ইসলাম ডেস্ক
মানবজীবনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা সবারই থাকে। কিন্তু কোন গুণাবলি একজন মানুষকে প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্ব দান করে? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে আমরা হাদিসে এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেখতে পাই। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অনেক মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিয়েছেন, যা আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
রাসুল (সা.)-এর চোখে একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ হচ্ছেন তিনি, যিনি তাঁর নিজের কর্মের মাধ্যমে অন্যদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেন। এই শ্রেষ্ঠত্বের প্রথম মাপকাঠি হলো কোরআন শিক্ষা ও শিক্ষাদান। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে কোরআন শেখে ও শেখায়।’ (সহিহ বুখারি)। এটি প্রমাণ করে যে আল্লাহর বাণীকে হৃদয়ে ধারণ করা এবং তা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া সর্বোচ্চ মর্যাদার কাজ।
এরপর আসে উত্তম আচরণ ও নৈতিকতার বিষয়। নবীজি (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।’ (সহিহ বুখারি)। তিনি আরও বলেছেন, ‘সেরা মানুষ সে, যার বয়স দীর্ঘ এবং কর্ম ভালো হয়।’ এই হাদিসগুলো আমাদের শেখায় যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের আচরণে যেন সততা, বিনয় ও দয়া প্রকাশ পায়।
সামাজিক জীবনে শ্রেষ্ঠত্বের কিছু বিশেষ দিকও হাদিসে উঠে এসেছে। যেমন, একজন উত্তম ঋণগ্রহীতা সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো।’ (সহিহ বুখারি)। এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনে বিশ্বস্ততার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না।’ (জামে তিরমিজি)। এই গুণটি একজন মানুষকে সমাজের সবার কাছে প্রিয় করে তোলে।
পারিবারিক বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড রয়েছে। নবীজি (সা.) ঘোষণা করেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের পরিবারের কাছে উত্তম।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)। তিনি নিজে তাঁর পরিবারের কাছে সর্বোত্তম ছিলেন এবং আমাদের জন্যও সেই আদর্শ রেখে গেছেন।
মানবজীবনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আকাঙ্ক্ষা সবারই থাকে। কিন্তু কোন গুণাবলি একজন মানুষকে প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্ব দান করে? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে আমরা হাদিসে এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেখতে পাই। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অনেক মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিয়েছেন, যা আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
রাসুল (সা.)-এর চোখে একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ হচ্ছেন তিনি, যিনি তাঁর নিজের কর্মের মাধ্যমে অন্যদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেন। এই শ্রেষ্ঠত্বের প্রথম মাপকাঠি হলো কোরআন শিক্ষা ও শিক্ষাদান। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে কোরআন শেখে ও শেখায়।’ (সহিহ বুখারি)। এটি প্রমাণ করে যে আল্লাহর বাণীকে হৃদয়ে ধারণ করা এবং তা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া সর্বোচ্চ মর্যাদার কাজ।
এরপর আসে উত্তম আচরণ ও নৈতিকতার বিষয়। নবীজি (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।’ (সহিহ বুখারি)। তিনি আরও বলেছেন, ‘সেরা মানুষ সে, যার বয়স দীর্ঘ এবং কর্ম ভালো হয়।’ এই হাদিসগুলো আমাদের শেখায় যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের আচরণে যেন সততা, বিনয় ও দয়া প্রকাশ পায়।
সামাজিক জীবনে শ্রেষ্ঠত্বের কিছু বিশেষ দিকও হাদিসে উঠে এসেছে। যেমন, একজন উত্তম ঋণগ্রহীতা সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো।’ (সহিহ বুখারি)। এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনে বিশ্বস্ততার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না।’ (জামে তিরমিজি)। এই গুণটি একজন মানুষকে সমাজের সবার কাছে প্রিয় করে তোলে।
পারিবারিক বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড রয়েছে। নবীজি (সা.) ঘোষণা করেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে নিজের পরিবারের কাছে উত্তম।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)। তিনি নিজে তাঁর পরিবারের কাছে সর্বোত্তম ছিলেন এবং আমাদের জন্যও সেই আদর্শ রেখে গেছেন।
ইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার...
২ ঘণ্টা আগেইসলামে বিয়ে একদিকে যেমন জৈবিক প্রয়োজন মেটানোর মাধ্যম, অন্যদিকে আত্মার প্রশান্তি, ভালোবাসা ও প্রণয়ের উৎস। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি হলো—তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে জীবনসঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন—যাতে তোমরা তাদের মাঝে প্রশান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মাঝে...
৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআন মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ। এটি শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পথনির্দেশিকা। এই কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে একজন মুমিনের জীবনে আসে অফুরন্ত প্রশান্তি ও আত্মিক তৃপ্তি।
১ দিন আগেইসলামি ইতিহাসে জুমার দিনকে বলা হয় ‘সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন’। হাদিসে এসেছে, এ দিনেই হজরত আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছিলেন, এ দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছিলেন এবং এ দিনেই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। আবার কিয়ামতও সংঘটিত হবে জুমার দিনেই। তাই এ দিনের মাহাত্ম্য কেবল ইবাদতকেন্দ্রিক নয়, বরং মানবজাতির সৃষ্টিজীবনের এক...
২ দিন আগে