ইসলাম ডেস্ক
পরিবারে শান্তি অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। পরিবারে যখন শান্তি থাকে—সবাই মানসিকভাবে স্থিতিশীল থাকে, নিজেদের মাঝে বিশ্বাস ও সম্মান বৃদ্ধি পায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সন্তানরা সঠিক মূল্যবোধ শিখে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা পায়।
শান্তি ছাড়া পরিবার কখনো পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। পরিবারে শান্তি, স্নেহ ও স্থিতি জীবনের এক অনিবার্য অংশ। ইসলাম এমন চারটি আমলের কথা বলে; যেগুলো পরিবারে বরকত ও প্রশান্তি এনে দিতে পারে—
১. নামাজ প্রতিষ্ঠা করা
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমার পরিবারকে সালাতের নির্দেশ দাও এবং নিজেও তা অব্যাহত রাখো।’ (সুরা তহা: ১৩২)। পরিবারের সবাই মিলে নিয়মিত নামাজ আদায় করলে তাতে আল্লাহর রহমত নেমে আসে।
২. কোরআন তিলাওয়াত ও আলোচনা
ঘরে পবিত্র কোরআনের আওয়াজ থাকলে তা শয়তানকে তাড়িয়ে দেয়। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, যে ঘরে কোরআন তিলাওয়াত হয় না, তা মরুভূমির মতো শূন্য।
৩. ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতা চর্চা
পরিবারে মনোমালিন্য হয়। তবে ইসলাম শিক্ষা দেয়—ক্ষমা করা উত্তম। রাসুল (সা.) স্ত্রীদের সঙ্গে ধৈর্য ও ভালোবাসার মাধ্যমে জীবনযাপন করেছেন। পরিবারে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, সংকট তৈরি হতে। তবে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বামী-স্ত্রী উভয়ে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।
৪. দোয়া ও জিকিরের পরিবেশ সৃষ্টি
সকাল-সন্ধ্যা জিকির করা, একে অপরের জন্য দোয়া করা এবং কোনো সমস্যা হলে আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা—এসব কাজ পরিবারে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে।
এই চার আমল যদি পরিবারের সদস্যরা মেনে চলেন, তাহলে পরিবার হয়ে উঠতে পারে জান্নাতের এক টুকরো।
লেখক: রাফাত আশরাফ
শিক্ষক
পরিবারে শান্তি অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। পরিবারে যখন শান্তি থাকে—সবাই মানসিকভাবে স্থিতিশীল থাকে, নিজেদের মাঝে বিশ্বাস ও সম্মান বৃদ্ধি পায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সন্তানরা সঠিক মূল্যবোধ শিখে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা পায়।
শান্তি ছাড়া পরিবার কখনো পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। পরিবারে শান্তি, স্নেহ ও স্থিতি জীবনের এক অনিবার্য অংশ। ইসলাম এমন চারটি আমলের কথা বলে; যেগুলো পরিবারে বরকত ও প্রশান্তি এনে দিতে পারে—
১. নামাজ প্রতিষ্ঠা করা
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমার পরিবারকে সালাতের নির্দেশ দাও এবং নিজেও তা অব্যাহত রাখো।’ (সুরা তহা: ১৩২)। পরিবারের সবাই মিলে নিয়মিত নামাজ আদায় করলে তাতে আল্লাহর রহমত নেমে আসে।
২. কোরআন তিলাওয়াত ও আলোচনা
ঘরে পবিত্র কোরআনের আওয়াজ থাকলে তা শয়তানকে তাড়িয়ে দেয়। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, যে ঘরে কোরআন তিলাওয়াত হয় না, তা মরুভূমির মতো শূন্য।
৩. ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতা চর্চা
পরিবারে মনোমালিন্য হয়। তবে ইসলাম শিক্ষা দেয়—ক্ষমা করা উত্তম। রাসুল (সা.) স্ত্রীদের সঙ্গে ধৈর্য ও ভালোবাসার মাধ্যমে জীবনযাপন করেছেন। পরিবারে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, সংকট তৈরি হতে। তবে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বামী-স্ত্রী উভয়ে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।
৪. দোয়া ও জিকিরের পরিবেশ সৃষ্টি
সকাল-সন্ধ্যা জিকির করা, একে অপরের জন্য দোয়া করা এবং কোনো সমস্যা হলে আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা—এসব কাজ পরিবারে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে।
এই চার আমল যদি পরিবারের সদস্যরা মেনে চলেন, তাহলে পরিবার হয়ে উঠতে পারে জান্নাতের এক টুকরো।
লেখক: রাফাত আশরাফ
শিক্ষক
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগেইসলামি শরিয়তে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, নৈতিক উন্নয়ন, পারলৌকিক ও পার্থিব কল্যাণ, উত্তম গুণাবলি, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ নৈতিকতা গড়ে তোলার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ...
১১ ঘণ্টা আগেরাগ মানুষের একটি মন্দ স্বভাব—যা মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। অতিরিক্ত রাগ মানুষের বিবেক বোধকে নষ্ট করে দেয়, স্মৃতিশক্তি লোপ করে এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। তাই ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেদুটি জিনিসের কারণে মানুষ আল্লাহবিমুখ হয়। ভুলে যায় তার স্রষ্টাকে এবং তাঁর দেওয়া দৈনন্দিন পালনীয় আদেশ-নিষেধ। এক. ধনসম্পদের আধিক্য ও প্রাচুর্য। দুই. নিজ সন্তান। মূলত এ দুটি জিনিসই মানুষের জন্য পরীক্ষার বস্তু। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি তো পরীক্ষার বস্তু।
১ দিন আগে