আবদুল আযীয কাসেমি

ইতিহাসের এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মানবতার আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো আবির্ভাব ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর। অন্যায়-অনাচারে ভরে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। চারদিকে অধিকারবঞ্চিত মানুষের তীব্র হাহাকার ছিল। মজলুমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ছিল আকাশ-বাতাস। গলাকাটা প্রাণীর মতো তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে নিগৃহীত নারীসমাজ। দাসদাসীদের ওপর যেখানে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল জুলুমের হিমালয়। এমন এক সঙিন মুহূর্তে পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে পাঠিয়েছেন।
মহানবী (সা.) তখনো নবী হননি। তবে নিজের অনন্য গুণ বলে তত দিনে মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। আরবের মানুষ তাঁকে ‘আল আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ আখ্যায়িত করেছিল। মক্কায় নিপীড়িতের অধিকার রক্ষা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে মুষ্টিবদ্ধ শপথ করেছিলেন। এ সংঘের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণখচিত হয়ে আছে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে। মহানবী (সা.) ছিলেন এই মহান সংগ্রামীদের একজন।
ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তিনি এতই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন যে জীবনের কঠিন থেকে কঠিনতম মুহূর্তেও তা থেকে সামান্য বিচ্যুত হননি। নবীজির প্রিয় চাচা হামজা বিন আবদুল মুত্তালিবের হন্তারক ওয়াহশি যখন ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেন, তিনি তাঁর ভয়াবহ অপরাধও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাঁকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও তা করেননি।
হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় যখন সাহাবায়ে কেরাম প্রতিশোধ চেতনায় উন্মুখ ছিলেন, তখনো তিনি প্রতিশোধমূলক আচরণ করেননি। কুরাইশদের অযৌক্তিক সব ধারা সত্ত্বেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি তাদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন। কারণ তারা লড়াইয়ের পরিবর্তে সন্ধির পথ চেয়েছিল। অষ্টম হিজরিতে চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে নবী (সা.) যখন মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন, তখন মক্কার উপকণ্ঠে কাফের নেতা আবু সুফিয়ানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। নবী (সা.) চাইলে তখনই তাকে হত্যা করতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। অথচ আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বেই কুরাইশরা নবীজির বিরুদ্ধে অনেক যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।
মহানবী (সা.)-এর আগমনের আগেই দাসদের অবস্থা ছিল অবর্ণনীয়। তাদের মানুষ পর্যন্ত মনে করা হতো না। হেন কোনো অবিচার নেই, যা তাদের সঙ্গে করা হতো না। জীবনযাপনের ন্যূনতম অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হতো। তিনিই সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেছেন, ‘তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। তোমরা যা খাও, তাদের তা-ই খাওয়াবে। তোমরা যা পরিধান করো, তাদের তা-ই পরিধান করাবে। এমন কাজের দায়িত্বভার তাদের দিয়ো না, যা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। যদি দিতেই হয়, তবে তাদের সাহায্য করো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোরআন-হাদিসের একাধিক জায়গায় দাসদের সঙ্গে সদাচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবী (সা.) কেবল সেটা আদেশ করেই ক্ষান্ত হননি, বাস্তবজীবনে সেটা প্রয়োগ করেও দেখিয়েছেন। নবীজির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর (রা) যখন জেরুসালেম সফরে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর একজন দাস। তাঁরা পালাক্রমে উঠের পিঠে আরোহণ করতেন। একজন উঠের পিঠে থাকলে অপরজন সেটা টেনে নিয়ে যেতেন। এভাবে যখন তাঁরা জেরুজালেমের কাছাকাছি পৌঁছালেন, তখন ছিল দাসের আরোহণ করার পালা।
হজরত ওমর নিঃসংকোচে গোলামকে উটের পিঠে আরোহণ করিয়ে নিজে টেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন।
মহানবী (সা)-এর ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মুসলিম-অমুসলিমের ভেদাভেদ ছিল না। নীতির বেলায় তিনি তাঁর অনুসারী কিংবা বিরোধীদের মধ্যে কোনো বাছবিচার করেননি। তিনিই উচ্চারণ করেছিলেন, ‘যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, তবে আমি তার হাত কেটে ফেলতে দ্বিধা করতাম না।’ আশআস বিন কায়েস বলেন, একটি জমি নিয়ে আমার ও এক ইহুদির মধ্যে বিরোধ ছিল। আমি বিষয়টি নবীজির সামনে উত্থাপন করলাম। নবীজি বললেন, ‘তোমার কাছে কি তোমার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে?’ আমি না-সূচক উত্তর দিলাম। তিনি ইহুদিকে লক্ষ করে বললেন, ‘তুমি কি আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে পারবে?’ সঙ্গে সঙ্গে আমি বলে উঠলাম, ‘শপথের সুযোগ পেলে তো সে শপথ করে সব নিয়ে নেবে।’ (বুখারি)
বিচারের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হলো, বাদীকে তার দাবির পক্ষে কমপক্ষে দুজন কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে চারজন সাক্ষী উপস্থাপন করতে হবে। সে যদি সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারে, তবে বিবাদী থেকে শপথ নেওয়া হবে। চিন্তা করে দেখুন, একজন ইহুদি (যারা কি না ইসলামের আজন্ম শত্রু) নবীজির সাহাবির সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ করছে। আর তিনি বিন্দুমাত্র নীতি থেকে সরলেন না।
উম্মতের প্রয়োজনে আল্লাহর হুকুমে মহানবী (সা.) ১১টি বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীদের মধ্যে তিনি পূর্ণ সমতা বিধান রক্ষা করেছেন।
প্রত্যেকের জন্য পৃথক ঘর ছিল। সবার কাছেই তিনি সমানভাবে যেতেন। মৃত্যুর তিন দিন আগে পর্যন্ত তিনি এ বিধান রক্ষা করেছেন। নবীজির জন্য বাধ্যবাধকতা ছিল না। তবুও তিনি এর অন্যথা করেননি। এক দিন তিনি এক স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করছিলেন। অন্য এক স্ত্রীর ঘর থেকে একজন লোককে দিয়ে একটি বাটিতে কিছু খাবার পাঠানো হলো নবীজির জন্য। ঘরে থাকা স্ত্রী লোকটির হাত থেকে বাটিটি নিয়ে ভেঙে ফেললেন। নবীজি হেসে বললেন, ‘তোমাদের মা রাগ করেছেন।’ এরপর তিনি সেই স্ত্রীর ঘর থেকে ভালো একটি বাটি নিয়ে অন্য স্ত্রীর ঘরে পাঠিয়ে দিলেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

ইতিহাসের এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মানবতার আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো আবির্ভাব ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর। অন্যায়-অনাচারে ভরে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। চারদিকে অধিকারবঞ্চিত মানুষের তীব্র হাহাকার ছিল। মজলুমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ছিল আকাশ-বাতাস। গলাকাটা প্রাণীর মতো তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে নিগৃহীত নারীসমাজ। দাসদাসীদের ওপর যেখানে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল জুলুমের হিমালয়। এমন এক সঙিন মুহূর্তে পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে পাঠিয়েছেন।
মহানবী (সা.) তখনো নবী হননি। তবে নিজের অনন্য গুণ বলে তত দিনে মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। আরবের মানুষ তাঁকে ‘আল আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ আখ্যায়িত করেছিল। মক্কায় নিপীড়িতের অধিকার রক্ষা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে মুষ্টিবদ্ধ শপথ করেছিলেন। এ সংঘের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণখচিত হয়ে আছে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে। মহানবী (সা.) ছিলেন এই মহান সংগ্রামীদের একজন।
ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তিনি এতই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন যে জীবনের কঠিন থেকে কঠিনতম মুহূর্তেও তা থেকে সামান্য বিচ্যুত হননি। নবীজির প্রিয় চাচা হামজা বিন আবদুল মুত্তালিবের হন্তারক ওয়াহশি যখন ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেন, তিনি তাঁর ভয়াবহ অপরাধও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাঁকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও তা করেননি।
হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় যখন সাহাবায়ে কেরাম প্রতিশোধ চেতনায় উন্মুখ ছিলেন, তখনো তিনি প্রতিশোধমূলক আচরণ করেননি। কুরাইশদের অযৌক্তিক সব ধারা সত্ত্বেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি তাদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন। কারণ তারা লড়াইয়ের পরিবর্তে সন্ধির পথ চেয়েছিল। অষ্টম হিজরিতে চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে নবী (সা.) যখন মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন, তখন মক্কার উপকণ্ঠে কাফের নেতা আবু সুফিয়ানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। নবী (সা.) চাইলে তখনই তাকে হত্যা করতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। অথচ আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বেই কুরাইশরা নবীজির বিরুদ্ধে অনেক যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।
মহানবী (সা.)-এর আগমনের আগেই দাসদের অবস্থা ছিল অবর্ণনীয়। তাদের মানুষ পর্যন্ত মনে করা হতো না। হেন কোনো অবিচার নেই, যা তাদের সঙ্গে করা হতো না। জীবনযাপনের ন্যূনতম অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হতো। তিনিই সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেছেন, ‘তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। তোমরা যা খাও, তাদের তা-ই খাওয়াবে। তোমরা যা পরিধান করো, তাদের তা-ই পরিধান করাবে। এমন কাজের দায়িত্বভার তাদের দিয়ো না, যা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। যদি দিতেই হয়, তবে তাদের সাহায্য করো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোরআন-হাদিসের একাধিক জায়গায় দাসদের সঙ্গে সদাচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবী (সা.) কেবল সেটা আদেশ করেই ক্ষান্ত হননি, বাস্তবজীবনে সেটা প্রয়োগ করেও দেখিয়েছেন। নবীজির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর (রা) যখন জেরুসালেম সফরে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর একজন দাস। তাঁরা পালাক্রমে উঠের পিঠে আরোহণ করতেন। একজন উঠের পিঠে থাকলে অপরজন সেটা টেনে নিয়ে যেতেন। এভাবে যখন তাঁরা জেরুজালেমের কাছাকাছি পৌঁছালেন, তখন ছিল দাসের আরোহণ করার পালা।
হজরত ওমর নিঃসংকোচে গোলামকে উটের পিঠে আরোহণ করিয়ে নিজে টেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন।
মহানবী (সা)-এর ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মুসলিম-অমুসলিমের ভেদাভেদ ছিল না। নীতির বেলায় তিনি তাঁর অনুসারী কিংবা বিরোধীদের মধ্যে কোনো বাছবিচার করেননি। তিনিই উচ্চারণ করেছিলেন, ‘যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, তবে আমি তার হাত কেটে ফেলতে দ্বিধা করতাম না।’ আশআস বিন কায়েস বলেন, একটি জমি নিয়ে আমার ও এক ইহুদির মধ্যে বিরোধ ছিল। আমি বিষয়টি নবীজির সামনে উত্থাপন করলাম। নবীজি বললেন, ‘তোমার কাছে কি তোমার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে?’ আমি না-সূচক উত্তর দিলাম। তিনি ইহুদিকে লক্ষ করে বললেন, ‘তুমি কি আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে পারবে?’ সঙ্গে সঙ্গে আমি বলে উঠলাম, ‘শপথের সুযোগ পেলে তো সে শপথ করে সব নিয়ে নেবে।’ (বুখারি)
বিচারের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হলো, বাদীকে তার দাবির পক্ষে কমপক্ষে দুজন কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে চারজন সাক্ষী উপস্থাপন করতে হবে। সে যদি সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারে, তবে বিবাদী থেকে শপথ নেওয়া হবে। চিন্তা করে দেখুন, একজন ইহুদি (যারা কি না ইসলামের আজন্ম শত্রু) নবীজির সাহাবির সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ করছে। আর তিনি বিন্দুমাত্র নীতি থেকে সরলেন না।
উম্মতের প্রয়োজনে আল্লাহর হুকুমে মহানবী (সা.) ১১টি বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীদের মধ্যে তিনি পূর্ণ সমতা বিধান রক্ষা করেছেন।
প্রত্যেকের জন্য পৃথক ঘর ছিল। সবার কাছেই তিনি সমানভাবে যেতেন। মৃত্যুর তিন দিন আগে পর্যন্ত তিনি এ বিধান রক্ষা করেছেন। নবীজির জন্য বাধ্যবাধকতা ছিল না। তবুও তিনি এর অন্যথা করেননি। এক দিন তিনি এক স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করছিলেন। অন্য এক স্ত্রীর ঘর থেকে একজন লোককে দিয়ে একটি বাটিতে কিছু খাবার পাঠানো হলো নবীজির জন্য। ঘরে থাকা স্ত্রী লোকটির হাত থেকে বাটিটি নিয়ে ভেঙে ফেললেন। নবীজি হেসে বললেন, ‘তোমাদের মা রাগ করেছেন।’ এরপর তিনি সেই স্ত্রীর ঘর থেকে ভালো একটি বাটি নিয়ে অন্য স্ত্রীর ঘরে পাঠিয়ে দিলেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
আবদুল আযীয কাসেমি

ইতিহাসের এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মানবতার আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো আবির্ভাব ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর। অন্যায়-অনাচারে ভরে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। চারদিকে অধিকারবঞ্চিত মানুষের তীব্র হাহাকার ছিল। মজলুমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ছিল আকাশ-বাতাস। গলাকাটা প্রাণীর মতো তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে নিগৃহীত নারীসমাজ। দাসদাসীদের ওপর যেখানে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল জুলুমের হিমালয়। এমন এক সঙিন মুহূর্তে পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে পাঠিয়েছেন।
মহানবী (সা.) তখনো নবী হননি। তবে নিজের অনন্য গুণ বলে তত দিনে মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। আরবের মানুষ তাঁকে ‘আল আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ আখ্যায়িত করেছিল। মক্কায় নিপীড়িতের অধিকার রক্ষা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে মুষ্টিবদ্ধ শপথ করেছিলেন। এ সংঘের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণখচিত হয়ে আছে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে। মহানবী (সা.) ছিলেন এই মহান সংগ্রামীদের একজন।
ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তিনি এতই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন যে জীবনের কঠিন থেকে কঠিনতম মুহূর্তেও তা থেকে সামান্য বিচ্যুত হননি। নবীজির প্রিয় চাচা হামজা বিন আবদুল মুত্তালিবের হন্তারক ওয়াহশি যখন ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেন, তিনি তাঁর ভয়াবহ অপরাধও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাঁকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও তা করেননি।
হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় যখন সাহাবায়ে কেরাম প্রতিশোধ চেতনায় উন্মুখ ছিলেন, তখনো তিনি প্রতিশোধমূলক আচরণ করেননি। কুরাইশদের অযৌক্তিক সব ধারা সত্ত্বেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি তাদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন। কারণ তারা লড়াইয়ের পরিবর্তে সন্ধির পথ চেয়েছিল। অষ্টম হিজরিতে চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে নবী (সা.) যখন মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন, তখন মক্কার উপকণ্ঠে কাফের নেতা আবু সুফিয়ানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। নবী (সা.) চাইলে তখনই তাকে হত্যা করতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। অথচ আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বেই কুরাইশরা নবীজির বিরুদ্ধে অনেক যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।
মহানবী (সা.)-এর আগমনের আগেই দাসদের অবস্থা ছিল অবর্ণনীয়। তাদের মানুষ পর্যন্ত মনে করা হতো না। হেন কোনো অবিচার নেই, যা তাদের সঙ্গে করা হতো না। জীবনযাপনের ন্যূনতম অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হতো। তিনিই সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেছেন, ‘তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। তোমরা যা খাও, তাদের তা-ই খাওয়াবে। তোমরা যা পরিধান করো, তাদের তা-ই পরিধান করাবে। এমন কাজের দায়িত্বভার তাদের দিয়ো না, যা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। যদি দিতেই হয়, তবে তাদের সাহায্য করো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোরআন-হাদিসের একাধিক জায়গায় দাসদের সঙ্গে সদাচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবী (সা.) কেবল সেটা আদেশ করেই ক্ষান্ত হননি, বাস্তবজীবনে সেটা প্রয়োগ করেও দেখিয়েছেন। নবীজির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর (রা) যখন জেরুসালেম সফরে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর একজন দাস। তাঁরা পালাক্রমে উঠের পিঠে আরোহণ করতেন। একজন উঠের পিঠে থাকলে অপরজন সেটা টেনে নিয়ে যেতেন। এভাবে যখন তাঁরা জেরুজালেমের কাছাকাছি পৌঁছালেন, তখন ছিল দাসের আরোহণ করার পালা।
হজরত ওমর নিঃসংকোচে গোলামকে উটের পিঠে আরোহণ করিয়ে নিজে টেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন।
মহানবী (সা)-এর ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মুসলিম-অমুসলিমের ভেদাভেদ ছিল না। নীতির বেলায় তিনি তাঁর অনুসারী কিংবা বিরোধীদের মধ্যে কোনো বাছবিচার করেননি। তিনিই উচ্চারণ করেছিলেন, ‘যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, তবে আমি তার হাত কেটে ফেলতে দ্বিধা করতাম না।’ আশআস বিন কায়েস বলেন, একটি জমি নিয়ে আমার ও এক ইহুদির মধ্যে বিরোধ ছিল। আমি বিষয়টি নবীজির সামনে উত্থাপন করলাম। নবীজি বললেন, ‘তোমার কাছে কি তোমার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে?’ আমি না-সূচক উত্তর দিলাম। তিনি ইহুদিকে লক্ষ করে বললেন, ‘তুমি কি আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে পারবে?’ সঙ্গে সঙ্গে আমি বলে উঠলাম, ‘শপথের সুযোগ পেলে তো সে শপথ করে সব নিয়ে নেবে।’ (বুখারি)
বিচারের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হলো, বাদীকে তার দাবির পক্ষে কমপক্ষে দুজন কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে চারজন সাক্ষী উপস্থাপন করতে হবে। সে যদি সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারে, তবে বিবাদী থেকে শপথ নেওয়া হবে। চিন্তা করে দেখুন, একজন ইহুদি (যারা কি না ইসলামের আজন্ম শত্রু) নবীজির সাহাবির সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ করছে। আর তিনি বিন্দুমাত্র নীতি থেকে সরলেন না।
উম্মতের প্রয়োজনে আল্লাহর হুকুমে মহানবী (সা.) ১১টি বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীদের মধ্যে তিনি পূর্ণ সমতা বিধান রক্ষা করেছেন।
প্রত্যেকের জন্য পৃথক ঘর ছিল। সবার কাছেই তিনি সমানভাবে যেতেন। মৃত্যুর তিন দিন আগে পর্যন্ত তিনি এ বিধান রক্ষা করেছেন। নবীজির জন্য বাধ্যবাধকতা ছিল না। তবুও তিনি এর অন্যথা করেননি। এক দিন তিনি এক স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করছিলেন। অন্য এক স্ত্রীর ঘর থেকে একজন লোককে দিয়ে একটি বাটিতে কিছু খাবার পাঠানো হলো নবীজির জন্য। ঘরে থাকা স্ত্রী লোকটির হাত থেকে বাটিটি নিয়ে ভেঙে ফেললেন। নবীজি হেসে বললেন, ‘তোমাদের মা রাগ করেছেন।’ এরপর তিনি সেই স্ত্রীর ঘর থেকে ভালো একটি বাটি নিয়ে অন্য স্ত্রীর ঘরে পাঠিয়ে দিলেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

ইতিহাসের এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মানবতার আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো আবির্ভাব ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর। অন্যায়-অনাচারে ভরে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। চারদিকে অধিকারবঞ্চিত মানুষের তীব্র হাহাকার ছিল। মজলুমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ছিল আকাশ-বাতাস। গলাকাটা প্রাণীর মতো তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে নিগৃহীত নারীসমাজ। দাসদাসীদের ওপর যেখানে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল জুলুমের হিমালয়। এমন এক সঙিন মুহূর্তে পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-কে পাঠিয়েছেন।
মহানবী (সা.) তখনো নবী হননি। তবে নিজের অনন্য গুণ বলে তত দিনে মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। আরবের মানুষ তাঁকে ‘আল আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ আখ্যায়িত করেছিল। মক্কায় নিপীড়িতের অধিকার রক্ষা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে মুষ্টিবদ্ধ শপথ করেছিলেন। এ সংঘের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণখচিত হয়ে আছে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে। মহানবী (সা.) ছিলেন এই মহান সংগ্রামীদের একজন।
ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তিনি এতই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন যে জীবনের কঠিন থেকে কঠিনতম মুহূর্তেও তা থেকে সামান্য বিচ্যুত হননি। নবীজির প্রিয় চাচা হামজা বিন আবদুল মুত্তালিবের হন্তারক ওয়াহশি যখন ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেন, তিনি তাঁর ভয়াবহ অপরাধও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাঁকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও তা করেননি।
হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় যখন সাহাবায়ে কেরাম প্রতিশোধ চেতনায় উন্মুখ ছিলেন, তখনো তিনি প্রতিশোধমূলক আচরণ করেননি। কুরাইশদের অযৌক্তিক সব ধারা সত্ত্বেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি তাদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন। কারণ তারা লড়াইয়ের পরিবর্তে সন্ধির পথ চেয়েছিল। অষ্টম হিজরিতে চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে নবী (সা.) যখন মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে রওনা হলেন, তখন মক্কার উপকণ্ঠে কাফের নেতা আবু সুফিয়ানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। নবী (সা.) চাইলে তখনই তাকে হত্যা করতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। অথচ আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বেই কুরাইশরা নবীজির বিরুদ্ধে অনেক যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।
মহানবী (সা.)-এর আগমনের আগেই দাসদের অবস্থা ছিল অবর্ণনীয়। তাদের মানুষ পর্যন্ত মনে করা হতো না। হেন কোনো অবিচার নেই, যা তাদের সঙ্গে করা হতো না। জীবনযাপনের ন্যূনতম অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হতো। তিনিই সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেছেন, ‘তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। তোমরা যা খাও, তাদের তা-ই খাওয়াবে। তোমরা যা পরিধান করো, তাদের তা-ই পরিধান করাবে। এমন কাজের দায়িত্বভার তাদের দিয়ো না, যা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। যদি দিতেই হয়, তবে তাদের সাহায্য করো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
কোরআন-হাদিসের একাধিক জায়গায় দাসদের সঙ্গে সদাচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবী (সা.) কেবল সেটা আদেশ করেই ক্ষান্ত হননি, বাস্তবজীবনে সেটা প্রয়োগ করেও দেখিয়েছেন। নবীজির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর (রা) যখন জেরুসালেম সফরে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর একজন দাস। তাঁরা পালাক্রমে উঠের পিঠে আরোহণ করতেন। একজন উঠের পিঠে থাকলে অপরজন সেটা টেনে নিয়ে যেতেন। এভাবে যখন তাঁরা জেরুজালেমের কাছাকাছি পৌঁছালেন, তখন ছিল দাসের আরোহণ করার পালা।
হজরত ওমর নিঃসংকোচে গোলামকে উটের পিঠে আরোহণ করিয়ে নিজে টেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন।
মহানবী (সা)-এর ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মুসলিম-অমুসলিমের ভেদাভেদ ছিল না। নীতির বেলায় তিনি তাঁর অনুসারী কিংবা বিরোধীদের মধ্যে কোনো বাছবিচার করেননি। তিনিই উচ্চারণ করেছিলেন, ‘যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, তবে আমি তার হাত কেটে ফেলতে দ্বিধা করতাম না।’ আশআস বিন কায়েস বলেন, একটি জমি নিয়ে আমার ও এক ইহুদির মধ্যে বিরোধ ছিল। আমি বিষয়টি নবীজির সামনে উত্থাপন করলাম। নবীজি বললেন, ‘তোমার কাছে কি তোমার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ আছে?’ আমি না-সূচক উত্তর দিলাম। তিনি ইহুদিকে লক্ষ করে বললেন, ‘তুমি কি আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে পারবে?’ সঙ্গে সঙ্গে আমি বলে উঠলাম, ‘শপথের সুযোগ পেলে তো সে শপথ করে সব নিয়ে নেবে।’ (বুখারি)
বিচারের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হলো, বাদীকে তার দাবির পক্ষে কমপক্ষে দুজন কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে চারজন সাক্ষী উপস্থাপন করতে হবে। সে যদি সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারে, তবে বিবাদী থেকে শপথ নেওয়া হবে। চিন্তা করে দেখুন, একজন ইহুদি (যারা কি না ইসলামের আজন্ম শত্রু) নবীজির সাহাবির সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ করছে। আর তিনি বিন্দুমাত্র নীতি থেকে সরলেন না।
উম্মতের প্রয়োজনে আল্লাহর হুকুমে মহানবী (সা.) ১১টি বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীদের মধ্যে তিনি পূর্ণ সমতা বিধান রক্ষা করেছেন।
প্রত্যেকের জন্য পৃথক ঘর ছিল। সবার কাছেই তিনি সমানভাবে যেতেন। মৃত্যুর তিন দিন আগে পর্যন্ত তিনি এ বিধান রক্ষা করেছেন। নবীজির জন্য বাধ্যবাধকতা ছিল না। তবুও তিনি এর অন্যথা করেননি। এক দিন তিনি এক স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করছিলেন। অন্য এক স্ত্রীর ঘর থেকে একজন লোককে দিয়ে একটি বাটিতে কিছু খাবার পাঠানো হলো নবীজির জন্য। ঘরে থাকা স্ত্রী লোকটির হাত থেকে বাটিটি নিয়ে ভেঙে ফেললেন। নবীজি হেসে বললেন, ‘তোমাদের মা রাগ করেছেন।’ এরপর তিনি সেই স্ত্রীর ঘর থেকে ভালো একটি বাটি নিয়ে অন্য স্ত্রীর ঘরে পাঠিয়ে দিলেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইতিহাসের এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মানবতার আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো আবির্ভাব ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর। অন্যায়-অনাচারে ভরে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। চারদিকে অধিকারবঞ্চিত মানুষের তীব্র হাহাকার ছিল। মজলুমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ছিল আকাশ-বাতাস। গলাকাটা প্রাণীর মতো তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে নিগৃহীত নারীসমাজ।
০৩ নভেম্বর ২০২৩
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেআবরার নাঈম

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

ইতিহাসের এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মানবতার আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো আবির্ভাব ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর। অন্যায়-অনাচারে ভরে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। চারদিকে অধিকারবঞ্চিত মানুষের তীব্র হাহাকার ছিল। মজলুমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ছিল আকাশ-বাতাস। গলাকাটা প্রাণীর মতো তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে নিগৃহীত নারীসমাজ।
০৩ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

ইতিহাসের এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মানবতার আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো আবির্ভাব ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর। অন্যায়-অনাচারে ভরে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। চারদিকে অধিকারবঞ্চিত মানুষের তীব্র হাহাকার ছিল। মজলুমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ছিল আকাশ-বাতাস। গলাকাটা প্রাণীর মতো তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে নিগৃহীত নারীসমাজ।
০৩ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইতিহাসের এক কঠিন সন্ধিক্ষণে মানবতার আকাশে উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মতো আবির্ভাব ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর। অন্যায়-অনাচারে ভরে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। চারদিকে অধিকারবঞ্চিত মানুষের তীব্র হাহাকার ছিল। মজলুমের আহাজারিতে ভারী হয়ে ছিল আকাশ-বাতাস। গলাকাটা প্রাণীর মতো তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে নিগৃহীত নারীসমাজ।
০৩ নভেম্বর ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে