সাব্বির আহমদ

আজ ২০ জুন। প্রতিবছর এ দিনে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসংখ্য মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের অধিকার রক্ষা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি অত্যন্ত প্রয়োজন।
শরণার্থী কারা, শরণার্থী দিবস কী
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত, নির্যাতন বা সহিংসতার কারণে যিনি নিজ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাঁকেই বলা হয় শরণার্থী। রাজনৈতিক, জাতীয়তা, ধর্ম, বর্ণ বা মতাদর্শ অথবা বিশেষ কোনো সামাজিক সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে কখনো নিগৃহীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে শরণার্থীদের। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংগঠনে ১৯৫১ সালে শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় ‘আন্তর্জাতিক শরণার্থী সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়। আর ২০০১ সাল থেকে এই সংগঠনের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অনুমোদিত হয়—২০ জুন আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস পালন করা হবে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা এখন ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
ইসলামে শরণার্থীদের অধিকার
ইসলামে শরণার্থী অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে সম্মান ও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রতি দয়া ও সহানুভূতির আদেশ দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, বাসস্থান ও তাঁদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইসলামে কেউ অসহায় ও বিপদগ্রস্ত হলে তাঁকে সাহায্য করা মহান কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। শরণার্থীদের প্রতি অবিচার বা অন্যায় আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম সবার অধিকার সমান। নিপীড়িত মানুষ যে ধর্মেরই হোক, তাঁর অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি ইসলাম সমান গুরুত্ব দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি মুশরিকদের কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও—যেন সে আল্লাহর বাণী শোনার সুযোগ পায়। এরপর তাকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দাও।’ (সুরা তওবা: ৬)।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সওয়াব
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে, আল্লাহর পথে লড়াই করেছে, আর যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে—তারাই প্রকৃত মুমিন, তাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক রয়েছে।’ (সুরা আনফাল: ৭৪)
মক্কায় কাফেরদের অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নবীজি (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন আনসার সাহাবিরা। আল্লাহ তাঁদের আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে পুরস্কার হিসেবে জান্নাতের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে যারা প্রথম সারির অগ্রণী, আর যারা তাদের যাবতীয় সৎকর্ম অনুসরণ করেছে—আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত ঝরনাধারা। তারা সেখানে অনন্তকাল বসবাস করবে। আর এটাই মহা সফলতা।’ (সুরা তওবা: ১০০)

আজ ২০ জুন। প্রতিবছর এ দিনে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসংখ্য মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের অধিকার রক্ষা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি অত্যন্ত প্রয়োজন।
শরণার্থী কারা, শরণার্থী দিবস কী
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত, নির্যাতন বা সহিংসতার কারণে যিনি নিজ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাঁকেই বলা হয় শরণার্থী। রাজনৈতিক, জাতীয়তা, ধর্ম, বর্ণ বা মতাদর্শ অথবা বিশেষ কোনো সামাজিক সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে কখনো নিগৃহীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে শরণার্থীদের। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংগঠনে ১৯৫১ সালে শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় ‘আন্তর্জাতিক শরণার্থী সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়। আর ২০০১ সাল থেকে এই সংগঠনের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অনুমোদিত হয়—২০ জুন আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস পালন করা হবে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা এখন ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
ইসলামে শরণার্থীদের অধিকার
ইসলামে শরণার্থী অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে সম্মান ও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রতি দয়া ও সহানুভূতির আদেশ দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, বাসস্থান ও তাঁদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইসলামে কেউ অসহায় ও বিপদগ্রস্ত হলে তাঁকে সাহায্য করা মহান কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। শরণার্থীদের প্রতি অবিচার বা অন্যায় আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম সবার অধিকার সমান। নিপীড়িত মানুষ যে ধর্মেরই হোক, তাঁর অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি ইসলাম সমান গুরুত্ব দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি মুশরিকদের কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও—যেন সে আল্লাহর বাণী শোনার সুযোগ পায়। এরপর তাকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দাও।’ (সুরা তওবা: ৬)।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সওয়াব
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে, আল্লাহর পথে লড়াই করেছে, আর যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে—তারাই প্রকৃত মুমিন, তাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক রয়েছে।’ (সুরা আনফাল: ৭৪)
মক্কায় কাফেরদের অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নবীজি (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন আনসার সাহাবিরা। আল্লাহ তাঁদের আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে পুরস্কার হিসেবে জান্নাতের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে যারা প্রথম সারির অগ্রণী, আর যারা তাদের যাবতীয় সৎকর্ম অনুসরণ করেছে—আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত ঝরনাধারা। তারা সেখানে অনন্তকাল বসবাস করবে। আর এটাই মহা সফলতা।’ (সুরা তওবা: ১০০)
সাব্বির আহমদ

আজ ২০ জুন। প্রতিবছর এ দিনে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসংখ্য মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের অধিকার রক্ষা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি অত্যন্ত প্রয়োজন।
শরণার্থী কারা, শরণার্থী দিবস কী
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত, নির্যাতন বা সহিংসতার কারণে যিনি নিজ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাঁকেই বলা হয় শরণার্থী। রাজনৈতিক, জাতীয়তা, ধর্ম, বর্ণ বা মতাদর্শ অথবা বিশেষ কোনো সামাজিক সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে কখনো নিগৃহীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে শরণার্থীদের। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংগঠনে ১৯৫১ সালে শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় ‘আন্তর্জাতিক শরণার্থী সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়। আর ২০০১ সাল থেকে এই সংগঠনের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অনুমোদিত হয়—২০ জুন আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস পালন করা হবে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা এখন ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
ইসলামে শরণার্থীদের অধিকার
ইসলামে শরণার্থী অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে সম্মান ও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রতি দয়া ও সহানুভূতির আদেশ দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, বাসস্থান ও তাঁদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইসলামে কেউ অসহায় ও বিপদগ্রস্ত হলে তাঁকে সাহায্য করা মহান কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। শরণার্থীদের প্রতি অবিচার বা অন্যায় আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম সবার অধিকার সমান। নিপীড়িত মানুষ যে ধর্মেরই হোক, তাঁর অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি ইসলাম সমান গুরুত্ব দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি মুশরিকদের কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও—যেন সে আল্লাহর বাণী শোনার সুযোগ পায়। এরপর তাকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দাও।’ (সুরা তওবা: ৬)।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সওয়াব
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে, আল্লাহর পথে লড়াই করেছে, আর যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে—তারাই প্রকৃত মুমিন, তাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক রয়েছে।’ (সুরা আনফাল: ৭৪)
মক্কায় কাফেরদের অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নবীজি (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন আনসার সাহাবিরা। আল্লাহ তাঁদের আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে পুরস্কার হিসেবে জান্নাতের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে যারা প্রথম সারির অগ্রণী, আর যারা তাদের যাবতীয় সৎকর্ম অনুসরণ করেছে—আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত ঝরনাধারা। তারা সেখানে অনন্তকাল বসবাস করবে। আর এটাই মহা সফলতা।’ (সুরা তওবা: ১০০)

আজ ২০ জুন। প্রতিবছর এ দিনে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসংখ্য মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের অধিকার রক্ষা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি অত্যন্ত প্রয়োজন।
শরণার্থী কারা, শরণার্থী দিবস কী
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত, নির্যাতন বা সহিংসতার কারণে যিনি নিজ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাঁকেই বলা হয় শরণার্থী। রাজনৈতিক, জাতীয়তা, ধর্ম, বর্ণ বা মতাদর্শ অথবা বিশেষ কোনো সামাজিক সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে কখনো নিগৃহীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে শরণার্থীদের। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংগঠনে ১৯৫১ সালে শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় ‘আন্তর্জাতিক শরণার্থী সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়। আর ২০০১ সাল থেকে এই সংগঠনের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অনুমোদিত হয়—২০ জুন আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস পালন করা হবে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা এখন ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
ইসলামে শরণার্থীদের অধিকার
ইসলামে শরণার্থী অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে সম্মান ও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রতি দয়া ও সহানুভূতির আদেশ দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, বাসস্থান ও তাঁদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইসলামে কেউ অসহায় ও বিপদগ্রস্ত হলে তাঁকে সাহায্য করা মহান কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। শরণার্থীদের প্রতি অবিচার বা অন্যায় আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম সবার অধিকার সমান। নিপীড়িত মানুষ যে ধর্মেরই হোক, তাঁর অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি ইসলাম সমান গুরুত্ব দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি মুশরিকদের কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও—যেন সে আল্লাহর বাণী শোনার সুযোগ পায়। এরপর তাকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দাও।’ (সুরা তওবা: ৬)।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সওয়াব
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে, আল্লাহর পথে লড়াই করেছে, আর যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে—তারাই প্রকৃত মুমিন, তাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক রয়েছে।’ (সুরা আনফাল: ৭৪)
মক্কায় কাফেরদের অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নবীজি (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন আনসার সাহাবিরা। আল্লাহ তাঁদের আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে পুরস্কার হিসেবে জান্নাতের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে যারা প্রথম সারির অগ্রণী, আর যারা তাদের যাবতীয় সৎকর্ম অনুসরণ করেছে—আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত ঝরনাধারা। তারা সেখানে অনন্তকাল বসবাস করবে। আর এটাই মহা সফলতা।’ (সুরা তওবা: ১০০)

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে ভালোভাবে জীবনযাপন করার জন্য, উন্নতির জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা অপরিহার্য। আর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পর তা বজায় রাখার জন্য আপস-নিষ্পত্তির মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা, বিচিত্র স্বভাবের মানুষ নিয়েই হয় সমাজ। সব মানুষ এক মেজাজের নয়। তুচ্ছ ও নগণ্য বিষয়েও অনেক সময় পরস্পরে মনোমালিন্য হয়, কথা-কাটাকাটি হয়। একসঙ্গে চলতে গেলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি এভাবেই ছেড়ে দিলে একপর্যায়ে তা ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। তাই এই বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের নিয়ে সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে আপস-নিষ্পত্তির অনন্য গুণ।
ইসলামপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন প্রিয় নবী (সা.) চাদরে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে নিয়ে নিজ হাতে তা প্রতিস্থাপন করেন এবং এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করেন।
আপস-নিষ্পত্তি দ্বারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বিবাদ দূর হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আপস-নিষ্পত্তিকে নামাজ, রোজা এবং জাকাত থেকেও উত্তম আমল বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৩৯)
স্বাভাবিক কথায় মীমাংসা করা সম্ভব না হলে, আগে বেড়ে কথা হেরফের করারও অনুমতি আছে। তা মিথ্যা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এমন করে হাদিসে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত না করে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি: ২৫১৩)

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে ভালোভাবে জীবনযাপন করার জন্য, উন্নতির জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা অপরিহার্য। আর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পর তা বজায় রাখার জন্য আপস-নিষ্পত্তির মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা, বিচিত্র স্বভাবের মানুষ নিয়েই হয় সমাজ। সব মানুষ এক মেজাজের নয়। তুচ্ছ ও নগণ্য বিষয়েও অনেক সময় পরস্পরে মনোমালিন্য হয়, কথা-কাটাকাটি হয়। একসঙ্গে চলতে গেলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি এভাবেই ছেড়ে দিলে একপর্যায়ে তা ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। তাই এই বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের নিয়ে সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে আপস-নিষ্পত্তির অনন্য গুণ।
ইসলামপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন প্রিয় নবী (সা.) চাদরে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে নিয়ে নিজ হাতে তা প্রতিস্থাপন করেন এবং এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করেন।
আপস-নিষ্পত্তি দ্বারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বিবাদ দূর হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আপস-নিষ্পত্তিকে নামাজ, রোজা এবং জাকাত থেকেও উত্তম আমল বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৩৯)
স্বাভাবিক কথায় মীমাংসা করা সম্ভব না হলে, আগে বেড়ে কথা হেরফের করারও অনুমতি আছে। তা মিথ্যা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এমন করে হাদিসে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত না করে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি: ২৫১৩)

আজ ২০ জুন। প্রতিবছর এ দিনে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসংখ্য মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় নেন।
২০ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ ২০ জুন। প্রতিবছর এ দিনে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসংখ্য মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় নেন।
২০ জুন ২০২৫
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
১০ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

আজ ২০ জুন। প্রতিবছর এ দিনে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসংখ্য মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় নেন।
২০ জুন ২০২৫
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

আজ ২০ জুন। প্রতিবছর এ দিনে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসংখ্য মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় নেন।
২০ জুন ২০২৫
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে