ফারুক আব্দুল্লাহ

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলা নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিখ্যাত। এই জেলার শাহজাদপুর থানা প্রাচীন প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ। মুসলিম আমলে শাহজাদপুর ইউসুফশাহি পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইউসুফ শাহের নামানুসারে স্থানটির নামকরণ করা হয় শাহজাদপুর। এই শহরের উপকণ্ঠে করতোয়া নদীর পারে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে অনন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন শাহজাদপুর দরগাহ মসজিদ, যা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত বড় মসজিদ নামে। কয়েক শতাব্দী ধরে অনন্য মসজিদটি এ অঞ্চলের ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য বুকে ধারণ করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। এ যেন এক জীবন্ত ইতিহাস!
শাহজাদপুর শহরের দরগাহপাড়ায় অবস্থিত প্রাচীন এ মসজিদটি স্থানীয় মুসলিমদের ধর্মীয় কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত। রাজশাহী বিভাগের এই অঞ্চলে ইসলামিক স্থাপত্য ও সংস্কৃতির মর্যাদায় মসজিদটি রয়েছে প্রথম সারিতে। মসজিদের পাশেই আরও দুটি স্থাপনা রয়েছে—হজরত মখদুম শাহ দৌলা ইয়েমেনি (রহ.)-এর মাজার এবং শামসুদ্দিন তাবরিজি (রহ.)-এর মাজার।
কথিত আছে, হজরত মখদুম শাহ দৌলা ইয়েমেনি (রহ.) ইয়েমেন থেকে শাহজাদা জীবনের সুখ-শান্তিকে বিসর্জন দিয়ে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে প্রথমে বুখারা শহরে পৌঁছান। সেখানকার বিখ্যাত ওলি হজরত জালাল উদ্দিন বুখারি (রহ.)-এর সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর যাত্রা শুরু করে বাংলার এ অঞ্চলে আসেন। ধারণা করা হয়, পনেরো শতকের এই প্রখ্যাত সুফি সাধক মসজিদটি নির্মাণ করেন।
একাধিক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির ছাদ তিন সারিতে মোট ১৫টি গম্বুজ দিয়ে আচ্ছাদিত। এটি এক কক্ষের মসজিদ, যা উত্তর-দক্ষিণে প্রশস্ত। পূর্ব দেয়ালে পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে—প্রতিটি ২.১ মিটার উঁচু ও ১.৮ মিটার চওড়া। ভেতরে আটটি কালো পাথরের সুদৃঢ় স্তম্ভ রয়েছে, যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে ছাদ। কুচকুচে কালো, মসৃণ এই স্তম্ভগুলোকে স্থানীয় অনেকেই কষ্টিপাথর বলে দাবি করে থাকেন।
বাংলার সুলতানি আমলের মসজিদগুলোর বৈশিষ্ট্য এখানে সহজেই চোখে পড়ে। পুরু দেয়াল, খিলানাকৃতির দরজা-জানালা, টেরাকোটার অলংকরণ দর্শকদের দৃষ্টি কাড়ে। এ মসজিদের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন বৈশিষ্ট্য হলো, এর সাত ধাপবিশিষ্ট গম্বুজযুক্ত দ্বিতল মিম্বার, যা অন্য কোনো মসজিদে তেমন দেখা যায় না। শাহজাদপুরের সুপ্রাচীন দরগাহ মসজিদ এ দেশের ইসলামিক ঐতিহ্যের এক অমূল্য নিদর্শন। এটি শুধুই কোনো পুরাকীর্তি নয়, বরং প্রাচীন ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাহক, এক জীবন্ত ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এটি আজও স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এই মসজিদের মাধ্যমে আমরা মধ্য যুগীয় ইসলামি সভ্যতার সোনালি অতীত জানতে পারি। জানতে পারি সেকালের মুসলিম স্থাপত্যকলা ও তার সমৃদ্ধ ইতিহাস। এই আধুনিক যুগের করাল গ্রাসে যখন অনেক প্রাচীন স্থাপত্য ধ্বংস ও বিলুপ্তির পথে, তখন মসজিদটি তার অতীত জৌলুশ ধারণ করে আজও দাঁড়িয়ে আছে সগৌরবে, আপন মহিমায়। জানান দিয়ে যাচ্ছে আমাদের পূর্বসূরিদের গৌরবময় অতীত। পৌঁছে দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে কালগর্ভে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস। রক্ষা করে চলেছে অতীতের সঙ্গে বর্তমানের সংযোগ। প্রাচীন এই মসজিদটি তাই শুধু শাহজাদপুরের সম্পদ নয়, সমগ্র বাংলা মুলুকের অমূল্য সম্পদ। এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও অব্যাহত সংস্কারের মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সোনালি অতীত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সহজেই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলা নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিখ্যাত। এই জেলার শাহজাদপুর থানা প্রাচীন প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ। মুসলিম আমলে শাহজাদপুর ইউসুফশাহি পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইউসুফ শাহের নামানুসারে স্থানটির নামকরণ করা হয় শাহজাদপুর। এই শহরের উপকণ্ঠে করতোয়া নদীর পারে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে অনন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন শাহজাদপুর দরগাহ মসজিদ, যা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত বড় মসজিদ নামে। কয়েক শতাব্দী ধরে অনন্য মসজিদটি এ অঞ্চলের ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য বুকে ধারণ করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। এ যেন এক জীবন্ত ইতিহাস!
শাহজাদপুর শহরের দরগাহপাড়ায় অবস্থিত প্রাচীন এ মসজিদটি স্থানীয় মুসলিমদের ধর্মীয় কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত। রাজশাহী বিভাগের এই অঞ্চলে ইসলামিক স্থাপত্য ও সংস্কৃতির মর্যাদায় মসজিদটি রয়েছে প্রথম সারিতে। মসজিদের পাশেই আরও দুটি স্থাপনা রয়েছে—হজরত মখদুম শাহ দৌলা ইয়েমেনি (রহ.)-এর মাজার এবং শামসুদ্দিন তাবরিজি (রহ.)-এর মাজার।
কথিত আছে, হজরত মখদুম শাহ দৌলা ইয়েমেনি (রহ.) ইয়েমেন থেকে শাহজাদা জীবনের সুখ-শান্তিকে বিসর্জন দিয়ে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে প্রথমে বুখারা শহরে পৌঁছান। সেখানকার বিখ্যাত ওলি হজরত জালাল উদ্দিন বুখারি (রহ.)-এর সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর যাত্রা শুরু করে বাংলার এ অঞ্চলে আসেন। ধারণা করা হয়, পনেরো শতকের এই প্রখ্যাত সুফি সাধক মসজিদটি নির্মাণ করেন।
একাধিক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির ছাদ তিন সারিতে মোট ১৫টি গম্বুজ দিয়ে আচ্ছাদিত। এটি এক কক্ষের মসজিদ, যা উত্তর-দক্ষিণে প্রশস্ত। পূর্ব দেয়ালে পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে—প্রতিটি ২.১ মিটার উঁচু ও ১.৮ মিটার চওড়া। ভেতরে আটটি কালো পাথরের সুদৃঢ় স্তম্ভ রয়েছে, যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে ছাদ। কুচকুচে কালো, মসৃণ এই স্তম্ভগুলোকে স্থানীয় অনেকেই কষ্টিপাথর বলে দাবি করে থাকেন।
বাংলার সুলতানি আমলের মসজিদগুলোর বৈশিষ্ট্য এখানে সহজেই চোখে পড়ে। পুরু দেয়াল, খিলানাকৃতির দরজা-জানালা, টেরাকোটার অলংকরণ দর্শকদের দৃষ্টি কাড়ে। এ মসজিদের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন বৈশিষ্ট্য হলো, এর সাত ধাপবিশিষ্ট গম্বুজযুক্ত দ্বিতল মিম্বার, যা অন্য কোনো মসজিদে তেমন দেখা যায় না। শাহজাদপুরের সুপ্রাচীন দরগাহ মসজিদ এ দেশের ইসলামিক ঐতিহ্যের এক অমূল্য নিদর্শন। এটি শুধুই কোনো পুরাকীর্তি নয়, বরং প্রাচীন ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাহক, এক জীবন্ত ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এটি আজও স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এই মসজিদের মাধ্যমে আমরা মধ্য যুগীয় ইসলামি সভ্যতার সোনালি অতীত জানতে পারি। জানতে পারি সেকালের মুসলিম স্থাপত্যকলা ও তার সমৃদ্ধ ইতিহাস। এই আধুনিক যুগের করাল গ্রাসে যখন অনেক প্রাচীন স্থাপত্য ধ্বংস ও বিলুপ্তির পথে, তখন মসজিদটি তার অতীত জৌলুশ ধারণ করে আজও দাঁড়িয়ে আছে সগৌরবে, আপন মহিমায়। জানান দিয়ে যাচ্ছে আমাদের পূর্বসূরিদের গৌরবময় অতীত। পৌঁছে দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে কালগর্ভে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস। রক্ষা করে চলেছে অতীতের সঙ্গে বর্তমানের সংযোগ। প্রাচীন এই মসজিদটি তাই শুধু শাহজাদপুরের সম্পদ নয়, সমগ্র বাংলা মুলুকের অমূল্য সম্পদ। এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও অব্যাহত সংস্কারের মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সোনালি অতীত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সহজেই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
ফারুক আব্দুল্লাহ

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলা নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিখ্যাত। এই জেলার শাহজাদপুর থানা প্রাচীন প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ। মুসলিম আমলে শাহজাদপুর ইউসুফশাহি পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইউসুফ শাহের নামানুসারে স্থানটির নামকরণ করা হয় শাহজাদপুর। এই শহরের উপকণ্ঠে করতোয়া নদীর পারে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে অনন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন শাহজাদপুর দরগাহ মসজিদ, যা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত বড় মসজিদ নামে। কয়েক শতাব্দী ধরে অনন্য মসজিদটি এ অঞ্চলের ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য বুকে ধারণ করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। এ যেন এক জীবন্ত ইতিহাস!
শাহজাদপুর শহরের দরগাহপাড়ায় অবস্থিত প্রাচীন এ মসজিদটি স্থানীয় মুসলিমদের ধর্মীয় কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত। রাজশাহী বিভাগের এই অঞ্চলে ইসলামিক স্থাপত্য ও সংস্কৃতির মর্যাদায় মসজিদটি রয়েছে প্রথম সারিতে। মসজিদের পাশেই আরও দুটি স্থাপনা রয়েছে—হজরত মখদুম শাহ দৌলা ইয়েমেনি (রহ.)-এর মাজার এবং শামসুদ্দিন তাবরিজি (রহ.)-এর মাজার।
কথিত আছে, হজরত মখদুম শাহ দৌলা ইয়েমেনি (রহ.) ইয়েমেন থেকে শাহজাদা জীবনের সুখ-শান্তিকে বিসর্জন দিয়ে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে প্রথমে বুখারা শহরে পৌঁছান। সেখানকার বিখ্যাত ওলি হজরত জালাল উদ্দিন বুখারি (রহ.)-এর সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর যাত্রা শুরু করে বাংলার এ অঞ্চলে আসেন। ধারণা করা হয়, পনেরো শতকের এই প্রখ্যাত সুফি সাধক মসজিদটি নির্মাণ করেন।
একাধিক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির ছাদ তিন সারিতে মোট ১৫টি গম্বুজ দিয়ে আচ্ছাদিত। এটি এক কক্ষের মসজিদ, যা উত্তর-দক্ষিণে প্রশস্ত। পূর্ব দেয়ালে পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে—প্রতিটি ২.১ মিটার উঁচু ও ১.৮ মিটার চওড়া। ভেতরে আটটি কালো পাথরের সুদৃঢ় স্তম্ভ রয়েছে, যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে ছাদ। কুচকুচে কালো, মসৃণ এই স্তম্ভগুলোকে স্থানীয় অনেকেই কষ্টিপাথর বলে দাবি করে থাকেন।
বাংলার সুলতানি আমলের মসজিদগুলোর বৈশিষ্ট্য এখানে সহজেই চোখে পড়ে। পুরু দেয়াল, খিলানাকৃতির দরজা-জানালা, টেরাকোটার অলংকরণ দর্শকদের দৃষ্টি কাড়ে। এ মসজিদের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন বৈশিষ্ট্য হলো, এর সাত ধাপবিশিষ্ট গম্বুজযুক্ত দ্বিতল মিম্বার, যা অন্য কোনো মসজিদে তেমন দেখা যায় না। শাহজাদপুরের সুপ্রাচীন দরগাহ মসজিদ এ দেশের ইসলামিক ঐতিহ্যের এক অমূল্য নিদর্শন। এটি শুধুই কোনো পুরাকীর্তি নয়, বরং প্রাচীন ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাহক, এক জীবন্ত ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এটি আজও স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এই মসজিদের মাধ্যমে আমরা মধ্য যুগীয় ইসলামি সভ্যতার সোনালি অতীত জানতে পারি। জানতে পারি সেকালের মুসলিম স্থাপত্যকলা ও তার সমৃদ্ধ ইতিহাস। এই আধুনিক যুগের করাল গ্রাসে যখন অনেক প্রাচীন স্থাপত্য ধ্বংস ও বিলুপ্তির পথে, তখন মসজিদটি তার অতীত জৌলুশ ধারণ করে আজও দাঁড়িয়ে আছে সগৌরবে, আপন মহিমায়। জানান দিয়ে যাচ্ছে আমাদের পূর্বসূরিদের গৌরবময় অতীত। পৌঁছে দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে কালগর্ভে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস। রক্ষা করে চলেছে অতীতের সঙ্গে বর্তমানের সংযোগ। প্রাচীন এই মসজিদটি তাই শুধু শাহজাদপুরের সম্পদ নয়, সমগ্র বাংলা মুলুকের অমূল্য সম্পদ। এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও অব্যাহত সংস্কারের মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সোনালি অতীত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সহজেই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলা নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিখ্যাত। এই জেলার শাহজাদপুর থানা প্রাচীন প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ। মুসলিম আমলে শাহজাদপুর ইউসুফশাহি পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইউসুফ শাহের নামানুসারে স্থানটির নামকরণ করা হয় শাহজাদপুর। এই শহরের উপকণ্ঠে করতোয়া নদীর পারে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে কালের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে অনন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন শাহজাদপুর দরগাহ মসজিদ, যা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত বড় মসজিদ নামে। কয়েক শতাব্দী ধরে অনন্য মসজিদটি এ অঞ্চলের ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য বুকে ধারণ করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। এ যেন এক জীবন্ত ইতিহাস!
শাহজাদপুর শহরের দরগাহপাড়ায় অবস্থিত প্রাচীন এ মসজিদটি স্থানীয় মুসলিমদের ধর্মীয় কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত। রাজশাহী বিভাগের এই অঞ্চলে ইসলামিক স্থাপত্য ও সংস্কৃতির মর্যাদায় মসজিদটি রয়েছে প্রথম সারিতে। মসজিদের পাশেই আরও দুটি স্থাপনা রয়েছে—হজরত মখদুম শাহ দৌলা ইয়েমেনি (রহ.)-এর মাজার এবং শামসুদ্দিন তাবরিজি (রহ.)-এর মাজার।
কথিত আছে, হজরত মখদুম শাহ দৌলা ইয়েমেনি (রহ.) ইয়েমেন থেকে শাহজাদা জীবনের সুখ-শান্তিকে বিসর্জন দিয়ে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে প্রথমে বুখারা শহরে পৌঁছান। সেখানকার বিখ্যাত ওলি হজরত জালাল উদ্দিন বুখারি (রহ.)-এর সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর যাত্রা শুরু করে বাংলার এ অঞ্চলে আসেন। ধারণা করা হয়, পনেরো শতকের এই প্রখ্যাত সুফি সাধক মসজিদটি নির্মাণ করেন।
একাধিক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির ছাদ তিন সারিতে মোট ১৫টি গম্বুজ দিয়ে আচ্ছাদিত। এটি এক কক্ষের মসজিদ, যা উত্তর-দক্ষিণে প্রশস্ত। পূর্ব দেয়ালে পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে—প্রতিটি ২.১ মিটার উঁচু ও ১.৮ মিটার চওড়া। ভেতরে আটটি কালো পাথরের সুদৃঢ় স্তম্ভ রয়েছে, যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে ছাদ। কুচকুচে কালো, মসৃণ এই স্তম্ভগুলোকে স্থানীয় অনেকেই কষ্টিপাথর বলে দাবি করে থাকেন।
বাংলার সুলতানি আমলের মসজিদগুলোর বৈশিষ্ট্য এখানে সহজেই চোখে পড়ে। পুরু দেয়াল, খিলানাকৃতির দরজা-জানালা, টেরাকোটার অলংকরণ দর্শকদের দৃষ্টি কাড়ে। এ মসজিদের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন বৈশিষ্ট্য হলো, এর সাত ধাপবিশিষ্ট গম্বুজযুক্ত দ্বিতল মিম্বার, যা অন্য কোনো মসজিদে তেমন দেখা যায় না। শাহজাদপুরের সুপ্রাচীন দরগাহ মসজিদ এ দেশের ইসলামিক ঐতিহ্যের এক অমূল্য নিদর্শন। এটি শুধুই কোনো পুরাকীর্তি নয়, বরং প্রাচীন ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাহক, এক জীবন্ত ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এটি আজও স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এই মসজিদের মাধ্যমে আমরা মধ্য যুগীয় ইসলামি সভ্যতার সোনালি অতীত জানতে পারি। জানতে পারি সেকালের মুসলিম স্থাপত্যকলা ও তার সমৃদ্ধ ইতিহাস। এই আধুনিক যুগের করাল গ্রাসে যখন অনেক প্রাচীন স্থাপত্য ধ্বংস ও বিলুপ্তির পথে, তখন মসজিদটি তার অতীত জৌলুশ ধারণ করে আজও দাঁড়িয়ে আছে সগৌরবে, আপন মহিমায়। জানান দিয়ে যাচ্ছে আমাদের পূর্বসূরিদের গৌরবময় অতীত। পৌঁছে দিচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে কালগর্ভে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস। রক্ষা করে চলেছে অতীতের সঙ্গে বর্তমানের সংযোগ। প্রাচীন এই মসজিদটি তাই শুধু শাহজাদপুরের সম্পদ নয়, সমগ্র বাংলা মুলুকের অমূল্য সম্পদ। এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও অব্যাহত সংস্কারের মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সোনালি অতীত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সহজেই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলা নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিখ্যাত। এই জেলার শাহজাদপুর থানা প্রাচীন প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ। মুসলিম আমলে শাহজাদপুর ইউসুফশাহি পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইউসুফ শাহের নামানুসারে স্থানটির নামকরণ করা হয় শাহজাদপুর। এই শহরের উপকণ্ঠে করতোয়া নদীর পারে অত্যন্ত মনোরম...
২৪ দিন আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলা নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিখ্যাত। এই জেলার শাহজাদপুর থানা প্রাচীন প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ। মুসলিম আমলে শাহজাদপুর ইউসুফশাহি পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইউসুফ শাহের নামানুসারে স্থানটির নামকরণ করা হয় শাহজাদপুর। এই শহরের উপকণ্ঠে করতোয়া নদীর পারে অত্যন্ত মনোরম...
২৪ দিন আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলা নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিখ্যাত। এই জেলার শাহজাদপুর থানা প্রাচীন প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ। মুসলিম আমলে শাহজাদপুর ইউসুফশাহি পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইউসুফ শাহের নামানুসারে স্থানটির নামকরণ করা হয় শাহজাদপুর। এই শহরের উপকণ্ঠে করতোয়া নদীর পারে অত্যন্ত মনোরম...
২৪ দিন আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলা নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিখ্যাত। এই জেলার শাহজাদপুর থানা প্রাচীন প্রত্নতত্ত্বে সমৃদ্ধ। মুসলিম আমলে শাহজাদপুর ইউসুফশাহি পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইউসুফ শাহের নামানুসারে স্থানটির নামকরণ করা হয় শাহজাদপুর। এই শহরের উপকণ্ঠে করতোয়া নদীর পারে অত্যন্ত মনোরম...
২৪ দিন আগে
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে