মুফতি আবু দারদা
পবিত্র কোরআন মুসলমানদের কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। এর পবিত্রতা রক্ষা করা প্রত্যেকের কর্তব্য। কোরআন নিয়ে হাসি-তামাশা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। একইভাবে কোরআনকে গুনাহের মাধ্যম বানানোও সম্পূর্ণ নিষেধ। মানুষের কাছে নিজের কথা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য অনেকে কোরআনের আশ্রয় নেয়। কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা কথা বলে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম গুনাহের কাজ।
মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ। এটি মুনাফিকের স্বভাব। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে, সে খাঁটি মুনাফিক গণ্য হবে। আর যার মধ্যে ওই চার স্বভাবের একটি থাকবে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকি থেকে যাবে। (চার স্বভাব হলো) এক. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। দুই. কথা বললে মিথ্যা বলে। তিন. ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং চার. ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে গালাগাল করে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এবার ভাবুন, মিথ্যা বলা যেখানে বড় গুনাহ, কোরআন ছুঁয়ে কোরআন অবমাননা করে মিথ্যা বলা কত বড় গুনাহ হবে। এটি আরও জঘন্যতম অপরাধ। সাহল ইবনে মিনজাব থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের কোনো একটি সুরার কসম করবে, সে ওই সুরার প্রতিটি আয়াতের বিনিময়ে একটি করে গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সামনে হাজির হবে।’ (ইবনে আবি শাইবা)
তবে কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা বলার কারণে ইমান চলে যাবে না। কারণ আল্লাহ ও তাঁর নবীকে অস্বীকার না করলে বা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে অংশীদার না করলে কেউ কাফির হয় না। বরং এমন ব্যক্তিও মুমিন। তবে তার ইমান অসম্পূর্ণ। তার জন্য তওবা করা আবশ্যক। তওবা ছাড়া এই গুনাহ থেকে মুক্তির কোনো পথ নেই।
লেখক: মুফতি আবু দারদা, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
পবিত্র কোরআন মুসলমানদের কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। এর পবিত্রতা রক্ষা করা প্রত্যেকের কর্তব্য। কোরআন নিয়ে হাসি-তামাশা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। একইভাবে কোরআনকে গুনাহের মাধ্যম বানানোও সম্পূর্ণ নিষেধ। মানুষের কাছে নিজের কথা বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য অনেকে কোরআনের আশ্রয় নেয়। কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা কথা বলে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম গুনাহের কাজ।
মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ। এটি মুনাফিকের স্বভাব। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে, সে খাঁটি মুনাফিক গণ্য হবে। আর যার মধ্যে ওই চার স্বভাবের একটি থাকবে, তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকি থেকে যাবে। (চার স্বভাব হলো) এক. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। দুই. কথা বললে মিথ্যা বলে। তিন. ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং চার. ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে গালাগাল করে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এবার ভাবুন, মিথ্যা বলা যেখানে বড় গুনাহ, কোরআন ছুঁয়ে কোরআন অবমাননা করে মিথ্যা বলা কত বড় গুনাহ হবে। এটি আরও জঘন্যতম অপরাধ। সাহল ইবনে মিনজাব থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের কোনো একটি সুরার কসম করবে, সে ওই সুরার প্রতিটি আয়াতের বিনিময়ে একটি করে গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সামনে হাজির হবে।’ (ইবনে আবি শাইবা)
তবে কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা বলার কারণে ইমান চলে যাবে না। কারণ আল্লাহ ও তাঁর নবীকে অস্বীকার না করলে বা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে অংশীদার না করলে কেউ কাফির হয় না। বরং এমন ব্যক্তিও মুমিন। তবে তার ইমান অসম্পূর্ণ। তার জন্য তওবা করা আবশ্যক। তওবা ছাড়া এই গুনাহ থেকে মুক্তির কোনো পথ নেই।
লেখক: মুফতি আবু দারদা, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
নেক কাজের দ্বারা পাপরাশি তখনই মাফ হবে, যখন তা সগিরা গুনাহ হবে। যদি কবিরা গুনাহ হয়, তাহলে অবশ্যই এর জন্য তওবা করতে হবে। আর অপরাধটা যদি কোনো মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে প্রথমে ওই ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তারপর আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত হলো রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৭ ঘণ্টা আগেলজ্জা বা হায়া ইসলামের একটি মৌলিক গুণ, যা মুমিনের চরিত্রকে সুশোভিত করে। এর কারণে মানুষের মধ্য থেকে কুটিলতা ও পাপ দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা নিজেও এ গুণে গুণান্বিত, তাই তিনি লজ্জাশীল বান্দাকে পছন্দ করেন। এটি কেবল বাহ্যিক শালীনতা নয়, বরং অন্তরের পবিত্রতা ও আল্লাহভীতির প্রকাশ।
১৮ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ...
১৯ ঘণ্টা আগে