Ajker Patrika

মিসওয়াক করলে আল্লাহ খুশি হন

মুফতি খালিদ কাসেমি
মিসওয়াক করলে আল্লাহ খুশি হন

দাঁত মহান আল্লাহর দেওয়া অমূল্য এক নেয়ামত। এটি মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মাড়ি এবং দাঁতের সুস্থতার জন্য নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। দাঁত পরিষ্কারের জন্য মিসওয়াক ব্যবহার করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত।

মিসওয়াক ব্যবহারের বহু ফজিলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এর মাধ্যমে মুখের পবিত্রতা অর্জিত হয়। দুর্গন্ধ, ময়লা ও অন্যান্য ক্ষতিকর বস্তু থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মিসওয়াক করা মুখের পবিত্রতা ও রবের সন্তুষ্টির কারণ।’ (নাসায়ি)

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি নবীজির ভালোবাসা আর দুর্গন্ধের প্রতি ছিল ঘৃণা। তাই তিনি যখন রাতে ঘুম জাগতেন, তখন মিসওয়াক দিয়ে দাঁতগুলো পরিষ্কার করতেন। যাতে দুর্গন্ধ দূর হয় এবং ঘুমের পর কর্মস্পৃহা সৃষ্টি হয়। কারণ মিসওয়াক করার বৈশিষ্ট্য হলো এর মাধ্যমে মানুষ সচেতন ও কর্মোদ্যম হয়। হাদিসে এসেছে, ‘নবী (সা.) যখন রাতে (নামাজের জন্য) উঠতেন, তখন তিনি মিসওয়াক করতেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)

মিসওয়াক করে নামাজ পড়লে সওয়াব বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে নামাজের জন্য মিসওয়াক করা হয় তার ফজিলত সত্তর গুণ বেশি, সেই নামাজের চেয়ে যাতে মিসওয়াক করা হয় না।’ (মিশকাত)

আলেমগণ মিসওয়াক করার অনেক উপকার উল্লেখ করেছেন। যেমন, তা মুখকে পবিত্র করে, দাঁতের গোড়া মজবুত করে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, কর্মস্পৃহা তৈরি করে, কফ দূর করে, সুন্নত পালন হয়, ফেরেশতারা খুশি হন, আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে, নেকি বৃদ্ধি করে ও পেট ঠিক রাখে। 

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রুয়া নির্বাচন: বিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

‘পাপ কাহিনী’র হাত ধরে দেশের ওটিটিতে ফিরল অশ্লীলতা

আগের তিন ভোটের নির্বাচনী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পাবেন না

সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, আটক ৫

মাখোঁ কেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চায়, রহস্য কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত