Ajker Patrika

রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তা—ইসলাম যা বলে

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রিজিক হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য নির্ধারিত সব ধরনের অনুগ্রহ ও উপকরণ, যা জীবনের কল্যাণ সাধন করে। এটি শুধু অর্থ-সম্পদেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর বিস্তৃতি অনেক গভীর। শস্য, ফল, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি সুস্থ দেহ, উত্তম স্ত্রী, নেক সন্তান ও আধ্যাত্মিক কল্যাণ—সবকিছুই রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।

  • রিজিকের সর্বনিম্ন স্তর: টাকা-পয়সা, অর্থ-সম্পদ।
  • সর্বোচ্চ স্তর: শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।
  • সর্বোত্তম স্তর: পুণ্যবান স্ত্রী ও পরিশুদ্ধ নেক সন্তান।
  • সর্বোপরি ও পরিপূর্ণ স্তর: মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।

আল্লাহ তাআলা প্রতিটি প্রাণীর জন্য নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত রিজিক নির্ধারণ করে রেখেছেন। কোনো প্রাণীই তার নির্ধারিত রিজিক পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না। এ সত্য কোরআন ও হাদিসে বারবার উল্লিখিত হয়েছে।

নির্ধারিত রিজিক বান্দার কাছে পৌঁছাবেই

আল্লাহ তাআলা তাঁর অসীম হিকমত ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী প্রতিটি বান্দার রিজিক আগে থেকে নির্ধারণ করে রেখেছেন। তিনি কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘পৃথিবীতে যত জীবজন্তু রয়েছে, তাদের রিজিক আল্লাহর ওপরই ন্যস্ত।’ (সুরা হুদ: ৬)

এক হাদিসে রাসুল (সা.) ইবনে আব্বাস (রা.)-কে বলেন, ‘জেনে রেখো, সমগ্র বিশ্ব যদি একত্র হয়ে তোমাকে কিছু দিতে চায়, তাহলে তারা কেবল সেটুকুই দিতে পারবে, যা আল্লাহ তাআলা তোমার জন্য নির্ধারণ করেছেন। এমনিভাবে, সমগ্র বিশ্ব যদি একত্র হয়ে তোমার কোনো ক্ষতি করতে চায়, তারা কেবল সেটুকুই পারবে, যা আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন।’ (জামে তিরমিজি: ২৫১৬)

অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কোনো প্রাণ মৃত্যুবরণ করবে না, যতক্ষণ না সে তার নির্ধারিত রিজিক ও সময় পূর্ণ করে নেয়। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং হালাল পথে রিজিক অনুসন্ধান করো।’ (মুসতাদরাকে হাকিম: ২১৪৬)

এ হাদিসগুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে, বান্দার জন্য আল্লাহ যে রিজিক নির্ধারণ করেছেন, তা তার কাছেই পৌঁছাবে। মানুষ যত চেষ্টা করুক বা অন্য কেউ যত কৌশল অবলম্বন করুক, তার নির্ধারিত রিজিক কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। বান্দার কর্তব্য শুধু হালাল পথে চেষ্টা করা, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা এবং সন্তুষ্টচিত্তে তাঁর লিখে দেওয়া তাকদির মেনে নেওয়া।

রিজিকের প্রকারভেদ

অনেকে রিজিককে শুধু অর্থ-সম্পদের মধ্যে সীমাবদ্ধ মনে করে, যা একটি ভুল ধারণা। মানুষের যা কিছু কল্যাণ ও উপকারে আসে, তার সবই রিজিকের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাঁর বান্দার জীবনযাত্রা সহজ করার জন্য যে অনুগ্রহসমূহ দান করেন, সেগুলোই নানা প্রকারের রিজিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—

ইমানের রিজিক: যে ব্যক্তি তার রবের প্রতি ইমান আনে ও আল্লাহকে বিশ্বাস করে, সে প্রকৃত অর্থে মহান রিজিকের অধিকারী। এ রিজিক মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করায় এবং দুনিয়া ও আখিরাতে পরম সুখ দান করে।

জ্ঞান ও প্রজ্ঞার রিজিক: জ্ঞান ও প্রজ্ঞা আল্লাহর পক্ষ থেকে এক মহান দান। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, যাকে প্রজ্ঞা দান করা হয়েছে, তাকে বাস্তবিক অর্থেই বিপুল কল্যাণ দান করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ যার জন্য কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের ফিকহ (বিশুদ্ধ ও গভীর বুঝ) দান করেন।’

স্বাস্থ্য ও সুস্থতার রিজিক: ইমানের পর দুনিয়ায় এমন কোনো নিয়ামত নেই, যা সুস্থতা ও নিরাপদ দেহের সমকক্ষ হতে পারে। একজন সুস্থ মানুষ যেন পুরো দুনিয়ার মালিক।

ধন-সম্পদের রিজিক: এটি মানুষের কাছে সবচেয়ে পরিচিত রিজিক, যা দিয়ে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে এবং নিজের ও পরিবারের প্রয়োজন মেটায়।

পুণ্যবতী স্ত্রীর রিজিক: একজন নেককার স্ত্রী আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত এক বিশেষ রিজিক। এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুনিয়াতে উপকার অর্জনের অনেক সামগ্রী রয়েছে। তবে তার মধ্য থেকে পুণ্যবতী স্ত্রীর তুলনায় উত্তম আর কিছু নেই।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৫৩৫)

নেককার সন্তানের রিজিক: সৎ ও ধার্মিক সন্তান দুনিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ রিজিক। তারা বাবা-মায়ের চোখের শীতলতা এবং দুনিয়া ও আখিরাতের সুখের উৎস হয়ে ওঠে।

মানুষের ভালোবাসা লাভের রিজিক: মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার পাত্র হওয়া আল্লাহর এক মহান রিজিক। এটি কেবল বাহ্যিক জনপ্রিয়তা নয়, বরং সত্যিকারের সততা ও ইমানের প্রতিফলন।

রিজিক নির্ধারিত, অন্বেষণ অপরিহার্য

রিজিক আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত—এটি একটি অনুপম সত্য, যা আমাদের বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আমরা বসে থাকব। বরং নির্ধারিত রিজিক অর্জনের জন্য অন্বেষণ অপরিহার্য। মানুষ এ বিষয়ে দুটি ভুল ধারণায় বিভ্রান্ত হয়—

উদাসীনতাকে তাওয়াক্কুল মনে করা: কিছু মানুষ মনে করে, যেহেতু রিজিক আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, তাই শুধু বসে থাকলেই চলবে। তারা রাসুল (সা.)-এর হাদিসকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে, যেখানে তিনি বলেছেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর ওপর প্রকৃতভাবে তাওয়াক্কুল (নির্ভর) করো, তাহলে তোমরা রিজিক পাবে। যেভাবে পাখিরা রিজিক পায়। সকালবেলা খালি পেটে পাখিরা বাসা থেকে বের হয় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে তারা নীড়ে ফিরে আসে।’ তারা বুঝতে পারে না যে, হাদিসটি তাদের বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দেয়। পাখিরা কখনো বসে থাকে না; বরং তারা প্রতিদিন সকালে খাদ্য সংগ্রহের জন্য বের হয়ে যায়। হাদিসের মূল শিক্ষা হলো, পরিশ্রম ও তাওয়াক্কুলকে একসঙ্গে করতে হয়।

শুধু বস্তুর ওপর নির্ভরশীলতা: অন্যদিকে যারা শুধু বস্তু বা কারণের ওপর নির্ভর করে, তারা ভুলে যায় যে প্রতিটি কারণের পেছনে একজন নিয়ামক আছেন, আর তিনি হলেন আল্লাহ তাআলা। একই ওষুধ ও চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েও একজন সুস্থ হয়ে ফিরে আসে, আর অন্যজনকে কাফনের কাপড়ে মুড়িয়ে কবরে রাখা হয়। এটাই প্রমাণ করে যে, ফলাফল শুধু কারণের ওপর নির্ভরশীল নয়।

প্রকৃত তাওয়াক্কুল হলো ইসলামের নির্দেশিত পথ। অর্থাৎ, জ্ঞান ও বিচক্ষণতা অনুযায়ী পরিশ্রম করা, কিন্তু ফলাফলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রক হিসেবে আল্লাহকে মেনে নেওয়া।

রিজিক আহরণের উপায়

রিজিক আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হলেও কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করলে আল্লাহ তাআলা রিজিককে প্রসারিত করতে পারেন।

পাপ ও অবাধ্যতা থেকে দূরে থাকা: পাপ ও অবাধ্যতা হলো রিজিককে বাধাগ্রস্ত করার প্রধান কারণ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষ তার অপরাধের কারণে রিজিক থেকে বঞ্চিত হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪০২২)। যদি কোনো ব্যক্তি পাপাচারে লিপ্ত থাকার পরও তার রিজিকে সংকীর্ণতা না আসে, তাহলে বুঝতে হবে, সে অচিরেই আল্লাহর কঠিন পাকড়াওয়ে আপতিত হবে।

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা: আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা রিজিককে বাধাগ্রস্ত করে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি চায় তার রিজিক প্রসারিত হোক ও আয়ু দীর্ঘ হোক, সে যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ১৩/৪৬৫)

দান-সদকা করা: সদকা হলো রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান উপায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান-সদকাকে বর্ধিত করেন।’ (সুরা আল-বাকারা: ২৭৬)

রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তা কাম্য নয়

মানুষের যাপিত জীবনে রিজিক একটি অপরিহার্য উপাদান। খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসা—সবই রিজিকের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু একটি সত্য সর্বদা মনে রাখা দরকার, রিজিক মানুষের হাতে নয়, বরং এটি একমাত্র আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে। আল্লাহ তাঁর কিতাবে বলেছেন, ‘তোমাদের রিজিক আসমানে রয়েছে এবং যা কিছু তোমাদের জন্য প্রতিশ্রুত, সেটিও।’ অর্থাৎ, রিজিক ইতিমধ্যে ঠিক করা রয়েছে, সময়মতো তা পৌঁছাবে।

রিজিক নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। দুশ্চিন্তায় ভোগার পরিবর্তে একজন মুসলিমের উচিত আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা, হালাল পথে পরিশ্রম করা ও আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

লেখক: মুফতি আহমাদুল্লাহ মাসউদ, শিক্ষক, জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়া, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্ত্রীর সঙ্গে উত্তম আচরণ মুমিনের বৈশিষ্ট্য

ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)

এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইমানদার পুরুষদের কেবল ভরণপোষণের দায়িত্ব দেননি, বরং নারীদের সঙ্গে হৃদ্যতা, স্নেহ ও সম্মানের আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারকে উত্তম চরিত্রের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি)

ইসলাম আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো মর্যাদা ছিল না। আরব সমাজে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কুপ্রথা ছিল। সেই অন্ধকার যুগে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা। শিক্ষা, উত্তরাধিকার, বিয়ে ও মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইসলাম নারীর যথাযোগ্য অধিকার নিশ্চিত করেছে।

হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের কাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাচ যেমন ভঙ্গুর, তেমনি নারীর মনও কোমল; ভালোবাসা ও যত্নেই তারা টিকে থাকে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি যদি তা সোজা করতে চাও, তা ভেঙে যাবে; আর যদি ছেড়ে দাও, বাঁকাই থাকবে। তাই তাদের সদুপদেশ দাও।’ (সহিহ বুখারি)

একজন পুরুষের উচিত নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় কোমল ভাষা ব্যবহার করা, পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাকে মানসিক প্রশান্তি দেওয়া। কারণ পরিবারে ভালোবাসা ও স্থিতি আসে পারস্পরিক সম্মান ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে। স্ত্রীকে জীবনের সহযাত্রী হিসেবে দেখা এবং তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই ইমানদারের বৈশিষ্ট্য।

লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৩ অক্টোবর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৪: ৪২ মিনিট
ফজর০৪: ৪৩ মিনিট০৫: ৫৮ মিনিট
জোহর১১: ৪৪ মিনিট০৩: ৪৮ মিনিট
আসর০৩: ৪৯ মিনিট০৫: ২৫ মিনিট
মাগরিব০৫: ২৭ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৪: ৪২ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনায় ইসলামের নির্দেশনা

শাব্বির আহমদ
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।

নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।

এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।

ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।

সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।

আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।

বিষয়:

সড়কইসলাম
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২২ অক্টোবর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৪: ৪২ মিনিট
ফজর০৪: ৪৩ মিনিট০৫: ৫৮ মিনিট
জোহর১১: ৪৪ মিনিট০৩: ৪৯ মিনিট
আসর০৩: ৫০ মিনিট০৫: ২৫ মিনিট
মাগরিব০৫: ২৭ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৪: ৪২ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

কাপের অবশিষ্ট কফি ড্রেনে ঢেলে দেওয়ায় নারীকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আমাকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে: মুফতি আমিনীর নাতি

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

সোনার বড় দরপতন, একলাফে ৮ হাজার ৩৮৬ টাকা কমল ভরিতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত