মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
প্রশ্ন: বর্তমান সময়ে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। তাই ঠান্ডা পানি দিয়ে অজু-গোসল করা অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় তায়াম্মুম করা বৈধ হবে কি? বিস্তারিত জানতে চাই।
ফাহমিদা জান্নাত, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
উত্তর: পানি না থাকলে অথবা পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে অজু ও গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করার অনুমতি দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি পীড়িত হও বা সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ শৌচালয় থেকে আসে বা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হও এবং পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে, অর্থাৎ তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের কষ্ট দিতে চান না; তিনি শুধু তোমাদের পবিত্র করতে এবং তোমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।’ (সুরা মায়িদা: ৬) পবিত্র কোরআনের এই আয়াত এবং তায়াম্মুম সম্পর্কে বর্ণিত একাধিক হাদিস থেকে ফকিহগণ কোন কোন অবস্থায় তায়াম্মুম করা যাবে, কোন কোন অবস্থায় যাবে না, তার বিস্তারিত সমাধান দিয়েছেন। তাতে শীতকালে তায়াম্মুম করার বিধান সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তার সারমর্ম হলো:
» যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে মারা যাওয়ার অথবা শরীরের কোনো অঙ্গ অকার্যকর হয়ে যাওয়ার কিংবা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার বা অসুস্থ ব্যক্তির অসুখ ভালো হতে দেরি হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস বা প্রবল আশঙ্কা হয় এবং পানি গরম করার বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করার পর দ্রুত শরীর গরম করার কোনো ব্যবস্থাও না থাকে, তাহলেই তায়াম্মুম করা বৈধ। অন্যথায় অজু-গোসল করা আবশ্যক।
» ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা না হয়ে নিছক ভয় বা আশঙ্কা থাকলে তায়াম্মুম করা যাবে না।
» গরম পানির ব্যবস্থা থাকলে অথবা বদ্ধ ঘরে অজু-গোসল করার সুযোগ হলে অথবা অজু-গোসলের পর দ্রুত শরীর গরম করার ব্যবস্থা থাকলে তায়াম্মুম বৈধ নয়। (আল বাহরুর রায়েক: ১ / ১৪৮, ফাতাওয়া কাজিখান: ১/ ৫৮, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/ ২৮)
আমাদের দেশে যে মাত্রার শীত পড়ে, তার প্রভাবে পানি এত বেশি ঠান্ডা হয় না। ফলে তা দিয়ে অজু-গোসল করলে সাধারণত মৃত্যু বা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে না। একটু কষ্ট হয়, এই যা। তবে এই কষ্টের কারণে আল্লাহ দ্বিগুণ সওয়াব দান করেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডার মৌসুমে যে পরিপূর্ণ অজু করবে, তাকে দ্বিগুণ সওয়াব দেওয়া হবে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ) অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) পাপ মোচনকারী এবং মর্যাদা বৃদ্ধিকারী আমল হিসেবে প্রতিকূল মৌসুমে পূর্ণরূপে অজু করাকে তালিকাভুক্ত করেছেন। (তিরমিজি)
এ ছাড়া, বর্তমানে সহজেই পানি গরম করা অথবা বদ্ধ ঘরে অজু-গোসল করা কিংবা দ্রুত শরীর গরম করার ব্যবস্থা সহজলভ্য। তাই সাধারণভাবে তায়াম্মুম করা বৈধ হবে না। অবশ্য যারা অসুস্থ অথবা যাদের একান্তই খোলা আকাশের নিচে অজু-গোসল করতে হয়, তাদের যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে মরে যাওয়ার অথবা শরীরের কোনো অঙ্গ অকার্যকর হয়ে যাওয়ার কিংবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার বা অসুখ ভালো হতে বিলম্ব হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হয় এবং পানি গরম করার বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করার পর দ্রুত শরীর গরম করার কোনো ব্যবস্থা না থাকে, তাহলেই তাদের জন্য তায়াম্মুম করা বৈধ।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: বর্তমান সময়ে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। তাই ঠান্ডা পানি দিয়ে অজু-গোসল করা অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় তায়াম্মুম করা বৈধ হবে কি? বিস্তারিত জানতে চাই।
ফাহমিদা জান্নাত, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
উত্তর: পানি না থাকলে অথবা পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে অজু ও গোসলের বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করার অনুমতি দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যদি পীড়িত হও বা সফরে থাকো বা তোমাদের কেউ শৌচালয় থেকে আসে বা তোমরা স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হও এবং পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে, অর্থাৎ তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের কষ্ট দিতে চান না; তিনি শুধু তোমাদের পবিত্র করতে এবং তোমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।’ (সুরা মায়িদা: ৬) পবিত্র কোরআনের এই আয়াত এবং তায়াম্মুম সম্পর্কে বর্ণিত একাধিক হাদিস থেকে ফকিহগণ কোন কোন অবস্থায় তায়াম্মুম করা যাবে, কোন কোন অবস্থায় যাবে না, তার বিস্তারিত সমাধান দিয়েছেন। তাতে শীতকালে তায়াম্মুম করার বিধান সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তার সারমর্ম হলো:
» যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে মারা যাওয়ার অথবা শরীরের কোনো অঙ্গ অকার্যকর হয়ে যাওয়ার কিংবা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার বা অসুস্থ ব্যক্তির অসুখ ভালো হতে দেরি হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস বা প্রবল আশঙ্কা হয় এবং পানি গরম করার বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করার পর দ্রুত শরীর গরম করার কোনো ব্যবস্থাও না থাকে, তাহলেই তায়াম্মুম করা বৈধ। অন্যথায় অজু-গোসল করা আবশ্যক।
» ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা না হয়ে নিছক ভয় বা আশঙ্কা থাকলে তায়াম্মুম করা যাবে না।
» গরম পানির ব্যবস্থা থাকলে অথবা বদ্ধ ঘরে অজু-গোসল করার সুযোগ হলে অথবা অজু-গোসলের পর দ্রুত শরীর গরম করার ব্যবস্থা থাকলে তায়াম্মুম বৈধ নয়। (আল বাহরুর রায়েক: ১ / ১৪৮, ফাতাওয়া কাজিখান: ১/ ৫৮, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/ ২৮)
আমাদের দেশে যে মাত্রার শীত পড়ে, তার প্রভাবে পানি এত বেশি ঠান্ডা হয় না। ফলে তা দিয়ে অজু-গোসল করলে সাধারণত মৃত্যু বা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে না। একটু কষ্ট হয়, এই যা। তবে এই কষ্টের কারণে আল্লাহ দ্বিগুণ সওয়াব দান করেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডার মৌসুমে যে পরিপূর্ণ অজু করবে, তাকে দ্বিগুণ সওয়াব দেওয়া হবে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ) অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) পাপ মোচনকারী এবং মর্যাদা বৃদ্ধিকারী আমল হিসেবে প্রতিকূল মৌসুমে পূর্ণরূপে অজু করাকে তালিকাভুক্ত করেছেন। (তিরমিজি)
এ ছাড়া, বর্তমানে সহজেই পানি গরম করা অথবা বদ্ধ ঘরে অজু-গোসল করা কিংবা দ্রুত শরীর গরম করার ব্যবস্থা সহজলভ্য। তাই সাধারণভাবে তায়াম্মুম করা বৈধ হবে না। অবশ্য যারা অসুস্থ অথবা যাদের একান্তই খোলা আকাশের নিচে অজু-গোসল করতে হয়, তাদের যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে মরে যাওয়ার অথবা শরীরের কোনো অঙ্গ অকার্যকর হয়ে যাওয়ার কিংবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার বা অসুখ ভালো হতে বিলম্ব হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হয় এবং পানি গরম করার বা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করার পর দ্রুত শরীর গরম করার কোনো ব্যবস্থা না থাকে, তাহলেই তাদের জন্য তায়াম্মুম করা বৈধ।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
ইসলামের দৃষ্টিতে যেকোনো ধরনের জুলুম-নির্যাতন হারাম। আর তা যদি হয় নারী নির্যাতন, তবে তা আরও গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ। শুধু এটুকুই নয়, নির্যাতনের পক্ষে সহায়ক সব ধরনের উপকরণ-উপাদানও ইসলামে নিষিদ্ধ।
৫ ঘণ্টা আগেসন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না।
১৭ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ আল-লাওয়াতি আল-তাঞ্জি, সংক্ষেপে ইবনে বতুতা, ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুসলিম পর্যটক, বিচারক ও ভূগোলবিদ। তিনি ১৩০৪ খ্রিষ্টাব্দে (৭০৩ হিজরি) মরক্কোর তাঞ্জিয়ারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’
১ দিন আগে