মাওলানা আজিজুল হক

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত প্রাচীন জেলা বগুড়া এক সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক। এর কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত প্রাচীন রাজধানী মহাস্থানগড় (পূর্বের পুণ্ড্রনগর)। বগুড়া শুধু তার দই, লাল মরিচ ও শিল্প-বাণিজ্যের জন্যই পরিচিত নয়, এটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান শিক্ষানগরী হিসেবেও বিশেষভাবে সমাদৃত। এই শিক্ষা ও সংস্কৃতির ভূমিতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক এবং বৃহৎ কওমি বিদ্যাপীঠ হলো আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম (জামিল মাদ্রাসা)।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা ও বিস্তার
বগুড়া শহরের চক ফরিদ কলোনি এলাকায় পুলিশ লাইনসসংলগ্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উত্তর-পশ্চিম পাশে প্রায় ৪০ বিঘা জমির ওপর বৃহৎ এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত। জামিল মাদ্রাসা নামে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠান মূলত জামিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুফতি সুহাইল উদ্দিনের উদ্যোগে গড়ে ওঠে। দারুল উলুম দেওবন্দের ছাত্র মুফতি সুহাইল উদ্দিনের আগ্রহে ১৯৬০ সালের ৪ জানুয়ারি আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আজিজুল হক (রহ.) এবং হাজি ইউনুস সাহেবসহ (রহ.) কয়েক বুজুর্গ এর ভিত্তি স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষা কার্যক্রমের দেখভালের জন্য ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমানকে (রহ.) দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠার মাত্র ছয় বছর পর, ১৯৬৭ সালে এখানে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) চালু হয়। বর্তমানে এখানে তাফসির, আরবি সাহিত্য, তাজবিদ ও ইফতা (ইসলামি আইন গবেষণা) বিভাগ চালু রয়েছে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে জামিল গ্রুপের মালিকপক্ষ করাচি চলে গেলে মাদ্রাসা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তৎকালীন বগুড়া জেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুমের তৎপরতায় মাদ্রাসাটি পুনরায় চালু হয়। একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো, দুর্ভিক্ষের কঠিন সময়েও শিক্ষকেরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রেখেছিলেন; যা শিক্ষকদের চরম আত্মত্যাগ ও ইমানি দৃঢ়তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
পরবর্তীকালে, ১৯৭৭ সালে পটিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাজি ইউনুসের (রহ.) পরামর্শক্রমে মাদ্রাসার পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন মাওলানা ইউছুফ নিজামি (রহ.)। সর্বজনস্বীকৃত এই বুজুর্গ তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত ৩৩ বছর অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। আল্লামা ইউছুফ নিজামির মৃত্যুর পর ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান (রহ.) পুনরায় দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ২০১৫ সাল থেকে মাদ্রাসার বর্তমান মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁর সুযোগ্য সন্তান মুফতি আরশাদ রহমানি।
বর্তমান অবস্থা ও প্রভাব
উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ এই জামিল মাদ্রাসায় বর্তমানে ৩ হাজারের বেশি আবাসিক ছাত্র অধ্যয়ন করছে এবং শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন। মাদ্রাসাটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশের অধীনে পরিচালিত হয় এবং এই বোর্ডের প্রধান কার্যালয় এখানেই অবস্থিত। দেশ-দেশান্তরে এর ব্যাপক সুনাম রয়েছে এবং এখান থেকে শিক্ষা লাভ করে শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পেশায় নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বগুড়ার এই প্রাচীন শিক্ষানগরীতে আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম যুগ যুগ ধরে দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
লেখক: কলামিস্ট ও আলেম।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত প্রাচীন জেলা বগুড়া এক সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক। এর কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত প্রাচীন রাজধানী মহাস্থানগড় (পূর্বের পুণ্ড্রনগর)। বগুড়া শুধু তার দই, লাল মরিচ ও শিল্প-বাণিজ্যের জন্যই পরিচিত নয়, এটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান শিক্ষানগরী হিসেবেও বিশেষভাবে সমাদৃত। এই শিক্ষা ও সংস্কৃতির ভূমিতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক এবং বৃহৎ কওমি বিদ্যাপীঠ হলো আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম (জামিল মাদ্রাসা)।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা ও বিস্তার
বগুড়া শহরের চক ফরিদ কলোনি এলাকায় পুলিশ লাইনসসংলগ্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উত্তর-পশ্চিম পাশে প্রায় ৪০ বিঘা জমির ওপর বৃহৎ এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত। জামিল মাদ্রাসা নামে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠান মূলত জামিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুফতি সুহাইল উদ্দিনের উদ্যোগে গড়ে ওঠে। দারুল উলুম দেওবন্দের ছাত্র মুফতি সুহাইল উদ্দিনের আগ্রহে ১৯৬০ সালের ৪ জানুয়ারি আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আজিজুল হক (রহ.) এবং হাজি ইউনুস সাহেবসহ (রহ.) কয়েক বুজুর্গ এর ভিত্তি স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষা কার্যক্রমের দেখভালের জন্য ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমানকে (রহ.) দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠার মাত্র ছয় বছর পর, ১৯৬৭ সালে এখানে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) চালু হয়। বর্তমানে এখানে তাফসির, আরবি সাহিত্য, তাজবিদ ও ইফতা (ইসলামি আইন গবেষণা) বিভাগ চালু রয়েছে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে জামিল গ্রুপের মালিকপক্ষ করাচি চলে গেলে মাদ্রাসা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তৎকালীন বগুড়া জেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুমের তৎপরতায় মাদ্রাসাটি পুনরায় চালু হয়। একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো, দুর্ভিক্ষের কঠিন সময়েও শিক্ষকেরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রেখেছিলেন; যা শিক্ষকদের চরম আত্মত্যাগ ও ইমানি দৃঢ়তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
পরবর্তীকালে, ১৯৭৭ সালে পটিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাজি ইউনুসের (রহ.) পরামর্শক্রমে মাদ্রাসার পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন মাওলানা ইউছুফ নিজামি (রহ.)। সর্বজনস্বীকৃত এই বুজুর্গ তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত ৩৩ বছর অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। আল্লামা ইউছুফ নিজামির মৃত্যুর পর ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান (রহ.) পুনরায় দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ২০১৫ সাল থেকে মাদ্রাসার বর্তমান মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাঁর সুযোগ্য সন্তান মুফতি আরশাদ রহমানি।
বর্তমান অবস্থা ও প্রভাব
উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ এই জামিল মাদ্রাসায় বর্তমানে ৩ হাজারের বেশি আবাসিক ছাত্র অধ্যয়ন করছে এবং শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন। মাদ্রাসাটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশের অধীনে পরিচালিত হয় এবং এই বোর্ডের প্রধান কার্যালয় এখানেই অবস্থিত। দেশ-দেশান্তরে এর ব্যাপক সুনাম রয়েছে এবং এখান থেকে শিক্ষা লাভ করে শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পেশায় নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বগুড়ার এই প্রাচীন শিক্ষানগরীতে আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম যুগ যুগ ধরে দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
লেখক: কলামিস্ট ও আলেম।

নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
৫ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
৭ ঘণ্টা আগে
শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের সাভারদিয়া ঈদগাহ মাঠে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মনোহরদী উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সজিব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ শিশু-কিশোরদের মধ্যে নামাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার কারণে এটি এলাকায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধেও অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোররা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানায়, এমন আয়োজন তাদের নিয়মিতভাবে জামাতে নামাজ আদায়ে আরও বেশি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের সাভারদিয়া ঈদগাহ মাঠে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মনোহরদী উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সজিব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ শিশু-কিশোরদের মধ্যে নামাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার কারণে এটি এলাকায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধেও অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোররা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানায়, এমন আয়োজন তাদের নিয়মিতভাবে জামাতে নামাজ আদায়ে আরও বেশি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত প্রাচীন জেলা বগুড়া এক সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক। এর কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত প্রাচীন রাজধানী মহাস্থানগড় (পূর্বের পুণ্ড্রনগর)। বগুড়া শুধু তার দই, লাল মরিচ ও শিল্প-বাণিজ্যের জন্যই পরিচিত নয়, এটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান শিক্ষানগরী হিসেবেও বিশেষভাবে সমাদৃত।
১০ দিন আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
৫ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
৭ ঘণ্টা আগে
শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

দোয়া ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। মুমিনের জীবনে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মুমিন তার সকল চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই হাত তোলেন।
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ওহি মুখস্থ করতেন, অনেক ক্ষেত্রে তাঁর কষ্ট হতো। সেই সময় আল্লাহ তাআলা এই দোয়াটি নাজিল করেন—‘রাব্বি জিদনি ইলমা।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।’ (সুরা তোহা: ১১৪)
এই দোয়াটি নাজিল হওয়ার পর রাসুল (সা.) এটি বেশি বেশি পাঠ করা শুরু করেন। এর ফলে তিনি ওহি আয়ত্ত করে প্রশান্তি লাভ করেন। এই ছোট্ট দোয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়মিত পাঠ করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়া আল্লাহর কাছে নিয়মিত দোয়া, গুনাহ বর্জন, জিকির এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

দোয়া ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। মুমিনের জীবনে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মুমিন তার সকল চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই হাত তোলেন।
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ওহি মুখস্থ করতেন, অনেক ক্ষেত্রে তাঁর কষ্ট হতো। সেই সময় আল্লাহ তাআলা এই দোয়াটি নাজিল করেন—‘রাব্বি জিদনি ইলমা।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।’ (সুরা তোহা: ১১৪)
এই দোয়াটি নাজিল হওয়ার পর রাসুল (সা.) এটি বেশি বেশি পাঠ করা শুরু করেন। এর ফলে তিনি ওহি আয়ত্ত করে প্রশান্তি লাভ করেন। এই ছোট্ট দোয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়মিত পাঠ করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়া আল্লাহর কাছে নিয়মিত দোয়া, গুনাহ বর্জন, জিকির এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত প্রাচীন জেলা বগুড়া এক সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক। এর কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত প্রাচীন রাজধানী মহাস্থানগড় (পূর্বের পুণ্ড্রনগর)। বগুড়া শুধু তার দই, লাল মরিচ ও শিল্প-বাণিজ্যের জন্যই পরিচিত নয়, এটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান শিক্ষানগরী হিসেবেও বিশেষভাবে সমাদৃত।
১০ দিন আগে
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
৭ ঘণ্টা আগে
শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে।
১২ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের ইতিহাসে তওবার রাজনীতির প্রবর্তক, প্রখ্যাত আলেম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের যে ভূমিকা, হাফেজ্জী হুজুর ছিলেন তার অগ্রদূত। একসময় আলেম-ওলামারা শুধু দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলেম সমাজকে যুক্ত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাফেজ্জী হুজুর দেশের সব আলেম-ওলামার কাছেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তাঁর অবদান স্মরণ করেই সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আজমপুর থেকে কলোনি পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণমুখী প্রধান সড়কটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের নামে নামকরণ করা হবে।’
এ সময় হাফেজ্জী হুজুরের নাতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে তওবার রাজনীতির প্রবর্তক, প্রখ্যাত আলেম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের যে ভূমিকা, হাফেজ্জী হুজুর ছিলেন তার অগ্রদূত। একসময় আলেম-ওলামারা শুধু দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলেম সমাজকে যুক্ত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাফেজ্জী হুজুর দেশের সব আলেম-ওলামার কাছেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তাঁর অবদান স্মরণ করেই সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আজমপুর থেকে কলোনি পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণমুখী প্রধান সড়কটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের নামে নামকরণ করা হবে।’
এ সময় হাফেজ্জী হুজুরের নাতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত প্রাচীন জেলা বগুড়া এক সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক। এর কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত প্রাচীন রাজধানী মহাস্থানগড় (পূর্বের পুণ্ড্রনগর)। বগুড়া শুধু তার দই, লাল মরিচ ও শিল্প-বাণিজ্যের জন্যই পরিচিত নয়, এটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান শিক্ষানগরী হিসেবেও বিশেষভাবে সমাদৃত।
১০ দিন আগে
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
৫ ঘণ্টা আগে
শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে।
১২ ঘণ্টা আগেকাউসার লাবীব

শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে। শিক্ষা মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে এবং সুন্দরভাবে জীবন গড়ার পথ দেখায়। শিক্ষা আলোকিত ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। তাই শিক্ষাকে ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামের প্রথম ওহি ছিল—ইকরা। অর্থাৎ পড়ো।
মানবজাতির প্রথম শিক্ষক আল্লাহ তাআলা নিজেই। আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টির পর তিনি তাঁকে বিভিন্ন কিছু শিখিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে সেই বর্ণনা এসেছে এভাবে, ‘আর তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৩১)। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা জ্ঞানকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান? বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা জুমার: ৯)
আমাদের নবী (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁকেও আল্লাহ তাআলা শুদ্ধ জ্ঞান বিস্তারের জন্য পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪৪)।
তবে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করা মানুষকে ইসলাম শিক্ষিত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ইসলাম বলে, যে ব্যক্তি শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করে, শিক্ষানুযায়ী নিজের জীবন সাজায়, সে প্রকৃত শিক্ষিত। যে শিক্ষা অপরাধ থেকে বিরত রাখে না, জীবনে উপকার বয়ে আনে না, সেই শিক্ষা থেকে নবী (সা.) আশ্রয় চেয়েছেন। তিনি দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, আমি সেই জ্ঞান থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই, যা কোনো উপকারে আসে না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৫০)। তিনি আরও দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, তুমি যে জ্ঞান আমাকে শিখিয়েছ, তার দ্বারা আমাকে উপকৃত করো। আমাকে এমন জ্ঞান দান করো, যা আমার উপকারে আসে। আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দাও। সব সময় সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৫১)

শিক্ষা আলো। শিক্ষা মানবজীবনের ভিত্তি। মানুষ অজ্ঞতা থেকে জ্ঞানের আলোয় পৌঁছায় শিক্ষার মাধ্যমে। নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় শিক্ষা। একজন শিক্ষিত মানুষ কেবল নিজের উন্নতি নয়, সমাজ ও দেশের কল্যাণেও অবদান রাখে। শিক্ষা মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে এবং সুন্দরভাবে জীবন গড়ার পথ দেখায়। শিক্ষা আলোকিত ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। তাই শিক্ষাকে ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামের প্রথম ওহি ছিল—ইকরা। অর্থাৎ পড়ো।
মানবজাতির প্রথম শিক্ষক আল্লাহ তাআলা নিজেই। আদি পিতা হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টির পর তিনি তাঁকে বিভিন্ন কিছু শিখিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে সেই বর্ণনা এসেছে এভাবে, ‘আর তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৩১)। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা জ্ঞানকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান? বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা জুমার: ৯)
আমাদের নবী (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল। তাঁকেও আল্লাহ তাআলা শুদ্ধ জ্ঞান বিস্তারের জন্য পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪৪)।
তবে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করা মানুষকে ইসলাম শিক্ষিত হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ইসলাম বলে, যে ব্যক্তি শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করে, শিক্ষানুযায়ী নিজের জীবন সাজায়, সে প্রকৃত শিক্ষিত। যে শিক্ষা অপরাধ থেকে বিরত রাখে না, জীবনে উপকার বয়ে আনে না, সেই শিক্ষা থেকে নবী (সা.) আশ্রয় চেয়েছেন। তিনি দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, আমি সেই জ্ঞান থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই, যা কোনো উপকারে আসে না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৫০)। তিনি আরও দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, তুমি যে জ্ঞান আমাকে শিখিয়েছ, তার দ্বারা আমাকে উপকৃত করো। আমাকে এমন জ্ঞান দান করো, যা আমার উপকারে আসে। আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দাও। সব সময় সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৫১)

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত প্রাচীন জেলা বগুড়া এক সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক। এর কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত প্রাচীন রাজধানী মহাস্থানগড় (পূর্বের পুণ্ড্রনগর)। বগুড়া শুধু তার দই, লাল মরিচ ও শিল্প-বাণিজ্যের জন্যই পরিচিত নয়, এটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান শিক্ষানগরী হিসেবেও বিশেষভাবে সমাদৃত।
১০ দিন আগে
নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।
৫ ঘণ্টা আগে
‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
৭ ঘণ্টা আগে