রায়হান রাশেদ
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন, সুরা হামিম সাজদা ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু, নিরাশা, হক-বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল্যাণে চতুষ্পদ প্রাণীসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো।
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না
এই পৃথিবী, পৃথিবীর সব আয়োজন, বৈচিত্র্যের সমাহার, আল্লাহ তাআলা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণে। এর মধ্যে মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা, ঘাত-প্রতিঘাত, বিপদাপদ থাকবে। এসব নিয়ে মানুষের জীবন। এই পৃথিবীতে সব মানুষের মনে অল্প বেশি দুঃখ আছে। দুঃখকে একেবারে উপেক্ষা করে চলা মুশকিলই বটে। চাইলেও পারা যায় না। জীবন আছে বলে জীবনে দুঃখ-কষ্ট আছে।
আল্লাহ দুঃখ-কষ্ট কিংবা বিপদ দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তো জীবন-মৃত্যু দিয়েছেন মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য। তিনি নবী-রাসুলদেরও বিপদে ফেলেছেন। কষ্ট দিয়েছেন। পরীক্ষা করেছেন। তাঁরা ধৈর্য ধরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
দুঃখ-কষ্ট আর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের গুণ ও ইবাদত। কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমতের চাদর এত বিস্তৃত যে, নিরাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বান্দা যতই গুনাহ করুক না কেন, যতই পাপাচারে মোহগ্রস্ত থাকুক না কেন, আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি ক্ষমা করে কাছে টেনে নেবেন।
তাই কোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার : ৫৩)
এক মুমিন ব্যক্তির কাহিনী সুরা মুমিন
সুরা মুমিন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৮৫। কোরআনুল কারিমের ৪০ তম সুরা এটি। এ সুরায় একজন ব্যক্তির আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে গোমরাহির পথ ছেড়ে আল্লাহর পথে আসার জন্য সতর্ক করেছিলেন। কোরআনে আল্লাহ তাঁকে ‘মুমিন’ বলে উল্লেখ করেছেন। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম মুমিন। এর আরেক নাম গাফির।
ফেরাউনকে ইমানের দাওয়াত দিয়েছিলেন তিনি
সুরা মুমিনে ২৩ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াতে একজন মুমিন বান্দার আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে দীনের পথে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আল্লাহর আজাবের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউন ও তার সভাসদকে মুসা (আ.)-এর অনুসরণের দাওয়াত দিয়েছিলেন।
কিন্তু ফেরাউন তার কথা শুনল না; উপরুন্ত ঠাট্টা-বিদ্রুপ করল। সে তার উজির হামানকে বলল, একটা প্রাসাদ বানাও, সেখানে চড়ে আমি দেখব মুসার ইলাহকে দেখা যায় কি না! ফেরাউনের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য তিনি নীরবে সয়ে গিয়েছিলেন। হাসি-তামাশাকে একটুও আমলে নেননি; বরং তিনি দাওয়াতের কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। আসন্ন আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। উদ্ধত ফেরাউন তাঁর কথা শোনেনি। আল্লাহ ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের ওপর আজাব দিয়েছিলেন। আল্লাহ মুমিনকে রক্ষা করেছিলেন। ফেরাউন ও তার সহযোগীরা নদীতে ডুবে মরেছিল।
মুকাতিল, সুদ্দি, হাসান বসরি প্রমুখ তাফসিরবিদেরা বলেন, ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউনের চাচাত ভাই ছিলেন। এক কিবতিকে হত্যার ঘটনায় যখন ফেরাউনের দরবারে মুসা (আ)-কে পাল্টা হত্যা করার শলা-পরামর্শ চলছিল, তখন তিনিই মুসাকে শহর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
মুফতি তকি উসমানি বলেন, কোরআনে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর নাম ছিল শামআন।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, সিদ্দিক কয়েকজন মাত্র। একজন সুরা ইয়াসিনে বর্ণিত হাবিব নাজ্জার, দ্বিতীয় ফেরাউন বংশীয় মুমিন ব্যক্তি এবং তৃতীয় আবু বকর (রা.)। তিনি সবার শ্রেষ্ঠ। (কুরতুবি)
বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া
আপনি সম্ভব সব গুনাহ করেছেন। প্রতিনিয়ত পাপের মধ্যে ডুবে আছেন। শেষ কবে মসজিদে গেছেন মনে করতে পারছেন না। সেই কবে আল্লাহর কাছে গোপনে অনুশোচনা জানিয়েছিলেন, তাও ভুলে গেছেন। ভাবছেন, এই জীবনে আর ক্ষমা পাবেন না। আল্লাহ আমার দিকে আর ফিরে তাকাবে না।
না, আপনার ধারণা ভুল। আপনি অগণিত পাপের বোঝা নিয়ে আল্লাহকে ডাকুন, আল্লাহ আপনার ডাকে সাড়া দেবেন। আপনার গুনাহ মাফ করবেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : ৬০)
সুরা হামিম সাজদার বিষয়বস্তু
সুরা হামিম সাজদা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৪। কোরআনের ৪১তম সুরা এটি। এ সুরার আরেক নাম ফুসসিলাত। এ সুরায় কোরআনের আলোচনা, আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের বিপরীতে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা, কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গই মানুষের পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষী দেওয়া, কিয়ামতের দিন কাফেরদের অবস্থা, মুমিনদের পুরস্কার, আল্লাহকে চেনার উপায়, ধৈর্য ও ন্যায়ানুগ ফয়সালার বিবরণ রয়েছে।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে তওবা, সামাজিক শিষ্টাচার, মুমিন ও কাফেরের শেষ পরিণতি, কিয়ামত, হেদায়াত, ইমানদারের জন্য ফেরেশতাদের দোয়া, জাহান্নামিদের অবস্থা, মুসা ও ফেরাউনের ঘটনা, আল্লাহর অনুগ্রহ, মানুষের অকৃজ্ঞতা, কোরআনের মাহাত্ম্য ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৪ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা জুমারের ৩২ থেকে সুরা মুমিন, সুরা হামিম সাজদা ১ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু, নিরাশা, হক-বাতিল, মুমিন ব্যক্তি কর্তৃক ফেরাউনকে সতর্ক, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহকে চেনার উপায়, কোরআন হেদায়াত ও শেফা, মানুষের কল্যাণে চতুষ্পদ প্রাণীসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো।
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না
এই পৃথিবী, পৃথিবীর সব আয়োজন, বৈচিত্র্যের সমাহার, আল্লাহ তাআলা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণে। এর মধ্যে মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা, ঘাত-প্রতিঘাত, বিপদাপদ থাকবে। এসব নিয়ে মানুষের জীবন। এই পৃথিবীতে সব মানুষের মনে অল্প বেশি দুঃখ আছে। দুঃখকে একেবারে উপেক্ষা করে চলা মুশকিলই বটে। চাইলেও পারা যায় না। জীবন আছে বলে জীবনে দুঃখ-কষ্ট আছে।
আল্লাহ দুঃখ-কষ্ট কিংবা বিপদ দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তো জীবন-মৃত্যু দিয়েছেন মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য। তিনি নবী-রাসুলদেরও বিপদে ফেলেছেন। কষ্ট দিয়েছেন। পরীক্ষা করেছেন। তাঁরা ধৈর্য ধরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
দুঃখ-কষ্ট আর বিপদে ধৈর্য ধারণ করা মুমিনের গুণ ও ইবাদত। কখনোই হতাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহর রহমতের চাদর এত বিস্তৃত যে, নিরাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বান্দা যতই গুনাহ করুক না কেন, যতই পাপাচারে মোহগ্রস্ত থাকুক না কেন, আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি ক্ষমা করে কাছে টেনে নেবেন।
তাই কোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। আল্লাহ নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার : ৫৩)
এক মুমিন ব্যক্তির কাহিনী সুরা মুমিন
সুরা মুমিন মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৮৫। কোরআনুল কারিমের ৪০ তম সুরা এটি। এ সুরায় একজন ব্যক্তির আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে গোমরাহির পথ ছেড়ে আল্লাহর পথে আসার জন্য সতর্ক করেছিলেন। কোরআনে আল্লাহ তাঁকে ‘মুমিন’ বলে উল্লেখ করেছেন। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম মুমিন। এর আরেক নাম গাফির।
ফেরাউনকে ইমানের দাওয়াত দিয়েছিলেন তিনি
সুরা মুমিনে ২৩ থেকে ৪৬ নম্বর আয়াতে একজন মুমিন বান্দার আলোচনা রয়েছে, যিনি ফেরাউনকে দীনের পথে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আল্লাহর আজাবের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউন ও তার সভাসদকে মুসা (আ.)-এর অনুসরণের দাওয়াত দিয়েছিলেন।
কিন্তু ফেরাউন তার কথা শুনল না; উপরুন্ত ঠাট্টা-বিদ্রুপ করল। সে তার উজির হামানকে বলল, একটা প্রাসাদ বানাও, সেখানে চড়ে আমি দেখব মুসার ইলাহকে দেখা যায় কি না! ফেরাউনের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য তিনি নীরবে সয়ে গিয়েছিলেন। হাসি-তামাশাকে একটুও আমলে নেননি; বরং তিনি দাওয়াতের কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। আসন্ন আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। উদ্ধত ফেরাউন তাঁর কথা শোনেনি। আল্লাহ ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের ওপর আজাব দিয়েছিলেন। আল্লাহ মুমিনকে রক্ষা করেছিলেন। ফেরাউন ও তার সহযোগীরা নদীতে ডুবে মরেছিল।
মুকাতিল, সুদ্দি, হাসান বসরি প্রমুখ তাফসিরবিদেরা বলেন, ওই মুমিন ব্যক্তি ফেরাউনের চাচাত ভাই ছিলেন। এক কিবতিকে হত্যার ঘটনায় যখন ফেরাউনের দরবারে মুসা (আ)-কে পাল্টা হত্যা করার শলা-পরামর্শ চলছিল, তখন তিনিই মুসাকে শহর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
মুফতি তকি উসমানি বলেন, কোরআনে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাঁর নাম ছিল শামআন।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, সিদ্দিক কয়েকজন মাত্র। একজন সুরা ইয়াসিনে বর্ণিত হাবিব নাজ্জার, দ্বিতীয় ফেরাউন বংশীয় মুমিন ব্যক্তি এবং তৃতীয় আবু বকর (রা.)। তিনি সবার শ্রেষ্ঠ। (কুরতুবি)
বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া
আপনি সম্ভব সব গুনাহ করেছেন। প্রতিনিয়ত পাপের মধ্যে ডুবে আছেন। শেষ কবে মসজিদে গেছেন মনে করতে পারছেন না। সেই কবে আল্লাহর কাছে গোপনে অনুশোচনা জানিয়েছিলেন, তাও ভুলে গেছেন। ভাবছেন, এই জীবনে আর ক্ষমা পাবেন না। আল্লাহ আমার দিকে আর ফিরে তাকাবে না।
না, আপনার ধারণা ভুল। আপনি অগণিত পাপের বোঝা নিয়ে আল্লাহকে ডাকুন, আল্লাহ আপনার ডাকে সাড়া দেবেন। আপনার গুনাহ মাফ করবেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : ৬০)
সুরা হামিম সাজদার বিষয়বস্তু
সুরা হামিম সাজদা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫৪। কোরআনের ৪১তম সুরা এটি। এ সুরার আরেক নাম ফুসসিলাত। এ সুরায় কোরআনের আলোচনা, আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের বিপরীতে মানুষের অকৃতজ্ঞতা, আদ ও সামুদ জাতির ঘটনা, কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গই মানুষের পক্ষে-বিপক্ষে সাক্ষী দেওয়া, কিয়ামতের দিন কাফেরদের অবস্থা, মুমিনদের পুরস্কার, আল্লাহকে চেনার উপায়, ধৈর্য ও ন্যায়ানুগ ফয়সালার বিবরণ রয়েছে।
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে তওবা, সামাজিক শিষ্টাচার, মুমিন ও কাফেরের শেষ পরিণতি, কিয়ামত, হেদায়াত, ইমানদারের জন্য ফেরেশতাদের দোয়া, জাহান্নামিদের অবস্থা, মুসা ও ফেরাউনের ঘটনা, আল্লাহর অনুগ্রহ, মানুষের অকৃজ্ঞতা, কোরআনের মাহাত্ম্য ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
বিয়ের বর-কনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, বিয়েতে কারও পছন্দের ব্যাপারে মানুষ চারটি বিষয় দেখে। যথা—সম্পদ, আভিজাত্য, সৌন্দর্য এবং খোদাভীতি। এর মধ্যে ভাগ্যবান এবং শ্রেষ্ঠ সে, যে একজন ধার্মিক মেয়েকে বিয়ে করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষকে আরও সতর্ক করে দেন...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
১ দিন আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
১ দিন আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
১ দিন আগে