আলী ওসমান শেফায়েত
মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ শেখায়, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব দেয়।
প্রত্যেক রাসুলকে আল্লাহ তাআলা নিজের মাতৃভাষায় আসমানি প্রত্যাদেশ দিয়ে পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তাঁর স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি, তাদের কাছে (ধর্মকে) পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪) তাই দেখা যায়, হজরত মুসা (আ.)-এর সম্প্রদায় ইবরানি বা হিব্রু ভাষায় কথা বলত, ফলে তাওরাত নাজিল হয়েছিল হিব্রু ভাষায়। হজরত ঈসা (আ.)-এর সম্প্রদায় কথা বলত সুরিয়ানি ভাষায়, ফলে ইঞ্জিল নাজিল হয়েছিল সুরিয়ানি ভাষায়। একইভাবে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আরবি ভাষী, তাই তাঁর ওপর নাজিলকৃত কিতাব পবিত্র কোরআনের ভাষাও আরবি।
মানুষ যে ভাষায় কথা বলে বেড়ে ওঠে, সেই ভাষায় কথা বলা তার মৌলিক অধিকার। ফলে এটা তার অস্থিমজ্জা, রক্ত-মাংসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘দয়াময় আল্লাহ। তিনিই শিখিয়েছেন কোরআন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ। তিনিই তাকে শিখিয়েছেন ভাব প্রকাশ করা।’ (সুরা রহমান: ১-৪) আয়াত থেকে জানা যায়, মানুষ সৃষ্টির সঙ্গে ভাষার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই মাতৃভাষা মানুষের সৃষ্টিগত অধিকার।
পৃথিবীতে ৭ হাজারের অধিক ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে। বিচিত্র এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও অঞ্চলের মানুষ কথা বলে। এ ভাষাগুলোই প্রতিটি জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষা। আর এর মধ্যে রয়েছে প্রজ্ঞাময় স্রষ্টার বিশেষ রহস্য। এ-সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয়ই জ্ঞানীদের জন্য এতে রয়েছে নিদর্শন।’ (সুরা রুম: ২২)
যত্নসহ ভাষা লালন তথা শুদ্ধভাবে জানা এবং চর্চা করা মাতৃভাষার গুরুত্বের অপরিহার্য দাবি। শুদ্ধভাবে মাতৃভাষা বলতে ও লিখতে পারা যেকোনো সচেতন নাগরিকের কর্তব্য। আর মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকার ক্ষেত্রে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা যখন হজরত মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের কাছে দাওয়াত নিয়ে যেতে বললেন, তখন শুদ্ধভাষী ও বাগ্মী সহোদর হজরত হারুন (আ.)-কে তিনি সহযোগী হিসেবে চেয়েছিলেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমার ভাই হারুন, সে আমার চেয়ে স্পষ্টভাষী, তাই তাকে আমার সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবে পাঠান, সে আমাকে সমর্থন করবে।’ (সুরা কাসাস: ৩৪)
শুদ্ধভাবে কথা বলা মহানবী (সা.)-এর অনুপম সুন্নত। শৈশবে তিনি শুদ্ধ ভাষাভাষী বনু সাদ গোত্রের বিবি হালিমার ঘরে প্রতিপালিত হন। বিভিন্ন জাতি ও গোত্রের ভাষা বোঝা এবং তাদের ভাষায় তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সাহাবিদের মধ্যে অনেকেই আরবি ছাড়া একাধিক ভাষা জানতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবি জায়েদ ইবনে সাবিত (রা.)-কে সুরিয়ানি ভাষা তথা ইহুদিদের ভাষা (হিব্রু) শেখার নির্দেশ দেন এবং তিনি অল্প সময়ে এ ভাষা আয়ত্ত করেন।’ (তিরমিজি: ২৭১৫; মিশকাত: ৪৬৫৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাতৃভাষা ছিল আরবি। তিনি সারা জীবন মাতৃভাষায় একটি অশুদ্ধ বাক্য উচ্চারণ করেননি; বরং অন্যদের মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে শেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কখনো কখনো যুদ্ধবন্দীদের দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভাষাজ্ঞান শেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। সিরাতের কিতাবে এসেছে, ‘একজন বন্দী ১০ জন শিশুকে লেখাপড়া ও হস্তলিপি শেখালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৩ / ৫৬৯)
ভাষার বিকৃতি ইসলাম সমর্থন করে না। আহলে কিতাবগণ বিকৃত উচ্চারণ ও মুখ বাঁকিয়ে গ্রন্থ পাঠ করে ভাষাগত জটিলতা সৃষ্টি করত এবং তাদের অনুসারীদের ধোঁকা দিত। আল্লাহ তাআলা তাদের এই ভাষাগত বিকৃতি পছন্দ করেননি। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাঁকিয়ে কিতাব পাঠ করে, যেন তোমরা মনে করো, তারা কিতাব থেকেই পাঠ করছে অথচ তারা যা পাঠ করছে, তা আদৌ কিতাব নয় এবং তারা বলে, এসব কথা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত, অথচ এসব আয়াত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ নয়। তারা বলে, এটি আল্লাহর কথা, অথচ আল্লাহর কথা নয়। তারা জেনেশুনে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৮) তাই তো হজরত মুসা (আ.) উচ্চারণ বিকৃতি ও জড়তা থেকে বাঁচতে আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করে বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দাও এবং আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও আর আমার জিভের জড়তা দূর করে দাও, যাতে লোকেরা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সুরা ত্বহা: ২৫-২৮)
আসুন, মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসে শপথ নিই, মায়ের ভাষাকে ভিনদেশি আগ্রাসনমুক্ত করার। মাতৃভাষার শুদ্ধ চর্চা ও প্রয়োগে সচেষ্ট হই এবং বিশাল এ নিয়ামতের জন্য মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। সেই সঙ্গে যাঁরা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ শেখায়, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব দেয়।
প্রত্যেক রাসুলকে আল্লাহ তাআলা নিজের মাতৃভাষায় আসমানি প্রত্যাদেশ দিয়ে পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তাঁর স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি, তাদের কাছে (ধর্মকে) পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪) তাই দেখা যায়, হজরত মুসা (আ.)-এর সম্প্রদায় ইবরানি বা হিব্রু ভাষায় কথা বলত, ফলে তাওরাত নাজিল হয়েছিল হিব্রু ভাষায়। হজরত ঈসা (আ.)-এর সম্প্রদায় কথা বলত সুরিয়ানি ভাষায়, ফলে ইঞ্জিল নাজিল হয়েছিল সুরিয়ানি ভাষায়। একইভাবে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আরবি ভাষী, তাই তাঁর ওপর নাজিলকৃত কিতাব পবিত্র কোরআনের ভাষাও আরবি।
মানুষ যে ভাষায় কথা বলে বেড়ে ওঠে, সেই ভাষায় কথা বলা তার মৌলিক অধিকার। ফলে এটা তার অস্থিমজ্জা, রক্ত-মাংসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘দয়াময় আল্লাহ। তিনিই শিখিয়েছেন কোরআন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ। তিনিই তাকে শিখিয়েছেন ভাব প্রকাশ করা।’ (সুরা রহমান: ১-৪) আয়াত থেকে জানা যায়, মানুষ সৃষ্টির সঙ্গে ভাষার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই মাতৃভাষা মানুষের সৃষ্টিগত অধিকার।
পৃথিবীতে ৭ হাজারের অধিক ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে। বিচিত্র এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও অঞ্চলের মানুষ কথা বলে। এ ভাষাগুলোই প্রতিটি জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষা। আর এর মধ্যে রয়েছে প্রজ্ঞাময় স্রষ্টার বিশেষ রহস্য। এ-সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয়ই জ্ঞানীদের জন্য এতে রয়েছে নিদর্শন।’ (সুরা রুম: ২২)
যত্নসহ ভাষা লালন তথা শুদ্ধভাবে জানা এবং চর্চা করা মাতৃভাষার গুরুত্বের অপরিহার্য দাবি। শুদ্ধভাবে মাতৃভাষা বলতে ও লিখতে পারা যেকোনো সচেতন নাগরিকের কর্তব্য। আর মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকার ক্ষেত্রে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা যখন হজরত মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের কাছে দাওয়াত নিয়ে যেতে বললেন, তখন শুদ্ধভাষী ও বাগ্মী সহোদর হজরত হারুন (আ.)-কে তিনি সহযোগী হিসেবে চেয়েছিলেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমার ভাই হারুন, সে আমার চেয়ে স্পষ্টভাষী, তাই তাকে আমার সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবে পাঠান, সে আমাকে সমর্থন করবে।’ (সুরা কাসাস: ৩৪)
শুদ্ধভাবে কথা বলা মহানবী (সা.)-এর অনুপম সুন্নত। শৈশবে তিনি শুদ্ধ ভাষাভাষী বনু সাদ গোত্রের বিবি হালিমার ঘরে প্রতিপালিত হন। বিভিন্ন জাতি ও গোত্রের ভাষা বোঝা এবং তাদের ভাষায় তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সাহাবিদের মধ্যে অনেকেই আরবি ছাড়া একাধিক ভাষা জানতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবি জায়েদ ইবনে সাবিত (রা.)-কে সুরিয়ানি ভাষা তথা ইহুদিদের ভাষা (হিব্রু) শেখার নির্দেশ দেন এবং তিনি অল্প সময়ে এ ভাষা আয়ত্ত করেন।’ (তিরমিজি: ২৭১৫; মিশকাত: ৪৬৫৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাতৃভাষা ছিল আরবি। তিনি সারা জীবন মাতৃভাষায় একটি অশুদ্ধ বাক্য উচ্চারণ করেননি; বরং অন্যদের মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে শেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কখনো কখনো যুদ্ধবন্দীদের দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভাষাজ্ঞান শেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। সিরাতের কিতাবে এসেছে, ‘একজন বন্দী ১০ জন শিশুকে লেখাপড়া ও হস্তলিপি শেখালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৩ / ৫৬৯)
ভাষার বিকৃতি ইসলাম সমর্থন করে না। আহলে কিতাবগণ বিকৃত উচ্চারণ ও মুখ বাঁকিয়ে গ্রন্থ পাঠ করে ভাষাগত জটিলতা সৃষ্টি করত এবং তাদের অনুসারীদের ধোঁকা দিত। আল্লাহ তাআলা তাদের এই ভাষাগত বিকৃতি পছন্দ করেননি। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাঁকিয়ে কিতাব পাঠ করে, যেন তোমরা মনে করো, তারা কিতাব থেকেই পাঠ করছে অথচ তারা যা পাঠ করছে, তা আদৌ কিতাব নয় এবং তারা বলে, এসব কথা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত, অথচ এসব আয়াত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ নয়। তারা বলে, এটি আল্লাহর কথা, অথচ আল্লাহর কথা নয়। তারা জেনেশুনে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৮) তাই তো হজরত মুসা (আ.) উচ্চারণ বিকৃতি ও জড়তা থেকে বাঁচতে আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করে বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দাও এবং আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও আর আমার জিভের জড়তা দূর করে দাও, যাতে লোকেরা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সুরা ত্বহা: ২৫-২৮)
আসুন, মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসে শপথ নিই, মায়ের ভাষাকে ভিনদেশি আগ্রাসনমুক্ত করার। মাতৃভাষার শুদ্ধ চর্চা ও প্রয়োগে সচেষ্ট হই এবং বিশাল এ নিয়ামতের জন্য মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। সেই সঙ্গে যাঁরা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
আলী ওসমান শেফায়েত
মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ শেখায়, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব দেয়।
প্রত্যেক রাসুলকে আল্লাহ তাআলা নিজের মাতৃভাষায় আসমানি প্রত্যাদেশ দিয়ে পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তাঁর স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি, তাদের কাছে (ধর্মকে) পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪) তাই দেখা যায়, হজরত মুসা (আ.)-এর সম্প্রদায় ইবরানি বা হিব্রু ভাষায় কথা বলত, ফলে তাওরাত নাজিল হয়েছিল হিব্রু ভাষায়। হজরত ঈসা (আ.)-এর সম্প্রদায় কথা বলত সুরিয়ানি ভাষায়, ফলে ইঞ্জিল নাজিল হয়েছিল সুরিয়ানি ভাষায়। একইভাবে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আরবি ভাষী, তাই তাঁর ওপর নাজিলকৃত কিতাব পবিত্র কোরআনের ভাষাও আরবি।
মানুষ যে ভাষায় কথা বলে বেড়ে ওঠে, সেই ভাষায় কথা বলা তার মৌলিক অধিকার। ফলে এটা তার অস্থিমজ্জা, রক্ত-মাংসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘দয়াময় আল্লাহ। তিনিই শিখিয়েছেন কোরআন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ। তিনিই তাকে শিখিয়েছেন ভাব প্রকাশ করা।’ (সুরা রহমান: ১-৪) আয়াত থেকে জানা যায়, মানুষ সৃষ্টির সঙ্গে ভাষার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই মাতৃভাষা মানুষের সৃষ্টিগত অধিকার।
পৃথিবীতে ৭ হাজারের অধিক ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে। বিচিত্র এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও অঞ্চলের মানুষ কথা বলে। এ ভাষাগুলোই প্রতিটি জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষা। আর এর মধ্যে রয়েছে প্রজ্ঞাময় স্রষ্টার বিশেষ রহস্য। এ-সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয়ই জ্ঞানীদের জন্য এতে রয়েছে নিদর্শন।’ (সুরা রুম: ২২)
যত্নসহ ভাষা লালন তথা শুদ্ধভাবে জানা এবং চর্চা করা মাতৃভাষার গুরুত্বের অপরিহার্য দাবি। শুদ্ধভাবে মাতৃভাষা বলতে ও লিখতে পারা যেকোনো সচেতন নাগরিকের কর্তব্য। আর মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকার ক্ষেত্রে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা যখন হজরত মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের কাছে দাওয়াত নিয়ে যেতে বললেন, তখন শুদ্ধভাষী ও বাগ্মী সহোদর হজরত হারুন (আ.)-কে তিনি সহযোগী হিসেবে চেয়েছিলেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমার ভাই হারুন, সে আমার চেয়ে স্পষ্টভাষী, তাই তাকে আমার সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবে পাঠান, সে আমাকে সমর্থন করবে।’ (সুরা কাসাস: ৩৪)
শুদ্ধভাবে কথা বলা মহানবী (সা.)-এর অনুপম সুন্নত। শৈশবে তিনি শুদ্ধ ভাষাভাষী বনু সাদ গোত্রের বিবি হালিমার ঘরে প্রতিপালিত হন। বিভিন্ন জাতি ও গোত্রের ভাষা বোঝা এবং তাদের ভাষায় তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সাহাবিদের মধ্যে অনেকেই আরবি ছাড়া একাধিক ভাষা জানতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবি জায়েদ ইবনে সাবিত (রা.)-কে সুরিয়ানি ভাষা তথা ইহুদিদের ভাষা (হিব্রু) শেখার নির্দেশ দেন এবং তিনি অল্প সময়ে এ ভাষা আয়ত্ত করেন।’ (তিরমিজি: ২৭১৫; মিশকাত: ৪৬৫৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাতৃভাষা ছিল আরবি। তিনি সারা জীবন মাতৃভাষায় একটি অশুদ্ধ বাক্য উচ্চারণ করেননি; বরং অন্যদের মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে শেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কখনো কখনো যুদ্ধবন্দীদের দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভাষাজ্ঞান শেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। সিরাতের কিতাবে এসেছে, ‘একজন বন্দী ১০ জন শিশুকে লেখাপড়া ও হস্তলিপি শেখালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৩ / ৫৬৯)
ভাষার বিকৃতি ইসলাম সমর্থন করে না। আহলে কিতাবগণ বিকৃত উচ্চারণ ও মুখ বাঁকিয়ে গ্রন্থ পাঠ করে ভাষাগত জটিলতা সৃষ্টি করত এবং তাদের অনুসারীদের ধোঁকা দিত। আল্লাহ তাআলা তাদের এই ভাষাগত বিকৃতি পছন্দ করেননি। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাঁকিয়ে কিতাব পাঠ করে, যেন তোমরা মনে করো, তারা কিতাব থেকেই পাঠ করছে অথচ তারা যা পাঠ করছে, তা আদৌ কিতাব নয় এবং তারা বলে, এসব কথা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত, অথচ এসব আয়াত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ নয়। তারা বলে, এটি আল্লাহর কথা, অথচ আল্লাহর কথা নয়। তারা জেনেশুনে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৮) তাই তো হজরত মুসা (আ.) উচ্চারণ বিকৃতি ও জড়তা থেকে বাঁচতে আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করে বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দাও এবং আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও আর আমার জিভের জড়তা দূর করে দাও, যাতে লোকেরা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সুরা ত্বহা: ২৫-২৮)
আসুন, মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসে শপথ নিই, মায়ের ভাষাকে ভিনদেশি আগ্রাসনমুক্ত করার। মাতৃভাষার শুদ্ধ চর্চা ও প্রয়োগে সচেষ্ট হই এবং বিশাল এ নিয়ামতের জন্য মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। সেই সঙ্গে যাঁরা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ শেখায়, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব দেয়।
প্রত্যেক রাসুলকে আল্লাহ তাআলা নিজের মাতৃভাষায় আসমানি প্রত্যাদেশ দিয়ে পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তাঁর স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি, তাদের কাছে (ধর্মকে) পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪) তাই দেখা যায়, হজরত মুসা (আ.)-এর সম্প্রদায় ইবরানি বা হিব্রু ভাষায় কথা বলত, ফলে তাওরাত নাজিল হয়েছিল হিব্রু ভাষায়। হজরত ঈসা (আ.)-এর সম্প্রদায় কথা বলত সুরিয়ানি ভাষায়, ফলে ইঞ্জিল নাজিল হয়েছিল সুরিয়ানি ভাষায়। একইভাবে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আরবি ভাষী, তাই তাঁর ওপর নাজিলকৃত কিতাব পবিত্র কোরআনের ভাষাও আরবি।
মানুষ যে ভাষায় কথা বলে বেড়ে ওঠে, সেই ভাষায় কথা বলা তার মৌলিক অধিকার। ফলে এটা তার অস্থিমজ্জা, রক্ত-মাংসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘দয়াময় আল্লাহ। তিনিই শিখিয়েছেন কোরআন। তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ। তিনিই তাকে শিখিয়েছেন ভাব প্রকাশ করা।’ (সুরা রহমান: ১-৪) আয়াত থেকে জানা যায়, মানুষ সৃষ্টির সঙ্গে ভাষার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই মাতৃভাষা মানুষের সৃষ্টিগত অধিকার।
পৃথিবীতে ৭ হাজারের অধিক ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে। বিচিত্র এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও অঞ্চলের মানুষ কথা বলে। এ ভাষাগুলোই প্রতিটি জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষা। আর এর মধ্যে রয়েছে প্রজ্ঞাময় স্রষ্টার বিশেষ রহস্য। এ-সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয়ই জ্ঞানীদের জন্য এতে রয়েছে নিদর্শন।’ (সুরা রুম: ২২)
যত্নসহ ভাষা লালন তথা শুদ্ধভাবে জানা এবং চর্চা করা মাতৃভাষার গুরুত্বের অপরিহার্য দাবি। শুদ্ধভাবে মাতৃভাষা বলতে ও লিখতে পারা যেকোনো সচেতন নাগরিকের কর্তব্য। আর মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকার ক্ষেত্রে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা যখন হজরত মুসা (আ.)-কে ফেরাউনের কাছে দাওয়াত নিয়ে যেতে বললেন, তখন শুদ্ধভাষী ও বাগ্মী সহোদর হজরত হারুন (আ.)-কে তিনি সহযোগী হিসেবে চেয়েছিলেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমার ভাই হারুন, সে আমার চেয়ে স্পষ্টভাষী, তাই তাকে আমার সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবে পাঠান, সে আমাকে সমর্থন করবে।’ (সুরা কাসাস: ৩৪)
শুদ্ধভাবে কথা বলা মহানবী (সা.)-এর অনুপম সুন্নত। শৈশবে তিনি শুদ্ধ ভাষাভাষী বনু সাদ গোত্রের বিবি হালিমার ঘরে প্রতিপালিত হন। বিভিন্ন জাতি ও গোত্রের ভাষা বোঝা এবং তাদের ভাষায় তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সাহাবিদের মধ্যে অনেকেই আরবি ছাড়া একাধিক ভাষা জানতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবি জায়েদ ইবনে সাবিত (রা.)-কে সুরিয়ানি ভাষা তথা ইহুদিদের ভাষা (হিব্রু) শেখার নির্দেশ দেন এবং তিনি অল্প সময়ে এ ভাষা আয়ত্ত করেন।’ (তিরমিজি: ২৭১৫; মিশকাত: ৪৬৫৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাতৃভাষা ছিল আরবি। তিনি সারা জীবন মাতৃভাষায় একটি অশুদ্ধ বাক্য উচ্চারণ করেননি; বরং অন্যদের মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে শেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কখনো কখনো যুদ্ধবন্দীদের দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভাষাজ্ঞান শেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। সিরাতের কিতাবে এসেছে, ‘একজন বন্দী ১০ জন শিশুকে লেখাপড়া ও হস্তলিপি শেখালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৩ / ৫৬৯)
ভাষার বিকৃতি ইসলাম সমর্থন করে না। আহলে কিতাবগণ বিকৃত উচ্চারণ ও মুখ বাঁকিয়ে গ্রন্থ পাঠ করে ভাষাগত জটিলতা সৃষ্টি করত এবং তাদের অনুসারীদের ধোঁকা দিত। আল্লাহ তাআলা তাদের এই ভাষাগত বিকৃতি পছন্দ করেননি। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাঁকিয়ে কিতাব পাঠ করে, যেন তোমরা মনে করো, তারা কিতাব থেকেই পাঠ করছে অথচ তারা যা পাঠ করছে, তা আদৌ কিতাব নয় এবং তারা বলে, এসব কথা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত, অথচ এসব আয়াত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ নয়। তারা বলে, এটি আল্লাহর কথা, অথচ আল্লাহর কথা নয়। তারা জেনেশুনে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৮) তাই তো হজরত মুসা (আ.) উচ্চারণ বিকৃতি ও জড়তা থেকে বাঁচতে আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করে বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দাও এবং আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও আর আমার জিভের জড়তা দূর করে দাও, যাতে লোকেরা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সুরা ত্বহা: ২৫-২৮)
আসুন, মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসে শপথ নিই, মায়ের ভাষাকে ভিনদেশি আগ্রাসনমুক্ত করার। মাতৃভাষার শুদ্ধ চর্চা ও প্রয়োগে সচেষ্ট হই এবং বিশাল এ নিয়ামতের জন্য মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। সেই সঙ্গে যাঁরা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ শেখায়, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ শেখায়, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ শেখায়, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১৯ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে, তা-ই তার মাতৃভাষা। মায়ের ভাষায় কথা বলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ইসলাম মায়ের প্রতি যেমন অকৃত্রিম শ্রদ্ধাবোধ শেখায়, তেমনি মাতৃভাষার প্রতিও অত্যধিক গুরুত্ব
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে