আবদুল আযীয কাসেমি
সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির যুগ থেকে আজ পর্যন্ত অন্যান্য মৌলিক ইবাদতের মতো সদকাতুল ফিতরও মুসলমানেরা আদায় করে আসছেন।
সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট শব্দে সদকাতুল ফিতরের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফল্য অর্জন করবে সে, যে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করবে ও সালাত আদায় করবে।’ (সুরা আলা: ১৪-১৫)
সাহাবি ও তাবেয়িদের একটি উল্লেখযোগ্য দল মনে করেন, এ আয়াতে পবিত্রতা বলতে সদকাতুল ফিতর বোঝানো হয়েছে। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, এখানে জাকাত উদ্দেশ্য। আবার কেউ নিজেদের আমলের মাধ্যমে মনের পবিত্রতার কথা বুঝিয়েছেন। মোটকথা, সদকাতুল ফিতরের ব্যাপারে আয়াতটি দ্ব্যর্থহীন না হলেও ইঙ্গিতবহ।
এ প্রসঙ্গে হাদিসের বক্তব্য একেবারে দ্ব্যর্থহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের ওপর রমজানে সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন—প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীনের ওপর এক সা খেজুর বা এক সা যব।’ (সহিহ্ বুখারি) উল্লেখ্য, এক সা সমান ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন, সে যেন মক্কার পথে পথে এ ঘোষণা দেয়—ভালো করে শোনো, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীন, ছোট-বড় সকলের ওপর সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য। দুই মুদ তথা আধা সা গম অথবা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য থেকে এক সা। (তিরমিজি) উল্লেখ্য, আধা সা সমান ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
ওপরের মূলনীতির আলোকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
সদকাতুল ফিতর কেন দিতে হয়
সদকাতুল ফিতরের মূলকথা হলো, এটি একটি বিশুদ্ধ ইবাদত, যা আদায়ের জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদকাতুল ফিতরের আরও দুটি তাৎপর্যের কথা একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন; অর্থহীন, অশালীন কথা ও কাজের কারণে রোজার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের জন্য এবং নিঃস্ব লোকদের আহার জোগানোর জন্য। (আবু দাউদ)
সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হয়
সদকাতুল ফিতর একজন মুসলিমের ওপর নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই ওয়াজিব হয়ে যায়। নিসাব পরিমাণ মানে হলো—সোনা, রুপা, ব্যবসায়িক পণ্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্রের মূল্য ও নগদ ক্যাশ—এ পাঁচ ধরনের সম্পদ মিলে বা এর কোনো একটিও যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তাদের ওপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়। এখানে লক্ষণীয় হলো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বলতে উদ্দেশ্য হলো—যা বছরে সাধারণত একবারও ব্যবহার হয় না। যেমন—
-অতিরিক্ত কাপড়চোপড়, যা বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-টেলিভিশন, অবৈধ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইত্যাদি
-শৌখিন আসবাবপত্র—তা ব্যবহৃত হোক বা না হোক। যেমন মাছের এ্যকুরিয়াম, পোষা পাখি ইত্যাদি।
-অতিরিক্ত ডেগ-পাতিল যেগুলো বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি, যা বছরে খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না।
-খালি পড়ে আছে এমন ঘরবাড়ি।
এসব বিষয় যদিও জাকাতের নিসাবে ধর্তব্য নয়, কিন্তু জাকাতের অনুপযুক্ত হওয়া, সদকাতুল ফিতর ও কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্তব্য হবে।
বিবিধ মাসায়েল
ক. সদকাতুল ফিতর ব্যয়ের খাত তা-ই, যা জাকাতের খাত। তবে গরিব-মিসকিনকে দেওয়াই সর্বোত্তম।
খ. যে ব্যক্তি যেখানে বসবাস করছে সেখানকার হিসেবেই সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।
গ. নাবালক ও পাগলের সম্পদে জাকাত না আসলেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। তাদের পক্ষে তাদের অভিভাবক তা আদায় করবেন।
ঘ. সদকাতুল ফিতর গ্রহীতাকে যা দেওয়া হবে তার মালিকানা সত্ত্ব প্রদান করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক
সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির যুগ থেকে আজ পর্যন্ত অন্যান্য মৌলিক ইবাদতের মতো সদকাতুল ফিতরও মুসলমানেরা আদায় করে আসছেন।
সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট শব্দে সদকাতুল ফিতরের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফল্য অর্জন করবে সে, যে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করবে ও সালাত আদায় করবে।’ (সুরা আলা: ১৪-১৫)
সাহাবি ও তাবেয়িদের একটি উল্লেখযোগ্য দল মনে করেন, এ আয়াতে পবিত্রতা বলতে সদকাতুল ফিতর বোঝানো হয়েছে। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, এখানে জাকাত উদ্দেশ্য। আবার কেউ নিজেদের আমলের মাধ্যমে মনের পবিত্রতার কথা বুঝিয়েছেন। মোটকথা, সদকাতুল ফিতরের ব্যাপারে আয়াতটি দ্ব্যর্থহীন না হলেও ইঙ্গিতবহ।
এ প্রসঙ্গে হাদিসের বক্তব্য একেবারে দ্ব্যর্থহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের ওপর রমজানে সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন—প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীনের ওপর এক সা খেজুর বা এক সা যব।’ (সহিহ্ বুখারি) উল্লেখ্য, এক সা সমান ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন, সে যেন মক্কার পথে পথে এ ঘোষণা দেয়—ভালো করে শোনো, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীন, ছোট-বড় সকলের ওপর সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য। দুই মুদ তথা আধা সা গম অথবা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য থেকে এক সা। (তিরমিজি) উল্লেখ্য, আধা সা সমান ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
ওপরের মূলনীতির আলোকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
সদকাতুল ফিতর কেন দিতে হয়
সদকাতুল ফিতরের মূলকথা হলো, এটি একটি বিশুদ্ধ ইবাদত, যা আদায়ের জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদকাতুল ফিতরের আরও দুটি তাৎপর্যের কথা একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন; অর্থহীন, অশালীন কথা ও কাজের কারণে রোজার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের জন্য এবং নিঃস্ব লোকদের আহার জোগানোর জন্য। (আবু দাউদ)
সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হয়
সদকাতুল ফিতর একজন মুসলিমের ওপর নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই ওয়াজিব হয়ে যায়। নিসাব পরিমাণ মানে হলো—সোনা, রুপা, ব্যবসায়িক পণ্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্রের মূল্য ও নগদ ক্যাশ—এ পাঁচ ধরনের সম্পদ মিলে বা এর কোনো একটিও যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তাদের ওপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়। এখানে লক্ষণীয় হলো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বলতে উদ্দেশ্য হলো—যা বছরে সাধারণত একবারও ব্যবহার হয় না। যেমন—
-অতিরিক্ত কাপড়চোপড়, যা বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-টেলিভিশন, অবৈধ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইত্যাদি
-শৌখিন আসবাবপত্র—তা ব্যবহৃত হোক বা না হোক। যেমন মাছের এ্যকুরিয়াম, পোষা পাখি ইত্যাদি।
-অতিরিক্ত ডেগ-পাতিল যেগুলো বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি, যা বছরে খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না।
-খালি পড়ে আছে এমন ঘরবাড়ি।
এসব বিষয় যদিও জাকাতের নিসাবে ধর্তব্য নয়, কিন্তু জাকাতের অনুপযুক্ত হওয়া, সদকাতুল ফিতর ও কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্তব্য হবে।
বিবিধ মাসায়েল
ক. সদকাতুল ফিতর ব্যয়ের খাত তা-ই, যা জাকাতের খাত। তবে গরিব-মিসকিনকে দেওয়াই সর্বোত্তম।
খ. যে ব্যক্তি যেখানে বসবাস করছে সেখানকার হিসেবেই সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।
গ. নাবালক ও পাগলের সম্পদে জাকাত না আসলেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। তাদের পক্ষে তাদের অভিভাবক তা আদায় করবেন।
ঘ. সদকাতুল ফিতর গ্রহীতাকে যা দেওয়া হবে তার মালিকানা সত্ত্ব প্রদান করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক
আবদুল আযীয কাসেমি
সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির যুগ থেকে আজ পর্যন্ত অন্যান্য মৌলিক ইবাদতের মতো সদকাতুল ফিতরও মুসলমানেরা আদায় করে আসছেন।
সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট শব্দে সদকাতুল ফিতরের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফল্য অর্জন করবে সে, যে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করবে ও সালাত আদায় করবে।’ (সুরা আলা: ১৪-১৫)
সাহাবি ও তাবেয়িদের একটি উল্লেখযোগ্য দল মনে করেন, এ আয়াতে পবিত্রতা বলতে সদকাতুল ফিতর বোঝানো হয়েছে। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, এখানে জাকাত উদ্দেশ্য। আবার কেউ নিজেদের আমলের মাধ্যমে মনের পবিত্রতার কথা বুঝিয়েছেন। মোটকথা, সদকাতুল ফিতরের ব্যাপারে আয়াতটি দ্ব্যর্থহীন না হলেও ইঙ্গিতবহ।
এ প্রসঙ্গে হাদিসের বক্তব্য একেবারে দ্ব্যর্থহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের ওপর রমজানে সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন—প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীনের ওপর এক সা খেজুর বা এক সা যব।’ (সহিহ্ বুখারি) উল্লেখ্য, এক সা সমান ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন, সে যেন মক্কার পথে পথে এ ঘোষণা দেয়—ভালো করে শোনো, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীন, ছোট-বড় সকলের ওপর সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য। দুই মুদ তথা আধা সা গম অথবা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য থেকে এক সা। (তিরমিজি) উল্লেখ্য, আধা সা সমান ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
ওপরের মূলনীতির আলোকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
সদকাতুল ফিতর কেন দিতে হয়
সদকাতুল ফিতরের মূলকথা হলো, এটি একটি বিশুদ্ধ ইবাদত, যা আদায়ের জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদকাতুল ফিতরের আরও দুটি তাৎপর্যের কথা একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন; অর্থহীন, অশালীন কথা ও কাজের কারণে রোজার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের জন্য এবং নিঃস্ব লোকদের আহার জোগানোর জন্য। (আবু দাউদ)
সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হয়
সদকাতুল ফিতর একজন মুসলিমের ওপর নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই ওয়াজিব হয়ে যায়। নিসাব পরিমাণ মানে হলো—সোনা, রুপা, ব্যবসায়িক পণ্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্রের মূল্য ও নগদ ক্যাশ—এ পাঁচ ধরনের সম্পদ মিলে বা এর কোনো একটিও যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তাদের ওপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়। এখানে লক্ষণীয় হলো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বলতে উদ্দেশ্য হলো—যা বছরে সাধারণত একবারও ব্যবহার হয় না। যেমন—
-অতিরিক্ত কাপড়চোপড়, যা বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-টেলিভিশন, অবৈধ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইত্যাদি
-শৌখিন আসবাবপত্র—তা ব্যবহৃত হোক বা না হোক। যেমন মাছের এ্যকুরিয়াম, পোষা পাখি ইত্যাদি।
-অতিরিক্ত ডেগ-পাতিল যেগুলো বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি, যা বছরে খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না।
-খালি পড়ে আছে এমন ঘরবাড়ি।
এসব বিষয় যদিও জাকাতের নিসাবে ধর্তব্য নয়, কিন্তু জাকাতের অনুপযুক্ত হওয়া, সদকাতুল ফিতর ও কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্তব্য হবে।
বিবিধ মাসায়েল
ক. সদকাতুল ফিতর ব্যয়ের খাত তা-ই, যা জাকাতের খাত। তবে গরিব-মিসকিনকে দেওয়াই সর্বোত্তম।
খ. যে ব্যক্তি যেখানে বসবাস করছে সেখানকার হিসেবেই সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।
গ. নাবালক ও পাগলের সম্পদে জাকাত না আসলেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। তাদের পক্ষে তাদের অভিভাবক তা আদায় করবেন।
ঘ. সদকাতুল ফিতর গ্রহীতাকে যা দেওয়া হবে তার মালিকানা সত্ত্ব প্রদান করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক
সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির যুগ থেকে আজ পর্যন্ত অন্যান্য মৌলিক ইবাদতের মতো সদকাতুল ফিতরও মুসলমানেরা আদায় করে আসছেন।
সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট শব্দে সদকাতুল ফিতরের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফল্য অর্জন করবে সে, যে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করবে ও সালাত আদায় করবে।’ (সুরা আলা: ১৪-১৫)
সাহাবি ও তাবেয়িদের একটি উল্লেখযোগ্য দল মনে করেন, এ আয়াতে পবিত্রতা বলতে সদকাতুল ফিতর বোঝানো হয়েছে। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, এখানে জাকাত উদ্দেশ্য। আবার কেউ নিজেদের আমলের মাধ্যমে মনের পবিত্রতার কথা বুঝিয়েছেন। মোটকথা, সদকাতুল ফিতরের ব্যাপারে আয়াতটি দ্ব্যর্থহীন না হলেও ইঙ্গিতবহ।
এ প্রসঙ্গে হাদিসের বক্তব্য একেবারে দ্ব্যর্থহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের ওপর রমজানে সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন—প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীনের ওপর এক সা খেজুর বা এক সা যব।’ (সহিহ্ বুখারি) উল্লেখ্য, এক সা সমান ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন, সে যেন মক্কার পথে পথে এ ঘোষণা দেয়—ভালো করে শোনো, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীন, ছোট-বড় সকলের ওপর সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য। দুই মুদ তথা আধা সা গম অথবা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য থেকে এক সা। (তিরমিজি) উল্লেখ্য, আধা সা সমান ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
ওপরের মূলনীতির আলোকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
সদকাতুল ফিতর কেন দিতে হয়
সদকাতুল ফিতরের মূলকথা হলো, এটি একটি বিশুদ্ধ ইবাদত, যা আদায়ের জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদকাতুল ফিতরের আরও দুটি তাৎপর্যের কথা একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন; অর্থহীন, অশালীন কথা ও কাজের কারণে রোজার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের জন্য এবং নিঃস্ব লোকদের আহার জোগানোর জন্য। (আবু দাউদ)
সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হয়
সদকাতুল ফিতর একজন মুসলিমের ওপর নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই ওয়াজিব হয়ে যায়। নিসাব পরিমাণ মানে হলো—সোনা, রুপা, ব্যবসায়িক পণ্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্রের মূল্য ও নগদ ক্যাশ—এ পাঁচ ধরনের সম্পদ মিলে বা এর কোনো একটিও যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তাদের ওপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়। এখানে লক্ষণীয় হলো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বলতে উদ্দেশ্য হলো—যা বছরে সাধারণত একবারও ব্যবহার হয় না। যেমন—
-অতিরিক্ত কাপড়চোপড়, যা বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-টেলিভিশন, অবৈধ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইত্যাদি
-শৌখিন আসবাবপত্র—তা ব্যবহৃত হোক বা না হোক। যেমন মাছের এ্যকুরিয়াম, পোষা পাখি ইত্যাদি।
-অতিরিক্ত ডেগ-পাতিল যেগুলো বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি, যা বছরে খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না।
-খালি পড়ে আছে এমন ঘরবাড়ি।
এসব বিষয় যদিও জাকাতের নিসাবে ধর্তব্য নয়, কিন্তু জাকাতের অনুপযুক্ত হওয়া, সদকাতুল ফিতর ও কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্তব্য হবে।
বিবিধ মাসায়েল
ক. সদকাতুল ফিতর ব্যয়ের খাত তা-ই, যা জাকাতের খাত। তবে গরিব-মিসকিনকে দেওয়াই সর্বোত্তম।
খ. যে ব্যক্তি যেখানে বসবাস করছে সেখানকার হিসেবেই সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।
গ. নাবালক ও পাগলের সম্পদে জাকাত না আসলেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। তাদের পক্ষে তাদের অভিভাবক তা আদায় করবেন।
ঘ. সদকাতুল ফিতর গ্রহীতাকে যা দেওয়া হবে তার মালিকানা সত্ত্ব প্রদান করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেমানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৮ ঘণ্টা আগেমানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির
২৩ মার্চ ২০২৪মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৮ ঘণ্টা আগেমানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক
আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।
আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।
সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির
২৩ মার্চ ২০২৪নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৮ ঘণ্টা আগেমানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ ঘণ্টা আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির
২৩ মার্চ ২০২৪নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেমানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১৫ ঘণ্টা আগেমানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৮ ঘণ্টা আগেকাউসার লাবীব
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। ধর্ষণকে ইসলামে ব্যভিচারের (জিনা) চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধে ইসলাম ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রতিরোধ এবং অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তির সমন্বিত ব্যবস্থা দিয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যভিচার এক দিনে সংঘটিত হয় না; বরং এটি ধাপে ধাপে অশ্লীলতার পথ ধরে আসে। তাই ইসলাম অপরাধের উৎসমুখেই লাগাম টেনে ধরার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কঠোরভাবে পর্দার বিধান ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ: পর্দার বিধান নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব ও নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রাখে। নারীদের তাদের রূপ-সৌন্দর্য স্বামী ও মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) ব্যতীত অন্য কারও সামনে প্রকাশ না করতে এবং বাইরে যাওয়ার সময় শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবার ও শিক্ষাব্যবস্থায় তাকওয়াভিত্তিক (খোদাভীতি) নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য, যা আত্মশুদ্ধি ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়ক।
ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির নিশ্চয়তা
ইসলামে ব্যভিচার, বলপ্রয়োগ এবং সম্ভ্রম লুণ্ঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি মারাত্মক অপরাধ হলো ধর্ষণ। তাই ধর্ষকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর এবং তাতে কোনো প্রকার দয়া-মায়া প্রদর্শনের সুযোগ নেই।
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। ধর্ষণকে ইসলামে ব্যভিচারের (জিনা) চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধে ইসলাম ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রতিরোধ এবং অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তির সমন্বিত ব্যবস্থা দিয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যভিচার এক দিনে সংঘটিত হয় না; বরং এটি ধাপে ধাপে অশ্লীলতার পথ ধরে আসে। তাই ইসলাম অপরাধের উৎসমুখেই লাগাম টেনে ধরার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কঠোরভাবে পর্দার বিধান ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ: পর্দার বিধান নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব ও নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রাখে। নারীদের তাদের রূপ-সৌন্দর্য স্বামী ও মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) ব্যতীত অন্য কারও সামনে প্রকাশ না করতে এবং বাইরে যাওয়ার সময় শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবার ও শিক্ষাব্যবস্থায় তাকওয়াভিত্তিক (খোদাভীতি) নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য, যা আত্মশুদ্ধি ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়ক।
ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির নিশ্চয়তা
ইসলামে ব্যভিচার, বলপ্রয়োগ এবং সম্ভ্রম লুণ্ঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি মারাত্মক অপরাধ হলো ধর্ষণ। তাই ধর্ষকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর এবং তাতে কোনো প্রকার দয়া-মায়া প্রদর্শনের সুযোগ নেই।
সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির
২৩ মার্চ ২০২৪নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেমানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৮ ঘণ্টা আগে