Ajker Patrika

যেসব আমলে হজের সওয়াব পাওয়া যায়

আমজাদ ইউনুস
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর পঞ্চমটি হলো হজ। ইমান, নামাজ, জাকাত ও রোজার পরই হজের অবস্থান। সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওপর হজ ফরজ। অনেকেই শারীরিক ও আর্থিক অপারগতার কারণে হজ করার সামর্থ্য রাখে না। হজে যেতে না পারলেও মুসলমানদের জন্য এমন কিছু আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে সহজেই হজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

মা-বাবার খেদমত
আনাস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করতে আমার খুব আগ্রহ, কিন্তু সামর্থ্য নেই।’ নবী করিম (সা.) বললেন, ‘তোমার মা-বাবা দুজনের কেউ জীবিত আছেন কি?’ ওই ব্যক্তি বলল, ‘আমার মা জীবিত আছেন।’

নবীজি (সা.) বললেন, ‘তাহলে মায়ের সেবা করে আল্লাহর সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করো। এটা যদি করতে পারো এবং তোমার মা সন্তুষ্ট থাকেন, তবে তুমি হজ, ওমরাহ ও আল্লাহর পথে লড়াইয়ের সওয়াব পেয়ে যাবে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং মায়ের সেবা করো।’ (মুসনাদে আবু ইয়ালা)

ফজরের পর থেকে ইশরাক পর্যন্ত আল্লাহর জিকির
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায়ের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর জিকির করে এবং সূর্যোদয়ের পর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, তবে আল্লাহ তাকে একটি সম্পূর্ণ হজ ও ওমরাহর সওয়াব দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)

জামাতে নামাজ আদায়
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ কি তোমাদের এশার নামাজ দেননি—যা জামাতে আদায় করলে হজের সমান সওয়াব এবং ফজরের নামাজ—যা জামাতে আদায় করলে ওমরাহর সমান সওয়াব!’ (সহিহ্ মুসলিম)

জ্ঞান অর্জন
আবু উমামা বাহেলি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুধু উত্তম বস্তু শেখার উদ্দেশ্যে মসজিদে যায় অথবা তা শেখাতে যায়, তবে সে একটি পূর্ণ হজের সওয়াব পাবে।’ (তাবারানি)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত