মাহমুদ হাসান ফাহিম
হজ আল্লাহর প্রতি বান্দার অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই হজ করলে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতোই নিষ্পাপ হওয়া যায়। (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১)। আর কবুল হজের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। (সহিহ্ বুখারি: ১৬৫৮)
হজপালনের জন্য মক্কা গমন করা এবং কিছু আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদনের মধ্যেই হজের উদ্দেশ্য শেষ নয়। বরং হজ-পরবর্তী সময়েও রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ জীবনযাপন ও আমলি জিন্দেগি। হজের পর পাপমুক্ত জীবনযাপন করাই হলো হজ কবুল হওয়ার লক্ষণ।
হজের পর হাজিরা যদি যাবতীয় পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে, তাহলে সেই হজ আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে বলে আশা করা যায়। হজ-পরবর্তী জীবনে তারা যদি বেপরোয়া চলাফেরা করে, তাহলে সর্বসাধারণ আর তাদের মধ্যে কোনো তফাৎ থাকে না। তাই নিজে যেমন অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকবে, তেমনি অন্যকেও সব ধরনের অন্যায় থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট হবে।
নিজেকে কলুষমুক্ত রাখতে পাপমুক্ত জীবন গঠন করতে হবে। আকিদা-বিশ্বাস, ইবাদত-বন্দেগি, মুআমালা (লেনদেন), মুআশারা (সমষ্টিগত নীতি নৈতিকতা) ও আখলাক (স্বভাব-চরিত্র) ইত্যাদির ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান ও নবীজি (সা.)-এর সুন্নত মেনে চলবে।
যারা পবিত্র কাবা স্বচক্ষে দেখেছে এবং তাওয়াফের সৌভাগ্য লাভ করেছে, যারা সশরীরে রাসুলের রওজায় উপস্থিত হয়ে দরুদ ও সালাম পেশ করেছে—তাদের নিশ্চয়ই এসবের প্রেরণা জাগ্রত হয়েছে, সামনের জীবনেও তাতে অটল অবিচল থাকতে হবে।
ভালো বৈশিষ্ট্যগুলো জাগ্রত ও কার্যকর করে মন্দ স্বভাবের প্রবণতাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা—একজন ভালো মানুষ হওয়ার বিকল্পহীন বিষয়। একজন সাধারণ মানুষের অসৎ আচরণের চেয়ে হাজি সাহেবের অসৎ আচরণ অধিক দৃষ্টিকটু। এ কারণে তাদের আচার-ব্যবহার সুন্দর ও শালীন হওয়া অধিক কাম্য।
নামের আগে আলহাজ বা হাজি উপাধি ব্যবহার করে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করা অনুচিত। হ্যাঁ, একজন হাজি সাহেব তখনই সৌভাগ্যবান হবেন, যখন তার হজ-পরবর্তী জীবন হবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের দেখানো পথে অনুগামী।
লেখক: শিক্ষক, বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর
হজ আল্লাহর প্রতি বান্দার অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই হজ করলে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতোই নিষ্পাপ হওয়া যায়। (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১)। আর কবুল হজের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। (সহিহ্ বুখারি: ১৬৫৮)
হজপালনের জন্য মক্কা গমন করা এবং কিছু আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদনের মধ্যেই হজের উদ্দেশ্য শেষ নয়। বরং হজ-পরবর্তী সময়েও রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ জীবনযাপন ও আমলি জিন্দেগি। হজের পর পাপমুক্ত জীবনযাপন করাই হলো হজ কবুল হওয়ার লক্ষণ।
হজের পর হাজিরা যদি যাবতীয় পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে, তাহলে সেই হজ আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে বলে আশা করা যায়। হজ-পরবর্তী জীবনে তারা যদি বেপরোয়া চলাফেরা করে, তাহলে সর্বসাধারণ আর তাদের মধ্যে কোনো তফাৎ থাকে না। তাই নিজে যেমন অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকবে, তেমনি অন্যকেও সব ধরনের অন্যায় থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট হবে।
নিজেকে কলুষমুক্ত রাখতে পাপমুক্ত জীবন গঠন করতে হবে। আকিদা-বিশ্বাস, ইবাদত-বন্দেগি, মুআমালা (লেনদেন), মুআশারা (সমষ্টিগত নীতি নৈতিকতা) ও আখলাক (স্বভাব-চরিত্র) ইত্যাদির ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান ও নবীজি (সা.)-এর সুন্নত মেনে চলবে।
যারা পবিত্র কাবা স্বচক্ষে দেখেছে এবং তাওয়াফের সৌভাগ্য লাভ করেছে, যারা সশরীরে রাসুলের রওজায় উপস্থিত হয়ে দরুদ ও সালাম পেশ করেছে—তাদের নিশ্চয়ই এসবের প্রেরণা জাগ্রত হয়েছে, সামনের জীবনেও তাতে অটল অবিচল থাকতে হবে।
ভালো বৈশিষ্ট্যগুলো জাগ্রত ও কার্যকর করে মন্দ স্বভাবের প্রবণতাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা—একজন ভালো মানুষ হওয়ার বিকল্পহীন বিষয়। একজন সাধারণ মানুষের অসৎ আচরণের চেয়ে হাজি সাহেবের অসৎ আচরণ অধিক দৃষ্টিকটু। এ কারণে তাদের আচার-ব্যবহার সুন্দর ও শালীন হওয়া অধিক কাম্য।
নামের আগে আলহাজ বা হাজি উপাধি ব্যবহার করে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করা অনুচিত। হ্যাঁ, একজন হাজি সাহেব তখনই সৌভাগ্যবান হবেন, যখন তার হজ-পরবর্তী জীবন হবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের দেখানো পথে অনুগামী।
লেখক: শিক্ষক, বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে