আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি হাসান আরিফ
প্রশ্ন: কোরবানির গরুর সঙ্গে খাসি, মোবাইল সেট, ফ্রিজ ইত্যাদি ফ্রি দিতে দেখা যায়। কোরবানির পশুর সঙ্গে ফ্রিতে পাওয়া এসব জিনিস সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা কী?
আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা
উত্তর: মুসলমানদের অন্যতম উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার গুরুত্বপূর্ণ আমল কোরবানি। ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে সেই ব্যক্তির ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব বা আবশ্যক। নিসাবের পরিমাণ হলো সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা এর সমতুল্য সম্পদ।
যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়
ইসলামে নির্দিষ্ট কিছু পশু দিয়ে কোরবানি করার কথা বলা হয়েছে। যেমন, গৃহপালিত গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে কোরবানি করা যায়। এ ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কমপক্ষে এক বছর; গরু, মহিষ দুই বছর এবং উট কমপক্ষে পাঁচ বছর বয়সী হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি এমন হৃষ্টপুষ্ট হয়—ছয় মাসেরটি দেখতে এক বছরের মতো লাগে, তাহলে সেটি দিয়ে কোরবানি হবে।
গরুর সঙ্গে খাসি ফ্রি
কোরবানি করতে হলে নিজে পশু পেলে তাকে কোরবানির উপযুক্ত করতে হবে বা উপযুক্ত পশু ক্রয় করতে হবে। পশু ক্রয় করার জন্য হাটে গেলে মাঝেমধ্যে দেখা যায়, বিক্রেতারা ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য গরুর সঙ্গে খাসি ফ্রি দিয়ে থাকেন।
কোরবানির পশুর সঙ্গে এমন ফ্রি পাওয়া পশুর বিধান হলো, তা সদকা করতে হবে না। বরং তা নিজের যেকোনো প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। ইচ্ছে হলে বিক্রিও করে দেওয়া যাবে। এই ছাগল কোরবানির পশুর সঙ্গে পেলেও তা কোরবানির অংশ বা সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নয়, বরং তা পৃথক ক্রয় করা পশুর মতো।
একাধিক ব্যক্তি মিলে খাসি ফ্রি পেলে
একাধিক ব্যক্তি মিলে এমন গরু কিনলে যে গরুর সঙ্গে খাসি ফ্রি, তখনো উভয় পশু কোরবানি দিতে হবে না। শুধু গরু দিয়ে কোরবানি দিলেই চলবে। ফ্রি খাসিটি বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে নিতে পারবে। এ ছাড়া জবাই করে নিজেদের মধ্যে গোশত ভাগ করে নিতে পারবে কিংবা এই গোশত বিক্রিও করে দিতে পারবে।
কোরবানির পশুর সঙ্গে অন্য কিছু ফ্রি পেলে
খাসি ছাড়াও অনেক বিক্রেতা কোরবানির গরুর সঙ্গে ফ্রিজ, মোবাইল বা অন্য কিছু ফ্রি দিয়ে থাকেন। কোরবানির পশুর সঙ্গে যেকোনো কিছু ফ্রি পেলে সেটা সদকা করতে হবে না। নিজে ব্যবহার করতে পারবে, অন্য কাউকে উপহার হিসেবে দিতে পারবে অথবা বিক্রি করে দিতে পারবে।
তথ্যসূত্র: হিদায়া: ৩/৭৫, দুররুল মুখতার: ৬/৩১৩, বাহরুর রায়েক: ৮/১৭৫, ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৩/২২, রদ্দুল মুহতার: ৯/৪৭৪, তাবয়িনুল হাকায়েক: ৬/৮, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫/৩০০, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১১/৩১৫
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: কোরবানির গরুর সঙ্গে খাসি, মোবাইল সেট, ফ্রিজ ইত্যাদি ফ্রি দিতে দেখা যায়। কোরবানির পশুর সঙ্গে ফ্রিতে পাওয়া এসব জিনিস সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা কী?
আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা
উত্তর: মুসলমানদের অন্যতম উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার গুরুত্বপূর্ণ আমল কোরবানি। ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে সেই ব্যক্তির ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব বা আবশ্যক। নিসাবের পরিমাণ হলো সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা এর সমতুল্য সম্পদ।
যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়
ইসলামে নির্দিষ্ট কিছু পশু দিয়ে কোরবানি করার কথা বলা হয়েছে। যেমন, গৃহপালিত গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে কোরবানি করা যায়। এ ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা কমপক্ষে এক বছর; গরু, মহিষ দুই বছর এবং উট কমপক্ষে পাঁচ বছর বয়সী হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি এমন হৃষ্টপুষ্ট হয়—ছয় মাসেরটি দেখতে এক বছরের মতো লাগে, তাহলে সেটি দিয়ে কোরবানি হবে।
গরুর সঙ্গে খাসি ফ্রি
কোরবানি করতে হলে নিজে পশু পেলে তাকে কোরবানির উপযুক্ত করতে হবে বা উপযুক্ত পশু ক্রয় করতে হবে। পশু ক্রয় করার জন্য হাটে গেলে মাঝেমধ্যে দেখা যায়, বিক্রেতারা ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য গরুর সঙ্গে খাসি ফ্রি দিয়ে থাকেন।
কোরবানির পশুর সঙ্গে এমন ফ্রি পাওয়া পশুর বিধান হলো, তা সদকা করতে হবে না। বরং তা নিজের যেকোনো প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। ইচ্ছে হলে বিক্রিও করে দেওয়া যাবে। এই ছাগল কোরবানির পশুর সঙ্গে পেলেও তা কোরবানির অংশ বা সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নয়, বরং তা পৃথক ক্রয় করা পশুর মতো।
একাধিক ব্যক্তি মিলে খাসি ফ্রি পেলে
একাধিক ব্যক্তি মিলে এমন গরু কিনলে যে গরুর সঙ্গে খাসি ফ্রি, তখনো উভয় পশু কোরবানি দিতে হবে না। শুধু গরু দিয়ে কোরবানি দিলেই চলবে। ফ্রি খাসিটি বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে নিতে পারবে। এ ছাড়া জবাই করে নিজেদের মধ্যে গোশত ভাগ করে নিতে পারবে কিংবা এই গোশত বিক্রিও করে দিতে পারবে।
কোরবানির পশুর সঙ্গে অন্য কিছু ফ্রি পেলে
খাসি ছাড়াও অনেক বিক্রেতা কোরবানির গরুর সঙ্গে ফ্রিজ, মোবাইল বা অন্য কিছু ফ্রি দিয়ে থাকেন। কোরবানির পশুর সঙ্গে যেকোনো কিছু ফ্রি পেলে সেটা সদকা করতে হবে না। নিজে ব্যবহার করতে পারবে, অন্য কাউকে উপহার হিসেবে দিতে পারবে অথবা বিক্রি করে দিতে পারবে।
তথ্যসূত্র: হিদায়া: ৩/৭৫, দুররুল মুখতার: ৬/৩১৩, বাহরুর রায়েক: ৮/১৭৫, ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৩/২২, রদ্দুল মুহতার: ৯/৪৭৪, তাবয়িনুল হাকায়েক: ৬/৮, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫/৩০০, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১১/৩১৫
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; বরং মুমিনের আত্মিক প্রশান্তি, চারিত্রিক পরিশুদ্ধি ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষার একটি মহান উপায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
৪ ঘণ্টা আগেআমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১ দিন আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
২ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২ দিন আগে