার ফলেই ডেড সি বা মৃত সাগর সৃষ্টি হয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে নিচু স্থান। পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এতটা নিচু নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন আমার আদেশ এসে পৌঁছাল, তখন আমি জনপদকে উল্টিয়ে দিলাম এবং তাদের ওপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম পাথর-কঙ্কর।’ (সুরা হুদ: ৮২)
বড় গুনাহের কাজ: সমকামিতা এক গর্হিত কুকর্ম এবং সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়ের এ ধরনের অশ্লীল কাজের সবিস্তার আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি লুতকে প্রেরণ করেছিলাম। সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল—তোমরা এমন কুকর্ম করছ, যা তোমাদের আগে বিশ্বে কেউ করেনি। তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারী ছেড়ে পুরুষের কাছে গমন করো, তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল—এদেরকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও; এরা এমন লোক, যারা পবিত্র থাকতে চায়। এরপর আমি তাকে এবং তার স্ত্রী ছাড়া পরিবার-পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম। তার স্ত্রী ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। আমি তাদের ওপর ভীষণভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। সুতরাং অপরাধীদের পরিণাম কী হয়েছিল তা লক্ষ করো।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮৪)
স্বভাববিরোধী অপরাধ: পৃথিবীর সব প্রাণীই কামোত্তেজনায় বিপরীত লিঙ্গের দ্বারস্থ হয়। এটাই স্বভাবসুলভ বিষয়। এ ক্ষেত্রে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ স্বভাববিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরআনে এ ব্যাপারে কঠোর ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘গোটা বিশ্বের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সঙ্গে কুকর্ম করো এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন করে থাকো? তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা শুআরা: ১৬৫-১৬৬)
সমকামিতার শাস্তি: ইসলামি আদালতে সমকামিতার অপরাধ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। কোরআনের অনেক সুরায় লুত (আ.)-এর জাতির এ ধরনের অপকর্ম বিষয়ে মানুষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তাদের করুণ পরিণতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা যাদের লুত (আ.)-এর জাতির মতো কাজে (সমকামিতায়) লিপ্ত দেখবে, তাদের উভয়কেই হত্যা করো।’ (আবু দাউদ: ৪৪৬২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এসব অপরাধের উৎস ও পরিবেশ সৃষ্টিকারী সবকিছু থেকে মুক্ত থেকে সমকামিতা ও বিকৃত যৌনাচার থেকে হেফাজত করুন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামে স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সব ধরনের যৌনাচার হারাম ও নিষেধ। যেমন বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার, সমকামিতা, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে বা পায়ুপথে যৌনাচার—সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। বিশেষ করে সমকামিতা বা পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানো স্বভাববিরোধী, হীন, জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজ।
ধ্বংসের কারণ সমকামিতা: সমকামিতার অপরাধে আল্লাহ তাআলা কওমে লুত তথা লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন। লুত (আ.) তাদের বারবার হালাল পন্থায় যৌন চাহিদা পূরণ করার অনুরোধ করলেও তারা তাঁর কথা শোনেনি। এসব দুশ্চরিত্র লোক চারটি জনপদে বাস করত। ফেরেশতাগণ সব জনপদকে একত্রে সমূলে উৎপাটিত করে শূন্যে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে উল্টিয়ে নিচে ছুড়ে মারেন। এভাবে সব বসতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। অনেকের মতে, এ জনপদগুলো উল্টে যাওয়ার ফলেই ডেড সি বা মৃত সাগর সৃষ্টি হয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে নিচু স্থান। পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এতটা নিচু নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন আমার আদেশ এসে পৌঁছাল, তখন আমি জনপদকে উল্টিয়ে দিলাম এবং তাদের ওপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম পাথর-কঙ্কর।’ (সুরা হুদ: ৮২)
বড় গুনাহের কাজ: সমকামিতা এক গর্হিত কুকর্ম এবং সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়ের এ ধরনের অশ্লীল কাজের সবিস্তার আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি লুতকে প্রেরণ করেছিলাম। সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল—তোমরা এমন কুকর্ম করছ, যা তোমাদের আগে বিশ্বে কেউ করেনি। তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারী ছেড়ে পুরুষের কাছে গমন করো, তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল—এদেরকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও; এরা এমন লোক, যারা পবিত্র থাকতে চায়। এরপর আমি তাকে এবং তার স্ত্রী ছাড়া পরিবার-পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম। তার স্ত্রী ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। আমি তাদের ওপর ভীষণভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। সুতরাং অপরাধীদের পরিণাম কী হয়েছিল তা লক্ষ করো।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮৪)
স্বভাববিরোধী অপরাধ: পৃথিবীর সব প্রাণীই কামোত্তেজনায় বিপরীত লিঙ্গের দ্বারস্থ হয়। এটাই স্বভাবসুলভ বিষয়। এ ক্ষেত্রে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ স্বভাববিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরআনে এ ব্যাপারে কঠোর ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘গোটা বিশ্বের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সঙ্গে কুকর্ম করো এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন করে থাকো? তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা শুআরা: ১৬৫-১৬৬)
সমকামিতার শাস্তি: ইসলামি আদালতে সমকামিতার অপরাধ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। কোরআনের অনেক সুরায় লুত (আ.)-এর জাতির এ ধরনের অপকর্ম বিষয়ে মানুষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তাদের করুণ পরিণতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা যাদের লুত (আ.)-এর জাতির মতো কাজে (সমকামিতায়) লিপ্ত দেখবে, তাদের উভয়কেই হত্যা করো।’ (আবু দাউদ: ৪৪৬২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এসব অপরাধের উৎস ও পরিবেশ সৃষ্টিকারী সবকিছু থেকে মুক্ত থেকে সমকামিতা ও বিকৃত যৌনাচার থেকে হেফাজত করুন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
২০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
ইসলামে স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সব ধরনের যৌনাচার হারাম ও নিষেধ। যেমন বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার, সমকামিতা, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে বা পায়ুপথে যৌনাচার—সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। বিশেষ করে সমকামিতা বা পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানো স্বভাববিরোধী, হীন, জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজ।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
২০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
ইসলামে স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সব ধরনের যৌনাচার হারাম ও নিষেধ। যেমন বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার, সমকামিতা, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে বা পায়ুপথে যৌনাচার—সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। বিশেষ করে সমকামিতা বা পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানো স্বভাববিরোধী, হীন, জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজ।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
ইসলামে স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সব ধরনের যৌনাচার হারাম ও নিষেধ। যেমন বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার, সমকামিতা, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে বা পায়ুপথে যৌনাচার—সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। বিশেষ করে সমকামিতা বা পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানো স্বভাববিরোধী, হীন, জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজ।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
২০ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
ইসলামে স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সব ধরনের যৌনাচার হারাম ও নিষেধ। যেমন বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার, সমকামিতা, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে বা পায়ুপথে যৌনাচার—সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। বিশেষ করে সমকামিতা বা পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানো স্বভাববিরোধী, হীন, জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজ।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
২০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে