কাউসার লাবীব

জুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লাহর মাঝে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।’ (সহিহ বুখারি)
যুগে যুগে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা জুলুমের শিকার হয়েছেন, কিন্তু তাঁদের দৃঢ় ইমান ও ধৈর্য শেষ পর্যন্ত বিজয়ের আলো এনেছে। ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে তাঁদের সেই বিজয়গাথা।
নমরুদের জুলুম ও হজরত ইব্রাহিমের সত্য প্রতিষ্ঠা
নমরুদের দাম্ভিকতা যখন তুঙ্গে, তখন সে নিজেকে প্রভু দাবি করল। তার জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন আল্লাহর এক তরুণ বন্ধু, নবী ইব্রাহিম (আ.)। সত্যের পথে অটল থাকায় তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নেয় নমরুদ। কিন্তু মজলুমের পক্ষে ছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। নমরুদের জ্বালানো বিশাল অগ্নিকুণ্ড ইব্রাহিমের জন্য শান্তির বাগানে পরিণত হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আমি বললাম, হে আগুন, তুমি ইব্রাহিমের জন্য শান্তিদায়ক ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)। নমরুদের জুলুম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে আল্লাহ তাকে শায়েস্তা করেন সামান্য এক মশার মাধ্যমে। পতন হয় তার ৪০০ বছরের শাসনের। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ২/৮৭৮)
জুলুমের বিপরীতে ইউসুফ (আ.)-এর বিজয়
হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের হিংসার শিকার হয়ে কূপের গভীরে নিক্ষিপ্ত হন। বাজারে বিক্রি হন ক্রীতদাস হিসেবে, এমনকি মিথ্যা অপবাদে বন্দী হন কারাগারে। প্রতিটি ঘটনা ছিল একেকটি চরম জুলুম। কিন্তু তিনি কখনো আল্লাহর ওপর থেকে ভরসা হারাননি। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘এভাবেই আমরা ইউসুফকে দেশে ক্ষমতা দান করেছিলাম এবং ইচ্ছা করলে সে তথায় যেকোনো স্থানে অবস্থান করতে পারত।’ (সুরা ইউসুফ: ৫৬)
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাঁকে মিসরের রাজত্বের মালিক বানান। তিনি শুধু ক্ষমতা ফিরে পাননি, বরং ক্ষমা ও ভালোবাসার মাধ্যমে তাঁর ভাইদের জুলুমকে পরাজিত করে এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দেন। যখন ভাইয়েরা তাঁর সামনে লজ্জিত হয়ে দাঁড়ায়, তখন তিনি বলেন, ‘আজ তোমাদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইউসুফ: ৯২)
ফেরাউনের জুলুম ও হজরত মুসার বিজয়
ফেরাউনের জুলুমের শিকার হয়ে বনি ইসরাইলরা যখন দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ, তখন আল্লাহ তাদের মুক্তির জন্য হজরত মুসা (আ.)-কে পাঠান। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করলাম যে জমিনে যারা দুর্বল, তাদের অনুগ্রহ করব; তাদের নেতা বানাব এবং তাদের উত্তরাধিকারী করব।’ (সুরা কাসাস: ৫)। ফেরাউনের সীমা লঙ্ঘন যখন চরমে পৌঁছায় এবং সে নিজেকে খোদা দাবি করে, আল্লাহ তখন তাদের জন্য নীলনদকে দুই ভাগ করে দেন। মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীরা মুক্তি পান, আর ফেরাউন তার বিশাল বাহিনীসহ সেই পানিতে ডুবে যায়। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘অতঃপর আমি তাকে ও তার সৈন্য বাহিনীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম।’ (সুরা আরাফ: ১৩৬)
মক্কার কাফিরদের জুলুম ও নবীজির বিজয়
ইসলামের শুরুতে মক্কার কাফিরদের দ্বারা মুসলমানরা চরম নিপীড়নের শিকার হয়। সাহাবি হজরত বেলাল (রা.), হজরত সুমাইয়া (রা.) এবং তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। কিন্তু তাঁরা ধৈর্য ও ইমানের ওপর অটল থাকেন। চোখ বুজে সব সহ্য করেন। কিন্তু হিজরতের পর বদর যুদ্ধে অল্পসংখ্যক মুসলিম সৈন্যের হাতে কাফিরদের পরাজয় ছিল মজলুমের বিজয়ের প্রথম রণহুংকার। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আর আল্লাহ তোমাদের বিজয় দান করেছেন, অথচ তোমরা দুর্বল ছিলে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৩)। আর ‘ফাতহে মক্কা’ বা মক্কা বিজয় ছিল ইসলামের ইতিহাসে মজলুমের বিজয়ের এক শ্রেষ্ঠতম ও চূড়ান্ত নিদর্শন।
মুসলমানদের পুনরুত্থান ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপট
ইতিহাসে মজলুমের বিজয়গাথা শুধু নবী-রাসুলদের যুগে সীমাবদ্ধ ছিল না। মুসলমানরা যখন দীর্ঘকাল নিপীড়িত ছিল, তখনই তাদের মধ্য থেকে উঠে এসেছেন বীরেরা, যেমন সালাহউদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) মুসলমানদের একতাবদ্ধ করে দীর্ঘদিনের দখলদারি থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেন। তাঁর এই বিজয় ছিল মজলুমের আত্মমর্যাদা ফিরে পাওয়ার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর এই বিজয় প্রমাণ করে যে যখন মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তখন তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তাই জুলুমের পরিস্থিতিতে প্রয়োজন মুসলমানদের একতা, দোয়ার শক্তি, ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা)।
আল্লাহ তাআলা তাঁর মজলুম বান্দাদের জন্য বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জালিমের ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু মজলুমের গল্প ইতিহাসে অমর। মজলুম কাঁদে, কিন্তু হার মানে না। আর জুলুম কখনো স্থায়ী হয় না। মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো মজলুমের পাশে থাকা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ও কণ্ঠ তোলা এবং আল্লাহর কাছে তাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করা।

জুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লাহর মাঝে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।’ (সহিহ বুখারি)
যুগে যুগে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা জুলুমের শিকার হয়েছেন, কিন্তু তাঁদের দৃঢ় ইমান ও ধৈর্য শেষ পর্যন্ত বিজয়ের আলো এনেছে। ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে তাঁদের সেই বিজয়গাথা।
নমরুদের জুলুম ও হজরত ইব্রাহিমের সত্য প্রতিষ্ঠা
নমরুদের দাম্ভিকতা যখন তুঙ্গে, তখন সে নিজেকে প্রভু দাবি করল। তার জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন আল্লাহর এক তরুণ বন্ধু, নবী ইব্রাহিম (আ.)। সত্যের পথে অটল থাকায় তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নেয় নমরুদ। কিন্তু মজলুমের পক্ষে ছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। নমরুদের জ্বালানো বিশাল অগ্নিকুণ্ড ইব্রাহিমের জন্য শান্তির বাগানে পরিণত হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আমি বললাম, হে আগুন, তুমি ইব্রাহিমের জন্য শান্তিদায়ক ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)। নমরুদের জুলুম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে আল্লাহ তাকে শায়েস্তা করেন সামান্য এক মশার মাধ্যমে। পতন হয় তার ৪০০ বছরের শাসনের। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ২/৮৭৮)
জুলুমের বিপরীতে ইউসুফ (আ.)-এর বিজয়
হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের হিংসার শিকার হয়ে কূপের গভীরে নিক্ষিপ্ত হন। বাজারে বিক্রি হন ক্রীতদাস হিসেবে, এমনকি মিথ্যা অপবাদে বন্দী হন কারাগারে। প্রতিটি ঘটনা ছিল একেকটি চরম জুলুম। কিন্তু তিনি কখনো আল্লাহর ওপর থেকে ভরসা হারাননি। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘এভাবেই আমরা ইউসুফকে দেশে ক্ষমতা দান করেছিলাম এবং ইচ্ছা করলে সে তথায় যেকোনো স্থানে অবস্থান করতে পারত।’ (সুরা ইউসুফ: ৫৬)
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাঁকে মিসরের রাজত্বের মালিক বানান। তিনি শুধু ক্ষমতা ফিরে পাননি, বরং ক্ষমা ও ভালোবাসার মাধ্যমে তাঁর ভাইদের জুলুমকে পরাজিত করে এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দেন। যখন ভাইয়েরা তাঁর সামনে লজ্জিত হয়ে দাঁড়ায়, তখন তিনি বলেন, ‘আজ তোমাদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইউসুফ: ৯২)
ফেরাউনের জুলুম ও হজরত মুসার বিজয়
ফেরাউনের জুলুমের শিকার হয়ে বনি ইসরাইলরা যখন দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ, তখন আল্লাহ তাদের মুক্তির জন্য হজরত মুসা (আ.)-কে পাঠান। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করলাম যে জমিনে যারা দুর্বল, তাদের অনুগ্রহ করব; তাদের নেতা বানাব এবং তাদের উত্তরাধিকারী করব।’ (সুরা কাসাস: ৫)। ফেরাউনের সীমা লঙ্ঘন যখন চরমে পৌঁছায় এবং সে নিজেকে খোদা দাবি করে, আল্লাহ তখন তাদের জন্য নীলনদকে দুই ভাগ করে দেন। মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীরা মুক্তি পান, আর ফেরাউন তার বিশাল বাহিনীসহ সেই পানিতে ডুবে যায়। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘অতঃপর আমি তাকে ও তার সৈন্য বাহিনীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম।’ (সুরা আরাফ: ১৩৬)
মক্কার কাফিরদের জুলুম ও নবীজির বিজয়
ইসলামের শুরুতে মক্কার কাফিরদের দ্বারা মুসলমানরা চরম নিপীড়নের শিকার হয়। সাহাবি হজরত বেলাল (রা.), হজরত সুমাইয়া (রা.) এবং তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। কিন্তু তাঁরা ধৈর্য ও ইমানের ওপর অটল থাকেন। চোখ বুজে সব সহ্য করেন। কিন্তু হিজরতের পর বদর যুদ্ধে অল্পসংখ্যক মুসলিম সৈন্যের হাতে কাফিরদের পরাজয় ছিল মজলুমের বিজয়ের প্রথম রণহুংকার। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আর আল্লাহ তোমাদের বিজয় দান করেছেন, অথচ তোমরা দুর্বল ছিলে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৩)। আর ‘ফাতহে মক্কা’ বা মক্কা বিজয় ছিল ইসলামের ইতিহাসে মজলুমের বিজয়ের এক শ্রেষ্ঠতম ও চূড়ান্ত নিদর্শন।
মুসলমানদের পুনরুত্থান ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপট
ইতিহাসে মজলুমের বিজয়গাথা শুধু নবী-রাসুলদের যুগে সীমাবদ্ধ ছিল না। মুসলমানরা যখন দীর্ঘকাল নিপীড়িত ছিল, তখনই তাদের মধ্য থেকে উঠে এসেছেন বীরেরা, যেমন সালাহউদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) মুসলমানদের একতাবদ্ধ করে দীর্ঘদিনের দখলদারি থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেন। তাঁর এই বিজয় ছিল মজলুমের আত্মমর্যাদা ফিরে পাওয়ার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর এই বিজয় প্রমাণ করে যে যখন মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তখন তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তাই জুলুমের পরিস্থিতিতে প্রয়োজন মুসলমানদের একতা, দোয়ার শক্তি, ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা)।
আল্লাহ তাআলা তাঁর মজলুম বান্দাদের জন্য বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জালিমের ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু মজলুমের গল্প ইতিহাসে অমর। মজলুম কাঁদে, কিন্তু হার মানে না। আর জুলুম কখনো স্থায়ী হয় না। মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো মজলুমের পাশে থাকা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ও কণ্ঠ তোলা এবং আল্লাহর কাছে তাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করা।
কাউসার লাবীব

জুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লাহর মাঝে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।’ (সহিহ বুখারি)
যুগে যুগে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা জুলুমের শিকার হয়েছেন, কিন্তু তাঁদের দৃঢ় ইমান ও ধৈর্য শেষ পর্যন্ত বিজয়ের আলো এনেছে। ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে তাঁদের সেই বিজয়গাথা।
নমরুদের জুলুম ও হজরত ইব্রাহিমের সত্য প্রতিষ্ঠা
নমরুদের দাম্ভিকতা যখন তুঙ্গে, তখন সে নিজেকে প্রভু দাবি করল। তার জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন আল্লাহর এক তরুণ বন্ধু, নবী ইব্রাহিম (আ.)। সত্যের পথে অটল থাকায় তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নেয় নমরুদ। কিন্তু মজলুমের পক্ষে ছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। নমরুদের জ্বালানো বিশাল অগ্নিকুণ্ড ইব্রাহিমের জন্য শান্তির বাগানে পরিণত হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আমি বললাম, হে আগুন, তুমি ইব্রাহিমের জন্য শান্তিদায়ক ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)। নমরুদের জুলুম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে আল্লাহ তাকে শায়েস্তা করেন সামান্য এক মশার মাধ্যমে। পতন হয় তার ৪০০ বছরের শাসনের। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ২/৮৭৮)
জুলুমের বিপরীতে ইউসুফ (আ.)-এর বিজয়
হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের হিংসার শিকার হয়ে কূপের গভীরে নিক্ষিপ্ত হন। বাজারে বিক্রি হন ক্রীতদাস হিসেবে, এমনকি মিথ্যা অপবাদে বন্দী হন কারাগারে। প্রতিটি ঘটনা ছিল একেকটি চরম জুলুম। কিন্তু তিনি কখনো আল্লাহর ওপর থেকে ভরসা হারাননি। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘এভাবেই আমরা ইউসুফকে দেশে ক্ষমতা দান করেছিলাম এবং ইচ্ছা করলে সে তথায় যেকোনো স্থানে অবস্থান করতে পারত।’ (সুরা ইউসুফ: ৫৬)
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাঁকে মিসরের রাজত্বের মালিক বানান। তিনি শুধু ক্ষমতা ফিরে পাননি, বরং ক্ষমা ও ভালোবাসার মাধ্যমে তাঁর ভাইদের জুলুমকে পরাজিত করে এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দেন। যখন ভাইয়েরা তাঁর সামনে লজ্জিত হয়ে দাঁড়ায়, তখন তিনি বলেন, ‘আজ তোমাদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইউসুফ: ৯২)
ফেরাউনের জুলুম ও হজরত মুসার বিজয়
ফেরাউনের জুলুমের শিকার হয়ে বনি ইসরাইলরা যখন দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ, তখন আল্লাহ তাদের মুক্তির জন্য হজরত মুসা (আ.)-কে পাঠান। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করলাম যে জমিনে যারা দুর্বল, তাদের অনুগ্রহ করব; তাদের নেতা বানাব এবং তাদের উত্তরাধিকারী করব।’ (সুরা কাসাস: ৫)। ফেরাউনের সীমা লঙ্ঘন যখন চরমে পৌঁছায় এবং সে নিজেকে খোদা দাবি করে, আল্লাহ তখন তাদের জন্য নীলনদকে দুই ভাগ করে দেন। মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীরা মুক্তি পান, আর ফেরাউন তার বিশাল বাহিনীসহ সেই পানিতে ডুবে যায়। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘অতঃপর আমি তাকে ও তার সৈন্য বাহিনীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম।’ (সুরা আরাফ: ১৩৬)
মক্কার কাফিরদের জুলুম ও নবীজির বিজয়
ইসলামের শুরুতে মক্কার কাফিরদের দ্বারা মুসলমানরা চরম নিপীড়নের শিকার হয়। সাহাবি হজরত বেলাল (রা.), হজরত সুমাইয়া (রা.) এবং তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। কিন্তু তাঁরা ধৈর্য ও ইমানের ওপর অটল থাকেন। চোখ বুজে সব সহ্য করেন। কিন্তু হিজরতের পর বদর যুদ্ধে অল্পসংখ্যক মুসলিম সৈন্যের হাতে কাফিরদের পরাজয় ছিল মজলুমের বিজয়ের প্রথম রণহুংকার। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আর আল্লাহ তোমাদের বিজয় দান করেছেন, অথচ তোমরা দুর্বল ছিলে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৩)। আর ‘ফাতহে মক্কা’ বা মক্কা বিজয় ছিল ইসলামের ইতিহাসে মজলুমের বিজয়ের এক শ্রেষ্ঠতম ও চূড়ান্ত নিদর্শন।
মুসলমানদের পুনরুত্থান ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপট
ইতিহাসে মজলুমের বিজয়গাথা শুধু নবী-রাসুলদের যুগে সীমাবদ্ধ ছিল না। মুসলমানরা যখন দীর্ঘকাল নিপীড়িত ছিল, তখনই তাদের মধ্য থেকে উঠে এসেছেন বীরেরা, যেমন সালাহউদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) মুসলমানদের একতাবদ্ধ করে দীর্ঘদিনের দখলদারি থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেন। তাঁর এই বিজয় ছিল মজলুমের আত্মমর্যাদা ফিরে পাওয়ার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর এই বিজয় প্রমাণ করে যে যখন মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তখন তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তাই জুলুমের পরিস্থিতিতে প্রয়োজন মুসলমানদের একতা, দোয়ার শক্তি, ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা)।
আল্লাহ তাআলা তাঁর মজলুম বান্দাদের জন্য বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জালিমের ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু মজলুমের গল্প ইতিহাসে অমর। মজলুম কাঁদে, কিন্তু হার মানে না। আর জুলুম কখনো স্থায়ী হয় না। মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো মজলুমের পাশে থাকা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ও কণ্ঠ তোলা এবং আল্লাহর কাছে তাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করা।

জুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লাহর মাঝে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।’ (সহিহ বুখারি)
যুগে যুগে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা জুলুমের শিকার হয়েছেন, কিন্তু তাঁদের দৃঢ় ইমান ও ধৈর্য শেষ পর্যন্ত বিজয়ের আলো এনেছে। ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে তাঁদের সেই বিজয়গাথা।
নমরুদের জুলুম ও হজরত ইব্রাহিমের সত্য প্রতিষ্ঠা
নমরুদের দাম্ভিকতা যখন তুঙ্গে, তখন সে নিজেকে প্রভু দাবি করল। তার জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন আল্লাহর এক তরুণ বন্ধু, নবী ইব্রাহিম (আ.)। সত্যের পথে অটল থাকায় তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নেয় নমরুদ। কিন্তু মজলুমের পক্ষে ছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। নমরুদের জ্বালানো বিশাল অগ্নিকুণ্ড ইব্রাহিমের জন্য শান্তির বাগানে পরিণত হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আমি বললাম, হে আগুন, তুমি ইব্রাহিমের জন্য শান্তিদায়ক ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)। নমরুদের জুলুম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে আল্লাহ তাকে শায়েস্তা করেন সামান্য এক মশার মাধ্যমে। পতন হয় তার ৪০০ বছরের শাসনের। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ২/৮৭৮)
জুলুমের বিপরীতে ইউসুফ (আ.)-এর বিজয়
হজরত ইউসুফ (আ.) তাঁর ভাইদের হিংসার শিকার হয়ে কূপের গভীরে নিক্ষিপ্ত হন। বাজারে বিক্রি হন ক্রীতদাস হিসেবে, এমনকি মিথ্যা অপবাদে বন্দী হন কারাগারে। প্রতিটি ঘটনা ছিল একেকটি চরম জুলুম। কিন্তু তিনি কখনো আল্লাহর ওপর থেকে ভরসা হারাননি। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘এভাবেই আমরা ইউসুফকে দেশে ক্ষমতা দান করেছিলাম এবং ইচ্ছা করলে সে তথায় যেকোনো স্থানে অবস্থান করতে পারত।’ (সুরা ইউসুফ: ৫৬)
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাঁকে মিসরের রাজত্বের মালিক বানান। তিনি শুধু ক্ষমতা ফিরে পাননি, বরং ক্ষমা ও ভালোবাসার মাধ্যমে তাঁর ভাইদের জুলুমকে পরাজিত করে এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দেন। যখন ভাইয়েরা তাঁর সামনে লজ্জিত হয়ে দাঁড়ায়, তখন তিনি বলেন, ‘আজ তোমাদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইউসুফ: ৯২)
ফেরাউনের জুলুম ও হজরত মুসার বিজয়
ফেরাউনের জুলুমের শিকার হয়ে বনি ইসরাইলরা যখন দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ, তখন আল্লাহ তাদের মুক্তির জন্য হজরত মুসা (আ.)-কে পাঠান। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আমি ইচ্ছা করলাম যে জমিনে যারা দুর্বল, তাদের অনুগ্রহ করব; তাদের নেতা বানাব এবং তাদের উত্তরাধিকারী করব।’ (সুরা কাসাস: ৫)। ফেরাউনের সীমা লঙ্ঘন যখন চরমে পৌঁছায় এবং সে নিজেকে খোদা দাবি করে, আল্লাহ তখন তাদের জন্য নীলনদকে দুই ভাগ করে দেন। মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীরা মুক্তি পান, আর ফেরাউন তার বিশাল বাহিনীসহ সেই পানিতে ডুবে যায়। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘অতঃপর আমি তাকে ও তার সৈন্য বাহিনীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম।’ (সুরা আরাফ: ১৩৬)
মক্কার কাফিরদের জুলুম ও নবীজির বিজয়
ইসলামের শুরুতে মক্কার কাফিরদের দ্বারা মুসলমানরা চরম নিপীড়নের শিকার হয়। সাহাবি হজরত বেলাল (রা.), হজরত সুমাইয়া (রা.) এবং তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। কিন্তু তাঁরা ধৈর্য ও ইমানের ওপর অটল থাকেন। চোখ বুজে সব সহ্য করেন। কিন্তু হিজরতের পর বদর যুদ্ধে অল্পসংখ্যক মুসলিম সৈন্যের হাতে কাফিরদের পরাজয় ছিল মজলুমের বিজয়ের প্রথম রণহুংকার। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘আর আল্লাহ তোমাদের বিজয় দান করেছেন, অথচ তোমরা দুর্বল ছিলে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৩)। আর ‘ফাতহে মক্কা’ বা মক্কা বিজয় ছিল ইসলামের ইতিহাসে মজলুমের বিজয়ের এক শ্রেষ্ঠতম ও চূড়ান্ত নিদর্শন।
মুসলমানদের পুনরুত্থান ও সমসাময়িক প্রেক্ষাপট
ইতিহাসে মজলুমের বিজয়গাথা শুধু নবী-রাসুলদের যুগে সীমাবদ্ধ ছিল না। মুসলমানরা যখন দীর্ঘকাল নিপীড়িত ছিল, তখনই তাদের মধ্য থেকে উঠে এসেছেন বীরেরা, যেমন সালাহউদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) মুসলমানদের একতাবদ্ধ করে দীর্ঘদিনের দখলদারি থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেন। তাঁর এই বিজয় ছিল মজলুমের আত্মমর্যাদা ফিরে পাওয়ার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর এই বিজয় প্রমাণ করে যে যখন মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তখন তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তাই জুলুমের পরিস্থিতিতে প্রয়োজন মুসলমানদের একতা, দোয়ার শক্তি, ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা)।
আল্লাহ তাআলা তাঁর মজলুম বান্দাদের জন্য বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জালিমের ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু মজলুমের গল্প ইতিহাসে অমর। মজলুম কাঁদে, কিন্তু হার মানে না। আর জুলুম কখনো স্থায়ী হয় না। মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো মজলুমের পাশে থাকা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ও কণ্ঠ তোলা এবং আল্লাহর কাছে তাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করা।

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

জুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
০৮ আগস্ট ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
০৮ আগস্ট ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

জুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
০৮ আগস্ট ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
০৮ আগস্ট ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে