মুফতি আইয়ুব নাদীম
সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক সুবিধাবাদী মানুষ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আত্মসাৎ করে চলেছে। অথচ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের ইমানি দায়িত্ব। যেখানে ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ ও লুটতরাজ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, সেখানে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করা আরও বড় মারাত্মক গুনাহ। যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত হবে, কিয়ামতের দিন তাদের ভয়াবহ শাস্তির কথা পবিত্র কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো নবীর জন্য শোভনীয় নয় যে তিনি খিয়ানত করবেন। আর যে ব্যক্তি খিয়ানত করবে, সে কিয়ামতের দিন সেই খিয়ানত করা বস্তু নিয়ে উপস্থিত হবে। এরপর প্রত্যেকেই পরিপূর্ণভাবে পাবে, যা সে অর্জন করেছে। আর তাদের প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না।’ (সুরা আল ইমরান: ১৬১)
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘কিছু মানুষ আল্লাহর দেওয়া সম্পদ অন্যায়ভাবে ব্যয় করে। কিয়ামতের দিন তাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত।’ (বুখারি: ৩১১৮)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮) আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আদি ইবন আমিরা আল-কিন্দি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি যাকে তোমাদের কোনো কাজের দায়িত্বশীল করি, এরপর সে সুচ পরিমাণ বস্তু বা তার চেয়ে বেশি সম্পদ আত্মসাৎ করল, সেটাই হবে খিয়ানত। কিয়ামতের দিন সেই বস্তু নিয়ে সে উপস্থিত হবে।’ (মুসলিম: ১৮৩৩)
এ ক্ষেত্রে নবীযুগের একটি ঘটনা দৃষ্টান্ত হিসেবে পেশ করা যেতে পারে—আবু হুমায়দ সাঈদ (রা.) বলেন, নবী (সা.) আজদ গোত্রের ইবনে উতবিয়া নামের এক ব্যক্তিকে সদকা সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি ফিরে এসে বললেন, ‘এগুলো আপনাদের, আর এগুলো আমাকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সে তার বাবার ঘরে কিংবা তার মায়ের ঘরে কেন বসে থাকল না। তখন সে দেখতে পেত, তাকে কেউ হাদিয়া দেয় কি না। যাঁর হাতে আমার প্রাণ, সেই সত্তার কসম, সদকার মাল থেকে স্বল্প পরিমাণও যে আত্মসাৎ করবে, সে তা কাঁধে করে কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে। সেটা উট হলে তার আওয়াজ করবে আর গাভি হলে হাম্বা হাম্বা করবে আর বকরি হলে ভ্যা ভ্যা করতে থাকবে।’ (বুখারি: ২৫৯৭)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক সুবিধাবাদী মানুষ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আত্মসাৎ করে চলেছে। অথচ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা প্রতিটি নাগরিকের ইমানি দায়িত্ব। যেখানে ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ ও লুটতরাজ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, সেখানে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করা আরও বড় মারাত্মক গুনাহ। যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত হবে, কিয়ামতের দিন তাদের ভয়াবহ শাস্তির কথা পবিত্র কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো নবীর জন্য শোভনীয় নয় যে তিনি খিয়ানত করবেন। আর যে ব্যক্তি খিয়ানত করবে, সে কিয়ামতের দিন সেই খিয়ানত করা বস্তু নিয়ে উপস্থিত হবে। এরপর প্রত্যেকেই পরিপূর্ণভাবে পাবে, যা সে অর্জন করেছে। আর তাদের প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না।’ (সুরা আল ইমরান: ১৬১)
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘কিছু মানুষ আল্লাহর দেওয়া সম্পদ অন্যায়ভাবে ব্যয় করে। কিয়ামতের দিন তাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত।’ (বুখারি: ৩১১৮)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮) আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আদি ইবন আমিরা আল-কিন্দি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি যাকে তোমাদের কোনো কাজের দায়িত্বশীল করি, এরপর সে সুচ পরিমাণ বস্তু বা তার চেয়ে বেশি সম্পদ আত্মসাৎ করল, সেটাই হবে খিয়ানত। কিয়ামতের দিন সেই বস্তু নিয়ে সে উপস্থিত হবে।’ (মুসলিম: ১৮৩৩)
এ ক্ষেত্রে নবীযুগের একটি ঘটনা দৃষ্টান্ত হিসেবে পেশ করা যেতে পারে—আবু হুমায়দ সাঈদ (রা.) বলেন, নবী (সা.) আজদ গোত্রের ইবনে উতবিয়া নামের এক ব্যক্তিকে সদকা সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি ফিরে এসে বললেন, ‘এগুলো আপনাদের, আর এগুলো আমাকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সে তার বাবার ঘরে কিংবা তার মায়ের ঘরে কেন বসে থাকল না। তখন সে দেখতে পেত, তাকে কেউ হাদিয়া দেয় কি না। যাঁর হাতে আমার প্রাণ, সেই সত্তার কসম, সদকার মাল থেকে স্বল্প পরিমাণও যে আত্মসাৎ করবে, সে তা কাঁধে করে কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে। সেটা উট হলে তার আওয়াজ করবে আর গাভি হলে হাম্বা হাম্বা করবে আর বকরি হলে ভ্যা ভ্যা করতে থাকবে।’ (বুখারি: ২৫৯৭)
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
মানুষের রিজিক নির্ধারিত। সৃষ্টির বহু আগ থেকেই তা লিপিবদ্ধ। কিছু আমলের মাধ্যমে এটি বাড়ানো সম্ভব, আবার কিছু কাজের কারণে তা ক্ষতিগ্রস্তও হয়—কমে যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো, নিশ্চয় আমার রব যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সম্প্রসারিত করে দেন, আর যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সংকুচিত করে দেন।
১৯ ঘণ্টা আগেহজ আল্লাহর প্রতি বান্দার অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই হজ করলে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতোই নিষ্পাপ হওয়া যায়। (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১)। আর কবুল হজের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। (সহিহ্ বুখারি: ১৬৫৮)
১ দিন আগেবাংলাদেশের নানা প্রান্তে এখনো অনেক প্রাচীন স্থাপনা সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে—সেসবের মধ্যে মসজিদের সংখ্যাই বেশি। দুর্ভাগ্য এবং হতাশার কথা হলো, সেসব মসজিদের ইতিহাস আমরা অধিকাংশই জানি না। জানার মতো তেমন আর্কাইভ কিংবা তথ্যসমৃদ্ধ পুস্তকাদিও দুর্লভ।
১ দিন আগেআমাদের সমাজে অনেকেই বছরের নানা সময়ে নফল রোজা রেখে থাকেন। কিন্তু ইসলামের বিধান অনুযায়ী—বছরের বেশ কিছু দিন রয়েছে, যে দিনগুলোতে রোজা রাখা যায় না। যেমন, ঈদুল আজহা কিংবা ঈদুল ফিতর রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
২ দিন আগে