আবদুল আযীয কাসেমি

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইসলামের ইতিহাসের একজন জালিম, বিতর্কিত ও প্রভাবশালী শাসক। উমাইয়া খিলাফতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনামলে একাধারে ভয় ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন হাজ্জাজ।
হাজ্জাজ ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে (৪০ হিজরি) বর্তমান সৌদি আরবের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম আবু মুহাম্মদ হাজ্জাজ বিন ইউসুফ আল-সাকাফি। তিনি তায়েফের প্রভাবশালী গোত্র বনু সাকিফের সদস্য ছিলেন।
হাজ্জাজের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে তেমন বিস্তাঁরিত জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিক যাহাবি তাঁর শিক্ষকদের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দিয়েছেন। যেখানে রয়েছেন বিখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) ও হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের (রা.) নাম।
হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সিয়ারু আলামিন নুবালা’য় অতি সংক্ষেপে তাঁকে মূল্যায়ন করেছেন এভাবে—‘আল্লাহ তাঁকে ৯৫ হিজরির রমজান মাসে ধ্বংস করেছেন। এ লোকটি ছিলেন একাধারে জালিম, প্রতাপশালী, নাসিবি, নিকৃষ্ট ও খুনি। পাশাপাশি তাঁর মধ্যে ছিল বীরত্ব, সাহসিকতা, ধূর্ততা, কূটবুদ্ধি, ভাষার অলংকার ও কোরআনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। তাঁর জঘন্য সব কর্মকাণ্ডের নাতিদীর্ঘ বিবরণ আমি (তাঁরিখুল ইসলাম) গ্রন্থে দিয়েছি। ... আমরা তাঁকে অভিশাপ দেই, ভালোবাসি না। বরং তাঁকে আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করি। আর এটি ইমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খুঁটি। তাঁর কিছু ভালো কর্ম রয়েছে, যেগুলো তাঁর মন্দের সমুদ্রে হারিয়ে যাবে। তাঁর পরিণতি আল্লাহর হাতে। তবে তিনি সামগ্রিকভাবে ইমানদার ছিলেন। তাঁর মতো আরও বহু স্বৈরাচার ও জালিম পৃথিবীর ইতিহাসে রয়েছে।’
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের উত্থান শুরু হয় উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের শাসনামলে। তিনি প্রথমে একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু তাঁর দক্ষতা ও যোগ্যতা তাঁকে দ্রুত উমাইয়া প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যায়। তিনি খলিফা আবদুল মালিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং পরবর্তীতে তাঁকে ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়।
হাজ্জাজ ৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে (৭৫ হিজরি) ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত হন। ইরাক তখন উমাইয়া খিলাফতের একটি অস্থির প্রদেশ ছিল, যেখানে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও অরাজকতা চলছিল। হাজ্জাজ অত্যন্ত কঠোর হাতে ইরাকের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং দ্রুতই তিনি অরাজকতা দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
হাজ্জাজের কঠোর শাসন ও দমননীতি যদিও বাহ্যিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল, কিন্তু তাঁর পৈশাচিক জুলুম ও অন্যায়ের হাত থেকে বড় বড় ব্যক্তিরাও রেহাই পাননি। খুন ঝরানোতে তিনি বিশেষ তৃপ্তি অনুভব করতেন। ন্যূনতম বিরোধিতা তিনি সহ্য করতেন না। বিভিন্ন উপলক্ষে তাঁর প্রদত্ত বক্তৃতাগুলো ইতিহাস সংরক্ষণ করেছে। সেসব বক্তৃতা পাঠ করলে আজও অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। তাঁর অন্যায় খুন ঝরানো থেকে বাঁচতে পারেননি নবীজির সাহাবিরাও। হজরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইরের (রা.) মতো বিখ্যাত সাহাবিকেও তিনি হত্যা করেন।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন মনে করা হয়, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের বিদ্রোহ দমন। অথচ এটি তাঁর জীবনের প্রধানতম কলঙ্কজনক অধ্যায়। আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) ছিলেন একজন প্রভাবশালী সাহাবি এবং তিনি নিজেকে মক্কায় খলিফা ঘোষণা করেছিলেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ খলিফা আবদুল মালিকের নির্দেশে সেনাবাহিনী নিয়ে মক্কা অবরোধ করেন। কাবা শরিফ ঘেরাও করে সেখানে মিনজানিক (ক্ষেপণাস্ত্র) নিক্ষেপ করে কাবাঘর ধ্বংস করেন। অবশেষে ৬৯২ খ্রিস্টাব্দে (৭৩ হিজরি) আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরকে হত্যা করেন। এভাবে ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে উমাইয়া খিলাফতের অখণ্ডতা রক্ষা করেন হাজ্জাজ।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ শুধু একজন কঠোর শাসকই ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ প্রশাসকও ছিলেন। তিনি ইরাক ও হিজাজে বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। কর ব্যবস্থা সংস্কার করেন, নতুন সেচ প্রকল্প চালু করেন এবং রাস্তাঘাট ও সেতু নির্মাণে মনোনিবেশ করেন। তাঁর এই সংস্কারগুলো উমাইয়া খিলাফতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলেন অত্যন্ত কঠোর ও নির্দয় শাসক। তিনি শাসনকার্যে কোনো রকম ছাড় দিতেন না এবং তাঁর আদেশ অমান্য করলে কঠোর শাস্তি দিতেন। তাঁর এই কঠোরতা তাঁকে অনেকের কাছে ভয়ংকর ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল। তবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য প্রশাসক, যিনি অল্প সময়ের মধ্যে অরাজকতা দমন করে স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।
হাজ্জাজ ৭১৪ খ্রিস্টাব্দে (৯৫ হিজরি) ওয়াসিতে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু উমাইয়া খিলাফতের জন্য এক বড় ক্ষতি ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর উমাইয়া খিলাফত ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে।

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইসলামের ইতিহাসের একজন জালিম, বিতর্কিত ও প্রভাবশালী শাসক। উমাইয়া খিলাফতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনামলে একাধারে ভয় ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন হাজ্জাজ।
হাজ্জাজ ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে (৪০ হিজরি) বর্তমান সৌদি আরবের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম আবু মুহাম্মদ হাজ্জাজ বিন ইউসুফ আল-সাকাফি। তিনি তায়েফের প্রভাবশালী গোত্র বনু সাকিফের সদস্য ছিলেন।
হাজ্জাজের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে তেমন বিস্তাঁরিত জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিক যাহাবি তাঁর শিক্ষকদের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দিয়েছেন। যেখানে রয়েছেন বিখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) ও হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের (রা.) নাম।
হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সিয়ারু আলামিন নুবালা’য় অতি সংক্ষেপে তাঁকে মূল্যায়ন করেছেন এভাবে—‘আল্লাহ তাঁকে ৯৫ হিজরির রমজান মাসে ধ্বংস করেছেন। এ লোকটি ছিলেন একাধারে জালিম, প্রতাপশালী, নাসিবি, নিকৃষ্ট ও খুনি। পাশাপাশি তাঁর মধ্যে ছিল বীরত্ব, সাহসিকতা, ধূর্ততা, কূটবুদ্ধি, ভাষার অলংকার ও কোরআনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। তাঁর জঘন্য সব কর্মকাণ্ডের নাতিদীর্ঘ বিবরণ আমি (তাঁরিখুল ইসলাম) গ্রন্থে দিয়েছি। ... আমরা তাঁকে অভিশাপ দেই, ভালোবাসি না। বরং তাঁকে আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করি। আর এটি ইমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খুঁটি। তাঁর কিছু ভালো কর্ম রয়েছে, যেগুলো তাঁর মন্দের সমুদ্রে হারিয়ে যাবে। তাঁর পরিণতি আল্লাহর হাতে। তবে তিনি সামগ্রিকভাবে ইমানদার ছিলেন। তাঁর মতো আরও বহু স্বৈরাচার ও জালিম পৃথিবীর ইতিহাসে রয়েছে।’
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের উত্থান শুরু হয় উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের শাসনামলে। তিনি প্রথমে একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু তাঁর দক্ষতা ও যোগ্যতা তাঁকে দ্রুত উমাইয়া প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যায়। তিনি খলিফা আবদুল মালিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং পরবর্তীতে তাঁকে ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়।
হাজ্জাজ ৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে (৭৫ হিজরি) ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত হন। ইরাক তখন উমাইয়া খিলাফতের একটি অস্থির প্রদেশ ছিল, যেখানে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও অরাজকতা চলছিল। হাজ্জাজ অত্যন্ত কঠোর হাতে ইরাকের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং দ্রুতই তিনি অরাজকতা দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
হাজ্জাজের কঠোর শাসন ও দমননীতি যদিও বাহ্যিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল, কিন্তু তাঁর পৈশাচিক জুলুম ও অন্যায়ের হাত থেকে বড় বড় ব্যক্তিরাও রেহাই পাননি। খুন ঝরানোতে তিনি বিশেষ তৃপ্তি অনুভব করতেন। ন্যূনতম বিরোধিতা তিনি সহ্য করতেন না। বিভিন্ন উপলক্ষে তাঁর প্রদত্ত বক্তৃতাগুলো ইতিহাস সংরক্ষণ করেছে। সেসব বক্তৃতা পাঠ করলে আজও অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। তাঁর অন্যায় খুন ঝরানো থেকে বাঁচতে পারেননি নবীজির সাহাবিরাও। হজরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইরের (রা.) মতো বিখ্যাত সাহাবিকেও তিনি হত্যা করেন।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন মনে করা হয়, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের বিদ্রোহ দমন। অথচ এটি তাঁর জীবনের প্রধানতম কলঙ্কজনক অধ্যায়। আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) ছিলেন একজন প্রভাবশালী সাহাবি এবং তিনি নিজেকে মক্কায় খলিফা ঘোষণা করেছিলেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ খলিফা আবদুল মালিকের নির্দেশে সেনাবাহিনী নিয়ে মক্কা অবরোধ করেন। কাবা শরিফ ঘেরাও করে সেখানে মিনজানিক (ক্ষেপণাস্ত্র) নিক্ষেপ করে কাবাঘর ধ্বংস করেন। অবশেষে ৬৯২ খ্রিস্টাব্দে (৭৩ হিজরি) আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরকে হত্যা করেন। এভাবে ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে উমাইয়া খিলাফতের অখণ্ডতা রক্ষা করেন হাজ্জাজ।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ শুধু একজন কঠোর শাসকই ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ প্রশাসকও ছিলেন। তিনি ইরাক ও হিজাজে বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। কর ব্যবস্থা সংস্কার করেন, নতুন সেচ প্রকল্প চালু করেন এবং রাস্তাঘাট ও সেতু নির্মাণে মনোনিবেশ করেন। তাঁর এই সংস্কারগুলো উমাইয়া খিলাফতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলেন অত্যন্ত কঠোর ও নির্দয় শাসক। তিনি শাসনকার্যে কোনো রকম ছাড় দিতেন না এবং তাঁর আদেশ অমান্য করলে কঠোর শাস্তি দিতেন। তাঁর এই কঠোরতা তাঁকে অনেকের কাছে ভয়ংকর ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল। তবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য প্রশাসক, যিনি অল্প সময়ের মধ্যে অরাজকতা দমন করে স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।
হাজ্জাজ ৭১৪ খ্রিস্টাব্দে (৯৫ হিজরি) ওয়াসিতে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু উমাইয়া খিলাফতের জন্য এক বড় ক্ষতি ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর উমাইয়া খিলাফত ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে।
আবদুল আযীয কাসেমি

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইসলামের ইতিহাসের একজন জালিম, বিতর্কিত ও প্রভাবশালী শাসক। উমাইয়া খিলাফতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনামলে একাধারে ভয় ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন হাজ্জাজ।
হাজ্জাজ ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে (৪০ হিজরি) বর্তমান সৌদি আরবের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম আবু মুহাম্মদ হাজ্জাজ বিন ইউসুফ আল-সাকাফি। তিনি তায়েফের প্রভাবশালী গোত্র বনু সাকিফের সদস্য ছিলেন।
হাজ্জাজের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে তেমন বিস্তাঁরিত জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিক যাহাবি তাঁর শিক্ষকদের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দিয়েছেন। যেখানে রয়েছেন বিখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) ও হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের (রা.) নাম।
হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সিয়ারু আলামিন নুবালা’য় অতি সংক্ষেপে তাঁকে মূল্যায়ন করেছেন এভাবে—‘আল্লাহ তাঁকে ৯৫ হিজরির রমজান মাসে ধ্বংস করেছেন। এ লোকটি ছিলেন একাধারে জালিম, প্রতাপশালী, নাসিবি, নিকৃষ্ট ও খুনি। পাশাপাশি তাঁর মধ্যে ছিল বীরত্ব, সাহসিকতা, ধূর্ততা, কূটবুদ্ধি, ভাষার অলংকার ও কোরআনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। তাঁর জঘন্য সব কর্মকাণ্ডের নাতিদীর্ঘ বিবরণ আমি (তাঁরিখুল ইসলাম) গ্রন্থে দিয়েছি। ... আমরা তাঁকে অভিশাপ দেই, ভালোবাসি না। বরং তাঁকে আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করি। আর এটি ইমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খুঁটি। তাঁর কিছু ভালো কর্ম রয়েছে, যেগুলো তাঁর মন্দের সমুদ্রে হারিয়ে যাবে। তাঁর পরিণতি আল্লাহর হাতে। তবে তিনি সামগ্রিকভাবে ইমানদার ছিলেন। তাঁর মতো আরও বহু স্বৈরাচার ও জালিম পৃথিবীর ইতিহাসে রয়েছে।’
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের উত্থান শুরু হয় উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের শাসনামলে। তিনি প্রথমে একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু তাঁর দক্ষতা ও যোগ্যতা তাঁকে দ্রুত উমাইয়া প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যায়। তিনি খলিফা আবদুল মালিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং পরবর্তীতে তাঁকে ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়।
হাজ্জাজ ৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে (৭৫ হিজরি) ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত হন। ইরাক তখন উমাইয়া খিলাফতের একটি অস্থির প্রদেশ ছিল, যেখানে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও অরাজকতা চলছিল। হাজ্জাজ অত্যন্ত কঠোর হাতে ইরাকের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং দ্রুতই তিনি অরাজকতা দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
হাজ্জাজের কঠোর শাসন ও দমননীতি যদিও বাহ্যিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল, কিন্তু তাঁর পৈশাচিক জুলুম ও অন্যায়ের হাত থেকে বড় বড় ব্যক্তিরাও রেহাই পাননি। খুন ঝরানোতে তিনি বিশেষ তৃপ্তি অনুভব করতেন। ন্যূনতম বিরোধিতা তিনি সহ্য করতেন না। বিভিন্ন উপলক্ষে তাঁর প্রদত্ত বক্তৃতাগুলো ইতিহাস সংরক্ষণ করেছে। সেসব বক্তৃতা পাঠ করলে আজও অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। তাঁর অন্যায় খুন ঝরানো থেকে বাঁচতে পারেননি নবীজির সাহাবিরাও। হজরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইরের (রা.) মতো বিখ্যাত সাহাবিকেও তিনি হত্যা করেন।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন মনে করা হয়, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের বিদ্রোহ দমন। অথচ এটি তাঁর জীবনের প্রধানতম কলঙ্কজনক অধ্যায়। আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) ছিলেন একজন প্রভাবশালী সাহাবি এবং তিনি নিজেকে মক্কায় খলিফা ঘোষণা করেছিলেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ খলিফা আবদুল মালিকের নির্দেশে সেনাবাহিনী নিয়ে মক্কা অবরোধ করেন। কাবা শরিফ ঘেরাও করে সেখানে মিনজানিক (ক্ষেপণাস্ত্র) নিক্ষেপ করে কাবাঘর ধ্বংস করেন। অবশেষে ৬৯২ খ্রিস্টাব্দে (৭৩ হিজরি) আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরকে হত্যা করেন। এভাবে ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে উমাইয়া খিলাফতের অখণ্ডতা রক্ষা করেন হাজ্জাজ।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ শুধু একজন কঠোর শাসকই ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ প্রশাসকও ছিলেন। তিনি ইরাক ও হিজাজে বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। কর ব্যবস্থা সংস্কার করেন, নতুন সেচ প্রকল্প চালু করেন এবং রাস্তাঘাট ও সেতু নির্মাণে মনোনিবেশ করেন। তাঁর এই সংস্কারগুলো উমাইয়া খিলাফতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলেন অত্যন্ত কঠোর ও নির্দয় শাসক। তিনি শাসনকার্যে কোনো রকম ছাড় দিতেন না এবং তাঁর আদেশ অমান্য করলে কঠোর শাস্তি দিতেন। তাঁর এই কঠোরতা তাঁকে অনেকের কাছে ভয়ংকর ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল। তবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য প্রশাসক, যিনি অল্প সময়ের মধ্যে অরাজকতা দমন করে স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।
হাজ্জাজ ৭১৪ খ্রিস্টাব্দে (৯৫ হিজরি) ওয়াসিতে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু উমাইয়া খিলাফতের জন্য এক বড় ক্ষতি ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর উমাইয়া খিলাফত ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে।

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইসলামের ইতিহাসের একজন জালিম, বিতর্কিত ও প্রভাবশালী শাসক। উমাইয়া খিলাফতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনামলে একাধারে ভয় ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন হাজ্জাজ।
হাজ্জাজ ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে (৪০ হিজরি) বর্তমান সৌদি আরবের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম আবু মুহাম্মদ হাজ্জাজ বিন ইউসুফ আল-সাকাফি। তিনি তায়েফের প্রভাবশালী গোত্র বনু সাকিফের সদস্য ছিলেন।
হাজ্জাজের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে তেমন বিস্তাঁরিত জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিক যাহাবি তাঁর শিক্ষকদের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দিয়েছেন। যেখানে রয়েছেন বিখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) ও হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের (রা.) নাম।
হাফেজ শামসুদ্দিন যাহাবি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘সিয়ারু আলামিন নুবালা’য় অতি সংক্ষেপে তাঁকে মূল্যায়ন করেছেন এভাবে—‘আল্লাহ তাঁকে ৯৫ হিজরির রমজান মাসে ধ্বংস করেছেন। এ লোকটি ছিলেন একাধারে জালিম, প্রতাপশালী, নাসিবি, নিকৃষ্ট ও খুনি। পাশাপাশি তাঁর মধ্যে ছিল বীরত্ব, সাহসিকতা, ধূর্ততা, কূটবুদ্ধি, ভাষার অলংকার ও কোরআনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। তাঁর জঘন্য সব কর্মকাণ্ডের নাতিদীর্ঘ বিবরণ আমি (তাঁরিখুল ইসলাম) গ্রন্থে দিয়েছি। ... আমরা তাঁকে অভিশাপ দেই, ভালোবাসি না। বরং তাঁকে আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করি। আর এটি ইমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খুঁটি। তাঁর কিছু ভালো কর্ম রয়েছে, যেগুলো তাঁর মন্দের সমুদ্রে হারিয়ে যাবে। তাঁর পরিণতি আল্লাহর হাতে। তবে তিনি সামগ্রিকভাবে ইমানদার ছিলেন। তাঁর মতো আরও বহু স্বৈরাচার ও জালিম পৃথিবীর ইতিহাসে রয়েছে।’
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের উত্থান শুরু হয় উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের শাসনামলে। তিনি প্রথমে একজন শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু তাঁর দক্ষতা ও যোগ্যতা তাঁকে দ্রুত উমাইয়া প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যায়। তিনি খলিফা আবদুল মালিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং পরবর্তীতে তাঁকে ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়।
হাজ্জাজ ৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে (৭৫ হিজরি) ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত হন। ইরাক তখন উমাইয়া খিলাফতের একটি অস্থির প্রদেশ ছিল, যেখানে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও অরাজকতা চলছিল। হাজ্জাজ অত্যন্ত কঠোর হাতে ইরাকের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং দ্রুতই তিনি অরাজকতা দমন করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
হাজ্জাজের কঠোর শাসন ও দমননীতি যদিও বাহ্যিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল, কিন্তু তাঁর পৈশাচিক জুলুম ও অন্যায়ের হাত থেকে বড় বড় ব্যক্তিরাও রেহাই পাননি। খুন ঝরানোতে তিনি বিশেষ তৃপ্তি অনুভব করতেন। ন্যূনতম বিরোধিতা তিনি সহ্য করতেন না। বিভিন্ন উপলক্ষে তাঁর প্রদত্ত বক্তৃতাগুলো ইতিহাস সংরক্ষণ করেছে। সেসব বক্তৃতা পাঠ করলে আজও অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। তাঁর অন্যায় খুন ঝরানো থেকে বাঁচতে পারেননি নবীজির সাহাবিরাও। হজরত আব্দুল্লাহ বিন যুবাইরের (রা.) মতো বিখ্যাত সাহাবিকেও তিনি হত্যা করেন।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন মনে করা হয়, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের বিদ্রোহ দমন। অথচ এটি তাঁর জীবনের প্রধানতম কলঙ্কজনক অধ্যায়। আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) ছিলেন একজন প্রভাবশালী সাহাবি এবং তিনি নিজেকে মক্কায় খলিফা ঘোষণা করেছিলেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ খলিফা আবদুল মালিকের নির্দেশে সেনাবাহিনী নিয়ে মক্কা অবরোধ করেন। কাবা শরিফ ঘেরাও করে সেখানে মিনজানিক (ক্ষেপণাস্ত্র) নিক্ষেপ করে কাবাঘর ধ্বংস করেন। অবশেষে ৬৯২ খ্রিস্টাব্দে (৭৩ হিজরি) আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরকে হত্যা করেন। এভাবে ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে উমাইয়া খিলাফতের অখণ্ডতা রক্ষা করেন হাজ্জাজ।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ শুধু একজন কঠোর শাসকই ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ প্রশাসকও ছিলেন। তিনি ইরাক ও হিজাজে বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। কর ব্যবস্থা সংস্কার করেন, নতুন সেচ প্রকল্প চালু করেন এবং রাস্তাঘাট ও সেতু নির্মাণে মনোনিবেশ করেন। তাঁর এই সংস্কারগুলো উমাইয়া খিলাফতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলেন অত্যন্ত কঠোর ও নির্দয় শাসক। তিনি শাসনকার্যে কোনো রকম ছাড় দিতেন না এবং তাঁর আদেশ অমান্য করলে কঠোর শাস্তি দিতেন। তাঁর এই কঠোরতা তাঁকে অনেকের কাছে ভয়ংকর ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল। তবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য প্রশাসক, যিনি অল্প সময়ের মধ্যে অরাজকতা দমন করে স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হয়েছিলেন।
হাজ্জাজ ৭১৪ খ্রিস্টাব্দে (৯৫ হিজরি) ওয়াসিতে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যু উমাইয়া খিলাফতের জন্য এক বড় ক্ষতি ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর উমাইয়া খিলাফত ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে।

নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইসলামের ইতিহাসের একজন জালিম, বিতর্কিত ও প্রভাবশালী শাসক। উমাইয়া খিলাফতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনামলে একাধারে ভয় ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন হাজ্জাজ। হাজ্জাজ ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে (৪০ হিজরি) বর্তমান সৌদি আরবের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম আবু মুহাম্মদ...
০৭ মার্চ ২০২৫
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইসলামের ইতিহাসের একজন জালিম, বিতর্কিত ও প্রভাবশালী শাসক। উমাইয়া খিলাফতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনামলে একাধারে ভয় ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন হাজ্জাজ। হাজ্জাজ ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে (৪০ হিজরি) বর্তমান সৌদি আরবের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম আবু মুহাম্মদ...
০৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইসলামের ইতিহাসের একজন জালিম, বিতর্কিত ও প্রভাবশালী শাসক। উমাইয়া খিলাফতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনামলে একাধারে ভয় ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন হাজ্জাজ। হাজ্জাজ ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে (৪০ হিজরি) বর্তমান সৌদি আরবের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম আবু মুহাম্মদ...
০৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইসলামের ইতিহাসের একজন জালিম, বিতর্কিত ও প্রভাবশালী শাসক। উমাইয়া খিলাফতের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনামলে একাধারে ভয় ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন হাজ্জাজ। হাজ্জাজ ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে (৪০ হিজরি) বর্তমান সৌদি আরবের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম আবু মুহাম্মদ...
০৭ মার্চ ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৪ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে