Ajker Patrika

দেশে দেশে শবে কদর পালনের রীতি

দেশে দেশে শবে কদর পালনের রীতি

শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। পবিত্র কোরআনে একে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর ভাষ্য অনুসারে, পবিত্র রমজানের শেষ দশকের যেকোনো একটি বিজোড় রাত শবে কদর হয়। তবে অনেক সাহাবি ও আলিম ২৭তম রাতকে শবে কদর হিসেবে চিহ্নিত করার কারণে সারা বিশ্বে এই রাতই শবে কদর হিসেবে পালিত হয়। দেশে দেশে কীভাবে এই রাত পালিত হয়, তা তুলে ধরেছেন মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মিসর
শবে কদরকে স্বাগত জানাতে রমজানের শেষ দশকে মসজিদে মসজিদে আলোকসজ্জা করা হয়। ২৭তম রাতে মসজিদগুলো মুসল্লিতে ভরপুর হয়ে যায়। ফজর পর্যন্ত নামাজ, জিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদি ইবাদতে মুখরিত থাকে প্রতিটি মসজিদ। মিসরে এই রাতে একটি আন্তর্জাতিক কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিজয়ীদের পাশাপাশি দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট আলেমকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই রাতের তাৎপর্য ও শিক্ষা সম্পর্কে দেশের রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এই রাতে মিসর থেকে অনেক মানুষ সপরিবারে ওমরাহ পালনের জন্য মক্কায় চলে যায়। 

মরক্কো
এ দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে শবে কদর পালিত হয়। ঘরে ও মসজিদে জ্বালানো হয় উচ্চমূল্যের ধূপকাঠি। লোকজন দল বেঁধে প্রয়াত আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করতে যায়। মা-বাবারা শিশুদের এই রাতে জীবনের প্রথম রোজা রাখতে উৎসাহিত করেন এবং এই রাতে পরিধান করার জন্য শিশুদের মরক্কোর ঐতিহ্যবাহী পোশাক কিনে দেন। মেয়েরা হাতে-পায়ে মেহেদি দেয়। ফটোগ্রাফার ডেকে পরিবারের সব সদস্যের সম্মিলিত ছবি তোলা হয়। ধনীরা মসজিদে মসজিদে গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। 

লিবিয়া
শবে কদরে লিবিয়ার ঘরে-ঘরে ঐতিহ্যবাহী লিবিয়ান খাবার বাজিন, কুসকুস ইত্যাদি তৈরি করা হয় এবং মসজিদসমূহে বিতরণ করা হয়। এসব খাবার নারীরা রমজান মাসজুড়ে তৈরি করে। 

সুদান
শবে কদরে সুদানের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ঢল নামে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশুর উপস্থিতিও লক্ষ করা যায়। রাতভর মসজিদে ইবাদত ও ধর্মীয় আলোচনা চলে। কেউ কেউ দাওয়াতের উদ্দেশ্যে ইসলামি বই-পুস্তক বিতরণ করে। 

তুরস্ক 
শবে কদরে তুরস্কের জনগণ পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মসজিদে ইবাদতকারীদের ঢল নামে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম তুরস্কের আদ্রিনেহ রাজ্যের ঐতিহাসিক সুলেমানিয়ে মসজিদে হাজার হাজার মুসলিম শবে কদর পালনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়। এটি বিখ্যাত অটোমান স্থপতি সিনান পাশার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ। এশার নামাজের পর অনেক মসজিদে কোরআন তিলাওয়াত ও আধ্যাত্মিক সংগীতের আসর বসে। 

মৌরিতানিয়া
শবে কদরে মৌরিতানিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বিপদ-আপদ ও দুষ্ট আত্মা তাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট ধরনের ধূপ জ্বালায়। শিশুদের শয়তান থেকে নিরাপদ রাখতে তাদের শরীরের নির্দিষ্ট অংশে গরম সুই দিয়ে দাগ দেয়। 

ভারত
শবে কদরে ভারতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ভারতীয় মুসলমানরা এই রাতে মসজিদে জড়ো হয়ে ইবাদত করে। মৃত আত্মীয়স্বজনের জন্য কোরআন খতম করে। কবরস্থানে গিয়ে কবর জিয়ারত করে। 

আলজেরিয়া 
রমজানের শেষ ১০ দিনে আলজেরিয়ার লোকজন সমুদ্রসৈকতে গিয়ে মোমবাতি জ্বালায় এবং রোগমুক্তি ও অন্যান্য উদ্দেশ্য কামনা করে সমুদ্রের পানি দিয়ে সেই মোমবাতি নিভিয়ে দেয়। বিশেষ করে অবিবাহিত ও বিবাহিত নিঃসন্তান নারীরা বিয়ে ও সন্তান কামনায় এই রীতি পালন করে। যদিও ইসলামি চিন্তাবিদগণ এসবকে কুসংস্কার বলেই মনে করেন। 

ইরান
শবে কদরে ইরানিরা মসজিদে গিয়ে সারা রাত ইবাদত করে। কেঁদে কেঁদে তওবা করে। পরদিন দুই ঘণ্টা দেরিতে কাজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই রাতে তারা মিসরীয় ক্বারিদের বিশেষ করে ক্বারি আবদুল বাসিতের তিলাওয়াত শোনে। রমজানে শবে কদরের পাশাপাশি শিয়াদের কয়েকটি দিবসও ঘটা করে পালন করা হয় ইরানে। তন্মধ্যে ২১ তারিখ হজরত আলি (রা.)-এর শাহাদতবার্ষিকী ও জুমাতুল বিদা উল্লেখযোগ্য। জুমাতুল বিদা তথা রমজানের শেষ শুক্রবারে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ফিলিস্তিনে ইসরায়েল আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানায়। 

বাংলাদেশ
বাংলাদেশে রাতটি অত্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়। মসজিদগুলো মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এই রাতে অধিকাংশ মসজিদে খতম তারাবি শেষ হয়। খতম শেষে হাফেজ সাহেবদের কাছ থেকে মুসল্লিরা পানিপড়া নেয়। পবিত্র কোরআনের বরকতে এই পানির রোগমুক্তিসহ বিভিন্ন উপকারিতা আছে বলে অনেকে বিশ্বাস করে। তারাবিহ শেষে মসজিদে ইসলাহি বয়ান চলে। লোকেরা ফজর পর্যন্ত নফল নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির, কবর জিয়ারত ইত্যাদি 
আমলে ব্যস্ত থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মক্কা-মদিনায় ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা, যা জানা গেল

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।

এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।

৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।

দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যে বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে

তাসনিফ আবীদ
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।

কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)

আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।

ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ০৮ মিনিট
ফজর০৫: ০৯ মিনিট০৬: ২৯ মিনিট
জোহর১১: ৫২ মিনিট০৩: ৩৫ মিনিট
আসর০৩: ৩৬ মিনিট০৫: ১১ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৩ মিনিট০৬: ৩২ মিনিট
এশা০৬: ৩৩ মিনিট০৫: ০৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাউকে কাফের বলার বিষয়ে নবীজির সতর্কবার্তা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ০৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)

এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)

ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।

তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)

ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)

মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)

নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত