মাওলানা ইসমাইল নাজিম
প্রকৃত অর্থে ঋণ শোধ করতে অক্ষম ব্যক্তিকে সময় বাড়িয়ে দেওয়া, সুযোগ দেওয়া এবং পারলে ক্ষমা করে দেওয়া বড় সওয়াবের কাজ। এমন মহৎপ্রাণ মানুষের জন্য দুনিয়া-আখিরাতে রয়েছে অজস্র পুরস্কার। কোরআন-হাদিসে এমন ব্যক্তির জন্য অনেক ফজিলতের কথা এসেছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি অভাবী হয়, তাহলে তাকে সচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে সেটা তোমাদের জন্য আরও উত্তম, যদি তোমরা তা জানতে।’(সুরা বাকারা: ২৮০)
দুই. হজরত বুরাইদা আল-আসলামি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (ঋণগ্রস্ত) অভাবী ব্যক্তিকে অবকাশ দেবে, সে দান-খয়রাত করার সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সময় বাড়িয়ে দেবে, সেও প্রতিদিন দান-খয়রাত করার নেকি লাভ করবে।’ (ইবনে মাজাহ: ২৪১৮)
তিন. হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যে বেচাকেনার সময় উদারচিত্ত হয় এবং (ঋণের) পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে সহনশীল হয়।’ (ইবনে মাজাহ: ২২০৩)
চার. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী ঋণগ্রস্তকে সুযোগ দেবে অথবা ঋণ মাফ করে দেবে, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাকে তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় প্রদান করবেন। যেদিন তাঁর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না।’ (তিরমিজি: ১৩০৬)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রকৃত অর্থে ঋণ শোধ করতে অক্ষম ব্যক্তিকে সময় বাড়িয়ে দেওয়া, সুযোগ দেওয়া এবং পারলে ক্ষমা করে দেওয়া বড় সওয়াবের কাজ। এমন মহৎপ্রাণ মানুষের জন্য দুনিয়া-আখিরাতে রয়েছে অজস্র পুরস্কার। কোরআন-হাদিসে এমন ব্যক্তির জন্য অনেক ফজিলতের কথা এসেছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি অভাবী হয়, তাহলে তাকে সচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে সেটা তোমাদের জন্য আরও উত্তম, যদি তোমরা তা জানতে।’(সুরা বাকারা: ২৮০)
দুই. হজরত বুরাইদা আল-আসলামি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (ঋণগ্রস্ত) অভাবী ব্যক্তিকে অবকাশ দেবে, সে দান-খয়রাত করার সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সময় বাড়িয়ে দেবে, সেও প্রতিদিন দান-খয়রাত করার নেকি লাভ করবে।’ (ইবনে মাজাহ: ২৪১৮)
তিন. হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যে বেচাকেনার সময় উদারচিত্ত হয় এবং (ঋণের) পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে সহনশীল হয়।’ (ইবনে মাজাহ: ২২০৩)
চার. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী ঋণগ্রস্তকে সুযোগ দেবে অথবা ঋণ মাফ করে দেবে, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তাকে তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় প্রদান করবেন। যেদিন তাঁর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না।’ (তিরমিজি: ১৩০৬)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৫ ঘণ্টা আগেন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসকের মৌলিক দায়িত্ব কর্তব্য হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মহান রব পবিত্র কোরআনে ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন।
১ দিন আগেআমাদের জীবনে গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক উপায় হলো ইস্তিগফার—আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। প্রতিটি মুসলমানের উচিত, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ইস্তিগফারের আমল করাটা যেন এক প্রাকৃতিক অভ্যাস হয়ে ওঠে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও নিয়মিত এই আমলটি পালন করতেন।
১ দিন আগেঅজু দৈনন্দিন জীবনে একাধিকবার ফিরে আসা এক পবিত্র চর্চা। যাঁরা অজুকে গুরুত্ব দেন, নিয়মিত অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির প্রতিশ্রুতি। অজু নামাজের পূর্বশর্ত।
১ দিন আগে