Ajker Patrika

ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে হাটের হাসিল কে দেবে

তানবিরুল হক আবিদ
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৫, ২০: ২৪
কোরবানির পশুর হাট। ছবি: সংগৃহীত
কোরবানির পশুর হাট। ছবি: সংগৃহীত

কোরবানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ঈদের বেশ কিছু দিন আগেই দেশের বিভিন্ন স্থানে জমে পশুর হাট। হাট যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁরা হাটের ভাড়া হিসেবে বিক্রীত পশুপ্রতি কিছু অর্থ নির্ধারণ করেন, যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘হাসিল’ বলা হয়।

ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে প্রচলিত এই হাসিলের বিধান কী? কোরবানির পশু বেচা-বিক্রির সময় হাটের হাসিল কে আদায় করবেন—ক্রেতা নাকি বিক্রেতা? ইসলাম এ বিষয়ে কী বলে? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে।

ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মতে, পশুর হাট বসানোর পর জমির ভাড়া হিসেবে ক্রেতা বা বিক্রেতা থেকে হাসিলের নামে যে টাকা উশুল করা হয়, তাতে শরয়ি দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বাধা নেই। এটি নেওয়া যাবে।

হাটের এই হাসিল কে আদায় করবে—তা নির্ধারণ হবে দেশীয় আইন ও প্রচলিত নিয়মনীতির ওপর নির্ভর করে। কোথাও বিক্রেতার হাসিল দেওয়ার প্রচলন থাকলে বিক্রেতা দেবেন, অথবা ক্রেতার দেওয়ার প্রচলন থাকলে ক্রেতা হাসিল পরিশোধ করবেন।

আরেকটি বিষয় হলো, কোনো কোনো হাটে দেখা যায়—হাটের ইজারাদারেরা হাসিলের নামে এত বেশি টাকা নেন, যা হাসিল প্রদানকারীর ওপর জুলুমের পর্যায়ে পড়ে। এমনটি কোনোভাবেই করা যাবে না।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু ক্রয় ও বিক্রয়ে সরকার নির্ধারিত হাসিলের বাইরে টাকা নিয়ে অযথা কাউকে হয়রানি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তথ্যসূত্র: ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৪/৪২৬, কিফায়াতুল মুফতি: ৭/৩৩১, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১১/৩১৮

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত