সাব্বির আহমদ
আজ ২০ জুন। প্রতিবছর এ দিনে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসংখ্য মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের অধিকার রক্ষা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি অত্যন্ত প্রয়োজন।
শরণার্থী কারা, শরণার্থী দিবস কী
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত, নির্যাতন বা সহিংসতার কারণে যিনি নিজ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাঁকেই বলা হয় শরণার্থী। রাজনৈতিক, জাতীয়তা, ধর্ম, বর্ণ বা মতাদর্শ অথবা বিশেষ কোনো সামাজিক সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে কখনো নিগৃহীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে শরণার্থীদের। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংগঠনে ১৯৫১ সালে শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় ‘আন্তর্জাতিক শরণার্থী সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়। আর ২০০১ সাল থেকে এই সংগঠনের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অনুমোদিত হয়—২০ জুন আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস পালন করা হবে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা এখন ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
ইসলামে শরণার্থীদের অধিকার
ইসলামে শরণার্থী অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে সম্মান ও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রতি দয়া ও সহানুভূতির আদেশ দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, বাসস্থান ও তাঁদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইসলামে কেউ অসহায় ও বিপদগ্রস্ত হলে তাঁকে সাহায্য করা মহান কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। শরণার্থীদের প্রতি অবিচার বা অন্যায় আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম সবার অধিকার সমান। নিপীড়িত মানুষ যে ধর্মেরই হোক, তাঁর অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি ইসলাম সমান গুরুত্ব দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি মুশরিকদের কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও—যেন সে আল্লাহর বাণী শোনার সুযোগ পায়। এরপর তাকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দাও।’ (সুরা তওবা: ৬)।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সওয়াব
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে, আল্লাহর পথে লড়াই করেছে, আর যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে—তারাই প্রকৃত মুমিন, তাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক রয়েছে।’ (সুরা আনফাল: ৭৪)
মক্কায় কাফেরদের অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নবীজি (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন আনসার সাহাবিরা। আল্লাহ তাঁদের আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে পুরস্কার হিসেবে জান্নাতের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে যারা প্রথম সারির অগ্রণী, আর যারা তাদের যাবতীয় সৎকর্ম অনুসরণ করেছে—আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত ঝরনাধারা। তারা সেখানে অনন্তকাল বসবাস করবে। আর এটাই মহা সফলতা।’ (সুরা তওবা: ১০০)
আজ ২০ জুন। প্রতিবছর এ দিনে বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতি, সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত। যুদ্ধ, সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসংখ্য মানুষ নিজ বাসভূমি ছেড়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য অন্য দেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের অধিকার রক্ষা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি অত্যন্ত প্রয়োজন।
শরণার্থী কারা, শরণার্থী দিবস কী
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত, নির্যাতন বা সহিংসতার কারণে যিনি নিজ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তাঁকেই বলা হয় শরণার্থী। রাজনৈতিক, জাতীয়তা, ধর্ম, বর্ণ বা মতাদর্শ অথবা বিশেষ কোনো সামাজিক সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে কখনো নিগৃহীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে শরণার্থীদের। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংগঠনে ১৯৫১ সালে শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় ‘আন্তর্জাতিক শরণার্থী সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়। আর ২০০১ সাল থেকে এই সংগঠনের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অনুমোদিত হয়—২০ জুন আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস পালন করা হবে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা এখন ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
ইসলামে শরণার্থীদের অধিকার
ইসলামে শরণার্থী অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে সম্মান ও সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রতি দয়া ও সহানুভূতির আদেশ দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, বাসস্থান ও তাঁদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইসলামে কেউ অসহায় ও বিপদগ্রস্ত হলে তাঁকে সাহায্য করা মহান কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। শরণার্থীদের প্রতি অবিচার বা অন্যায় আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম সবার অধিকার সমান। নিপীড়িত মানুষ যে ধর্মেরই হোক, তাঁর অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি ইসলাম সমান গুরুত্ব দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যদি মুশরিকদের কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও—যেন সে আল্লাহর বাণী শোনার সুযোগ পায়। এরপর তাকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দাও।’ (সুরা তওবা: ৬)।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সওয়াব
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া, তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে, আল্লাহর পথে লড়াই করেছে, আর যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে—তারাই প্রকৃত মুমিন, তাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক রয়েছে।’ (সুরা আনফাল: ৭৪)
মক্কায় কাফেরদের অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নবীজি (সা.) ও তাঁর সাহাবিরা মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন আনসার সাহাবিরা। আল্লাহ তাঁদের আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে পুরস্কার হিসেবে জান্নাতের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আনসার ও মুহাজিরদের মধ্যে যারা প্রথম সারির অগ্রণী, আর যারা তাদের যাবতীয় সৎকর্ম অনুসরণ করেছে—আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত ঝরনাধারা। তারা সেখানে অনন্তকাল বসবাস করবে। আর এটাই মহা সফলতা।’ (সুরা তওবা: ১০০)
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগেইসলামি শরিয়তে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, নৈতিক উন্নয়ন, পারলৌকিক ও পার্থিব কল্যাণ, উত্তম গুণাবলি, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ নৈতিকতা গড়ে তোলার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ...
১২ ঘণ্টা আগেরাগ মানুষের একটি মন্দ স্বভাব—যা মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। অতিরিক্ত রাগ মানুষের বিবেক বোধকে নষ্ট করে দেয়, স্মৃতিশক্তি লোপ করে এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। তাই ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেদুটি জিনিসের কারণে মানুষ আল্লাহবিমুখ হয়। ভুলে যায় তার স্রষ্টাকে এবং তাঁর দেওয়া দৈনন্দিন পালনীয় আদেশ-নিষেধ। এক. ধনসম্পদের আধিক্য ও প্রাচুর্য। দুই. নিজ সন্তান। মূলত এ দুটি জিনিসই মানুষের জন্য পরীক্ষার বস্তু। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি তো পরীক্ষার বস্তু।
১ দিন আগে