আসআদ শাহীন

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা, নরম ব্যবহার করা, তাঁদের অবস্থা লক্ষ্য রাখা, কখনোই তাঁদের প্রতি অসদাচরণ না করা এবং এমনকি তাঁদের বন্ধুদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করা।
এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পিতামাতার প্রতি সদাচরণকে তাঁর ইবাদত ও তাওহিদের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একত্রে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন—‘আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং তোমার পিতামাতার প্রতিও কৃতজ্ঞ হও। আমারই কাছে (তোমাদের) প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা লুকমান, আয়াত: ১৪-১৫)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং পিতামাতার প্রতি সদাচরণ করতে।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ২৩)
পক্ষান্তরে পিতামাতার প্রতি অসদাচরণ করা, কষ্ট দেওয়া বা তাঁদের কথা অমান্য করা, আর তাঁরা যদি এতে কষ্ট পেয়ে বদদোয়া বা অভিশাপ দেন, তাহলে তা আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন প্রকারের দোয়া অবশ্যই মঞ্জুর করা হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া, মুসাফিরের দোয়া এবং সন্তানের প্রতি বাবা-মার বদদোয়া।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯০৫)
এমনই এক মায়ের বদদোয়ার ঘটনা সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যাঁর দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন। নিচে ওই ঘটনা তুলে ধরা হলো—
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, তিনজন শিশু ছাড়া আর কেউ দোলনায় থেকে কথা বলেনি। প্রথমজন ইসা (আ.)। দ্বিতীয়জন (এক শিশু, যার কথা এসেছে) বনি ইসরাইলের ‘জুরাইজ’ নামের এক ব্যক্তির ঘটনায়। একদা ইবাদতে রত থাকা অবস্থায় জুরাইজের মা এসে তাঁকে ডাকলেন। তিনি ভাবলেন, আমি কি তাঁর ডাকে সাড়া দেব, না নামাজ আদায় করতে থাকব। তাঁর মা বললেন, ‘হে আল্লাহ, ব্যাভিচারিণীর মুখ না দেখা পর্যন্ত তুমি তাকে মৃত্যু দিও না।’ জুরাইজ তাঁর ইবাদতখানায় থাকতেন। একবার তাঁর কাছে এক নারী এসে তাঁর সঙ্গে (মনোবাসনা পূরণের) কথা বললেন। কিন্তু জুরাইজ তা অস্বীকার করলেন। এরপর নারীটি একজন রাখালের কাছে গেলেন এবং তাঁকে দিয়ে মনোবাসনা পূর্ণ করলেন। পরে তিনি এক পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এটি কার বাচ্চা?’ ওই নারী বললেন, ‘জুরাইজের।’ লোকজন তাঁর কাছে এলো এবং তাঁর ইবাদতখানা ভেঙে দিল। আর তাঁকে নিচে নামিয়ে এনে গালিগালাজ করল। তখন জুরাইজ অজু সেরে ইবাদত করলেন। এরপর নবজাত শিশুটির কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে শিশু, তোমার পিতা কে?’ সে জবাব দিল, ‘অমুক রাখাল।’ তারা বলল, ‘আমরা আপনার ইবাদতখানাটি সোনা দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছি।’ জুরাইজ বললেন, ‘না। তবে মাটি দিয়ে।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৪৩৬; মুসলিম, হাদিস: ২৫৫০)
এ এক দুর্লভ দৃষ্টান্ত। মায়ের অভিশাপের শক্তি যেমন অপ্রতিরোধ্য, তেমনি আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতেও সক্ষম।
গল্প থেকে শিক্ষা
পিতামাতার অবাধ্যতা ও তাঁদের প্রতি সদাচরণ না করা এবং তাঁদের আদেশ অমান্য করা মানুষের জীবনে নানা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। যেমনটি ঘটেছিল এই নেককার ও পরহেজগার (জুরাইজ) ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যিনি তাঁর মায়ের প্রতি কর্তব্য পালনে অবহেলা করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলা তাঁর নেক বান্দাদের সততা ও তাকওয়ার প্রতিদান দেন। যেমন তিনি জুরাইজ নামক ওই নেককার ব্যক্তিকে মিথ্যা অপবাদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং তাঁর নির্দোষ হওয়ার বিষয়টি একটি শিশুর মুখ থেকে প্রমাণ করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলার অসীম ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কথা বলিয়ে দেওয়া, যাদের কথা বলার সাধ্য নেই। যেমন, তিনি জুরাইজকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য এক নবজাতক শিশুকে কথা বলিয়েছিলেন।
যদি কেউ নফল নামাজ আদায়রত থাকে এবং তার পিতামাতা কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনে ডাক দেয়, তবে তাকে নামাজ ছেড়ে তাঁদের ডাকে সাড়া দেওয়া উচিত। কেননা, হাদিস থেকে বোঝা যায়, জুরাইজ তাঁর মায়ের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ভুল করেছিলেন এবং এ কারণে আল্লাহর নিকট তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হন।
যদি কোনো বান্দা ধৈর্য ও তাকওয়ার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়, তবে পরিণামে তার অবস্থার উন্নতি হয়। যেমন, জুরাইজের সম্মান ও মর্যাদা তাঁর বিপদের পর আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল—মানুষের দৃষ্টিতে এবং সর্বোপরি আল্লাহর নিকটও।
কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রমাণ ও সুনিশ্চিত সাক্ষ্য ছাড়া তা বিশ্বাস করা উচিত নয়। জুরাইজের কওম তাঁর অপরাধ যাচাই না করেই তাঁর ওপর চড়াও হয়েছিল, তাঁকে গালি দিয়েছিল, এমনকি আঘাতও করেছিল। অথচ, তাঁদের উচিত ছিল সঠিক তদন্ত করা, সত্য-মিথ্যা যাচাই করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা, নরম ব্যবহার করা, তাঁদের অবস্থা লক্ষ্য রাখা, কখনোই তাঁদের প্রতি অসদাচরণ না করা এবং এমনকি তাঁদের বন্ধুদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করা।
এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পিতামাতার প্রতি সদাচরণকে তাঁর ইবাদত ও তাওহিদের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একত্রে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন—‘আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং তোমার পিতামাতার প্রতিও কৃতজ্ঞ হও। আমারই কাছে (তোমাদের) প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা লুকমান, আয়াত: ১৪-১৫)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং পিতামাতার প্রতি সদাচরণ করতে।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ২৩)
পক্ষান্তরে পিতামাতার প্রতি অসদাচরণ করা, কষ্ট দেওয়া বা তাঁদের কথা অমান্য করা, আর তাঁরা যদি এতে কষ্ট পেয়ে বদদোয়া বা অভিশাপ দেন, তাহলে তা আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন প্রকারের দোয়া অবশ্যই মঞ্জুর করা হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া, মুসাফিরের দোয়া এবং সন্তানের প্রতি বাবা-মার বদদোয়া।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯০৫)
এমনই এক মায়ের বদদোয়ার ঘটনা সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যাঁর দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন। নিচে ওই ঘটনা তুলে ধরা হলো—
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, তিনজন শিশু ছাড়া আর কেউ দোলনায় থেকে কথা বলেনি। প্রথমজন ইসা (আ.)। দ্বিতীয়জন (এক শিশু, যার কথা এসেছে) বনি ইসরাইলের ‘জুরাইজ’ নামের এক ব্যক্তির ঘটনায়। একদা ইবাদতে রত থাকা অবস্থায় জুরাইজের মা এসে তাঁকে ডাকলেন। তিনি ভাবলেন, আমি কি তাঁর ডাকে সাড়া দেব, না নামাজ আদায় করতে থাকব। তাঁর মা বললেন, ‘হে আল্লাহ, ব্যাভিচারিণীর মুখ না দেখা পর্যন্ত তুমি তাকে মৃত্যু দিও না।’ জুরাইজ তাঁর ইবাদতখানায় থাকতেন। একবার তাঁর কাছে এক নারী এসে তাঁর সঙ্গে (মনোবাসনা পূরণের) কথা বললেন। কিন্তু জুরাইজ তা অস্বীকার করলেন। এরপর নারীটি একজন রাখালের কাছে গেলেন এবং তাঁকে দিয়ে মনোবাসনা পূর্ণ করলেন। পরে তিনি এক পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এটি কার বাচ্চা?’ ওই নারী বললেন, ‘জুরাইজের।’ লোকজন তাঁর কাছে এলো এবং তাঁর ইবাদতখানা ভেঙে দিল। আর তাঁকে নিচে নামিয়ে এনে গালিগালাজ করল। তখন জুরাইজ অজু সেরে ইবাদত করলেন। এরপর নবজাত শিশুটির কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে শিশু, তোমার পিতা কে?’ সে জবাব দিল, ‘অমুক রাখাল।’ তারা বলল, ‘আমরা আপনার ইবাদতখানাটি সোনা দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছি।’ জুরাইজ বললেন, ‘না। তবে মাটি দিয়ে।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৪৩৬; মুসলিম, হাদিস: ২৫৫০)
এ এক দুর্লভ দৃষ্টান্ত। মায়ের অভিশাপের শক্তি যেমন অপ্রতিরোধ্য, তেমনি আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতেও সক্ষম।
গল্প থেকে শিক্ষা
পিতামাতার অবাধ্যতা ও তাঁদের প্রতি সদাচরণ না করা এবং তাঁদের আদেশ অমান্য করা মানুষের জীবনে নানা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। যেমনটি ঘটেছিল এই নেককার ও পরহেজগার (জুরাইজ) ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যিনি তাঁর মায়ের প্রতি কর্তব্য পালনে অবহেলা করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলা তাঁর নেক বান্দাদের সততা ও তাকওয়ার প্রতিদান দেন। যেমন তিনি জুরাইজ নামক ওই নেককার ব্যক্তিকে মিথ্যা অপবাদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং তাঁর নির্দোষ হওয়ার বিষয়টি একটি শিশুর মুখ থেকে প্রমাণ করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলার অসীম ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কথা বলিয়ে দেওয়া, যাদের কথা বলার সাধ্য নেই। যেমন, তিনি জুরাইজকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য এক নবজাতক শিশুকে কথা বলিয়েছিলেন।
যদি কেউ নফল নামাজ আদায়রত থাকে এবং তার পিতামাতা কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনে ডাক দেয়, তবে তাকে নামাজ ছেড়ে তাঁদের ডাকে সাড়া দেওয়া উচিত। কেননা, হাদিস থেকে বোঝা যায়, জুরাইজ তাঁর মায়ের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ভুল করেছিলেন এবং এ কারণে আল্লাহর নিকট তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হন।
যদি কোনো বান্দা ধৈর্য ও তাকওয়ার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়, তবে পরিণামে তার অবস্থার উন্নতি হয়। যেমন, জুরাইজের সম্মান ও মর্যাদা তাঁর বিপদের পর আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল—মানুষের দৃষ্টিতে এবং সর্বোপরি আল্লাহর নিকটও।
কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রমাণ ও সুনিশ্চিত সাক্ষ্য ছাড়া তা বিশ্বাস করা উচিত নয়। জুরাইজের কওম তাঁর অপরাধ যাচাই না করেই তাঁর ওপর চড়াও হয়েছিল, তাঁকে গালি দিয়েছিল, এমনকি আঘাতও করেছিল। অথচ, তাঁদের উচিত ছিল সঠিক তদন্ত করা, সত্য-মিথ্যা যাচাই করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
আসআদ শাহীন

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা, নরম ব্যবহার করা, তাঁদের অবস্থা লক্ষ্য রাখা, কখনোই তাঁদের প্রতি অসদাচরণ না করা এবং এমনকি তাঁদের বন্ধুদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করা।
এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পিতামাতার প্রতি সদাচরণকে তাঁর ইবাদত ও তাওহিদের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একত্রে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন—‘আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং তোমার পিতামাতার প্রতিও কৃতজ্ঞ হও। আমারই কাছে (তোমাদের) প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা লুকমান, আয়াত: ১৪-১৫)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং পিতামাতার প্রতি সদাচরণ করতে।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ২৩)
পক্ষান্তরে পিতামাতার প্রতি অসদাচরণ করা, কষ্ট দেওয়া বা তাঁদের কথা অমান্য করা, আর তাঁরা যদি এতে কষ্ট পেয়ে বদদোয়া বা অভিশাপ দেন, তাহলে তা আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন প্রকারের দোয়া অবশ্যই মঞ্জুর করা হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া, মুসাফিরের দোয়া এবং সন্তানের প্রতি বাবা-মার বদদোয়া।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯০৫)
এমনই এক মায়ের বদদোয়ার ঘটনা সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যাঁর দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন। নিচে ওই ঘটনা তুলে ধরা হলো—
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, তিনজন শিশু ছাড়া আর কেউ দোলনায় থেকে কথা বলেনি। প্রথমজন ইসা (আ.)। দ্বিতীয়জন (এক শিশু, যার কথা এসেছে) বনি ইসরাইলের ‘জুরাইজ’ নামের এক ব্যক্তির ঘটনায়। একদা ইবাদতে রত থাকা অবস্থায় জুরাইজের মা এসে তাঁকে ডাকলেন। তিনি ভাবলেন, আমি কি তাঁর ডাকে সাড়া দেব, না নামাজ আদায় করতে থাকব। তাঁর মা বললেন, ‘হে আল্লাহ, ব্যাভিচারিণীর মুখ না দেখা পর্যন্ত তুমি তাকে মৃত্যু দিও না।’ জুরাইজ তাঁর ইবাদতখানায় থাকতেন। একবার তাঁর কাছে এক নারী এসে তাঁর সঙ্গে (মনোবাসনা পূরণের) কথা বললেন। কিন্তু জুরাইজ তা অস্বীকার করলেন। এরপর নারীটি একজন রাখালের কাছে গেলেন এবং তাঁকে দিয়ে মনোবাসনা পূর্ণ করলেন। পরে তিনি এক পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এটি কার বাচ্চা?’ ওই নারী বললেন, ‘জুরাইজের।’ লোকজন তাঁর কাছে এলো এবং তাঁর ইবাদতখানা ভেঙে দিল। আর তাঁকে নিচে নামিয়ে এনে গালিগালাজ করল। তখন জুরাইজ অজু সেরে ইবাদত করলেন। এরপর নবজাত শিশুটির কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে শিশু, তোমার পিতা কে?’ সে জবাব দিল, ‘অমুক রাখাল।’ তারা বলল, ‘আমরা আপনার ইবাদতখানাটি সোনা দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছি।’ জুরাইজ বললেন, ‘না। তবে মাটি দিয়ে।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৪৩৬; মুসলিম, হাদিস: ২৫৫০)
এ এক দুর্লভ দৃষ্টান্ত। মায়ের অভিশাপের শক্তি যেমন অপ্রতিরোধ্য, তেমনি আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতেও সক্ষম।
গল্প থেকে শিক্ষা
পিতামাতার অবাধ্যতা ও তাঁদের প্রতি সদাচরণ না করা এবং তাঁদের আদেশ অমান্য করা মানুষের জীবনে নানা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। যেমনটি ঘটেছিল এই নেককার ও পরহেজগার (জুরাইজ) ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যিনি তাঁর মায়ের প্রতি কর্তব্য পালনে অবহেলা করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলা তাঁর নেক বান্দাদের সততা ও তাকওয়ার প্রতিদান দেন। যেমন তিনি জুরাইজ নামক ওই নেককার ব্যক্তিকে মিথ্যা অপবাদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং তাঁর নির্দোষ হওয়ার বিষয়টি একটি শিশুর মুখ থেকে প্রমাণ করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলার অসীম ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কথা বলিয়ে দেওয়া, যাদের কথা বলার সাধ্য নেই। যেমন, তিনি জুরাইজকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য এক নবজাতক শিশুকে কথা বলিয়েছিলেন।
যদি কেউ নফল নামাজ আদায়রত থাকে এবং তার পিতামাতা কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনে ডাক দেয়, তবে তাকে নামাজ ছেড়ে তাঁদের ডাকে সাড়া দেওয়া উচিত। কেননা, হাদিস থেকে বোঝা যায়, জুরাইজ তাঁর মায়ের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ভুল করেছিলেন এবং এ কারণে আল্লাহর নিকট তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হন।
যদি কোনো বান্দা ধৈর্য ও তাকওয়ার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়, তবে পরিণামে তার অবস্থার উন্নতি হয়। যেমন, জুরাইজের সম্মান ও মর্যাদা তাঁর বিপদের পর আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল—মানুষের দৃষ্টিতে এবং সর্বোপরি আল্লাহর নিকটও।
কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রমাণ ও সুনিশ্চিত সাক্ষ্য ছাড়া তা বিশ্বাস করা উচিত নয়। জুরাইজের কওম তাঁর অপরাধ যাচাই না করেই তাঁর ওপর চড়াও হয়েছিল, তাঁকে গালি দিয়েছিল, এমনকি আঘাতও করেছিল। অথচ, তাঁদের উচিত ছিল সঠিক তদন্ত করা, সত্য-মিথ্যা যাচাই করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা, নরম ব্যবহার করা, তাঁদের অবস্থা লক্ষ্য রাখা, কখনোই তাঁদের প্রতি অসদাচরণ না করা এবং এমনকি তাঁদের বন্ধুদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করা।
এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পিতামাতার প্রতি সদাচরণকে তাঁর ইবাদত ও তাওহিদের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একত্রে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন—‘আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং তোমার পিতামাতার প্রতিও কৃতজ্ঞ হও। আমারই কাছে (তোমাদের) প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা লুকমান, আয়াত: ১৪-১৫)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং পিতামাতার প্রতি সদাচরণ করতে।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ২৩)
পক্ষান্তরে পিতামাতার প্রতি অসদাচরণ করা, কষ্ট দেওয়া বা তাঁদের কথা অমান্য করা, আর তাঁরা যদি এতে কষ্ট পেয়ে বদদোয়া বা অভিশাপ দেন, তাহলে তা আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন প্রকারের দোয়া অবশ্যই মঞ্জুর করা হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া, মুসাফিরের দোয়া এবং সন্তানের প্রতি বাবা-মার বদদোয়া।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯০৫)
এমনই এক মায়ের বদদোয়ার ঘটনা সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যাঁর দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন। নিচে ওই ঘটনা তুলে ধরা হলো—
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, তিনজন শিশু ছাড়া আর কেউ দোলনায় থেকে কথা বলেনি। প্রথমজন ইসা (আ.)। দ্বিতীয়জন (এক শিশু, যার কথা এসেছে) বনি ইসরাইলের ‘জুরাইজ’ নামের এক ব্যক্তির ঘটনায়। একদা ইবাদতে রত থাকা অবস্থায় জুরাইজের মা এসে তাঁকে ডাকলেন। তিনি ভাবলেন, আমি কি তাঁর ডাকে সাড়া দেব, না নামাজ আদায় করতে থাকব। তাঁর মা বললেন, ‘হে আল্লাহ, ব্যাভিচারিণীর মুখ না দেখা পর্যন্ত তুমি তাকে মৃত্যু দিও না।’ জুরাইজ তাঁর ইবাদতখানায় থাকতেন। একবার তাঁর কাছে এক নারী এসে তাঁর সঙ্গে (মনোবাসনা পূরণের) কথা বললেন। কিন্তু জুরাইজ তা অস্বীকার করলেন। এরপর নারীটি একজন রাখালের কাছে গেলেন এবং তাঁকে দিয়ে মনোবাসনা পূর্ণ করলেন। পরে তিনি এক পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এটি কার বাচ্চা?’ ওই নারী বললেন, ‘জুরাইজের।’ লোকজন তাঁর কাছে এলো এবং তাঁর ইবাদতখানা ভেঙে দিল। আর তাঁকে নিচে নামিয়ে এনে গালিগালাজ করল। তখন জুরাইজ অজু সেরে ইবাদত করলেন। এরপর নবজাত শিশুটির কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে শিশু, তোমার পিতা কে?’ সে জবাব দিল, ‘অমুক রাখাল।’ তারা বলল, ‘আমরা আপনার ইবাদতখানাটি সোনা দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছি।’ জুরাইজ বললেন, ‘না। তবে মাটি দিয়ে।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৪৩৬; মুসলিম, হাদিস: ২৫৫০)
এ এক দুর্লভ দৃষ্টান্ত। মায়ের অভিশাপের শক্তি যেমন অপ্রতিরোধ্য, তেমনি আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতেও সক্ষম।
গল্প থেকে শিক্ষা
পিতামাতার অবাধ্যতা ও তাঁদের প্রতি সদাচরণ না করা এবং তাঁদের আদেশ অমান্য করা মানুষের জীবনে নানা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। যেমনটি ঘটেছিল এই নেককার ও পরহেজগার (জুরাইজ) ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যিনি তাঁর মায়ের প্রতি কর্তব্য পালনে অবহেলা করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলা তাঁর নেক বান্দাদের সততা ও তাকওয়ার প্রতিদান দেন। যেমন তিনি জুরাইজ নামক ওই নেককার ব্যক্তিকে মিথ্যা অপবাদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং তাঁর নির্দোষ হওয়ার বিষয়টি একটি শিশুর মুখ থেকে প্রমাণ করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলার অসীম ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কথা বলিয়ে দেওয়া, যাদের কথা বলার সাধ্য নেই। যেমন, তিনি জুরাইজকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য এক নবজাতক শিশুকে কথা বলিয়েছিলেন।
যদি কেউ নফল নামাজ আদায়রত থাকে এবং তার পিতামাতা কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনে ডাক দেয়, তবে তাকে নামাজ ছেড়ে তাঁদের ডাকে সাড়া দেওয়া উচিত। কেননা, হাদিস থেকে বোঝা যায়, জুরাইজ তাঁর মায়ের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ভুল করেছিলেন এবং এ কারণে আল্লাহর নিকট তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হন।
যদি কোনো বান্দা ধৈর্য ও তাকওয়ার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়, তবে পরিণামে তার অবস্থার উন্নতি হয়। যেমন, জুরাইজের সম্মান ও মর্যাদা তাঁর বিপদের পর আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল—মানুষের দৃষ্টিতে এবং সর্বোপরি আল্লাহর নিকটও।
কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রমাণ ও সুনিশ্চিত সাক্ষ্য ছাড়া তা বিশ্বাস করা উচিত নয়। জুরাইজের কওম তাঁর অপরাধ যাচাই না করেই তাঁর ওপর চড়াও হয়েছিল, তাঁকে গালি দিয়েছিল, এমনকি আঘাতও করেছিল। অথচ, তাঁদের উচিত ছিল সঠিক তদন্ত করা, সত্য-মিথ্যা যাচাই করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা...
১৬ মার্চ ২০২৫
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেআবরার নাঈম

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা...
১৬ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা...
১৬ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা...
১৬ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১ দিন আগে