আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

রমজানের বরকতে পৃথিবীতে বয়ে চলেছে পুণ্যের ফোয়ারা। বহমান সে ফোয়ারায় ভেসে যাচ্ছে মুমিনের ভুল-ত্রুটি ও গুনাহের জঞ্জাল। তাই তো আতর-আগরের ঘ্রাণে বিমোহিত চারপাশ। মসজিদগুলো মুখরিত মুমিন বান্দার আনাগোনায়। জান্নাতি সমীরণের এই পরিবেশে নিজেকে সিক্ত করার এই-ই তো সময়। অথচ আমরা অবচেতন কিংবা অজ্ঞতায় ডুবে যাচ্ছি পাপের সাগরে। দল বেঁধে অপচয়ের মতো পাপে মেতে উঠছি। সংযমের মাসে হচ্ছি অসংযমী। অতিভোজনকে দিচ্ছি মনগড়া অনুমোদন। বলছি—‘রমজানে যত খুশি খাও, আল্লাহ এর হিসাব নেবেন না।’ অথচ কোরআন-হাদিসের কোথাও এমন কথা বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি পেট ভর্তি করে খাবার খায়, তার ওই পেট একটি নিকৃষ্ট পাত্র।’ (আহমাদ: ২৩৮০)
রমজান হোক কিংবা অন্য যেকোনো সময়, অতিভোজন আর অপচয় ইসলামে নিন্দনীয়। অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে অসংখ্য ইফতার মাহফিল বা পার্টি হয়ে থাকে। এসব আয়োজন তখনই পুণ্যের হতো, যখন তা দুস্থ, অভাবী, অনাহারীর মুখে হাসি ফোটাত। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই? অধিকাংশ ইফতার পার্টিতেই গরিব-অসহায়দের প্রবেশ বারণ থাকে। সেখানে কেবল তাদেরই দাওয়াত করা হয়, যাদের না আছে খাবারের কোনো অভাব, না আছে অপকর্মের।
ধনাঢ্যদের ইফতার পার্টিতে যে পরিমাণ খাবার জোগান দেওয়া হয়, তার বেশির ভাগই অপচয় হয়। বস্তা বস্তা খাবার ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। অথচ কত মানুষ খাবারের অভাবে অভুক্ত থাকছে। ঠিকমতো সাহরি ও ইফতার করতে পারছে না। তাদের কথা একটু ভাবুন। তাদের যাতনা উপলব্ধির জন্যই তো রমজান। সমাজের দরিদ্র, পীড়িত, অভুক্তের যন্ত্রণা অনুধাবন করে তাদের প্রতি সদয় হতেই রমজানের আগমন।
প্রতি বছর রমজান আসে, রমজান যায়। আমরা থেকে যাই আগের মতোই বিলাসী, অসংযমী। আমাদের অপচয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে দিনের পর দিন। মনে রাখবেন আল্লাহর দেওয়া রিজিকের এমন অপচয় জঘন্য অপরাধ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা খাও এবং পান করো। কোনো অবস্থাতেই অপচয় করো না। আল্লাহ অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
অপচয়ের এই রীতি ফুলে ফেঁপে ওঠে ধনীদের ঘরে। তারা সাহরি ও ইফতারে ১০-২০ পদ খাবার নিয়ে বসেন। যতটুকু না খায়, তার চেয়ে বেশি নষ্ট করে। অথচ আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সাহরি ও ইফতার ছিল খুবই সাধারণ, সাদাসিধে। খেজুর, ছাতু ও পানিই ছিল তাঁর সাহরি ও ইফতারের সাধারণ উপাদান। সেসবও যে পেট ভরে খেতেন, তা কিন্তু নয়। খুব সামান্যই খেতেন। দু-একটি খেজুর কিংবা দু-এক লোকমা ছাতু—তাতেই বরকতময় সাহরি ও ইফতার সারতেন। আর আমরা? আমরা মনে করি সাহরি মানে পেট ভরে গলা পর্যন্ত খাওয়া।
পেট ভরে না খেলে রোজা রাখা কষ্ট হবে—এমন ধারণা সঠিক নয়। সাহরি হলো বরকতময় নিয়ামত। পেট ভরে খাওয়া লাগে না। অল্পতেই হয়ে যায়। মনে রাখবেন, রমজান মানে কেবলই ইফতার পার্টি, ভোজনবিলাস কিংবা খাদ্য-বিনোদন নয়। রমজান মানে সাহরি ও ইফতারে ১০-২০ পদের খাবার থাকা নয়। বরং এসব অপচয়। আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই যারা অপচয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার রবের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৭)
রমজান মাস, সহমর্মিতার মাস। দান সদকার মাস। এই মাসে এক টাকা দান করলে ৭০০ টাকা দানের সওয়াব পাওয়া যায়। আল্লাহ চাইলে, আরও বেশিও দিতে পারেন। বরকতময় এই মাসে আমরা ভোগ-বিলাসে মত্ত না হয়ে, অপচয়ের মতো গুনাহে লিপ্ত না থেকে, অসহায়দের পাশে দাঁড়াই। তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। কত মানুষ এখনো না খেয়ে অভুক্ত থাকে। একটু খোঁজ নিলেই তাদের সংখ্যা দেখে আঁতকে উঠবেন। রাস্তার টোকাই থেকে গার্মেন্টস কর্মী, এমনকি অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবারেও মানুষ অভাব অনটনে কাতরাচ্ছে। তাদের প্রতি একটু সদয় হোন, সহানুভূতিশীল হোন। মানুষ তো মানুষের জন্যই।
আল্লাহ তাআলা আমাদের যে অর্থ-বিত্ত দিয়েছেন, এর হিসেব কিন্তু আল্লাহর কাছে কড়ায়-গন্ডায় দিতে হবে। তাই অপচয় করা থেকে বেঁচে থাকি এবং অসহায়দের সাহায্য সহযোগিতা করি। অভুক্তের মুখে লুকমা তুলে দিয়ে খুশির ফুল ফুটাই। সেই ফুলেই বর্ণিল হবে আমাদের পরকাল।
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রমজানের বরকতে পৃথিবীতে বয়ে চলেছে পুণ্যের ফোয়ারা। বহমান সে ফোয়ারায় ভেসে যাচ্ছে মুমিনের ভুল-ত্রুটি ও গুনাহের জঞ্জাল। তাই তো আতর-আগরের ঘ্রাণে বিমোহিত চারপাশ। মসজিদগুলো মুখরিত মুমিন বান্দার আনাগোনায়। জান্নাতি সমীরণের এই পরিবেশে নিজেকে সিক্ত করার এই-ই তো সময়। অথচ আমরা অবচেতন কিংবা অজ্ঞতায় ডুবে যাচ্ছি পাপের সাগরে। দল বেঁধে অপচয়ের মতো পাপে মেতে উঠছি। সংযমের মাসে হচ্ছি অসংযমী। অতিভোজনকে দিচ্ছি মনগড়া অনুমোদন। বলছি—‘রমজানে যত খুশি খাও, আল্লাহ এর হিসাব নেবেন না।’ অথচ কোরআন-হাদিসের কোথাও এমন কথা বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি পেট ভর্তি করে খাবার খায়, তার ওই পেট একটি নিকৃষ্ট পাত্র।’ (আহমাদ: ২৩৮০)
রমজান হোক কিংবা অন্য যেকোনো সময়, অতিভোজন আর অপচয় ইসলামে নিন্দনীয়। অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে অসংখ্য ইফতার মাহফিল বা পার্টি হয়ে থাকে। এসব আয়োজন তখনই পুণ্যের হতো, যখন তা দুস্থ, অভাবী, অনাহারীর মুখে হাসি ফোটাত। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই? অধিকাংশ ইফতার পার্টিতেই গরিব-অসহায়দের প্রবেশ বারণ থাকে। সেখানে কেবল তাদেরই দাওয়াত করা হয়, যাদের না আছে খাবারের কোনো অভাব, না আছে অপকর্মের।
ধনাঢ্যদের ইফতার পার্টিতে যে পরিমাণ খাবার জোগান দেওয়া হয়, তার বেশির ভাগই অপচয় হয়। বস্তা বস্তা খাবার ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। অথচ কত মানুষ খাবারের অভাবে অভুক্ত থাকছে। ঠিকমতো সাহরি ও ইফতার করতে পারছে না। তাদের কথা একটু ভাবুন। তাদের যাতনা উপলব্ধির জন্যই তো রমজান। সমাজের দরিদ্র, পীড়িত, অভুক্তের যন্ত্রণা অনুধাবন করে তাদের প্রতি সদয় হতেই রমজানের আগমন।
প্রতি বছর রমজান আসে, রমজান যায়। আমরা থেকে যাই আগের মতোই বিলাসী, অসংযমী। আমাদের অপচয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে দিনের পর দিন। মনে রাখবেন আল্লাহর দেওয়া রিজিকের এমন অপচয় জঘন্য অপরাধ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা খাও এবং পান করো। কোনো অবস্থাতেই অপচয় করো না। আল্লাহ অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
অপচয়ের এই রীতি ফুলে ফেঁপে ওঠে ধনীদের ঘরে। তারা সাহরি ও ইফতারে ১০-২০ পদ খাবার নিয়ে বসেন। যতটুকু না খায়, তার চেয়ে বেশি নষ্ট করে। অথচ আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সাহরি ও ইফতার ছিল খুবই সাধারণ, সাদাসিধে। খেজুর, ছাতু ও পানিই ছিল তাঁর সাহরি ও ইফতারের সাধারণ উপাদান। সেসবও যে পেট ভরে খেতেন, তা কিন্তু নয়। খুব সামান্যই খেতেন। দু-একটি খেজুর কিংবা দু-এক লোকমা ছাতু—তাতেই বরকতময় সাহরি ও ইফতার সারতেন। আর আমরা? আমরা মনে করি সাহরি মানে পেট ভরে গলা পর্যন্ত খাওয়া।
পেট ভরে না খেলে রোজা রাখা কষ্ট হবে—এমন ধারণা সঠিক নয়। সাহরি হলো বরকতময় নিয়ামত। পেট ভরে খাওয়া লাগে না। অল্পতেই হয়ে যায়। মনে রাখবেন, রমজান মানে কেবলই ইফতার পার্টি, ভোজনবিলাস কিংবা খাদ্য-বিনোদন নয়। রমজান মানে সাহরি ও ইফতারে ১০-২০ পদের খাবার থাকা নয়। বরং এসব অপচয়। আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই যারা অপচয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার রবের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৭)
রমজান মাস, সহমর্মিতার মাস। দান সদকার মাস। এই মাসে এক টাকা দান করলে ৭০০ টাকা দানের সওয়াব পাওয়া যায়। আল্লাহ চাইলে, আরও বেশিও দিতে পারেন। বরকতময় এই মাসে আমরা ভোগ-বিলাসে মত্ত না হয়ে, অপচয়ের মতো গুনাহে লিপ্ত না থেকে, অসহায়দের পাশে দাঁড়াই। তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। কত মানুষ এখনো না খেয়ে অভুক্ত থাকে। একটু খোঁজ নিলেই তাদের সংখ্যা দেখে আঁতকে উঠবেন। রাস্তার টোকাই থেকে গার্মেন্টস কর্মী, এমনকি অনেক সম্ভ্রান্ত পরিবারেও মানুষ অভাব অনটনে কাতরাচ্ছে। তাদের প্রতি একটু সদয় হোন, সহানুভূতিশীল হোন। মানুষ তো মানুষের জন্যই।
আল্লাহ তাআলা আমাদের যে অর্থ-বিত্ত দিয়েছেন, এর হিসেব কিন্তু আল্লাহর কাছে কড়ায়-গন্ডায় দিতে হবে। তাই অপচয় করা থেকে বেঁচে থাকি এবং অসহায়দের সাহায্য সহযোগিতা করি। অভুক্তের মুখে লুকমা তুলে দিয়ে খুশির ফুল ফুটাই। সেই ফুলেই বর্ণিল হবে আমাদের পরকাল।
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

রমজান হোক কিংবা অন্য যেকোনো সময়, অতিভোজন আর অপচয় ইসলামে নিন্দনীয়। অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে অসংখ্য ইফতার মাহফিল বা পার্টি হয়ে থাকে। এসব আয়োজন তখনই পুণ্যের হতো, যখন তা দুস্থ, অভাবী, অনাহারীর মুখে হাসি ফোটাত। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই? অধিকাংশ ইফতার পার্টিতেই গরিব-অসহায়দের প্রবেশ বারণ থাকে। সেখ
১৫ মার্চ ২০২৪
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১ দিন আগেতাসনিফ আবীদ

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

রমজান হোক কিংবা অন্য যেকোনো সময়, অতিভোজন আর অপচয় ইসলামে নিন্দনীয়। অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে অসংখ্য ইফতার মাহফিল বা পার্টি হয়ে থাকে। এসব আয়োজন তখনই পুণ্যের হতো, যখন তা দুস্থ, অভাবী, অনাহারীর মুখে হাসি ফোটাত। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই? অধিকাংশ ইফতার পার্টিতেই গরিব-অসহায়দের প্রবেশ বারণ থাকে। সেখ
১৫ মার্চ ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রমজান হোক কিংবা অন্য যেকোনো সময়, অতিভোজন আর অপচয় ইসলামে নিন্দনীয়। অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে অসংখ্য ইফতার মাহফিল বা পার্টি হয়ে থাকে। এসব আয়োজন তখনই পুণ্যের হতো, যখন তা দুস্থ, অভাবী, অনাহারীর মুখে হাসি ফোটাত। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই? অধিকাংশ ইফতার পার্টিতেই গরিব-অসহায়দের প্রবেশ বারণ থাকে। সেখ
১৫ মার্চ ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
১১ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

রমজান হোক কিংবা অন্য যেকোনো সময়, অতিভোজন আর অপচয় ইসলামে নিন্দনীয়। অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে অসংখ্য ইফতার মাহফিল বা পার্টি হয়ে থাকে। এসব আয়োজন তখনই পুণ্যের হতো, যখন তা দুস্থ, অভাবী, অনাহারীর মুখে হাসি ফোটাত। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই? অধিকাংশ ইফতার পার্টিতেই গরিব-অসহায়দের প্রবেশ বারণ থাকে। সেখ
১৫ মার্চ ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে