ইজাজুল হক

ইসলাম বাজারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলার নির্দেশনা দেয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কারও হস্তক্ষেপ করার অনুমোদন নেই। তবে মজুতদারি, মধ্যস্বত্ব ও সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে শাসকের দায়িত্ব হলো, পণ্যের একটি দর নির্ধারণ করে দেওয়া। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে এবং বাজারের শৃঙ্খলা রক্ষায় সংঘবদ্ধ চক্রকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা উচিত।
স্বাভাবিক অবস্থায় পণ্যের দামে উত্থান-পতন থাকবেই। উৎপাদন ও সরবরাহের খরচ বিবেচনায় ন্যায্যমূল্যে বেচাকেনা করতে ইসলামে বাধা নেই। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। সুতরাং আপনি আমাদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিন।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ দ্রব্যমূল্যের গতি নির্ধারণকারী, তিনিই একমাত্র সংকীর্ণতা ও প্রশস্ততা আনয়নকারী এবং তিনি রিজিকদাতা। আমি আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করতে চাই, যেন তোমাদের কেউ আমার বিরুদ্ধে তাঁর জানমালের ব্যাপারে জুলুমের অভিযোগ তুলতে না পারে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৩১৪)
ইসলামি চিন্তাবিদ ড. ইউসুফ আল-কারজাভি বলেন, ‘এ হাদিসের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা দিয়েছেন যে, বিনা প্রয়োজনে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা জুলুম। রাসুল (সা.) জুলুমের দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্ত থেকে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু বাজারে যখন অস্বাভাবিক কার্যকারণ অনুপ্রবেশ করবে; যেমন, কিছু ব্যবসায়ীর পণ্য মজুতকরণ এবং তাদের মূল্য কারসাজি, তখন কিছু ব্যক্তির স্বাধীনতার ওপর সামষ্টিক স্বার্থ প্রাধান্য লাভ করবে। এ অবস্থায় সমাজের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এবং লোভী সুবিধাভোগীদের থেকে সমাজকে রক্ষাকল্পে মূল্য নির্ধারণ করা বৈধ। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে না দেওয়ার জন্য এ নীতি স্বতঃসিদ্ধ।’ (আল-হালালু ওয়াল-হারামু ফিল-ইসলাম, পৃ: ২২৩)
এ আলোচনা থেকে বোঝা গেল, স্বাভাবিক অবস্থায় দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করা বৈধ নয়। তবে যদি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তবে সরকারকে অবশ্যই বাজার ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘মূল্য নির্ধারণ যদি মানুষের প্রতি জুলুম করা এবং তাদের অন্যায়ভাবে এমন মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য করাকে শামিল করে, যাতে তারা সন্তুষ্ট নয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য যা বৈধ করেছেন, তা থেকে শাসক নিষেধ করছেন, তাহলে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করা হারাম। কিন্তু মানুষের মাঝে ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে যদি মূল্য নির্ধারণ করা হয় এবং প্রচলিত বিনিময় মূল্যের চেয়ে বেশি গ্রহণ করা থেকে নিষেধ করা হয়, তাহলে তা শুধু জায়েজই নয়; বরং ওয়াজিব।’ (আল-হিসবাহ ফিল-ইসলাম, পৃ: ১৯-২০)
এ বিষয়ে উপসংহার টেনে ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, ‘মূল্য নির্ধারণ করা ছাড়া যদি মানুষের কল্যাণ সাধন সম্ভব না হয়, তাহলে শাসক তাদের জন্য ন্যায়সংগত মূল্য নির্ধারণ করে দেবেন। কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করা বা কারও প্রতি অন্যায় করা যাবে না। আর মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই যদি তাদের প্রয়োজন পূরণ হয়ে যায় এবং কল্যাণ সাধিত হয়, তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান মূল্য নির্ধারণ করবেন না।’ (আত-তুরুকুল হুকুমিইয়াহ ফিস-সিয়াসাতিশ শারইয়্যাহ,১ / ২২২)
সুতরাং ইসলামের নীতি সুস্পষ্ট। কল্যাণকামিতাই এখানে মুখ্য। ব্যবসায়ীদের জন্য যেমন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো বৈধ হবে না, তেমনি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্যায্য কোনো সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়াও ঠিক হবে না। আর এটি তখনই সম্ভব, যখন সকলের অন্তরে আল্লাহর ভয়, জবাবদিহি এবং কল্যাণকামনার মনোভাব জাগরুক থাকবে।

ইসলাম বাজারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলার নির্দেশনা দেয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কারও হস্তক্ষেপ করার অনুমোদন নেই। তবে মজুতদারি, মধ্যস্বত্ব ও সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে শাসকের দায়িত্ব হলো, পণ্যের একটি দর নির্ধারণ করে দেওয়া। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে এবং বাজারের শৃঙ্খলা রক্ষায় সংঘবদ্ধ চক্রকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা উচিত।
স্বাভাবিক অবস্থায় পণ্যের দামে উত্থান-পতন থাকবেই। উৎপাদন ও সরবরাহের খরচ বিবেচনায় ন্যায্যমূল্যে বেচাকেনা করতে ইসলামে বাধা নেই। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। সুতরাং আপনি আমাদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিন।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ দ্রব্যমূল্যের গতি নির্ধারণকারী, তিনিই একমাত্র সংকীর্ণতা ও প্রশস্ততা আনয়নকারী এবং তিনি রিজিকদাতা। আমি আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করতে চাই, যেন তোমাদের কেউ আমার বিরুদ্ধে তাঁর জানমালের ব্যাপারে জুলুমের অভিযোগ তুলতে না পারে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৩১৪)
ইসলামি চিন্তাবিদ ড. ইউসুফ আল-কারজাভি বলেন, ‘এ হাদিসের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা দিয়েছেন যে, বিনা প্রয়োজনে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা জুলুম। রাসুল (সা.) জুলুমের দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্ত থেকে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু বাজারে যখন অস্বাভাবিক কার্যকারণ অনুপ্রবেশ করবে; যেমন, কিছু ব্যবসায়ীর পণ্য মজুতকরণ এবং তাদের মূল্য কারসাজি, তখন কিছু ব্যক্তির স্বাধীনতার ওপর সামষ্টিক স্বার্থ প্রাধান্য লাভ করবে। এ অবস্থায় সমাজের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এবং লোভী সুবিধাভোগীদের থেকে সমাজকে রক্ষাকল্পে মূল্য নির্ধারণ করা বৈধ। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে না দেওয়ার জন্য এ নীতি স্বতঃসিদ্ধ।’ (আল-হালালু ওয়াল-হারামু ফিল-ইসলাম, পৃ: ২২৩)
এ আলোচনা থেকে বোঝা গেল, স্বাভাবিক অবস্থায় দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করা বৈধ নয়। তবে যদি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তবে সরকারকে অবশ্যই বাজার ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘মূল্য নির্ধারণ যদি মানুষের প্রতি জুলুম করা এবং তাদের অন্যায়ভাবে এমন মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য করাকে শামিল করে, যাতে তারা সন্তুষ্ট নয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য যা বৈধ করেছেন, তা থেকে শাসক নিষেধ করছেন, তাহলে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করা হারাম। কিন্তু মানুষের মাঝে ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে যদি মূল্য নির্ধারণ করা হয় এবং প্রচলিত বিনিময় মূল্যের চেয়ে বেশি গ্রহণ করা থেকে নিষেধ করা হয়, তাহলে তা শুধু জায়েজই নয়; বরং ওয়াজিব।’ (আল-হিসবাহ ফিল-ইসলাম, পৃ: ১৯-২০)
এ বিষয়ে উপসংহার টেনে ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, ‘মূল্য নির্ধারণ করা ছাড়া যদি মানুষের কল্যাণ সাধন সম্ভব না হয়, তাহলে শাসক তাদের জন্য ন্যায়সংগত মূল্য নির্ধারণ করে দেবেন। কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করা বা কারও প্রতি অন্যায় করা যাবে না। আর মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই যদি তাদের প্রয়োজন পূরণ হয়ে যায় এবং কল্যাণ সাধিত হয়, তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান মূল্য নির্ধারণ করবেন না।’ (আত-তুরুকুল হুকুমিইয়াহ ফিস-সিয়াসাতিশ শারইয়্যাহ,১ / ২২২)
সুতরাং ইসলামের নীতি সুস্পষ্ট। কল্যাণকামিতাই এখানে মুখ্য। ব্যবসায়ীদের জন্য যেমন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো বৈধ হবে না, তেমনি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্যায্য কোনো সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়াও ঠিক হবে না। আর এটি তখনই সম্ভব, যখন সকলের অন্তরে আল্লাহর ভয়, জবাবদিহি এবং কল্যাণকামনার মনোভাব জাগরুক থাকবে।

ইজাজুল হক

ইসলাম বাজারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলার নির্দেশনা দেয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কারও হস্তক্ষেপ করার অনুমোদন নেই। তবে মজুতদারি, মধ্যস্বত্ব ও সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে শাসকের দায়িত্ব হলো, পণ্যের একটি দর নির্ধারণ করে দেওয়া। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে এবং বাজারের শৃঙ্খলা রক্ষায় সংঘবদ্ধ চক্রকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা উচিত।
স্বাভাবিক অবস্থায় পণ্যের দামে উত্থান-পতন থাকবেই। উৎপাদন ও সরবরাহের খরচ বিবেচনায় ন্যায্যমূল্যে বেচাকেনা করতে ইসলামে বাধা নেই। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। সুতরাং আপনি আমাদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিন।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ দ্রব্যমূল্যের গতি নির্ধারণকারী, তিনিই একমাত্র সংকীর্ণতা ও প্রশস্ততা আনয়নকারী এবং তিনি রিজিকদাতা। আমি আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করতে চাই, যেন তোমাদের কেউ আমার বিরুদ্ধে তাঁর জানমালের ব্যাপারে জুলুমের অভিযোগ তুলতে না পারে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৩১৪)
ইসলামি চিন্তাবিদ ড. ইউসুফ আল-কারজাভি বলেন, ‘এ হাদিসের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা দিয়েছেন যে, বিনা প্রয়োজনে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা জুলুম। রাসুল (সা.) জুলুমের দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্ত থেকে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু বাজারে যখন অস্বাভাবিক কার্যকারণ অনুপ্রবেশ করবে; যেমন, কিছু ব্যবসায়ীর পণ্য মজুতকরণ এবং তাদের মূল্য কারসাজি, তখন কিছু ব্যক্তির স্বাধীনতার ওপর সামষ্টিক স্বার্থ প্রাধান্য লাভ করবে। এ অবস্থায় সমাজের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এবং লোভী সুবিধাভোগীদের থেকে সমাজকে রক্ষাকল্পে মূল্য নির্ধারণ করা বৈধ। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে না দেওয়ার জন্য এ নীতি স্বতঃসিদ্ধ।’ (আল-হালালু ওয়াল-হারামু ফিল-ইসলাম, পৃ: ২২৩)
এ আলোচনা থেকে বোঝা গেল, স্বাভাবিক অবস্থায় দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করা বৈধ নয়। তবে যদি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তবে সরকারকে অবশ্যই বাজার ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘মূল্য নির্ধারণ যদি মানুষের প্রতি জুলুম করা এবং তাদের অন্যায়ভাবে এমন মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য করাকে শামিল করে, যাতে তারা সন্তুষ্ট নয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য যা বৈধ করেছেন, তা থেকে শাসক নিষেধ করছেন, তাহলে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করা হারাম। কিন্তু মানুষের মাঝে ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে যদি মূল্য নির্ধারণ করা হয় এবং প্রচলিত বিনিময় মূল্যের চেয়ে বেশি গ্রহণ করা থেকে নিষেধ করা হয়, তাহলে তা শুধু জায়েজই নয়; বরং ওয়াজিব।’ (আল-হিসবাহ ফিল-ইসলাম, পৃ: ১৯-২০)
এ বিষয়ে উপসংহার টেনে ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, ‘মূল্য নির্ধারণ করা ছাড়া যদি মানুষের কল্যাণ সাধন সম্ভব না হয়, তাহলে শাসক তাদের জন্য ন্যায়সংগত মূল্য নির্ধারণ করে দেবেন। কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করা বা কারও প্রতি অন্যায় করা যাবে না। আর মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই যদি তাদের প্রয়োজন পূরণ হয়ে যায় এবং কল্যাণ সাধিত হয়, তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান মূল্য নির্ধারণ করবেন না।’ (আত-তুরুকুল হুকুমিইয়াহ ফিস-সিয়াসাতিশ শারইয়্যাহ,১ / ২২২)
সুতরাং ইসলামের নীতি সুস্পষ্ট। কল্যাণকামিতাই এখানে মুখ্য। ব্যবসায়ীদের জন্য যেমন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো বৈধ হবে না, তেমনি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্যায্য কোনো সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়াও ঠিক হবে না। আর এটি তখনই সম্ভব, যখন সকলের অন্তরে আল্লাহর ভয়, জবাবদিহি এবং কল্যাণকামনার মনোভাব জাগরুক থাকবে।

ইসলাম বাজারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলার নির্দেশনা দেয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কারও হস্তক্ষেপ করার অনুমোদন নেই। তবে মজুতদারি, মধ্যস্বত্ব ও সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে শাসকের দায়িত্ব হলো, পণ্যের একটি দর নির্ধারণ করে দেওয়া। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে এবং বাজারের শৃঙ্খলা রক্ষায় সংঘবদ্ধ চক্রকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা উচিত।
স্বাভাবিক অবস্থায় পণ্যের দামে উত্থান-পতন থাকবেই। উৎপাদন ও সরবরাহের খরচ বিবেচনায় ন্যায্যমূল্যে বেচাকেনা করতে ইসলামে বাধা নেই। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। সুতরাং আপনি আমাদের জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিন।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ দ্রব্যমূল্যের গতি নির্ধারণকারী, তিনিই একমাত্র সংকীর্ণতা ও প্রশস্ততা আনয়নকারী এবং তিনি রিজিকদাতা। আমি আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করতে চাই, যেন তোমাদের কেউ আমার বিরুদ্ধে তাঁর জানমালের ব্যাপারে জুলুমের অভিযোগ তুলতে না পারে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৩১৪)
ইসলামি চিন্তাবিদ ড. ইউসুফ আল-কারজাভি বলেন, ‘এ হাদিসের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা দিয়েছেন যে, বিনা প্রয়োজনে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা জুলুম। রাসুল (সা.) জুলুমের দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্ত থেকে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু বাজারে যখন অস্বাভাবিক কার্যকারণ অনুপ্রবেশ করবে; যেমন, কিছু ব্যবসায়ীর পণ্য মজুতকরণ এবং তাদের মূল্য কারসাজি, তখন কিছু ব্যক্তির স্বাধীনতার ওপর সামষ্টিক স্বার্থ প্রাধান্য লাভ করবে। এ অবস্থায় সমাজের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এবং লোভী সুবিধাভোগীদের থেকে সমাজকে রক্ষাকল্পে মূল্য নির্ধারণ করা বৈধ। তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে না দেওয়ার জন্য এ নীতি স্বতঃসিদ্ধ।’ (আল-হালালু ওয়াল-হারামু ফিল-ইসলাম, পৃ: ২২৩)
এ আলোচনা থেকে বোঝা গেল, স্বাভাবিক অবস্থায় দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করা বৈধ নয়। তবে যদি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে অন্যায়ভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তবে সরকারকে অবশ্যই বাজার ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘মূল্য নির্ধারণ যদি মানুষের প্রতি জুলুম করা এবং তাদের অন্যায়ভাবে এমন মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য করাকে শামিল করে, যাতে তারা সন্তুষ্ট নয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য যা বৈধ করেছেন, তা থেকে শাসক নিষেধ করছেন, তাহলে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করা হারাম। কিন্তু মানুষের মাঝে ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে যদি মূল্য নির্ধারণ করা হয় এবং প্রচলিত বিনিময় মূল্যের চেয়ে বেশি গ্রহণ করা থেকে নিষেধ করা হয়, তাহলে তা শুধু জায়েজই নয়; বরং ওয়াজিব।’ (আল-হিসবাহ ফিল-ইসলাম, পৃ: ১৯-২০)
এ বিষয়ে উপসংহার টেনে ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, ‘মূল্য নির্ধারণ করা ছাড়া যদি মানুষের কল্যাণ সাধন সম্ভব না হয়, তাহলে শাসক তাদের জন্য ন্যায়সংগত মূল্য নির্ধারণ করে দেবেন। কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করা বা কারও প্রতি অন্যায় করা যাবে না। আর মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই যদি তাদের প্রয়োজন পূরণ হয়ে যায় এবং কল্যাণ সাধিত হয়, তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান মূল্য নির্ধারণ করবেন না।’ (আত-তুরুকুল হুকুমিইয়াহ ফিস-সিয়াসাতিশ শারইয়্যাহ,১ / ২২২)
সুতরাং ইসলামের নীতি সুস্পষ্ট। কল্যাণকামিতাই এখানে মুখ্য। ব্যবসায়ীদের জন্য যেমন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো বৈধ হবে না, তেমনি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্যায্য কোনো সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়াও ঠিক হবে না। আর এটি তখনই সম্ভব, যখন সকলের অন্তরে আল্লাহর ভয়, জবাবদিহি এবং কল্যাণকামনার মনোভাব জাগরুক থাকবে।


নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
১৮ ঘণ্টা আগে
সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিজেদের অধিকার রক্ষায় ঐক্য অপরিহার্য। মুসলিম উম্মাহর জন্যও এটি এক মৌলিক ভিত্তি। ইসলামের দৃষ্টিতে ঐক্যের মূল সূত্র হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, অর্থাৎ এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস।
১৯ ঘণ্টা আগে
জমাদিউল আউয়ালের দ্বিতীয় জুমা আমাদের শেখায়—জীবনের প্রতিটি জুমা হতে পারে একটি নতুন শুরু, যদি আমরা অন্তর দিয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার চেষ্টা করি। তাই এই জুমা হোক আত্মার জাগরণের সূচনা। পাপমুক্ত জীবনের শপথ, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রেরণা।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ | 
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৪: ৪৬ মিনিট | 
| ফজর | ০৪: ৪৭ মিনিট | ০৬: ০৩ মিনিট | 
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট | 
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট | 
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট | 
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৬ মিনিট | 
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ | 
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৪: ৪৬ মিনিট | 
| ফজর | ০৪: ৪৭ মিনিট | ০৬: ০৩ মিনিট | 
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট | 
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট | 
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট | 
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৬ মিনিট | 
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।


ইসলাম বাজারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলার নির্দেশনা দেয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কারও হস্তক্ষেপ করার অনুমোদন নেই। তবে...
১৬ নভেম্বর ২০২১
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
১৮ ঘণ্টা আগে
সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিজেদের অধিকার রক্ষায় ঐক্য অপরিহার্য। মুসলিম উম্মাহর জন্যও এটি এক মৌলিক ভিত্তি। ইসলামের দৃষ্টিতে ঐক্যের মূল সূত্র হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, অর্থাৎ এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস।
১৯ ঘণ্টা আগে
জমাদিউল আউয়ালের দ্বিতীয় জুমা আমাদের শেখায়—জীবনের প্রতিটি জুমা হতে পারে একটি নতুন শুরু, যদি আমরা অন্তর দিয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার চেষ্টা করি। তাই এই জুমা হোক আত্মার জাগরণের সূচনা। পাপমুক্ত জীবনের শপথ, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রেরণা।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
আলমগীর দেওয়ান, সিলেট
আপনার ২৫ বছরের দাম্পত্যজীবনে সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তানহীনতার শূন্যতা পূরণে একটি শিশুকে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত মানবিক ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ইসলাম আপনার এই মহৎ সিদ্ধান্তকে শুধু অনুমোদনই করে না, বরং এতিম, গৃহহীন বা অসহায় শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে তাকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাকে অত্যন্ত সওয়াবের কাজ হিসেবে উৎসাহিত করে। তবে শরিয়তের কিছু মৌলিক নীতিমালা মেনে এটি করতে হবে, যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দত্তক নিলে মানতে হবে যেসব বিধান
ইসলামে অন্য কারও সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো স্নেহ, মমতা, অন্ন, বস্ত্র ও শিক্ষা দিয়ে লালন-পালন করাকে কাফালাহ বা অভিভাবকত্ব গ্রহণ বলা হয়। এটি বৈধ, বলা যায় এটি একটি মহৎ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এতিম বা অসহায় শিশুর দায়িত্ব নেওয়াকে বিপুল সওয়াবের কাজ বলে ঘোষণা করেছেন। (সহিহ বুখারি: ৬০০৫)
তবে সাধারণ অর্থে প্রচলিত দত্তক প্রথা ইসলাম সমর্থন করে না, যেখানে সন্তানের আসল পিতামাতার পরিচয় মুছে ফেলা হয় এবং তাকে জৈবিক সন্তানের মতো সকল আইনি অধিকার (উত্তরাধিকার ও পর্দা) দেওয়া হয়। বরং ইসলাম অনুমোদন করে কাফালাহ, যার মূল শর্ত হলো শিশুর আসল পিতৃপরিচয় বহাল রাখা।
ইসলামে কোনো স্বাধীন মানুষের প্রকৃত পিতৃপরিচয় ছিন্ন করা সম্পূর্ণভাবে হারাম ও কবিরা গুনাহ। দত্তক নেওয়ার কারণে শিশুর আসল মা-বাবা ও বংশের সম্পর্ক কোনোভাবেই বিলুপ্ত হবে না। তাই শিশুর জন্মসনদ, শিক্ষাসনদ, ভোটার আইডি বা অন্য যেকোনো দাপ্তরিক দলিলে তার আসল পিতার নাম উল্লেখ করা আবশ্যক।
দত্তক নেওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো পর্দার বিষয়টি। লালন-পালনকারীর সঙ্গে পালিত সন্তানের রক্তের সম্পর্ক স্থাপিত হয় না। ফলে পালক নেওয়া শিশুটি ছেলে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালক বাবার সঙ্গে শরিয়তের পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। পর্দার এই কঠোরতা এড়ানোর জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো—শিশুটিকে দুগ্ধপোষ্য অবস্থায় (জন্মের পর প্রথম দুই বছরের মধ্যে) পালক নেওয়া মায়ের কোনো বোন বা মেয়ে দ্বারা এমনভাবে দুধ পান করানো, যাতে সে দুগ্ধ-সম্পর্কীয় মাহরাম হয়ে যায়। দুগ্ধ-সম্পর্ক তৈরি হলে তাদের মধ্যে পর্দা আর আবশ্যক থাকবে না। (সহিহ বুখারি: ২৬৪৫)
পালক সন্তান লালন-পালনকারীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী (ওয়ারিশ) হিসেবে তাঁর সম্পত্তি থেকে কোনো অংশ পাবে না। কারণ রক্তের সম্পর্ক না থাকায় সে মিরাসের হকদার হয় না। তবে, লালন-পালনকারী তাঁর জীবদ্দশায় স্নেহবশত পালক সন্তানকে সম্পত্তি দান বা হেবা করতে পারবেন। অথবা, তিনি তাঁর মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ থেকে পালক সন্তানের জন্য অসিয়ত (উইল) করে যেতে পারবেন।
পোষ্য সন্তানের তার লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাবশত মা-বাবা বলে ডাকা জায়েজ। একইভাবে তাঁরাও সন্তানকে স্নেহ করে ছেলেমেয়ে ডাকতে পারবেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
আলমগীর দেওয়ান, সিলেট
আপনার ২৫ বছরের দাম্পত্যজীবনে সন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তানহীনতার শূন্যতা পূরণে একটি শিশুকে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত মানবিক ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ইসলাম আপনার এই মহৎ সিদ্ধান্তকে শুধু অনুমোদনই করে না, বরং এতিম, গৃহহীন বা অসহায় শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে তাকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাকে অত্যন্ত সওয়াবের কাজ হিসেবে উৎসাহিত করে। তবে শরিয়তের কিছু মৌলিক নীতিমালা মেনে এটি করতে হবে, যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দত্তক নিলে মানতে হবে যেসব বিধান
ইসলামে অন্য কারও সন্তানকে নিজের সন্তানের মতো স্নেহ, মমতা, অন্ন, বস্ত্র ও শিক্ষা দিয়ে লালন-পালন করাকে কাফালাহ বা অভিভাবকত্ব গ্রহণ বলা হয়। এটি বৈধ, বলা যায় এটি একটি মহৎ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এতিম বা অসহায় শিশুর দায়িত্ব নেওয়াকে বিপুল সওয়াবের কাজ বলে ঘোষণা করেছেন। (সহিহ বুখারি: ৬০০৫)
তবে সাধারণ অর্থে প্রচলিত দত্তক প্রথা ইসলাম সমর্থন করে না, যেখানে সন্তানের আসল পিতামাতার পরিচয় মুছে ফেলা হয় এবং তাকে জৈবিক সন্তানের মতো সকল আইনি অধিকার (উত্তরাধিকার ও পর্দা) দেওয়া হয়। বরং ইসলাম অনুমোদন করে কাফালাহ, যার মূল শর্ত হলো শিশুর আসল পিতৃপরিচয় বহাল রাখা।
ইসলামে কোনো স্বাধীন মানুষের প্রকৃত পিতৃপরিচয় ছিন্ন করা সম্পূর্ণভাবে হারাম ও কবিরা গুনাহ। দত্তক নেওয়ার কারণে শিশুর আসল মা-বাবা ও বংশের সম্পর্ক কোনোভাবেই বিলুপ্ত হবে না। তাই শিশুর জন্মসনদ, শিক্ষাসনদ, ভোটার আইডি বা অন্য যেকোনো দাপ্তরিক দলিলে তার আসল পিতার নাম উল্লেখ করা আবশ্যক।
দত্তক নেওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো পর্দার বিষয়টি। লালন-পালনকারীর সঙ্গে পালিত সন্তানের রক্তের সম্পর্ক স্থাপিত হয় না। ফলে পালক নেওয়া শিশুটি ছেলে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে হলে পালক বাবার সঙ্গে শরিয়তের পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। পর্দার এই কঠোরতা এড়ানোর জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো—শিশুটিকে দুগ্ধপোষ্য অবস্থায় (জন্মের পর প্রথম দুই বছরের মধ্যে) পালক নেওয়া মায়ের কোনো বোন বা মেয়ে দ্বারা এমনভাবে দুধ পান করানো, যাতে সে দুগ্ধ-সম্পর্কীয় মাহরাম হয়ে যায়। দুগ্ধ-সম্পর্ক তৈরি হলে তাদের মধ্যে পর্দা আর আবশ্যক থাকবে না। (সহিহ বুখারি: ২৬৪৫)
পালক সন্তান লালন-পালনকারীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী (ওয়ারিশ) হিসেবে তাঁর সম্পত্তি থেকে কোনো অংশ পাবে না। কারণ রক্তের সম্পর্ক না থাকায় সে মিরাসের হকদার হয় না। তবে, লালন-পালনকারী তাঁর জীবদ্দশায় স্নেহবশত পালক সন্তানকে সম্পত্তি দান বা হেবা করতে পারবেন। অথবা, তিনি তাঁর মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ থেকে পালক সন্তানের জন্য অসিয়ত (উইল) করে যেতে পারবেন।
পোষ্য সন্তানের তার লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাবশত মা-বাবা বলে ডাকা জায়েজ। একইভাবে তাঁরাও সন্তানকে স্নেহ করে ছেলেমেয়ে ডাকতে পারবেন।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি শাব্বির আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক


ইসলাম বাজারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলার নির্দেশনা দেয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কারও হস্তক্ষেপ করার অনুমোদন নেই। তবে...
১৬ নভেম্বর ২০২১
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিজেদের অধিকার রক্ষায় ঐক্য অপরিহার্য। মুসলিম উম্মাহর জন্যও এটি এক মৌলিক ভিত্তি। ইসলামের দৃষ্টিতে ঐক্যের মূল সূত্র হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, অর্থাৎ এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস।
১৯ ঘণ্টা আগে
জমাদিউল আউয়ালের দ্বিতীয় জুমা আমাদের শেখায়—জীবনের প্রতিটি জুমা হতে পারে একটি নতুন শুরু, যদি আমরা অন্তর দিয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার চেষ্টা করি। তাই এই জুমা হোক আত্মার জাগরণের সূচনা। পাপমুক্ত জীবনের শপথ, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রেরণা।
১৯ ঘণ্টা আগেকাউসার লাবীব

সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিজেদের অধিকার রক্ষায় ঐক্য অপরিহার্য। মুসলিম উম্মাহর জন্যও এটি এক মৌলিক ভিত্তি। ইসলামের দৃষ্টিতে ঐক্যের মূল সূত্র হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, অর্থাৎ এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস। মুসলিম ঐক্যের ভিত্তি তিনটি মৌলিক উপাদানের ওপর প্রতিষ্ঠিত: এক. আল্লাহ, দুই. রাসুলুল্লাহ ও তিন. কিতাবুল্লাহ। যার অর্থ—এক আল্লাহর প্রতি অবিচল ইমান, তাঁর রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি সর্বোচ্চ ভালোবাসা ও সম্পূর্ণ আনুগত্য এবং আল্লাহর কিতাব পবিত্র কোরআনের পরিপূর্ণ অনুসরণ। এই ভিত্তিই মুসলমানদের জাতি, বর্ণ ও ভাষার ঊর্ধ্বে এক অভিন্ন জাতিসত্তায় পরিণত করে।
মহানবী (সা.) মুমিনের পরিচয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন, ‘যারা আমাদের নামাজ মানে, আমাদের কিবলা মানে এবং আমাদের জবাই করা হালাল পশুকে হালাল মনে করে; তারা মুসলিম। তাদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুল জিম্মাদার। সুতরাং তোমরা আল্লাহর জিম্মাদারি খিয়ানত কোরো না।’ (সহিহ বুখারি: ৩৮৪-৩৮৫)।
ঐক্যবদ্ধ থাকার সুফল
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে মুমিনদের ঐক্য ও সংহতির বিষয়ে বারবার জোর দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে সম্মিলিতভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না এবং তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ করো। যখন তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে, অতঃপর তিনি তোমাদের অন্তরগুলোয় প্রীতি দিয়েছেন, ফলে তোমরা তাঁর অনুগ্রহে ভ্রাতৃরূপ লাভ করেছ।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০৩)। এখানে আল্লাহর রজ্জু বলতে ইসলাম ও কোরআনের বিধানকে বোঝানো হয়েছে, যা একাধারে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক এবং মুসলমানদের পরস্পরের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি শক্তিশালী জাতিতে রূপান্তরিত হওয়ার মাধ্যম।
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা সতর্ক করে বলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো এবং পরস্পর কলহ কোরো না (ঐক্যবদ্ধ থাকো)। অন্যথায় তোমরা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব বিলুপ্ত হবে। আর তোমরা ধৈর্য ধরো, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা আনফাল: ৪৬)। এই আয়াত পরিষ্কারভাবে বোঝায় যে অনৈক্য কেবল গুনাহের কাজ নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর শক্তি, প্রতিপত্তি ও সুনাম নষ্টের প্রধান কারণ।
ইসলামে মুমিনদের পারস্পরিক সম্পর্ককে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় মুমিনেরা পরস্পর ভাই ভাই। কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আশা করা যায় তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হবে।’ (সুরা হুজরাত: ১০)। এই সম্পর্কের নিদর্শন হলো পারস্পরিক সহানুভূতি, করুণা ও দয়ার্দ্রতা।
মহানবী (সা.) এই সম্পর্কের গভীরতাকে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসী মুমিনগণ সম্প্রীতি, করুণা ও দয়ার্দ্রতায় যেন এক দেহ এক প্রাণ—যেমন শরীরের একটি অঙ্গে আঘাত পেলে সারা অঙ্গ ব্যথা অনুভব করে, যন্ত্রণায় নির্ঘুম রাত কাটায় ও জ্বরে ঘর্মাক্ত হয়।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)। অর্থাৎ, একজন মুসলিমের বিপদ বা দুঃখকে অপর মুসলিম তার নিজের কষ্ট হিসেবে অনুভব করবে—এটাই ইসলামের শিক্ষা। মহানবী (সা.)-এর ভাষায়, প্রকৃত মুমিন তো সেই ব্যক্তি, যার হাত ও জবান থেকে অন্য মুসলমান শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করে।’ (সহিহ বুখারি)।
বিভেদ ও মতানৈক্য নিরসনের পথ
মুসলমানদের মধ্যে মতপার্থক্য বা দ্বন্দ্ব-বিবাদ থাকা স্বাভাবিক। তবে ইসলামে এই মতানৈক্য বহাল রেখে বিচ্ছিন্ন থাকার কোনো সুযোগ নেই। মতবিরোধের সৃষ্টি হলে এর সমাধানের জন্য কোরআন ও সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর কোনো বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ করো, তাহলে তা আল্লাহ ও রাসুলের দিকে প্রত্যর্পণ করো, যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ইমান রাখো। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর।’ (সুরা নিসা: ৫৯)। এ ছাড়া, বিবাদ দেখা দিলে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে। বলা হয়েছে, নিজেদের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে নেওয়ার কথা।
অনৈক্যের পরিণাম ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
বর্তমানে মুসলিম উম্মাহ অনৈক্য, বিভেদ-বিসংবাদ ও কলহে জর্জরিত। ভৌগোলিক, রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত বিভাজন আজ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে দুর্বল করে দিয়েছে। এর ফলস্বরূপ, সারা বিশ্বে মুসলমানেরা নিপীড়িত-নির্যাতিত এবং তাদের রক্ত ঝরছে। এই বিভেদ জিইয়ে রাখা শয়তানের কাজ, যা উম্মাহর মধ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
ইতিহাস সাক্ষী, ঐক্যই শক্তি। পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন তাদের ঐতিহাসিক শত্রুতা ভুলে নিজেদের স্বার্থে একই প্ল্যাটফর্মে সমবেত হয়, তখন মুসলিম দেশগুলো নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ ও বিভাজনে ডুবে থাকে। মুসলিম ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ না থাকার কারণেই বহির্বিশ্বে আজ মুসলিমরা তাদের ন্যায্য অধিকার হারাচ্ছে, নিজ ভূখণ্ডে দাসে পরিণত হচ্ছে এবং মজলুমদের কান্না থামছে না।
আখিরাতে মুক্তি ও দুনিয়ায় সফলতার জন্য পারস্পরিক ঐক্য ও সংহতি অপরিহার্য। সকল ভেদাভেদ, বিভেদ-বিভাজন ভুলে এক জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকা মুমিনের ইমানি দায়িত্ব। বিভেদ নয়, বরং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে সহিষ্ণুতা ও কল্যাণকামিতার ভিত্তিতে জীবন পরিচালনা করতে পারলেই আমরা আল্লাহর ভালোবাসার পাত্র হতে পারব এবং বহিঃশত্রুর সামনে সিসাঢালা প্রাচীরের মতো শক্তিশালী জাতিতে রূপান্তরিত হতে পারব।

সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিজেদের অধিকার রক্ষায় ঐক্য অপরিহার্য। মুসলিম উম্মাহর জন্যও এটি এক মৌলিক ভিত্তি। ইসলামের দৃষ্টিতে ঐক্যের মূল সূত্র হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, অর্থাৎ এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস। মুসলিম ঐক্যের ভিত্তি তিনটি মৌলিক উপাদানের ওপর প্রতিষ্ঠিত: এক. আল্লাহ, দুই. রাসুলুল্লাহ ও তিন. কিতাবুল্লাহ। যার অর্থ—এক আল্লাহর প্রতি অবিচল ইমান, তাঁর রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি সর্বোচ্চ ভালোবাসা ও সম্পূর্ণ আনুগত্য এবং আল্লাহর কিতাব পবিত্র কোরআনের পরিপূর্ণ অনুসরণ। এই ভিত্তিই মুসলমানদের জাতি, বর্ণ ও ভাষার ঊর্ধ্বে এক অভিন্ন জাতিসত্তায় পরিণত করে।
মহানবী (সা.) মুমিনের পরিচয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন, ‘যারা আমাদের নামাজ মানে, আমাদের কিবলা মানে এবং আমাদের জবাই করা হালাল পশুকে হালাল মনে করে; তারা মুসলিম। তাদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসুল জিম্মাদার। সুতরাং তোমরা আল্লাহর জিম্মাদারি খিয়ানত কোরো না।’ (সহিহ বুখারি: ৩৮৪-৩৮৫)।
ঐক্যবদ্ধ থাকার সুফল
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে মুমিনদের ঐক্য ও সংহতির বিষয়ে বারবার জোর দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে সম্মিলিতভাবে ধারণ করো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না এবং তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ করো। যখন তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে, অতঃপর তিনি তোমাদের অন্তরগুলোয় প্রীতি দিয়েছেন, ফলে তোমরা তাঁর অনুগ্রহে ভ্রাতৃরূপ লাভ করেছ।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০৩)। এখানে আল্লাহর রজ্জু বলতে ইসলাম ও কোরআনের বিধানকে বোঝানো হয়েছে, যা একাধারে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক এবং মুসলমানদের পরস্পরের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি শক্তিশালী জাতিতে রূপান্তরিত হওয়ার মাধ্যম।
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা সতর্ক করে বলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো এবং পরস্পর কলহ কোরো না (ঐক্যবদ্ধ থাকো)। অন্যথায় তোমরা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব বিলুপ্ত হবে। আর তোমরা ধৈর্য ধরো, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা আনফাল: ৪৬)। এই আয়াত পরিষ্কারভাবে বোঝায় যে অনৈক্য কেবল গুনাহের কাজ নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর শক্তি, প্রতিপত্তি ও সুনাম নষ্টের প্রধান কারণ।
ইসলামে মুমিনদের পারস্পরিক সম্পর্ককে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় মুমিনেরা পরস্পর ভাই ভাই। কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আশা করা যায় তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হবে।’ (সুরা হুজরাত: ১০)। এই সম্পর্কের নিদর্শন হলো পারস্পরিক সহানুভূতি, করুণা ও দয়ার্দ্রতা।
মহানবী (সা.) এই সম্পর্কের গভীরতাকে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসী মুমিনগণ সম্প্রীতি, করুণা ও দয়ার্দ্রতায় যেন এক দেহ এক প্রাণ—যেমন শরীরের একটি অঙ্গে আঘাত পেলে সারা অঙ্গ ব্যথা অনুভব করে, যন্ত্রণায় নির্ঘুম রাত কাটায় ও জ্বরে ঘর্মাক্ত হয়।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)। অর্থাৎ, একজন মুসলিমের বিপদ বা দুঃখকে অপর মুসলিম তার নিজের কষ্ট হিসেবে অনুভব করবে—এটাই ইসলামের শিক্ষা। মহানবী (সা.)-এর ভাষায়, প্রকৃত মুমিন তো সেই ব্যক্তি, যার হাত ও জবান থেকে অন্য মুসলমান শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করে।’ (সহিহ বুখারি)।
বিভেদ ও মতানৈক্য নিরসনের পথ
মুসলমানদের মধ্যে মতপার্থক্য বা দ্বন্দ্ব-বিবাদ থাকা স্বাভাবিক। তবে ইসলামে এই মতানৈক্য বহাল রেখে বিচ্ছিন্ন থাকার কোনো সুযোগ নেই। মতবিরোধের সৃষ্টি হলে এর সমাধানের জন্য কোরআন ও সুন্নাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর কোনো বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ করো, তাহলে তা আল্লাহ ও রাসুলের দিকে প্রত্যর্পণ করো, যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ইমান রাখো। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর।’ (সুরা নিসা: ৫৯)। এ ছাড়া, বিবাদ দেখা দিলে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে। বলা হয়েছে, নিজেদের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে নেওয়ার কথা।
অনৈক্যের পরিণাম ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
বর্তমানে মুসলিম উম্মাহ অনৈক্য, বিভেদ-বিসংবাদ ও কলহে জর্জরিত। ভৌগোলিক, রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত বিভাজন আজ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে দুর্বল করে দিয়েছে। এর ফলস্বরূপ, সারা বিশ্বে মুসলমানেরা নিপীড়িত-নির্যাতিত এবং তাদের রক্ত ঝরছে। এই বিভেদ জিইয়ে রাখা শয়তানের কাজ, যা উম্মাহর মধ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
ইতিহাস সাক্ষী, ঐক্যই শক্তি। পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন তাদের ঐতিহাসিক শত্রুতা ভুলে নিজেদের স্বার্থে একই প্ল্যাটফর্মে সমবেত হয়, তখন মুসলিম দেশগুলো নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ ও বিভাজনে ডুবে থাকে। মুসলিম ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ না থাকার কারণেই বহির্বিশ্বে আজ মুসলিমরা তাদের ন্যায্য অধিকার হারাচ্ছে, নিজ ভূখণ্ডে দাসে পরিণত হচ্ছে এবং মজলুমদের কান্না থামছে না।
আখিরাতে মুক্তি ও দুনিয়ায় সফলতার জন্য পারস্পরিক ঐক্য ও সংহতি অপরিহার্য। সকল ভেদাভেদ, বিভেদ-বিভাজন ভুলে এক জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকা মুমিনের ইমানি দায়িত্ব। বিভেদ নয়, বরং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে সহিষ্ণুতা ও কল্যাণকামিতার ভিত্তিতে জীবন পরিচালনা করতে পারলেই আমরা আল্লাহর ভালোবাসার পাত্র হতে পারব এবং বহিঃশত্রুর সামনে সিসাঢালা প্রাচীরের মতো শক্তিশালী জাতিতে রূপান্তরিত হতে পারব।


ইসলাম বাজারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলার নির্দেশনা দেয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কারও হস্তক্ষেপ করার অনুমোদন নেই। তবে...
১৬ নভেম্বর ২০২১
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
১৮ ঘণ্টা আগে
জমাদিউল আউয়ালের দ্বিতীয় জুমা আমাদের শেখায়—জীবনের প্রতিটি জুমা হতে পারে একটি নতুন শুরু, যদি আমরা অন্তর দিয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার চেষ্টা করি। তাই এই জুমা হোক আত্মার জাগরণের সূচনা। পাপমুক্ত জীবনের শপথ, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রেরণা।
১৯ ঘণ্টা আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

হিজরি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়াল। এ মাসের নামেই রয়েছে গভীর এক ইঙ্গিত। জমাদাহ অর্থ শুষ্কতা, আর আউয়াল মানে প্রথম। যেমন প্রকৃতি শুষ্ক হয়ে বৃষ্টি পেলে সজীব হয়, তেমনি মানুষের হৃদয়ও অনেক সময় আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে গিয়ে শুকিয়ে যায়।
এ মাসের দ্বিতীয় জুমা সেই শুষ্ক হৃদয়কে নরম করার, আত্মাকে জাগ্রত করার সময়।
জুমা-রহমত ও বরকতের দিন
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান দেওয়া হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে ছুটে যাও এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করো।’ (সুরা জুমা: ৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, আল্লাহ তা কবুল করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৯৩৫)। অতএব, জুমা কেবল নামাজের দিন নয়—এটি আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও দোয়া কবুলের বিশেষ সময়।
পরিশেষে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর দিকে আন্তরিক তওবা করো। (সুরা তাহরিম: ৮)
জমাদিউল আউয়ালের দ্বিতীয় জুমা আমাদের শেখায়—জীবনের প্রতিটি জুমা হতে পারে একটি নতুন শুরু, যদি আমরা অন্তর দিয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার চেষ্টা করি। তাই এই জুমা হোক আত্মার জাগরণের সূচনা। পাপমুক্ত জীবনের শপথ, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রেরণা।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি

হিজরি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়াল। এ মাসের নামেই রয়েছে গভীর এক ইঙ্গিত। জমাদাহ অর্থ শুষ্কতা, আর আউয়াল মানে প্রথম। যেমন প্রকৃতি শুষ্ক হয়ে বৃষ্টি পেলে সজীব হয়, তেমনি মানুষের হৃদয়ও অনেক সময় আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে গিয়ে শুকিয়ে যায়।
এ মাসের দ্বিতীয় জুমা সেই শুষ্ক হৃদয়কে নরম করার, আত্মাকে জাগ্রত করার সময়।
জুমা-রহমত ও বরকতের দিন
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান দেওয়া হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে ছুটে যাও এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করো।’ (সুরা জুমা: ৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, আল্লাহ তা কবুল করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৯৩৫)। অতএব, জুমা কেবল নামাজের দিন নয়—এটি আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও দোয়া কবুলের বিশেষ সময়।
পরিশেষে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর দিকে আন্তরিক তওবা করো। (সুরা তাহরিম: ৮)
জমাদিউল আউয়ালের দ্বিতীয় জুমা আমাদের শেখায়—জীবনের প্রতিটি জুমা হতে পারে একটি নতুন শুরু, যদি আমরা অন্তর দিয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার চেষ্টা করি। তাই এই জুমা হোক আত্মার জাগরণের সূচনা। পাপমুক্ত জীবনের শপথ, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রেরণা।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি


ইসলাম বাজারব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলার নির্দেশনা দেয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কারও হস্তক্ষেপ করার অনুমোদন নেই। তবে...
১৬ নভেম্বর ২০২১
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ২৫ বছর হয়েছে। আল্লাহ আমাকে এখনো কোনো সন্তান দেননি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, আমার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি এতিম সন্তান দত্তক নেব। ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার সঠিক বিধান জানালে উপকৃত হব।
১৮ ঘণ্টা আগে
সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিজেদের অধিকার রক্ষায় ঐক্য অপরিহার্য। মুসলিম উম্মাহর জন্যও এটি এক মৌলিক ভিত্তি। ইসলামের দৃষ্টিতে ঐক্যের মূল সূত্র হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, অর্থাৎ এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাস।
১৯ ঘণ্টা আগে