নাঈমুল হাসান তানযীম
বাংলাদেশের নানা প্রান্তে এখনো অনেক প্রাচীন স্থাপনা সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে—সেসবের মধ্যে মসজিদের সংখ্যাই বেশি। দুর্ভাগ্য এবং হতাশার কথা হলো, সেসব মসজিদের ইতিহাস আমরা অধিকাংশই জানি না। জানার মতো তেমন আর্কাইভ কিংবা তথ্যসমৃদ্ধ পুস্তকাদিও দুর্লভ।
কিছু কিছু মসজিদ আছে যেগুলো নিয়ে স্বল্প বিস্তর গবেষণা, আলাপ-আলোচনা হলেও অধিকাংশ মসজিদ নিয়েই তেমন গবেষণা কিংবা অনুসন্ধান হয় না। অথচ বাংলাদেশের গ্রামবাংলায়, অনেক জায়গায় এখনো কত প্রাচীন মসজিদ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে! শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদ তেমনই এক প্রাচীন মসজিদ।
শংকরপাশা মসজিদের অবস্থান
ভ্রমণপ্রিয় মানুষের প্রিয় জেলা হবিগঞ্জের বুকে অবস্থিত পাঁচ শ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদ। স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম নিদর্শন কালের সাক্ষী এ মসজিদটি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল ও রাজিউড়া গ্রামের মধ্যবর্তী শংকরপাশা গ্রামে প্রায় ছয় একর জমি জুড়ে বিস্তৃত। সুলতানি আমলের স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম নিদর্শন এটি।
টিলার ওপর নির্মিত বলে অনেক দূর থেকে সহজেই দর্শনার্থীদের নজরে পড়ে এবং মসজিদের চমৎকার নির্মাণশৈলী সহজেই দৃষ্টি কাড়ে। উন্নত মানের পোড়া ইট কেটে ইমারতে সেঁটে দেওয়া। গায়ে কোনো প্রলেপ নেই। দেয়ালের বাইরের অংশে পোড়া ইটের ওপর বিভিন্ন নকশা। মসজিদের সঙ্গেই রয়েছে একটি শিলালিপি—যা প্রাচীনকালের সাক্ষ্য বহন করে।
শংকরপাশা মসজিদের বিভিন্ন নাম
শংকরপাশা মসজিদটি লাল রঙের বলে অনেকে এটিকে লাল মসজিদও বলে থাকেন। আবার টিলার ওপর বলে কেউ কেউ বলেন টিলা মসজিদ। দুটি মিলিয়ে লাল টিলা মসজিদও বলা হয়। তবে যে নামেই ডাকা হোক—সবাই খুব সহজেই মসজিদটি চিনতে পারেন। তবে স্থানীয়রা এই মসজিদকে ডাকেন গায়েবি মসজিদ বলে।
শংকরপাশা মসজিদের নকশা
শংকরপাশা মসজিদের নকশা ও ইটের বৈচিত্র্যময় গাঁথুনি দৃষ্টি কাড়ে সবার। মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট। সুলতানি আমলের বর্গাকার এ মসজিদের দেয়ালের দৈর্ঘ্য ২১ ফুট ৫ ইঞ্চি। এর সামনে পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি প্রশস্ত বারান্দা।
মসজিদের চারটি কোণে রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ। উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দেয়ালেও একই রকম বুরুজ রয়েছে। মসজিদের পূর্বদিকের সদরে রয়েছে খাঁজ আর খিলানশোভিত তিনটি প্রবেশপথ। মধ্যবর্তী প্রবেশপথটি অন্য দুটি প্রবেশপথ থেকে প্রশস্ত ও উঁচু। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে আছে বারান্দা।
শংকরপাশা মসজিদের নির্মাণ ইতিহাস
উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫১৩ সালে নির্মাণকাজ সমাপ্ত হওয়া এই মসজিদটি নির্মাণ করেন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মজলিশ আমিন। মসজিদের পাশেই আছে তার মাজার। কালের বিবর্তনে এক সময় মসজিদ সংলগ্ন এলাকা বিরান ভূমিতে পরিণত হয়ে জঙ্গলবেষ্টিত হয়ে পড়লেও পরবর্তীকালে এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠলে জঙ্গলে আবাদ করতে গিয়ে বের হয়ে আসে মসজিদটি। অনেক দিন অজানা থাকার পর হঠাৎ আবিষ্কার হওয়াতেই স্থানীয়রা এই মসজিদকে ডেকে থাকে গায়েবি মসজিদ।
বাংলাদেশের নানা প্রান্তে এখনো অনেক প্রাচীন স্থাপনা সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে—সেসবের মধ্যে মসজিদের সংখ্যাই বেশি। দুর্ভাগ্য এবং হতাশার কথা হলো, সেসব মসজিদের ইতিহাস আমরা অধিকাংশই জানি না। জানার মতো তেমন আর্কাইভ কিংবা তথ্যসমৃদ্ধ পুস্তকাদিও দুর্লভ।
কিছু কিছু মসজিদ আছে যেগুলো নিয়ে স্বল্প বিস্তর গবেষণা, আলাপ-আলোচনা হলেও অধিকাংশ মসজিদ নিয়েই তেমন গবেষণা কিংবা অনুসন্ধান হয় না। অথচ বাংলাদেশের গ্রামবাংলায়, অনেক জায়গায় এখনো কত প্রাচীন মসজিদ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে! শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদ তেমনই এক প্রাচীন মসজিদ।
শংকরপাশা মসজিদের অবস্থান
ভ্রমণপ্রিয় মানুষের প্রিয় জেলা হবিগঞ্জের বুকে অবস্থিত পাঁচ শ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদ। স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম নিদর্শন কালের সাক্ষী এ মসজিদটি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল ও রাজিউড়া গ্রামের মধ্যবর্তী শংকরপাশা গ্রামে প্রায় ছয় একর জমি জুড়ে বিস্তৃত। সুলতানি আমলের স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম নিদর্শন এটি।
টিলার ওপর নির্মিত বলে অনেক দূর থেকে সহজেই দর্শনার্থীদের নজরে পড়ে এবং মসজিদের চমৎকার নির্মাণশৈলী সহজেই দৃষ্টি কাড়ে। উন্নত মানের পোড়া ইট কেটে ইমারতে সেঁটে দেওয়া। গায়ে কোনো প্রলেপ নেই। দেয়ালের বাইরের অংশে পোড়া ইটের ওপর বিভিন্ন নকশা। মসজিদের সঙ্গেই রয়েছে একটি শিলালিপি—যা প্রাচীনকালের সাক্ষ্য বহন করে।
শংকরপাশা মসজিদের বিভিন্ন নাম
শংকরপাশা মসজিদটি লাল রঙের বলে অনেকে এটিকে লাল মসজিদও বলে থাকেন। আবার টিলার ওপর বলে কেউ কেউ বলেন টিলা মসজিদ। দুটি মিলিয়ে লাল টিলা মসজিদও বলা হয়। তবে যে নামেই ডাকা হোক—সবাই খুব সহজেই মসজিদটি চিনতে পারেন। তবে স্থানীয়রা এই মসজিদকে ডাকেন গায়েবি মসজিদ বলে।
শংকরপাশা মসজিদের নকশা
শংকরপাশা মসজিদের নকশা ও ইটের বৈচিত্র্যময় গাঁথুনি দৃষ্টি কাড়ে সবার। মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট। সুলতানি আমলের বর্গাকার এ মসজিদের দেয়ালের দৈর্ঘ্য ২১ ফুট ৫ ইঞ্চি। এর সামনে পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি প্রশস্ত বারান্দা।
মসজিদের চারটি কোণে রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ। উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দেয়ালেও একই রকম বুরুজ রয়েছে। মসজিদের পূর্বদিকের সদরে রয়েছে খাঁজ আর খিলানশোভিত তিনটি প্রবেশপথ। মধ্যবর্তী প্রবেশপথটি অন্য দুটি প্রবেশপথ থেকে প্রশস্ত ও উঁচু। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে আছে বারান্দা।
শংকরপাশা মসজিদের নির্মাণ ইতিহাস
উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫১৩ সালে নির্মাণকাজ সমাপ্ত হওয়া এই মসজিদটি নির্মাণ করেন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মজলিশ আমিন। মসজিদের পাশেই আছে তার মাজার। কালের বিবর্তনে এক সময় মসজিদ সংলগ্ন এলাকা বিরান ভূমিতে পরিণত হয়ে জঙ্গলবেষ্টিত হয়ে পড়লেও পরবর্তীকালে এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠলে জঙ্গলে আবাদ করতে গিয়ে বের হয়ে আসে মসজিদটি। অনেক দিন অজানা থাকার পর হঠাৎ আবিষ্কার হওয়াতেই স্থানীয়রা এই মসজিদকে ডেকে থাকে গায়েবি মসজিদ।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
২ দিন আগে