রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৭তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ পড়া হবে। এই অংশে কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যুসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
নবীদের গল্প—সুরা আম্বিয়া
সুরা আম্বিয়া মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১২। কুরআনের ২১তম সুরা এটি। আম্বিয়া হলো নবী শব্দের বহুবচন। এ সুরায় ১৮ জন নবীর বর্ণনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এর নাম সুরা আম্বিয়া। তাঁরা হলেন—১. মুসা (আ.) ২. হারুন (আ.) ৩. ইবরাহিম (আ.) ৪. লুত (আ.) ৫. ইসহাক (আ.) ৬. ইয়াকুব (আ.) ৭. নুহ (আ.) ৮. দাউদ (আ.) ৯. সোলায়মান (আ.) ১০. আইয়ুব (আ.) ১১. ইসমাইল (আ.) ১২. ইদরিস (আ.) ১৩. জুলকিফাল (আ.) ১৪. ইউনুস (আ.) ১৫. জাকারিয়া (আ.) ১৬. ইয়াহইয়া (আ.) ১৭. ইসা (আ.) ও ১৮. মহানবী মুহাম্মদ (সা.)।
প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহর তাসবিহ জপে
আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, সবকিছু আল্লাহর নামে তাসবিহ পড়ে। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করে। প্রশংসা ঘোষণা করে। পৃথিবীতে এমন কোনো সৃষ্টি নেই, যা আল্লাহর নামে তাসবিহ পাঠ করে না।
প্রতিটি সৃষ্টির তাসবিহ পাঠ আলাদা জানা আছে। মানুষের তাসবিহ পাঠের ধরন ও পদ্ধতির ভিন্নতা আছে। ভিন্নতা আছে অন্য সৃষ্টির তাসবিহ পাঠেও। পাখির কুহুতান, নদীর কলতান, বাতাসের গুঞ্জন, ঝরনার বয়ে চলা, পাহাড়ের অবিচল দাঁড়িয়ে থাকা, পাখির উড়ে বেড়ানো, আসমানে নীল রঙের চাদর, সেখানে ছড়ানো-ছিটানো কালো-সাদা মেঘদল, বিদ্যুৎ চমকানো, বজ্রপাত—এসব আল্লাহরই পবিত্রতা ও শক্তিমত্তার জয়গান।
ফেরেশতারাও রাত-দিন আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করেন। নিরন্তর আল্লাহর স্তুতি বর্ণনা করেন। কুরআনে আছে, ‘তারা রাত-দিন তাঁর তাসবিহ পাঠে লিপ্ত থাকে, কখনো অবসন্ন হয় না।’ (সুরা আম্বিয়া: ২০)
তিনি ছিলেন রহমতের নবী
আল্লাহ তাআলা ইসলামের নবী মোহাম্মদ (সা.)কে সমগ্র জগতের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। বিশ্বমানবতার পরিপূর্ণ কল্যাণের জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তিনি শান্তি-সম্প্রীতি ও সুখের বাতাস বইয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর ঘরে ঘরে। তাঁর আগে কেউ ব্যাপক-বিপুল রহমত নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেননি। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী, আমি তোমাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)
নবীজি শত্রুকেও ভালোবাসতেন। তিনি কারও জন্য বদদোয়া করতেন না। নবী (সা.) বলেন, ‘আমি অভিসম্পাৎকারী হিসেবে প্রেরিত হইনি, আমি রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসলিম: ৪৮৩২)
হজের বিধান—সুরা হজ
সুরা হজ মদিনায় অবতীর্ণ। এই সুরার আয়াত-সংখ্যা ৭৮। কুরআনের ২২তম সুরা এটি। এ সুরায় হজ সম্পর্কিত বিধানের আলোচনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এটিকে সুরা হজ বলা হয়। সুরার শুরুতে আল্লাহকে ভয় করার আদেশ দিয়ে কেয়ামতের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে। এ দিন কোনো স্তন্যপায়ীই তার দুধের শিশুকে চিনতে পারবে না। গর্ভবতী গর্ভপাত করবে। মানুষকে দেখাবে মাতাল, আসলে তারা মাতাল হবে না।
হজ মানুষকে নিষ্পাপ করে
সুরা হজের ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে হজের বিধান দিয়েছেন। হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। হজ ইসলামের মৌলিক সংস্কৃতি। যে ঘরকে কেন্দ্র করে হজব্রত পালন করা হয়, তা পৃথিবীর প্রথম ঘর। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো আশহুরে হুরুম বা পবিত্র মাসসমূহ তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিনই মূলত হজ পালন করা হয়। হজের নির্ধারিত স্থান হলো মক্কা শরিফে কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ইত্যাদি।
হজ পুণ্য ও সফলতার আশিস। গ্রহণযোগ্য হজের বিনিময়ে জান্নাত মেলে। অভাব-অনটন দূর হয়। হজ মানুষের উভয় জীবনে দান করে সফলতা। নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করল এবং হজ অবস্থায় কথা ও কাজে পাপ থেকে বিরত রইল, সে হজ শেষে সেই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিলেন।’ (বুখারি: ১৫২১)
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে কোরবানি বলে। ইসলামে কোরবানি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর ওয়াজিব। পৃথিবীর প্রথম মানুষ, প্রথম নবীর যুগ থেকে শুরু করে সব নবীর শরিয়তে কোরবানি ছিল। তবে প্রত্যেক নবীর কোরবানির পদ্ধতি ছিল ভিন্ন রকম। মহানবী (সা.) মদিনায় ১০ বছর বেঁচে ছিলেন, প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘সব সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি (আল্লাহ) তাদের জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ: ৩৪)
কোরবানি করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এখানে গোশত খাওয়া কিংবা লোক দেখানোর নিয়ত থাকলে কোরবানি হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা।’ (সুরা হজ: ৩৭)
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, শিরক, মূর্তিপূজা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, জান্নাত-জাহান্নাম, মুমিনের বৈশিষ্ট্য, আল্লাহর ক্ষমতা ও কুদরত, নামাজ, জাকাত, মানুষ সৃষ্টির উপকরণ ও আল্লাহ মুমিনের বন্ধু ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৭তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ পড়া হবে। এই অংশে কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যুসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
নবীদের গল্প—সুরা আম্বিয়া
সুরা আম্বিয়া মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১২। কুরআনের ২১তম সুরা এটি। আম্বিয়া হলো নবী শব্দের বহুবচন। এ সুরায় ১৮ জন নবীর বর্ণনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এর নাম সুরা আম্বিয়া। তাঁরা হলেন—১. মুসা (আ.) ২. হারুন (আ.) ৩. ইবরাহিম (আ.) ৪. লুত (আ.) ৫. ইসহাক (আ.) ৬. ইয়াকুব (আ.) ৭. নুহ (আ.) ৮. দাউদ (আ.) ৯. সোলায়মান (আ.) ১০. আইয়ুব (আ.) ১১. ইসমাইল (আ.) ১২. ইদরিস (আ.) ১৩. জুলকিফাল (আ.) ১৪. ইউনুস (আ.) ১৫. জাকারিয়া (আ.) ১৬. ইয়াহইয়া (আ.) ১৭. ইসা (আ.) ও ১৮. মহানবী মুহাম্মদ (সা.)।
প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহর তাসবিহ জপে
আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, সবকিছু আল্লাহর নামে তাসবিহ পড়ে। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করে। প্রশংসা ঘোষণা করে। পৃথিবীতে এমন কোনো সৃষ্টি নেই, যা আল্লাহর নামে তাসবিহ পাঠ করে না।
প্রতিটি সৃষ্টির তাসবিহ পাঠ আলাদা জানা আছে। মানুষের তাসবিহ পাঠের ধরন ও পদ্ধতির ভিন্নতা আছে। ভিন্নতা আছে অন্য সৃষ্টির তাসবিহ পাঠেও। পাখির কুহুতান, নদীর কলতান, বাতাসের গুঞ্জন, ঝরনার বয়ে চলা, পাহাড়ের অবিচল দাঁড়িয়ে থাকা, পাখির উড়ে বেড়ানো, আসমানে নীল রঙের চাদর, সেখানে ছড়ানো-ছিটানো কালো-সাদা মেঘদল, বিদ্যুৎ চমকানো, বজ্রপাত—এসব আল্লাহরই পবিত্রতা ও শক্তিমত্তার জয়গান।
ফেরেশতারাও রাত-দিন আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করেন। নিরন্তর আল্লাহর স্তুতি বর্ণনা করেন। কুরআনে আছে, ‘তারা রাত-দিন তাঁর তাসবিহ পাঠে লিপ্ত থাকে, কখনো অবসন্ন হয় না।’ (সুরা আম্বিয়া: ২০)
তিনি ছিলেন রহমতের নবী
আল্লাহ তাআলা ইসলামের নবী মোহাম্মদ (সা.)কে সমগ্র জগতের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। বিশ্বমানবতার পরিপূর্ণ কল্যাণের জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তিনি শান্তি-সম্প্রীতি ও সুখের বাতাস বইয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর ঘরে ঘরে। তাঁর আগে কেউ ব্যাপক-বিপুল রহমত নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেননি। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী, আমি তোমাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)
নবীজি শত্রুকেও ভালোবাসতেন। তিনি কারও জন্য বদদোয়া করতেন না। নবী (সা.) বলেন, ‘আমি অভিসম্পাৎকারী হিসেবে প্রেরিত হইনি, আমি রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসলিম: ৪৮৩২)
হজের বিধান—সুরা হজ
সুরা হজ মদিনায় অবতীর্ণ। এই সুরার আয়াত-সংখ্যা ৭৮। কুরআনের ২২তম সুরা এটি। এ সুরায় হজ সম্পর্কিত বিধানের আলোচনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এটিকে সুরা হজ বলা হয়। সুরার শুরুতে আল্লাহকে ভয় করার আদেশ দিয়ে কেয়ামতের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে। এ দিন কোনো স্তন্যপায়ীই তার দুধের শিশুকে চিনতে পারবে না। গর্ভবতী গর্ভপাত করবে। মানুষকে দেখাবে মাতাল, আসলে তারা মাতাল হবে না।
হজ মানুষকে নিষ্পাপ করে
সুরা হজের ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে হজের বিধান দিয়েছেন। হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। হজ ইসলামের মৌলিক সংস্কৃতি। যে ঘরকে কেন্দ্র করে হজব্রত পালন করা হয়, তা পৃথিবীর প্রথম ঘর। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো আশহুরে হুরুম বা পবিত্র মাসসমূহ তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিনই মূলত হজ পালন করা হয়। হজের নির্ধারিত স্থান হলো মক্কা শরিফে কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ইত্যাদি।
হজ পুণ্য ও সফলতার আশিস। গ্রহণযোগ্য হজের বিনিময়ে জান্নাত মেলে। অভাব-অনটন দূর হয়। হজ মানুষের উভয় জীবনে দান করে সফলতা। নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করল এবং হজ অবস্থায় কথা ও কাজে পাপ থেকে বিরত রইল, সে হজ শেষে সেই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিলেন।’ (বুখারি: ১৫২১)
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে কোরবানি বলে। ইসলামে কোরবানি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর ওয়াজিব। পৃথিবীর প্রথম মানুষ, প্রথম নবীর যুগ থেকে শুরু করে সব নবীর শরিয়তে কোরবানি ছিল। তবে প্রত্যেক নবীর কোরবানির পদ্ধতি ছিল ভিন্ন রকম। মহানবী (সা.) মদিনায় ১০ বছর বেঁচে ছিলেন, প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘সব সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি (আল্লাহ) তাদের জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ: ৩৪)
কোরবানি করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এখানে গোশত খাওয়া কিংবা লোক দেখানোর নিয়ত থাকলে কোরবানি হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা।’ (সুরা হজ: ৩৭)
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, শিরক, মূর্তিপূজা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, জান্নাত-জাহান্নাম, মুমিনের বৈশিষ্ট্য, আল্লাহর ক্ষমতা ও কুদরত, নামাজ, জাকাত, মানুষ সৃষ্টির উপকরণ ও আল্লাহ মুমিনের বন্ধু ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৭তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ পড়া হবে। এই অংশে কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যুসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
নবীদের গল্প—সুরা আম্বিয়া
সুরা আম্বিয়া মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১২। কুরআনের ২১তম সুরা এটি। আম্বিয়া হলো নবী শব্দের বহুবচন। এ সুরায় ১৮ জন নবীর বর্ণনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এর নাম সুরা আম্বিয়া। তাঁরা হলেন—১. মুসা (আ.) ২. হারুন (আ.) ৩. ইবরাহিম (আ.) ৪. লুত (আ.) ৫. ইসহাক (আ.) ৬. ইয়াকুব (আ.) ৭. নুহ (আ.) ৮. দাউদ (আ.) ৯. সোলায়মান (আ.) ১০. আইয়ুব (আ.) ১১. ইসমাইল (আ.) ১২. ইদরিস (আ.) ১৩. জুলকিফাল (আ.) ১৪. ইউনুস (আ.) ১৫. জাকারিয়া (আ.) ১৬. ইয়াহইয়া (আ.) ১৭. ইসা (আ.) ও ১৮. মহানবী মুহাম্মদ (সা.)।
প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহর তাসবিহ জপে
আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, সবকিছু আল্লাহর নামে তাসবিহ পড়ে। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করে। প্রশংসা ঘোষণা করে। পৃথিবীতে এমন কোনো সৃষ্টি নেই, যা আল্লাহর নামে তাসবিহ পাঠ করে না।
প্রতিটি সৃষ্টির তাসবিহ পাঠ আলাদা জানা আছে। মানুষের তাসবিহ পাঠের ধরন ও পদ্ধতির ভিন্নতা আছে। ভিন্নতা আছে অন্য সৃষ্টির তাসবিহ পাঠেও। পাখির কুহুতান, নদীর কলতান, বাতাসের গুঞ্জন, ঝরনার বয়ে চলা, পাহাড়ের অবিচল দাঁড়িয়ে থাকা, পাখির উড়ে বেড়ানো, আসমানে নীল রঙের চাদর, সেখানে ছড়ানো-ছিটানো কালো-সাদা মেঘদল, বিদ্যুৎ চমকানো, বজ্রপাত—এসব আল্লাহরই পবিত্রতা ও শক্তিমত্তার জয়গান।
ফেরেশতারাও রাত-দিন আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করেন। নিরন্তর আল্লাহর স্তুতি বর্ণনা করেন। কুরআনে আছে, ‘তারা রাত-দিন তাঁর তাসবিহ পাঠে লিপ্ত থাকে, কখনো অবসন্ন হয় না।’ (সুরা আম্বিয়া: ২০)
তিনি ছিলেন রহমতের নবী
আল্লাহ তাআলা ইসলামের নবী মোহাম্মদ (সা.)কে সমগ্র জগতের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। বিশ্বমানবতার পরিপূর্ণ কল্যাণের জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তিনি শান্তি-সম্প্রীতি ও সুখের বাতাস বইয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর ঘরে ঘরে। তাঁর আগে কেউ ব্যাপক-বিপুল রহমত নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেননি। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী, আমি তোমাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)
নবীজি শত্রুকেও ভালোবাসতেন। তিনি কারও জন্য বদদোয়া করতেন না। নবী (সা.) বলেন, ‘আমি অভিসম্পাৎকারী হিসেবে প্রেরিত হইনি, আমি রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসলিম: ৪৮৩২)
হজের বিধান—সুরা হজ
সুরা হজ মদিনায় অবতীর্ণ। এই সুরার আয়াত-সংখ্যা ৭৮। কুরআনের ২২তম সুরা এটি। এ সুরায় হজ সম্পর্কিত বিধানের আলোচনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এটিকে সুরা হজ বলা হয়। সুরার শুরুতে আল্লাহকে ভয় করার আদেশ দিয়ে কেয়ামতের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে। এ দিন কোনো স্তন্যপায়ীই তার দুধের শিশুকে চিনতে পারবে না। গর্ভবতী গর্ভপাত করবে। মানুষকে দেখাবে মাতাল, আসলে তারা মাতাল হবে না।
হজ মানুষকে নিষ্পাপ করে
সুরা হজের ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে হজের বিধান দিয়েছেন। হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। হজ ইসলামের মৌলিক সংস্কৃতি। যে ঘরকে কেন্দ্র করে হজব্রত পালন করা হয়, তা পৃথিবীর প্রথম ঘর। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো আশহুরে হুরুম বা পবিত্র মাসসমূহ তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিনই মূলত হজ পালন করা হয়। হজের নির্ধারিত স্থান হলো মক্কা শরিফে কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ইত্যাদি।
হজ পুণ্য ও সফলতার আশিস। গ্রহণযোগ্য হজের বিনিময়ে জান্নাত মেলে। অভাব-অনটন দূর হয়। হজ মানুষের উভয় জীবনে দান করে সফলতা। নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করল এবং হজ অবস্থায় কথা ও কাজে পাপ থেকে বিরত রইল, সে হজ শেষে সেই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিলেন।’ (বুখারি: ১৫২১)
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে কোরবানি বলে। ইসলামে কোরবানি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর ওয়াজিব। পৃথিবীর প্রথম মানুষ, প্রথম নবীর যুগ থেকে শুরু করে সব নবীর শরিয়তে কোরবানি ছিল। তবে প্রত্যেক নবীর কোরবানির পদ্ধতি ছিল ভিন্ন রকম। মহানবী (সা.) মদিনায় ১০ বছর বেঁচে ছিলেন, প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘সব সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি (আল্লাহ) তাদের জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ: ৩৪)
কোরবানি করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এখানে গোশত খাওয়া কিংবা লোক দেখানোর নিয়ত থাকলে কোরবানি হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা।’ (সুরা হজ: ৩৭)
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, শিরক, মূর্তিপূজা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, জান্নাত-জাহান্নাম, মুমিনের বৈশিষ্ট্য, আল্লাহর ক্ষমতা ও কুদরত, নামাজ, জাকাত, মানুষ সৃষ্টির উপকরণ ও আল্লাহ মুমিনের বন্ধু ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৭তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ পড়া হবে। এই অংশে কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যুসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
নবীদের গল্প—সুরা আম্বিয়া
সুরা আম্বিয়া মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১২। কুরআনের ২১তম সুরা এটি। আম্বিয়া হলো নবী শব্দের বহুবচন। এ সুরায় ১৮ জন নবীর বর্ণনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এর নাম সুরা আম্বিয়া। তাঁরা হলেন—১. মুসা (আ.) ২. হারুন (আ.) ৩. ইবরাহিম (আ.) ৪. লুত (আ.) ৫. ইসহাক (আ.) ৬. ইয়াকুব (আ.) ৭. নুহ (আ.) ৮. দাউদ (আ.) ৯. সোলায়মান (আ.) ১০. আইয়ুব (আ.) ১১. ইসমাইল (আ.) ১২. ইদরিস (আ.) ১৩. জুলকিফাল (আ.) ১৪. ইউনুস (আ.) ১৫. জাকারিয়া (আ.) ১৬. ইয়াহইয়া (আ.) ১৭. ইসা (আ.) ও ১৮. মহানবী মুহাম্মদ (সা.)।
প্রতিটি সৃষ্টি আল্লাহর তাসবিহ জপে
আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, সবকিছু আল্লাহর নামে তাসবিহ পড়ে। আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করে। প্রশংসা ঘোষণা করে। পৃথিবীতে এমন কোনো সৃষ্টি নেই, যা আল্লাহর নামে তাসবিহ পাঠ করে না।
প্রতিটি সৃষ্টির তাসবিহ পাঠ আলাদা জানা আছে। মানুষের তাসবিহ পাঠের ধরন ও পদ্ধতির ভিন্নতা আছে। ভিন্নতা আছে অন্য সৃষ্টির তাসবিহ পাঠেও। পাখির কুহুতান, নদীর কলতান, বাতাসের গুঞ্জন, ঝরনার বয়ে চলা, পাহাড়ের অবিচল দাঁড়িয়ে থাকা, পাখির উড়ে বেড়ানো, আসমানে নীল রঙের চাদর, সেখানে ছড়ানো-ছিটানো কালো-সাদা মেঘদল, বিদ্যুৎ চমকানো, বজ্রপাত—এসব আল্লাহরই পবিত্রতা ও শক্তিমত্তার জয়গান।
ফেরেশতারাও রাত-দিন আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করেন। নিরন্তর আল্লাহর স্তুতি বর্ণনা করেন। কুরআনে আছে, ‘তারা রাত-দিন তাঁর তাসবিহ পাঠে লিপ্ত থাকে, কখনো অবসন্ন হয় না।’ (সুরা আম্বিয়া: ২০)
তিনি ছিলেন রহমতের নবী
আল্লাহ তাআলা ইসলামের নবী মোহাম্মদ (সা.)কে সমগ্র জগতের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। বিশ্বমানবতার পরিপূর্ণ কল্যাণের জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তিনি শান্তি-সম্প্রীতি ও সুখের বাতাস বইয়ে দিয়েছেন পৃথিবীর ঘরে ঘরে। তাঁর আগে কেউ ব্যাপক-বিপুল রহমত নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেননি। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী, আমি তোমাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)
নবীজি শত্রুকেও ভালোবাসতেন। তিনি কারও জন্য বদদোয়া করতেন না। নবী (সা.) বলেন, ‘আমি অভিসম্পাৎকারী হিসেবে প্রেরিত হইনি, আমি রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসলিম: ৪৮৩২)
হজের বিধান—সুরা হজ
সুরা হজ মদিনায় অবতীর্ণ। এই সুরার আয়াত-সংখ্যা ৭৮। কুরআনের ২২তম সুরা এটি। এ সুরায় হজ সম্পর্কিত বিধানের আলোচনা রয়েছে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এটিকে সুরা হজ বলা হয়। সুরার শুরুতে আল্লাহকে ভয় করার আদেশ দিয়ে কেয়ামতের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে। এ দিন কোনো স্তন্যপায়ীই তার দুধের শিশুকে চিনতে পারবে না। গর্ভবতী গর্ভপাত করবে। মানুষকে দেখাবে মাতাল, আসলে তারা মাতাল হবে না।
হজ মানুষকে নিষ্পাপ করে
সুরা হজের ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে হজের বিধান দিয়েছেন। হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। হজ ইসলামের মৌলিক সংস্কৃতি। যে ঘরকে কেন্দ্র করে হজব্রত পালন করা হয়, তা পৃথিবীর প্রথম ঘর। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো আশহুরে হুরুম বা পবিত্র মাসসমূহ তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিনই মূলত হজ পালন করা হয়। হজের নির্ধারিত স্থান হলো মক্কা শরিফে কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ইত্যাদি।
হজ পুণ্য ও সফলতার আশিস। গ্রহণযোগ্য হজের বিনিময়ে জান্নাত মেলে। অভাব-অনটন দূর হয়। হজ মানুষের উভয় জীবনে দান করে সফলতা। নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করল এবং হজ অবস্থায় কথা ও কাজে পাপ থেকে বিরত রইল, সে হজ শেষে সেই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিলেন।’ (বুখারি: ১৫২১)
আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে কোরবানি
জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে কোরবানি বলে। ইসলামে কোরবানি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর ওয়াজিব। পৃথিবীর প্রথম মানুষ, প্রথম নবীর যুগ থেকে শুরু করে সব নবীর শরিয়তে কোরবানি ছিল। তবে প্রত্যেক নবীর কোরবানির পদ্ধতি ছিল ভিন্ন রকম। মহানবী (সা.) মদিনায় ১০ বছর বেঁচে ছিলেন, প্রতিবছরই তিনি কোরবানি করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘সব সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি (আল্লাহ) তাদের জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ: ৩৪)
কোরবানি করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এখানে গোশত খাওয়া কিংবা লোক দেখানোর নিয়ত থাকলে কোরবানি হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা।’ (সুরা হজ: ৩৭)
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, শিরক, মূর্তিপূজা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, জান্নাত-জাহান্নাম, মুমিনের বৈশিষ্ট্য, আল্লাহর ক্ষমতা ও কুদরত, নামাজ, জাকাত, মানুষ সৃষ্টির উপকরণ ও আল্লাহ মুমিনের বন্ধু ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৭তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ পড়া হবে। এই অংশে কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যুসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
০৫ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৭তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ পড়া হবে। এই অংশে কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যুসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
০৫ এপ্রিল ২০২৩
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৭তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ পড়া হবে। এই অংশে কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যুসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
০৫ এপ্রিল ২০২৩
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৭তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ পড়া হবে। এই অংশে কিয়ামতের ভয়াবহতা, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে চিন্তা, নবী-রাসুল পাঠানোর কারণ, হজ, পুনরুত্থান, কোরবানি, জিহাদ, মৃত্যুসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
০৫ এপ্রিল ২০২৩
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে