রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন, সুরা হামিম সাজদা ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু, নিরাশা, হক-বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল্যাণে চতুষ্পদ প্রাণীসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো।
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না
এই পৃথিবী, পৃথিবীর সব আয়োজন, বৈচিত্র্যের সমাহার, আল্লাহ তাআলা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণে। এর মধ্যে মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা, ঘাত-প্রতিঘাত, বিপদাপদ থাকবে। এসব নিয়ে মানুষের জীবন। এই পৃথিবীতে সব মানুষের মনে অল্প বেশি দুঃখ আছে। দুঃখকে একেবারে উপেক্ষা করে চলা মুশকিলই বটে। চাইলেও পারা যায় না। জীবন আছে বলে জীবনে দুঃখ-কষ্ট আছে।
আল্লাহ দুঃখ-কষ্ট কিংবা বিপদ দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তো জীবন-মৃত্যু দিয়েছেন মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য। তিনি নবী-রাসুলদেরও বিপদে ফেলেছেন। কষ্ট দিয়েছেন। পরীক্ষা করেছেন। তাঁরা ধৈর্য ধরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
দুঃখ-কষ্ট আর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের গুণ ও ইবাদত। কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমতের চাদর এত বিস্তৃত যে, নিরাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বান্দা যতই গুনাহ করুক না কেন, যতই পাপাচারে মোহগ্রস্ত থাকুক না কেন, আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি ক্ষমা করে কাছে টেনে নেবেন।
তাই কোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার : ৫৩)
এক মুমিন ব্যক্তির কাহিনী সুরা মুমিন
সুরা মুমিন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৮৫। কোরআনুল কারিমের ৪০ তম সুরা এটি। এ সুরায় একজন ব্যক্তির আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে গোমরাহির পথ ছেড়ে আল্লাহর পথে আসার জন্য সতর্ক করেছিলেন। কোরআনে আল্লাহ তাঁকে ‘মুমিন’ বলে উল্লেখ করেছেন। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম মুমিন। এর আরেক নাম গাফির।
ফেরাউনকে ইমানের দাওয়াত দিয়েছিলেন তিনি
সুরা মুমিনে ২৩ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াতে একজন মুমিন বান্দার আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে দীনের পথে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আল্লাহর আজাবের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউন ও তার সভাসদকে মুসা (আ.)-এর অনুসরণের দাওয়াত দিয়েছিলেন।
কিন্তু ফেরাউন তার কথা শুনল না; উপরুন্ত ঠাট্টা-বিদ্রুপ করল। সে তার উজির হামানকে বলল, একটা প্রাসাদ বানাও, সেখানে চড়ে আমি দেখব মুসার ইলাহকে দেখা যায় কি না! ফেরাউনের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য তিনি নীরবে সয়ে গিয়েছিলেন। হাসি-তামাশাকে একটুও আমলে নেননি; বরং তিনি দাওয়াতের কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। আসন্ন আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। উদ্ধত ফেরাউন তাঁর কথা শোনেনি। আল্লাহ ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের ওপর আজাব দিয়েছিলেন। আল্লাহ মুমিনকে রক্ষা করেছিলেন। ফেরাউন ও তার সহযোগীরা নদীতে ডুবে মরেছিল।
মুকাতিল, সুদ্দি, হাসান বসরি প্রমুখ তাফসিরবিদেরা বলেন, ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউনের চাচাত ভাই ছিলেন। এক কিবতিকে হত্যার ঘটনায় যখন ফেরাউনের দরবারে মুসা (আ)-কে পাল্টা হত্যা করার শলা-পরামর্শ চলছিল, তখন তিনিই মুসাকে শহর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
মুফতি তকি উসমানি বলেন, কোরআনে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর নাম ছিল শামআন।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, সিদ্দিক কয়েকজন মাত্র। একজন সুরা ইয়াসিনে বর্ণিত হাবিব নাজ্জার, দ্বিতীয় ফেরাউন বংশীয় মুমিন ব্যক্তি এবং তৃতীয় আবু বকর (রা.)। তিনি সবার শ্রেষ্ঠ। (কুরতুবি)
বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া
আপনি সম্ভব সব গুনাহ করেছেন। প্রতিনিয়ত পাপের মধ্যে ডুবে আছেন। শেষ কবে মসজিদে গেছেন মনে করতে পারছেন না। সেই কবে আল্লাহর কাছে গোপনে অনুশোচনা জানিয়েছিলেন, তাও ভুলে গেছেন। ভাবছেন, এই জীবনে আর ক্ষমা পাবেন না। আল্লাহ আমার দিকে আর ফিরে তাকাবে না।
না, আপনার ধারণা ভুল। আপনি অগণিত পাপের বোঝা নিয়ে আল্লাহকে ডাকুন, আল্লাহ আপনার ডাকে সাড়া দেবেন। আপনার গুনাহ মাফ করবেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : ৬০)
সুরা হামিম সাজদার বিষয়বস্তু
সুরা হামিম সাজদা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৪। কোরআনের ৪১তম সুরা এটি। এ সুরার আরেক নাম ফুসসিলাত। এ সুরায় কোরআনের আলোচনা, আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের বিপরীতে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা, কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গই মানুষের পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষী দেওয়া, কিয়ামতের দিন কাফেরদের অবস্থা, মুমিনদের পুরস্কার, আল্লাহকে চেনার উপায়, ধৈর্য ও ন্যায়ানুগ ফয়সালার বিবরণ রয়েছে।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে তওবা, সামাজিক শিষ্টাচার, মুমিন ও কাফেরের শেষ পরিণতি, কিয়ামত, হেদায়াত, ইমানদারের জন্য ফেরেশতাদের দোয়া, জাহান্নামিদের অবস্থা, মুসা ও ফেরাউনের ঘটনা, আল্লাহর অনুগ্রহ, মানুষের অকৃজ্ঞতা, কোরআনের মাহাত্ম্য ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন, সুরা হামিম সাজদা ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু, নিরাশা, হক-বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল্যাণে চতুষ্পদ প্রাণীসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো।
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না
এই পৃথিবী, পৃথিবীর সব আয়োজন, বৈচিত্র্যের সমাহার, আল্লাহ তাআলা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণে। এর মধ্যে মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা, ঘাত-প্রতিঘাত, বিপদাপদ থাকবে। এসব নিয়ে মানুষের জীবন। এই পৃথিবীতে সব মানুষের মনে অল্প বেশি দুঃখ আছে। দুঃখকে একেবারে উপেক্ষা করে চলা মুশকিলই বটে। চাইলেও পারা যায় না। জীবন আছে বলে জীবনে দুঃখ-কষ্ট আছে।
আল্লাহ দুঃখ-কষ্ট কিংবা বিপদ দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তো জীবন-মৃত্যু দিয়েছেন মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য। তিনি নবী-রাসুলদেরও বিপদে ফেলেছেন। কষ্ট দিয়েছেন। পরীক্ষা করেছেন। তাঁরা ধৈর্য ধরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
দুঃখ-কষ্ট আর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের গুণ ও ইবাদত। কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমতের চাদর এত বিস্তৃত যে, নিরাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বান্দা যতই গুনাহ করুক না কেন, যতই পাপাচারে মোহগ্রস্ত থাকুক না কেন, আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি ক্ষমা করে কাছে টেনে নেবেন।
তাই কোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার : ৫৩)
এক মুমিন ব্যক্তির কাহিনী সুরা মুমিন
সুরা মুমিন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৮৫। কোরআনুল কারিমের ৪০ তম সুরা এটি। এ সুরায় একজন ব্যক্তির আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে গোমরাহির পথ ছেড়ে আল্লাহর পথে আসার জন্য সতর্ক করেছিলেন। কোরআনে আল্লাহ তাঁকে ‘মুমিন’ বলে উল্লেখ করেছেন। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম মুমিন। এর আরেক নাম গাফির।
ফেরাউনকে ইমানের দাওয়াত দিয়েছিলেন তিনি
সুরা মুমিনে ২৩ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াতে একজন মুমিন বান্দার আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে দীনের পথে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আল্লাহর আজাবের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউন ও তার সভাসদকে মুসা (আ.)-এর অনুসরণের দাওয়াত দিয়েছিলেন।
কিন্তু ফেরাউন তার কথা শুনল না; উপরুন্ত ঠাট্টা-বিদ্রুপ করল। সে তার উজির হামানকে বলল, একটা প্রাসাদ বানাও, সেখানে চড়ে আমি দেখব মুসার ইলাহকে দেখা যায় কি না! ফেরাউনের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য তিনি নীরবে সয়ে গিয়েছিলেন। হাসি-তামাশাকে একটুও আমলে নেননি; বরং তিনি দাওয়াতের কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। আসন্ন আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। উদ্ধত ফেরাউন তাঁর কথা শোনেনি। আল্লাহ ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের ওপর আজাব দিয়েছিলেন। আল্লাহ মুমিনকে রক্ষা করেছিলেন। ফেরাউন ও তার সহযোগীরা নদীতে ডুবে মরেছিল।
মুকাতিল, সুদ্দি, হাসান বসরি প্রমুখ তাফসিরবিদেরা বলেন, ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউনের চাচাত ভাই ছিলেন। এক কিবতিকে হত্যার ঘটনায় যখন ফেরাউনের দরবারে মুসা (আ)-কে পাল্টা হত্যা করার শলা-পরামর্শ চলছিল, তখন তিনিই মুসাকে শহর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
মুফতি তকি উসমানি বলেন, কোরআনে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর নাম ছিল শামআন।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, সিদ্দিক কয়েকজন মাত্র। একজন সুরা ইয়াসিনে বর্ণিত হাবিব নাজ্জার, দ্বিতীয় ফেরাউন বংশীয় মুমিন ব্যক্তি এবং তৃতীয় আবু বকর (রা.)। তিনি সবার শ্রেষ্ঠ। (কুরতুবি)
বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া
আপনি সম্ভব সব গুনাহ করেছেন। প্রতিনিয়ত পাপের মধ্যে ডুবে আছেন। শেষ কবে মসজিদে গেছেন মনে করতে পারছেন না। সেই কবে আল্লাহর কাছে গোপনে অনুশোচনা জানিয়েছিলেন, তাও ভুলে গেছেন। ভাবছেন, এই জীবনে আর ক্ষমা পাবেন না। আল্লাহ আমার দিকে আর ফিরে তাকাবে না।
না, আপনার ধারণা ভুল। আপনি অগণিত পাপের বোঝা নিয়ে আল্লাহকে ডাকুন, আল্লাহ আপনার ডাকে সাড়া দেবেন। আপনার গুনাহ মাফ করবেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : ৬০)
সুরা হামিম সাজদার বিষয়বস্তু
সুরা হামিম সাজদা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৪। কোরআনের ৪১তম সুরা এটি। এ সুরার আরেক নাম ফুসসিলাত। এ সুরায় কোরআনের আলোচনা, আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের বিপরীতে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা, কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গই মানুষের পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষী দেওয়া, কিয়ামতের দিন কাফেরদের অবস্থা, মুমিনদের পুরস্কার, আল্লাহকে চেনার উপায়, ধৈর্য ও ন্যায়ানুগ ফয়সালার বিবরণ রয়েছে।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে তওবা, সামাজিক শিষ্টাচার, মুমিন ও কাফেরের শেষ পরিণতি, কিয়ামত, হেদায়াত, ইমানদারের জন্য ফেরেশতাদের দোয়া, জাহান্নামিদের অবস্থা, মুসা ও ফেরাউনের ঘটনা, আল্লাহর অনুগ্রহ, মানুষের অকৃজ্ঞতা, কোরআনের মাহাত্ম্য ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন, সুরা হামিম সাজদা ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু, নিরাশা, হক-বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল্যাণে চতুষ্পদ প্রাণীসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো।
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না
এই পৃথিবী, পৃথিবীর সব আয়োজন, বৈচিত্র্যের সমাহার, আল্লাহ তাআলা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণে। এর মধ্যে মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা, ঘাত-প্রতিঘাত, বিপদাপদ থাকবে। এসব নিয়ে মানুষের জীবন। এই পৃথিবীতে সব মানুষের মনে অল্প বেশি দুঃখ আছে। দুঃখকে একেবারে উপেক্ষা করে চলা মুশকিলই বটে। চাইলেও পারা যায় না। জীবন আছে বলে জীবনে দুঃখ-কষ্ট আছে।
আল্লাহ দুঃখ-কষ্ট কিংবা বিপদ দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তো জীবন-মৃত্যু দিয়েছেন মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য। তিনি নবী-রাসুলদেরও বিপদে ফেলেছেন। কষ্ট দিয়েছেন। পরীক্ষা করেছেন। তাঁরা ধৈর্য ধরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
দুঃখ-কষ্ট আর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের গুণ ও ইবাদত। কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমতের চাদর এত বিস্তৃত যে, নিরাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বান্দা যতই গুনাহ করুক না কেন, যতই পাপাচারে মোহগ্রস্ত থাকুক না কেন, আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি ক্ষমা করে কাছে টেনে নেবেন।
তাই কোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার : ৫৩)
এক মুমিন ব্যক্তির কাহিনী সুরা মুমিন
সুরা মুমিন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৮৫। কোরআনুল কারিমের ৪০ তম সুরা এটি। এ সুরায় একজন ব্যক্তির আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে গোমরাহির পথ ছেড়ে আল্লাহর পথে আসার জন্য সতর্ক করেছিলেন। কোরআনে আল্লাহ তাঁকে ‘মুমিন’ বলে উল্লেখ করেছেন। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম মুমিন। এর আরেক নাম গাফির।
ফেরাউনকে ইমানের দাওয়াত দিয়েছিলেন তিনি
সুরা মুমিনে ২৩ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াতে একজন মুমিন বান্দার আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে দীনের পথে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আল্লাহর আজাবের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউন ও তার সভাসদকে মুসা (আ.)-এর অনুসরণের দাওয়াত দিয়েছিলেন।
কিন্তু ফেরাউন তার কথা শুনল না; উপরুন্ত ঠাট্টা-বিদ্রুপ করল। সে তার উজির হামানকে বলল, একটা প্রাসাদ বানাও, সেখানে চড়ে আমি দেখব মুসার ইলাহকে দেখা যায় কি না! ফেরাউনের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য তিনি নীরবে সয়ে গিয়েছিলেন। হাসি-তামাশাকে একটুও আমলে নেননি; বরং তিনি দাওয়াতের কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। আসন্ন আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। উদ্ধত ফেরাউন তাঁর কথা শোনেনি। আল্লাহ ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের ওপর আজাব দিয়েছিলেন। আল্লাহ মুমিনকে রক্ষা করেছিলেন। ফেরাউন ও তার সহযোগীরা নদীতে ডুবে মরেছিল।
মুকাতিল, সুদ্দি, হাসান বসরি প্রমুখ তাফসিরবিদেরা বলেন, ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউনের চাচাত ভাই ছিলেন। এক কিবতিকে হত্যার ঘটনায় যখন ফেরাউনের দরবারে মুসা (আ)-কে পাল্টা হত্যা করার শলা-পরামর্শ চলছিল, তখন তিনিই মুসাকে শহর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
মুফতি তকি উসমানি বলেন, কোরআনে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর নাম ছিল শামআন।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, সিদ্দিক কয়েকজন মাত্র। একজন সুরা ইয়াসিনে বর্ণিত হাবিব নাজ্জার, দ্বিতীয় ফেরাউন বংশীয় মুমিন ব্যক্তি এবং তৃতীয় আবু বকর (রা.)। তিনি সবার শ্রেষ্ঠ। (কুরতুবি)
বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া
আপনি সম্ভব সব গুনাহ করেছেন। প্রতিনিয়ত পাপের মধ্যে ডুবে আছেন। শেষ কবে মসজিদে গেছেন মনে করতে পারছেন না। সেই কবে আল্লাহর কাছে গোপনে অনুশোচনা জানিয়েছিলেন, তাও ভুলে গেছেন। ভাবছেন, এই জীবনে আর ক্ষমা পাবেন না। আল্লাহ আমার দিকে আর ফিরে তাকাবে না।
না, আপনার ধারণা ভুল। আপনি অগণিত পাপের বোঝা নিয়ে আল্লাহকে ডাকুন, আল্লাহ আপনার ডাকে সাড়া দেবেন। আপনার গুনাহ মাফ করবেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : ৬০)
সুরা হামিম সাজদার বিষয়বস্তু
সুরা হামিম সাজদা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৪। কোরআনের ৪১তম সুরা এটি। এ সুরার আরেক নাম ফুসসিলাত। এ সুরায় কোরআনের আলোচনা, আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের বিপরীতে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা, কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গই মানুষের পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষী দেওয়া, কিয়ামতের দিন কাফেরদের অবস্থা, মুমিনদের পুরস্কার, আল্লাহকে চেনার উপায়, ধৈর্য ও ন্যায়ানুগ ফয়সালার বিবরণ রয়েছে।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে তওবা, সামাজিক শিষ্টাচার, মুমিন ও কাফেরের শেষ পরিণতি, কিয়ামত, হেদায়াত, ইমানদারের জন্য ফেরেশতাদের দোয়া, জাহান্নামিদের অবস্থা, মুসা ও ফেরাউনের ঘটনা, আল্লাহর অনুগ্রহ, মানুষের অকৃজ্ঞতা, কোরআনের মাহাত্ম্য ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন, সুরা হামিম সাজদা ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু, নিরাশা, হক-বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল্যাণে চতুষ্পদ প্রাণীসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো।
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না
এই পৃথিবী, পৃথিবীর সব আয়োজন, বৈচিত্র্যের সমাহার, আল্লাহ তাআলা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণে। এর মধ্যে মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা, ঘাত-প্রতিঘাত, বিপদাপদ থাকবে। এসব নিয়ে মানুষের জীবন। এই পৃথিবীতে সব মানুষের মনে অল্প বেশি দুঃখ আছে। দুঃখকে একেবারে উপেক্ষা করে চলা মুশকিলই বটে। চাইলেও পারা যায় না। জীবন আছে বলে জীবনে দুঃখ-কষ্ট আছে।
আল্লাহ দুঃখ-কষ্ট কিংবা বিপদ দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তো জীবন-মৃত্যু দিয়েছেন মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য। তিনি নবী-রাসুলদেরও বিপদে ফেলেছেন। কষ্ট দিয়েছেন। পরীক্ষা করেছেন। তাঁরা ধৈর্য ধরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
দুঃখ-কষ্ট আর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের গুণ ও ইবাদত। কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমতের চাদর এত বিস্তৃত যে, নিরাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বান্দা যতই গুনাহ করুক না কেন, যতই পাপাচারে মোহগ্রস্ত থাকুক না কেন, আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি ক্ষমা করে কাছে টেনে নেবেন।
তাই কোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার : ৫৩)
এক মুমিন ব্যক্তির কাহিনী সুরা মুমিন
সুরা মুমিন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৮৫। কোরআনুল কারিমের ৪০ তম সুরা এটি। এ সুরায় একজন ব্যক্তির আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে গোমরাহির পথ ছেড়ে আল্লাহর পথে আসার জন্য সতর্ক করেছিলেন। কোরআনে আল্লাহ তাঁকে ‘মুমিন’ বলে উল্লেখ করেছেন। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম মুমিন। এর আরেক নাম গাফির।
ফেরাউনকে ইমানের দাওয়াত দিয়েছিলেন তিনি
সুরা মুমিনে ২৩ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াতে একজন মুমিন বান্দার আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে দীনের পথে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আল্লাহর আজাবের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউন ও তার সভাসদকে মুসা (আ.)-এর অনুসরণের দাওয়াত দিয়েছিলেন।
কিন্তু ফেরাউন তার কথা শুনল না; উপরুন্ত ঠাট্টা-বিদ্রুপ করল। সে তার উজির হামানকে বলল, একটা প্রাসাদ বানাও, সেখানে চড়ে আমি দেখব মুসার ইলাহকে দেখা যায় কি না! ফেরাউনের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য তিনি নীরবে সয়ে গিয়েছিলেন। হাসি-তামাশাকে একটুও আমলে নেননি; বরং তিনি দাওয়াতের কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। আসন্ন আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। উদ্ধত ফেরাউন তাঁর কথা শোনেনি। আল্লাহ ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের ওপর আজাব দিয়েছিলেন। আল্লাহ মুমিনকে রক্ষা করেছিলেন। ফেরাউন ও তার সহযোগীরা নদীতে ডুবে মরেছিল।
মুকাতিল, সুদ্দি, হাসান বসরি প্রমুখ তাফসিরবিদেরা বলেন, ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউনের চাচাত ভাই ছিলেন। এক কিবতিকে হত্যার ঘটনায় যখন ফেরাউনের দরবারে মুসা (আ)-কে পাল্টা হত্যা করার শলা-পরামর্শ চলছিল, তখন তিনিই মুসাকে শহর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
মুফতি তকি উসমানি বলেন, কোরআনে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর নাম ছিল শামআন।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, সিদ্দিক কয়েকজন মাত্র। একজন সুরা ইয়াসিনে বর্ণিত হাবিব নাজ্জার, দ্বিতীয় ফেরাউন বংশীয় মুমিন ব্যক্তি এবং তৃতীয় আবু বকর (রা.)। তিনি সবার শ্রেষ্ঠ। (কুরতুবি)
বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া
আপনি সম্ভব সব গুনাহ করেছেন। প্রতিনিয়ত পাপের মধ্যে ডুবে আছেন। শেষ কবে মসজিদে গেছেন মনে করতে পারছেন না। সেই কবে আল্লাহর কাছে গোপনে অনুশোচনা জানিয়েছিলেন, তাও ভুলে গেছেন। ভাবছেন, এই জীবনে আর ক্ষমা পাবেন না। আল্লাহ আমার দিকে আর ফিরে তাকাবে না।
না, আপনার ধারণা ভুল। আপনি অগণিত পাপের বোঝা নিয়ে আল্লাহকে ডাকুন, আল্লাহ আপনার ডাকে সাড়া দেবেন। আপনার গুনাহ মাফ করবেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : ৬০)
সুরা হামিম সাজদার বিষয়বস্তু
সুরা হামিম সাজদা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৪। কোরআনের ৪১তম সুরা এটি। এ সুরার আরেক নাম ফুসসিলাত। এ সুরায় কোরআনের আলোচনা, আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের বিপরীতে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা, কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গই মানুষের পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষী দেওয়া, কিয়ামতের দিন কাফেরদের অবস্থা, মুমিনদের পুরস্কার, আল্লাহকে চেনার উপায়, ধৈর্য ও ন্যায়ানুগ ফয়সালার বিবরণ রয়েছে।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে তওবা, সামাজিক শিষ্টাচার, মুমিন ও কাফেরের শেষ পরিণতি, কিয়ামত, হেদায়াত, ইমানদারের জন্য ফেরেশতাদের দোয়া, জাহান্নামিদের অবস্থা, মুসা ও ফেরাউনের ঘটনা, আল্লাহর অনুগ্রহ, মানুষের অকৃজ্ঞতা, কোরআনের মাহাত্ম্য ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন, সুরা হামিম সাজদা ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু, নিরাশা, হক-বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল
১২ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন, সুরা হামিম সাজদা ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু, নিরাশা, হক-বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল
১২ এপ্রিল ২০২৩
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন, সুরা হামিম সাজদা ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু, নিরাশা, হক-বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল
১২ এপ্রিল ২০২৩
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন, সুরা হামিম সাজদা ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু, নিরাশা, হক-বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল
১২ এপ্রিল ২০২৩
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে