ইসলাম ডেস্ক

সন্তান দত্তক নেওয়া দুই ধরনের হতে পারে। এক. আসল বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করে শিশুকে নিজের সন্তান হিসেবে পালন করা এবং নিজের সন্তানের মতোই বিয়ে, পর্দা, মিরাস (সম্পত্তির অধিকার) ইত্যাদির বিধান মেনে চলা। দুই. এতিম-অভাবী শিশুর লালনপালনের দায়িত্ব নেওয়া বা পিতৃপরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা।
দত্তক নেওয়ার প্রথম ধরনটি ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ হলেও দ্বিতীয় ধরনটি অনুমোদিত। এখানে কোরআন-হাদিসের আলোকে দত্তক নেওয়া ও সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান আলোকপাত করা হলো।
রক্তের পরিচয়ই আসল পরিচয়
জাহিলি যুগে আরবে পালিত সন্তানকে ঔরসজাত সন্তানের মতোই মনে করা হতো। বিয়ে, মিরাসসহ সব ক্ষেত্রেই নিজের সন্তানের বিধান প্রয়োগ করা হতো। তবে ইসলাম নিজের বাবা–মায়ের পরিচয় মুছে ফেলে অন্য কারও সন্তান হিসেবে পরিচিত হওয়ার অনুমতি দেয়নি। ইসলাম বাবার ঔরস ও মায়ের গর্ভকেই সন্তানের পরিচয়ের মাপকাঠি নির্ণয় করেছে। বাবা-মায়ের পরিচয়েই পরিচিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। জাহিলি যুগের দত্তক প্রথাকে রহিত করা হয়েছে।
মহানবী (সা.) সাহাবি জাইদ ইবনে হারিসা (রা.)-এর লালনপালনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এক সময় সাহাবায়ে কেরাম তাঁকে জাইদ ইবনে মুহাম্মদ (মুহাম্মদের ছেলে জাইদ) নামে ডাকতে শুরু করেন। পরে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন এবং জাইদকে বাবা হারিসার দিকে সম্পর্কিত করে সম্বোধন করার আদেশ দেন। তখন সাহাবিরা তা-ই করেন। (বুখারি ও মুসলিম)
রাসুল (সা.) তাঁর পালক সন্তান জাইদের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী জয়নব বিনতে জাহাশকে বিয়ে করেছিলেন। সুরা আহজাবের ৩৭ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বিধান দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং পালিত ছেলে যাদের তোমরা ছেলে বলো, আল্লাহ তাদের তোমাদের ছেলে বানাননি। এসব তোমাদের মুখের কথা। …. ওদের বাবার পরিচয়ে ডাকো; আল্লাহর দৃষ্টিতে এটিই ন্যায়সংগত। যদি তোমরা ওদের বাবার পরিচয় না জানো, তবে ওদের ধর্মীয় ভাই এবং বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করো।’ (সুরা আহজাব: ৪-৫)
রক্তের পরিচয় মুছে ফেলা নাজায়েজ
দত্তক নেওয়ার পর শিশুর আসল পরিচয় মুছে ফেলা হারাম। এমন শর্তে চুক্তি করে দত্তক নেওয়া বা টাকার বিনিময়ে দত্তক নেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। তাই এমন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন করা জরুরি নয়। হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হব—এক. যে ব্যক্তি কোনো কাজে আমার নামে কসম করার পর তা ভঙ্গ করেছে। দুই. যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন মানুষ বিক্রি করে সম্পদ অর্জন করেছে। তিন. আর যে ব্যক্তি কোনো লোক দিয়ে কাজ করিয়ে তার বিনিময় দেয়নি।’ (বুখারি)
তাই নিজের বাবা-মাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বাবা-মা বলে স্বীকৃতি দেওয়া নাজায়েজ। এই কাজকে হাদিসে ‘কুফরি’ বলা হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের বাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বীকার করা থেকে বিমুখ হইও না। যে তার বাবা থেকে বিমুখ হয়, সে কুফরি করে।’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি নিজেকে নিজের বাবা ছাড়া অন্য কারও সন্তান বলে দাবি করে, অথচ সে জানে ওই ব্যক্তি তার বাবা নন, তার জন্য জান্নাত হারাম।’ (বুখারি ও মুসলিম)
পালক পিতা–মাতাকে বাবা-মা না ডাকাই উত্তম
পালিত সন্তানেরা তাঁদের লালনকারীদের সম্মান করে বাবা-মা ডাকতে পারবেন। একইভাবে তাঁরাও স্নেহ করে পালিত সন্তানদের ছেলে-মেয়ে ডাকতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, সন্তানের আসল বাবা-মাকেই আসল বাবা-মা মনে করতে হবে এবং তাঁদের সঙ্গে সন্তানের স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আসল বাবা-মায়ের ওপর পালনকারী বাবা-মাকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। (ইবনে কাসির)
মুফতি শফি (রহ.) বলেন, ‘লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মা-বাবা ডাকা বৈধ হলেও অনুত্তম ও অনুচিত। কেননা এতে জাহেলিয়াতের কুপ্রথার সঙ্গে সাদৃশ্য হয়ে যায়। ইসলাম এ ধরনের সাদৃশ্য পছন্দ করে না।’ (আহকামুল কোরআন)
পালিত সন্তান ওয়ারিশ হবেন না
পালনকারীর মৃত্যুর পর পালিত সন্তান মিরাস হিসেবে তাঁর সম্পদ থেকে কোনো অংশ পাবে না। একইভাবে পালিত সন্তান মারা গেলে পালনকারীও তাঁর সম্পদের ওয়ারিশ হবেন না। তবে পালনকারী বেঁচে থাকতে পালিত সন্তানকে সম্পদের কিছু অংশ দান করতে পারবেন অথবা মৃত্যুর পর তাঁকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ দেওয়ার অসিয়ত করে যেতে পারবেন। অসিয়তের ক্ষেত্রে তা কেবল মৃতের মোট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকেই কার্যকর হবে। পক্ষান্তরে পালিত সন্তানের আসল বাবা-মার সম্পত্তি থেকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অংশ পাবেন। দত্তক দেওয়ার কারণে তাঁর ওয়ারিশ হওয়া বাতিল হবে না। (তাকমিলাতু ফাতহিল কাদির)
বিয়ে ও পর্দা সম্পর্কিত বিধান
পালিত সন্তানকে যেহেতু ইসলাম আসল সন্তানের স্বীকৃতি দেয় না, তাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিধানের ক্ষেত্রেই বিষয়টি কার্যকর হবে। অর্থাৎ, পালিত সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পালনকারীর বাড়ির সবাইকে তাঁর সঙ্গে পর্দা করতে হবে। তাঁর সঙ্গে পালনকারীর বিয়ে-শাদি করতে কোনো বাধা নেই। পালিত সন্তান ছেলে হলে সাবালক হওয়ার পর পালনকারী মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালনকারী বাবার সঙ্গে পর্দা রক্ষা করতে হবে। (তুহফাতুল ফুকাহা)
তবে পালিত সন্তান যেহেতু সাধারণত পালনকারীর বাড়িতেই থাকেন, তাই পর্দার বিধান সহজ করার জন্য দুই বছর (মতান্তরে আড়াই বছর) বয়স পর্যন্ত পালিত সন্তানকে দুধ পান করানোর কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। মহানবী (সা.)-এর যুগেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সাহাবি আবু হুজাইফা (রা.) সালেমকে দত্তক নিয়েছিলেন। পর্দার প্রশ্নে তখন নবী (সা.) আবু হুজাইফার স্ত্রীকে বললেন, ‘তুমি তাঁকে দুধ পান করিয়ে দুধ ছেলে বানিয়ে নাও। এতে তুমি তাঁর মাহরাম হয়ে যাবে।’ তিনি তাই করলেন। (বুখারি ও মুসলিম)
নাম-পরিচয় মুছে দিয়ে দত্তক নেওয়ার প্রথা ইসলামে স্বীকৃত না হলেও অভাবী, এতিম ও অসহায় শিশুদের লালনপালনে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। বরং এমন শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার অসংখ্য ফজিলত বিবৃত হয়েছে। এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এতিমের ভরণপোষণ ও লালনপালনের দায়িত্ব নেবে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাত দান করবেন।’ (তিরমিজি)

সন্তান দত্তক নেওয়া দুই ধরনের হতে পারে। এক. আসল বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করে শিশুকে নিজের সন্তান হিসেবে পালন করা এবং নিজের সন্তানের মতোই বিয়ে, পর্দা, মিরাস (সম্পত্তির অধিকার) ইত্যাদির বিধান মেনে চলা। দুই. এতিম-অভাবী শিশুর লালনপালনের দায়িত্ব নেওয়া বা পিতৃপরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা।
দত্তক নেওয়ার প্রথম ধরনটি ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ হলেও দ্বিতীয় ধরনটি অনুমোদিত। এখানে কোরআন-হাদিসের আলোকে দত্তক নেওয়া ও সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান আলোকপাত করা হলো।
রক্তের পরিচয়ই আসল পরিচয়
জাহিলি যুগে আরবে পালিত সন্তানকে ঔরসজাত সন্তানের মতোই মনে করা হতো। বিয়ে, মিরাসসহ সব ক্ষেত্রেই নিজের সন্তানের বিধান প্রয়োগ করা হতো। তবে ইসলাম নিজের বাবা–মায়ের পরিচয় মুছে ফেলে অন্য কারও সন্তান হিসেবে পরিচিত হওয়ার অনুমতি দেয়নি। ইসলাম বাবার ঔরস ও মায়ের গর্ভকেই সন্তানের পরিচয়ের মাপকাঠি নির্ণয় করেছে। বাবা-মায়ের পরিচয়েই পরিচিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। জাহিলি যুগের দত্তক প্রথাকে রহিত করা হয়েছে।
মহানবী (সা.) সাহাবি জাইদ ইবনে হারিসা (রা.)-এর লালনপালনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এক সময় সাহাবায়ে কেরাম তাঁকে জাইদ ইবনে মুহাম্মদ (মুহাম্মদের ছেলে জাইদ) নামে ডাকতে শুরু করেন। পরে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন এবং জাইদকে বাবা হারিসার দিকে সম্পর্কিত করে সম্বোধন করার আদেশ দেন। তখন সাহাবিরা তা-ই করেন। (বুখারি ও মুসলিম)
রাসুল (সা.) তাঁর পালক সন্তান জাইদের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী জয়নব বিনতে জাহাশকে বিয়ে করেছিলেন। সুরা আহজাবের ৩৭ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বিধান দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং পালিত ছেলে যাদের তোমরা ছেলে বলো, আল্লাহ তাদের তোমাদের ছেলে বানাননি। এসব তোমাদের মুখের কথা। …. ওদের বাবার পরিচয়ে ডাকো; আল্লাহর দৃষ্টিতে এটিই ন্যায়সংগত। যদি তোমরা ওদের বাবার পরিচয় না জানো, তবে ওদের ধর্মীয় ভাই এবং বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করো।’ (সুরা আহজাব: ৪-৫)
রক্তের পরিচয় মুছে ফেলা নাজায়েজ
দত্তক নেওয়ার পর শিশুর আসল পরিচয় মুছে ফেলা হারাম। এমন শর্তে চুক্তি করে দত্তক নেওয়া বা টাকার বিনিময়ে দত্তক নেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। তাই এমন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন করা জরুরি নয়। হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হব—এক. যে ব্যক্তি কোনো কাজে আমার নামে কসম করার পর তা ভঙ্গ করেছে। দুই. যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন মানুষ বিক্রি করে সম্পদ অর্জন করেছে। তিন. আর যে ব্যক্তি কোনো লোক দিয়ে কাজ করিয়ে তার বিনিময় দেয়নি।’ (বুখারি)
তাই নিজের বাবা-মাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বাবা-মা বলে স্বীকৃতি দেওয়া নাজায়েজ। এই কাজকে হাদিসে ‘কুফরি’ বলা হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের বাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বীকার করা থেকে বিমুখ হইও না। যে তার বাবা থেকে বিমুখ হয়, সে কুফরি করে।’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি নিজেকে নিজের বাবা ছাড়া অন্য কারও সন্তান বলে দাবি করে, অথচ সে জানে ওই ব্যক্তি তার বাবা নন, তার জন্য জান্নাত হারাম।’ (বুখারি ও মুসলিম)
পালক পিতা–মাতাকে বাবা-মা না ডাকাই উত্তম
পালিত সন্তানেরা তাঁদের লালনকারীদের সম্মান করে বাবা-মা ডাকতে পারবেন। একইভাবে তাঁরাও স্নেহ করে পালিত সন্তানদের ছেলে-মেয়ে ডাকতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, সন্তানের আসল বাবা-মাকেই আসল বাবা-মা মনে করতে হবে এবং তাঁদের সঙ্গে সন্তানের স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আসল বাবা-মায়ের ওপর পালনকারী বাবা-মাকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। (ইবনে কাসির)
মুফতি শফি (রহ.) বলেন, ‘লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মা-বাবা ডাকা বৈধ হলেও অনুত্তম ও অনুচিত। কেননা এতে জাহেলিয়াতের কুপ্রথার সঙ্গে সাদৃশ্য হয়ে যায়। ইসলাম এ ধরনের সাদৃশ্য পছন্দ করে না।’ (আহকামুল কোরআন)
পালিত সন্তান ওয়ারিশ হবেন না
পালনকারীর মৃত্যুর পর পালিত সন্তান মিরাস হিসেবে তাঁর সম্পদ থেকে কোনো অংশ পাবে না। একইভাবে পালিত সন্তান মারা গেলে পালনকারীও তাঁর সম্পদের ওয়ারিশ হবেন না। তবে পালনকারী বেঁচে থাকতে পালিত সন্তানকে সম্পদের কিছু অংশ দান করতে পারবেন অথবা মৃত্যুর পর তাঁকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ দেওয়ার অসিয়ত করে যেতে পারবেন। অসিয়তের ক্ষেত্রে তা কেবল মৃতের মোট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকেই কার্যকর হবে। পক্ষান্তরে পালিত সন্তানের আসল বাবা-মার সম্পত্তি থেকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অংশ পাবেন। দত্তক দেওয়ার কারণে তাঁর ওয়ারিশ হওয়া বাতিল হবে না। (তাকমিলাতু ফাতহিল কাদির)
বিয়ে ও পর্দা সম্পর্কিত বিধান
পালিত সন্তানকে যেহেতু ইসলাম আসল সন্তানের স্বীকৃতি দেয় না, তাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিধানের ক্ষেত্রেই বিষয়টি কার্যকর হবে। অর্থাৎ, পালিত সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পালনকারীর বাড়ির সবাইকে তাঁর সঙ্গে পর্দা করতে হবে। তাঁর সঙ্গে পালনকারীর বিয়ে-শাদি করতে কোনো বাধা নেই। পালিত সন্তান ছেলে হলে সাবালক হওয়ার পর পালনকারী মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালনকারী বাবার সঙ্গে পর্দা রক্ষা করতে হবে। (তুহফাতুল ফুকাহা)
তবে পালিত সন্তান যেহেতু সাধারণত পালনকারীর বাড়িতেই থাকেন, তাই পর্দার বিধান সহজ করার জন্য দুই বছর (মতান্তরে আড়াই বছর) বয়স পর্যন্ত পালিত সন্তানকে দুধ পান করানোর কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। মহানবী (সা.)-এর যুগেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সাহাবি আবু হুজাইফা (রা.) সালেমকে দত্তক নিয়েছিলেন। পর্দার প্রশ্নে তখন নবী (সা.) আবু হুজাইফার স্ত্রীকে বললেন, ‘তুমি তাঁকে দুধ পান করিয়ে দুধ ছেলে বানিয়ে নাও। এতে তুমি তাঁর মাহরাম হয়ে যাবে।’ তিনি তাই করলেন। (বুখারি ও মুসলিম)
নাম-পরিচয় মুছে দিয়ে দত্তক নেওয়ার প্রথা ইসলামে স্বীকৃত না হলেও অভাবী, এতিম ও অসহায় শিশুদের লালনপালনে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। বরং এমন শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার অসংখ্য ফজিলত বিবৃত হয়েছে। এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এতিমের ভরণপোষণ ও লালনপালনের দায়িত্ব নেবে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাত দান করবেন।’ (তিরমিজি)
ইসলাম ডেস্ক

সন্তান দত্তক নেওয়া দুই ধরনের হতে পারে। এক. আসল বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করে শিশুকে নিজের সন্তান হিসেবে পালন করা এবং নিজের সন্তানের মতোই বিয়ে, পর্দা, মিরাস (সম্পত্তির অধিকার) ইত্যাদির বিধান মেনে চলা। দুই. এতিম-অভাবী শিশুর লালনপালনের দায়িত্ব নেওয়া বা পিতৃপরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা।
দত্তক নেওয়ার প্রথম ধরনটি ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ হলেও দ্বিতীয় ধরনটি অনুমোদিত। এখানে কোরআন-হাদিসের আলোকে দত্তক নেওয়া ও সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান আলোকপাত করা হলো।
রক্তের পরিচয়ই আসল পরিচয়
জাহিলি যুগে আরবে পালিত সন্তানকে ঔরসজাত সন্তানের মতোই মনে করা হতো। বিয়ে, মিরাসসহ সব ক্ষেত্রেই নিজের সন্তানের বিধান প্রয়োগ করা হতো। তবে ইসলাম নিজের বাবা–মায়ের পরিচয় মুছে ফেলে অন্য কারও সন্তান হিসেবে পরিচিত হওয়ার অনুমতি দেয়নি। ইসলাম বাবার ঔরস ও মায়ের গর্ভকেই সন্তানের পরিচয়ের মাপকাঠি নির্ণয় করেছে। বাবা-মায়ের পরিচয়েই পরিচিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। জাহিলি যুগের দত্তক প্রথাকে রহিত করা হয়েছে।
মহানবী (সা.) সাহাবি জাইদ ইবনে হারিসা (রা.)-এর লালনপালনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এক সময় সাহাবায়ে কেরাম তাঁকে জাইদ ইবনে মুহাম্মদ (মুহাম্মদের ছেলে জাইদ) নামে ডাকতে শুরু করেন। পরে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন এবং জাইদকে বাবা হারিসার দিকে সম্পর্কিত করে সম্বোধন করার আদেশ দেন। তখন সাহাবিরা তা-ই করেন। (বুখারি ও মুসলিম)
রাসুল (সা.) তাঁর পালক সন্তান জাইদের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী জয়নব বিনতে জাহাশকে বিয়ে করেছিলেন। সুরা আহজাবের ৩৭ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বিধান দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং পালিত ছেলে যাদের তোমরা ছেলে বলো, আল্লাহ তাদের তোমাদের ছেলে বানাননি। এসব তোমাদের মুখের কথা। …. ওদের বাবার পরিচয়ে ডাকো; আল্লাহর দৃষ্টিতে এটিই ন্যায়সংগত। যদি তোমরা ওদের বাবার পরিচয় না জানো, তবে ওদের ধর্মীয় ভাই এবং বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করো।’ (সুরা আহজাব: ৪-৫)
রক্তের পরিচয় মুছে ফেলা নাজায়েজ
দত্তক নেওয়ার পর শিশুর আসল পরিচয় মুছে ফেলা হারাম। এমন শর্তে চুক্তি করে দত্তক নেওয়া বা টাকার বিনিময়ে দত্তক নেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। তাই এমন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন করা জরুরি নয়। হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হব—এক. যে ব্যক্তি কোনো কাজে আমার নামে কসম করার পর তা ভঙ্গ করেছে। দুই. যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন মানুষ বিক্রি করে সম্পদ অর্জন করেছে। তিন. আর যে ব্যক্তি কোনো লোক দিয়ে কাজ করিয়ে তার বিনিময় দেয়নি।’ (বুখারি)
তাই নিজের বাবা-মাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বাবা-মা বলে স্বীকৃতি দেওয়া নাজায়েজ। এই কাজকে হাদিসে ‘কুফরি’ বলা হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের বাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বীকার করা থেকে বিমুখ হইও না। যে তার বাবা থেকে বিমুখ হয়, সে কুফরি করে।’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি নিজেকে নিজের বাবা ছাড়া অন্য কারও সন্তান বলে দাবি করে, অথচ সে জানে ওই ব্যক্তি তার বাবা নন, তার জন্য জান্নাত হারাম।’ (বুখারি ও মুসলিম)
পালক পিতা–মাতাকে বাবা-মা না ডাকাই উত্তম
পালিত সন্তানেরা তাঁদের লালনকারীদের সম্মান করে বাবা-মা ডাকতে পারবেন। একইভাবে তাঁরাও স্নেহ করে পালিত সন্তানদের ছেলে-মেয়ে ডাকতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, সন্তানের আসল বাবা-মাকেই আসল বাবা-মা মনে করতে হবে এবং তাঁদের সঙ্গে সন্তানের স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আসল বাবা-মায়ের ওপর পালনকারী বাবা-মাকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। (ইবনে কাসির)
মুফতি শফি (রহ.) বলেন, ‘লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মা-বাবা ডাকা বৈধ হলেও অনুত্তম ও অনুচিত। কেননা এতে জাহেলিয়াতের কুপ্রথার সঙ্গে সাদৃশ্য হয়ে যায়। ইসলাম এ ধরনের সাদৃশ্য পছন্দ করে না।’ (আহকামুল কোরআন)
পালিত সন্তান ওয়ারিশ হবেন না
পালনকারীর মৃত্যুর পর পালিত সন্তান মিরাস হিসেবে তাঁর সম্পদ থেকে কোনো অংশ পাবে না। একইভাবে পালিত সন্তান মারা গেলে পালনকারীও তাঁর সম্পদের ওয়ারিশ হবেন না। তবে পালনকারী বেঁচে থাকতে পালিত সন্তানকে সম্পদের কিছু অংশ দান করতে পারবেন অথবা মৃত্যুর পর তাঁকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ দেওয়ার অসিয়ত করে যেতে পারবেন। অসিয়তের ক্ষেত্রে তা কেবল মৃতের মোট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকেই কার্যকর হবে। পক্ষান্তরে পালিত সন্তানের আসল বাবা-মার সম্পত্তি থেকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অংশ পাবেন। দত্তক দেওয়ার কারণে তাঁর ওয়ারিশ হওয়া বাতিল হবে না। (তাকমিলাতু ফাতহিল কাদির)
বিয়ে ও পর্দা সম্পর্কিত বিধান
পালিত সন্তানকে যেহেতু ইসলাম আসল সন্তানের স্বীকৃতি দেয় না, তাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিধানের ক্ষেত্রেই বিষয়টি কার্যকর হবে। অর্থাৎ, পালিত সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পালনকারীর বাড়ির সবাইকে তাঁর সঙ্গে পর্দা করতে হবে। তাঁর সঙ্গে পালনকারীর বিয়ে-শাদি করতে কোনো বাধা নেই। পালিত সন্তান ছেলে হলে সাবালক হওয়ার পর পালনকারী মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালনকারী বাবার সঙ্গে পর্দা রক্ষা করতে হবে। (তুহফাতুল ফুকাহা)
তবে পালিত সন্তান যেহেতু সাধারণত পালনকারীর বাড়িতেই থাকেন, তাই পর্দার বিধান সহজ করার জন্য দুই বছর (মতান্তরে আড়াই বছর) বয়স পর্যন্ত পালিত সন্তানকে দুধ পান করানোর কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। মহানবী (সা.)-এর যুগেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সাহাবি আবু হুজাইফা (রা.) সালেমকে দত্তক নিয়েছিলেন। পর্দার প্রশ্নে তখন নবী (সা.) আবু হুজাইফার স্ত্রীকে বললেন, ‘তুমি তাঁকে দুধ পান করিয়ে দুধ ছেলে বানিয়ে নাও। এতে তুমি তাঁর মাহরাম হয়ে যাবে।’ তিনি তাই করলেন। (বুখারি ও মুসলিম)
নাম-পরিচয় মুছে দিয়ে দত্তক নেওয়ার প্রথা ইসলামে স্বীকৃত না হলেও অভাবী, এতিম ও অসহায় শিশুদের লালনপালনে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। বরং এমন শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার অসংখ্য ফজিলত বিবৃত হয়েছে। এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এতিমের ভরণপোষণ ও লালনপালনের দায়িত্ব নেবে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাত দান করবেন।’ (তিরমিজি)

সন্তান দত্তক নেওয়া দুই ধরনের হতে পারে। এক. আসল বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করে শিশুকে নিজের সন্তান হিসেবে পালন করা এবং নিজের সন্তানের মতোই বিয়ে, পর্দা, মিরাস (সম্পত্তির অধিকার) ইত্যাদির বিধান মেনে চলা। দুই. এতিম-অভাবী শিশুর লালনপালনের দায়িত্ব নেওয়া বা পিতৃপরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা।
দত্তক নেওয়ার প্রথম ধরনটি ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ হলেও দ্বিতীয় ধরনটি অনুমোদিত। এখানে কোরআন-হাদিসের আলোকে দত্তক নেওয়া ও সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান আলোকপাত করা হলো।
রক্তের পরিচয়ই আসল পরিচয়
জাহিলি যুগে আরবে পালিত সন্তানকে ঔরসজাত সন্তানের মতোই মনে করা হতো। বিয়ে, মিরাসসহ সব ক্ষেত্রেই নিজের সন্তানের বিধান প্রয়োগ করা হতো। তবে ইসলাম নিজের বাবা–মায়ের পরিচয় মুছে ফেলে অন্য কারও সন্তান হিসেবে পরিচিত হওয়ার অনুমতি দেয়নি। ইসলাম বাবার ঔরস ও মায়ের গর্ভকেই সন্তানের পরিচয়ের মাপকাঠি নির্ণয় করেছে। বাবা-মায়ের পরিচয়েই পরিচিত হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। জাহিলি যুগের দত্তক প্রথাকে রহিত করা হয়েছে।
মহানবী (সা.) সাহাবি জাইদ ইবনে হারিসা (রা.)-এর লালনপালনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এক সময় সাহাবায়ে কেরাম তাঁকে জাইদ ইবনে মুহাম্মদ (মুহাম্মদের ছেলে জাইদ) নামে ডাকতে শুরু করেন। পরে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন এবং জাইদকে বাবা হারিসার দিকে সম্পর্কিত করে সম্বোধন করার আদেশ দেন। তখন সাহাবিরা তা-ই করেন। (বুখারি ও মুসলিম)
রাসুল (সা.) তাঁর পালক সন্তান জাইদের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী জয়নব বিনতে জাহাশকে বিয়ে করেছিলেন। সুরা আহজাবের ৩৭ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বিধান দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং পালিত ছেলে যাদের তোমরা ছেলে বলো, আল্লাহ তাদের তোমাদের ছেলে বানাননি। এসব তোমাদের মুখের কথা। …. ওদের বাবার পরিচয়ে ডাকো; আল্লাহর দৃষ্টিতে এটিই ন্যায়সংগত। যদি তোমরা ওদের বাবার পরিচয় না জানো, তবে ওদের ধর্মীয় ভাই এবং বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করো।’ (সুরা আহজাব: ৪-৫)
রক্তের পরিচয় মুছে ফেলা নাজায়েজ
দত্তক নেওয়ার পর শিশুর আসল পরিচয় মুছে ফেলা হারাম। এমন শর্তে চুক্তি করে দত্তক নেওয়া বা টাকার বিনিময়ে দত্তক নেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। তাই এমন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন করা জরুরি নয়। হাদিসে কুদসিতে রয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হব—এক. যে ব্যক্তি কোনো কাজে আমার নামে কসম করার পর তা ভঙ্গ করেছে। দুই. যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন মানুষ বিক্রি করে সম্পদ অর্জন করেছে। তিন. আর যে ব্যক্তি কোনো লোক দিয়ে কাজ করিয়ে তার বিনিময় দেয়নি।’ (বুখারি)
তাই নিজের বাবা-মাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বাবা-মা বলে স্বীকৃতি দেওয়া নাজায়েজ। এই কাজকে হাদিসে ‘কুফরি’ বলা হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের বাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বীকার করা থেকে বিমুখ হইও না। যে তার বাবা থেকে বিমুখ হয়, সে কুফরি করে।’ (মুসলিম) অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি নিজেকে নিজের বাবা ছাড়া অন্য কারও সন্তান বলে দাবি করে, অথচ সে জানে ওই ব্যক্তি তার বাবা নন, তার জন্য জান্নাত হারাম।’ (বুখারি ও মুসলিম)
পালক পিতা–মাতাকে বাবা-মা না ডাকাই উত্তম
পালিত সন্তানেরা তাঁদের লালনকারীদের সম্মান করে বাবা-মা ডাকতে পারবেন। একইভাবে তাঁরাও স্নেহ করে পালিত সন্তানদের ছেলে-মেয়ে ডাকতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, সন্তানের আসল বাবা-মাকেই আসল বাবা-মা মনে করতে হবে এবং তাঁদের সঙ্গে সন্তানের স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আসল বাবা-মায়ের ওপর পালনকারী বাবা-মাকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। (ইবনে কাসির)
মুফতি শফি (রহ.) বলেন, ‘লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মা-বাবা ডাকা বৈধ হলেও অনুত্তম ও অনুচিত। কেননা এতে জাহেলিয়াতের কুপ্রথার সঙ্গে সাদৃশ্য হয়ে যায়। ইসলাম এ ধরনের সাদৃশ্য পছন্দ করে না।’ (আহকামুল কোরআন)
পালিত সন্তান ওয়ারিশ হবেন না
পালনকারীর মৃত্যুর পর পালিত সন্তান মিরাস হিসেবে তাঁর সম্পদ থেকে কোনো অংশ পাবে না। একইভাবে পালিত সন্তান মারা গেলে পালনকারীও তাঁর সম্পদের ওয়ারিশ হবেন না। তবে পালনকারী বেঁচে থাকতে পালিত সন্তানকে সম্পদের কিছু অংশ দান করতে পারবেন অথবা মৃত্যুর পর তাঁকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ দেওয়ার অসিয়ত করে যেতে পারবেন। অসিয়তের ক্ষেত্রে তা কেবল মৃতের মোট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকেই কার্যকর হবে। পক্ষান্তরে পালিত সন্তানের আসল বাবা-মার সম্পত্তি থেকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই তাঁর অংশ পাবেন। দত্তক দেওয়ার কারণে তাঁর ওয়ারিশ হওয়া বাতিল হবে না। (তাকমিলাতু ফাতহিল কাদির)
বিয়ে ও পর্দা সম্পর্কিত বিধান
পালিত সন্তানকে যেহেতু ইসলাম আসল সন্তানের স্বীকৃতি দেয় না, তাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিধানের ক্ষেত্রেই বিষয়টি কার্যকর হবে। অর্থাৎ, পালিত সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পালনকারীর বাড়ির সবাইকে তাঁর সঙ্গে পর্দা করতে হবে। তাঁর সঙ্গে পালনকারীর বিয়ে-শাদি করতে কোনো বাধা নেই। পালিত সন্তান ছেলে হলে সাবালক হওয়ার পর পালনকারী মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালনকারী বাবার সঙ্গে পর্দা রক্ষা করতে হবে। (তুহফাতুল ফুকাহা)
তবে পালিত সন্তান যেহেতু সাধারণত পালনকারীর বাড়িতেই থাকেন, তাই পর্দার বিধান সহজ করার জন্য দুই বছর (মতান্তরে আড়াই বছর) বয়স পর্যন্ত পালিত সন্তানকে দুধ পান করানোর কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। মহানবী (সা.)-এর যুগেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সাহাবি আবু হুজাইফা (রা.) সালেমকে দত্তক নিয়েছিলেন। পর্দার প্রশ্নে তখন নবী (সা.) আবু হুজাইফার স্ত্রীকে বললেন, ‘তুমি তাঁকে দুধ পান করিয়ে দুধ ছেলে বানিয়ে নাও। এতে তুমি তাঁর মাহরাম হয়ে যাবে।’ তিনি তাই করলেন। (বুখারি ও মুসলিম)
নাম-পরিচয় মুছে দিয়ে দত্তক নেওয়ার প্রথা ইসলামে স্বীকৃত না হলেও অভাবী, এতিম ও অসহায় শিশুদের লালনপালনে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। বরং এমন শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার অসংখ্য ফজিলত বিবৃত হয়েছে। এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ জান্নাতের ওয়াদা করেছেন। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এতিমের ভরণপোষণ ও লালনপালনের দায়িত্ব নেবে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাত দান করবেন।’ (তিরমিজি)

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

সন্তান দত্তক নেওয়া দুই ধরনের হতে পারে। এক. আসল বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করে শিশুকে নিজের সন্তান হিসেবে পালন করা এবং নিজের সন্তানের মতোই বিয়ে, পর্দা, মিরাস (সম্পত্তির অধিকার) ইত্যাদির বিধান মেনে চলা। দুই. এতিম-অভাবী শিশুর লালনপালনের দায়িত্ব নেওয়া বা পিতৃপরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সন্তান দত্তক নেওয়া দুই ধরনের হতে পারে। এক. আসল বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করে শিশুকে নিজের সন্তান হিসেবে পালন করা এবং নিজের সন্তানের মতোই বিয়ে, পর্দা, মিরাস (সম্পত্তির অধিকার) ইত্যাদির বিধান মেনে চলা। দুই. এতিম-অভাবী শিশুর লালনপালনের দায়িত্ব নেওয়া বা পিতৃপরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ দিন আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

সন্তান দত্তক নেওয়া দুই ধরনের হতে পারে। এক. আসল বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করে শিশুকে নিজের সন্তান হিসেবে পালন করা এবং নিজের সন্তানের মতোই বিয়ে, পর্দা, মিরাস (সম্পত্তির অধিকার) ইত্যাদির বিধান মেনে চলা। দুই. এতিম-অভাবী শিশুর লালনপালনের দায়িত্ব নেওয়া বা পিতৃপরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

সন্তান দত্তক নেওয়া দুই ধরনের হতে পারে। এক. আসল বাবা-মায়ের পরিচয় গোপন করে শিশুকে নিজের সন্তান হিসেবে পালন করা এবং নিজের সন্তানের মতোই বিয়ে, পর্দা, মিরাস (সম্পত্তির অধিকার) ইত্যাদির বিধান মেনে চলা। দুই. এতিম-অভাবী শিশুর লালনপালনের দায়িত্ব নেওয়া বা পিতৃপরিচয়হীন শিশুর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগে