ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
পৃথিবীতে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবনের নানা প্রয়োজনে মানুষকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি একটি প্রয়োজন হলো আর্থিক আদান-প্রদান বা ঋণ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন কিংবা জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একে অপরের কাছে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামে এই ঋণ দেওয়া ও নেওয়া—উভয়কেই অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনে কাউকে ঋণ প্রদান করাকে আল্লাহ তাআলা এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, একে সরাসরি আল্লাহকে ঋণ দেওয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এমন কে আছে যে আল্লাহকে দেবে উত্তম ঋণ (কর্জ হাসানা), অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে (তার প্রতিদানকে) দ্বিগুণ—বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
ঋণ দিলে তা সদকার সমপরিমাণ সওয়াব এনে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুবার ঋণ দেওয়া একবার সদকা করা থেকে উত্তম।’ (জামে সগির: ৬১০০)
অন্যদিকে, ঋণগ্রহীতার জন্য যথাসময়ে তা পরিশোধ করা অপরিহার্য কর্তব্য। ঋণ আদায়ে গড়িমসি করাকে জুলুমের অন্তর্ভুক্ত এবং অকৃতজ্ঞতার শামিল বলা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণ মূলত একটি আমানত। সময়মতো তা আদায় না করা একধরনের খেয়ানত।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যেন তোমরা আমানত তার প্রাপকের নিকট ফিরিয়ে দাও।’ (সুরা নিসা: ৫৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই, যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২২৩২)
ঋণ গ্রহণ করার সময় কোনো ব্যক্তি যদি আন্তরিকভাবে তা পরিশোধ করার নিয়ত রাখে এবং আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখে, তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন। হাদিস শরিফে ঋণ আদায়ের এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের জনৈক ব্যক্তির কথা বলেছেন। একবার সে বনি ইসরাইলের আরেক ব্যক্তির কাছে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ঋণ চেয়েছিল। ঋণদাতা তখন বলল, ‘আমার নিকট সাক্ষী নিয়ে এসো।’ ঋণগ্রহীতা বলল, ‘সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’
লোকটি আবার বলল, ‘তাহলে একজন জামিনদার (ঋণের দায়বদ্ধ সহযোগী) নিয়ে এসো।’ সে বলল, ‘জামিন হিসেবেও আল্লাহই যথেষ্ট।’
এ কথা শুনে ঋণদাতা আশ্বস্ত হলো এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের শর্তে তাকে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে দিল।
ঋণগ্রহীতা সেই এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সমুদ্রপথে যাত্রা করল। নির্ধারিত সময়ে সে তার ব্যবসা সফল করল এবং ঋণ পরিশোধের জন্য সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে একটি নৌযান খুঁজতে লাগল। কিন্তু কোনো নৌযান খুঁজে না পেয়ে সে হতাশ হলো।
অতঃপর সে কাঠের একটি টুকরা নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং তার মধ্যে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ও প্রাপকের নামে একটি পত্র ঢুকিয়ে দিল। তারপর ছিদ্রটি বন্ধ করে সে সমুদ্রে চলে এল এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করল, ‘হে আল্লাহ! তুমি জানো যে, আমি অমুকের কাছে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ঋণ চেয়েছিলাম। সে একজন জামিনদার চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, জামিন হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। তোমার নাম বলাতে সে রাজি হয়েছিল। এরপর সে একজন সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। এ কথা শুনে সে রাজি হয়ে গিয়েছিল। আমি যথাসময়ে তার প্রাপ্য পৌঁছানোর জন্য একটি নৌযান খুঁজতে যথেষ্ট চেষ্টা করি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা করতে পারিনি। এখন এগুলো তোমার নিকট আমানত রাখছি।’
এই বলে সে কাঠের টুকরাটি পানিতে ফেলে দিল। আল্লাহর ইচ্ছায় তা সমুদ্রে ভাসতে লাগল। এদিকে ঋণদাতা আশা নিয়ে নদীর তীরে এসে পৌঁছাল, এই ভেবে যে হয়তো তার প্রাপ্য কোনো নৌযানে করে এসেছে। হঠাৎ তার নজরে পড়ল ওই কাঠের টুকরাটি। নিজের পরিবারের রান্নার লাকড়ি হিসেবে সে এটি উঠিয়ে নিল। ঘরে এনে যখন একটি কুঠার দিয়ে এটি চিরল, তখন তার মধ্যে রাখা স্বর্ণমুদ্রাগুলো এবং পত্রটি পেয়ে গেল।
কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে এসে হাজির হয়ে বলল, ‘শপথ আল্লাহর! আপনার সম্পদ যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমি সব সময় নৌযান খুঁজেছিলাম, কিন্তু কোনো নৌযান পাইনি। তাই আমার বিলম্ব হয়েছে।’
ঋণদাতা তখন বলল, ‘তুমি কি এর আগে আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে?’
লোকটি বলল, ‘আমি তোমাকে তো বলেছি যে এর আগে কোনো যানবাহন পাইনি।’
তখন ঋণদাতা বলল, ‘তুমি কাষ্ঠখণ্ডে করে যা পাঠিয়েছিলে, আল্লাহ তাআলা তা তোমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দিয়েছেন।’
এ কথা শুনে লোকটি ওই এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে অত্যন্ত খুশিমনে ফিরে এল। (সহিহ্ বুখারি: ২২৯১)
এই হাদিস থেকে আমরা শিখতে পারি যে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টাকে কতটা মূল্য দেন। যখন একজন মানুষ তার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয় এবং কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তখন আল্লাহ তাকে এমনভাবে সাহায্য করেন, যা মানবীয় বুদ্ধির কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়।
লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
পৃথিবীতে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবনের নানা প্রয়োজনে মানুষকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি একটি প্রয়োজন হলো আর্থিক আদান-প্রদান বা ঋণ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন কিংবা জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একে অপরের কাছে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামে এই ঋণ দেওয়া ও নেওয়া—উভয়কেই অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনে কাউকে ঋণ প্রদান করাকে আল্লাহ তাআলা এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, একে সরাসরি আল্লাহকে ঋণ দেওয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এমন কে আছে যে আল্লাহকে দেবে উত্তম ঋণ (কর্জ হাসানা), অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে (তার প্রতিদানকে) দ্বিগুণ—বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
ঋণ দিলে তা সদকার সমপরিমাণ সওয়াব এনে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুবার ঋণ দেওয়া একবার সদকা করা থেকে উত্তম।’ (জামে সগির: ৬১০০)
অন্যদিকে, ঋণগ্রহীতার জন্য যথাসময়ে তা পরিশোধ করা অপরিহার্য কর্তব্য। ঋণ আদায়ে গড়িমসি করাকে জুলুমের অন্তর্ভুক্ত এবং অকৃতজ্ঞতার শামিল বলা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণ মূলত একটি আমানত। সময়মতো তা আদায় না করা একধরনের খেয়ানত।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যেন তোমরা আমানত তার প্রাপকের নিকট ফিরিয়ে দাও।’ (সুরা নিসা: ৫৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই, যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২২৩২)
ঋণ গ্রহণ করার সময় কোনো ব্যক্তি যদি আন্তরিকভাবে তা পরিশোধ করার নিয়ত রাখে এবং আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখে, তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন। হাদিস শরিফে ঋণ আদায়ের এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের জনৈক ব্যক্তির কথা বলেছেন। একবার সে বনি ইসরাইলের আরেক ব্যক্তির কাছে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ঋণ চেয়েছিল। ঋণদাতা তখন বলল, ‘আমার নিকট সাক্ষী নিয়ে এসো।’ ঋণগ্রহীতা বলল, ‘সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’
লোকটি আবার বলল, ‘তাহলে একজন জামিনদার (ঋণের দায়বদ্ধ সহযোগী) নিয়ে এসো।’ সে বলল, ‘জামিন হিসেবেও আল্লাহই যথেষ্ট।’
এ কথা শুনে ঋণদাতা আশ্বস্ত হলো এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের শর্তে তাকে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে দিল।
ঋণগ্রহীতা সেই এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সমুদ্রপথে যাত্রা করল। নির্ধারিত সময়ে সে তার ব্যবসা সফল করল এবং ঋণ পরিশোধের জন্য সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে একটি নৌযান খুঁজতে লাগল। কিন্তু কোনো নৌযান খুঁজে না পেয়ে সে হতাশ হলো।
অতঃপর সে কাঠের একটি টুকরা নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং তার মধ্যে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ও প্রাপকের নামে একটি পত্র ঢুকিয়ে দিল। তারপর ছিদ্রটি বন্ধ করে সে সমুদ্রে চলে এল এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করল, ‘হে আল্লাহ! তুমি জানো যে, আমি অমুকের কাছে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ঋণ চেয়েছিলাম। সে একজন জামিনদার চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, জামিন হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। তোমার নাম বলাতে সে রাজি হয়েছিল। এরপর সে একজন সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। এ কথা শুনে সে রাজি হয়ে গিয়েছিল। আমি যথাসময়ে তার প্রাপ্য পৌঁছানোর জন্য একটি নৌযান খুঁজতে যথেষ্ট চেষ্টা করি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা করতে পারিনি। এখন এগুলো তোমার নিকট আমানত রাখছি।’
এই বলে সে কাঠের টুকরাটি পানিতে ফেলে দিল। আল্লাহর ইচ্ছায় তা সমুদ্রে ভাসতে লাগল। এদিকে ঋণদাতা আশা নিয়ে নদীর তীরে এসে পৌঁছাল, এই ভেবে যে হয়তো তার প্রাপ্য কোনো নৌযানে করে এসেছে। হঠাৎ তার নজরে পড়ল ওই কাঠের টুকরাটি। নিজের পরিবারের রান্নার লাকড়ি হিসেবে সে এটি উঠিয়ে নিল। ঘরে এনে যখন একটি কুঠার দিয়ে এটি চিরল, তখন তার মধ্যে রাখা স্বর্ণমুদ্রাগুলো এবং পত্রটি পেয়ে গেল।
কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে এসে হাজির হয়ে বলল, ‘শপথ আল্লাহর! আপনার সম্পদ যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমি সব সময় নৌযান খুঁজেছিলাম, কিন্তু কোনো নৌযান পাইনি। তাই আমার বিলম্ব হয়েছে।’
ঋণদাতা তখন বলল, ‘তুমি কি এর আগে আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে?’
লোকটি বলল, ‘আমি তোমাকে তো বলেছি যে এর আগে কোনো যানবাহন পাইনি।’
তখন ঋণদাতা বলল, ‘তুমি কাষ্ঠখণ্ডে করে যা পাঠিয়েছিলে, আল্লাহ তাআলা তা তোমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দিয়েছেন।’
এ কথা শুনে লোকটি ওই এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে অত্যন্ত খুশিমনে ফিরে এল। (সহিহ্ বুখারি: ২২৯১)
এই হাদিস থেকে আমরা শিখতে পারি যে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টাকে কতটা মূল্য দেন। যখন একজন মানুষ তার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয় এবং কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তখন আল্লাহ তাকে এমনভাবে সাহায্য করেন, যা মানবীয় বুদ্ধির কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়।
লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
পৃথিবীতে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবনের নানা প্রয়োজনে মানুষকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি একটি প্রয়োজন হলো আর্থিক আদান-প্রদান বা ঋণ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন কিংবা জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একে অপরের কাছে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামে এই ঋণ দেওয়া ও নেওয়া—উভয়কেই অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনে কাউকে ঋণ প্রদান করাকে আল্লাহ তাআলা এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, একে সরাসরি আল্লাহকে ঋণ দেওয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এমন কে আছে যে আল্লাহকে দেবে উত্তম ঋণ (কর্জ হাসানা), অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে (তার প্রতিদানকে) দ্বিগুণ—বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
ঋণ দিলে তা সদকার সমপরিমাণ সওয়াব এনে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুবার ঋণ দেওয়া একবার সদকা করা থেকে উত্তম।’ (জামে সগির: ৬১০০)
অন্যদিকে, ঋণগ্রহীতার জন্য যথাসময়ে তা পরিশোধ করা অপরিহার্য কর্তব্য। ঋণ আদায়ে গড়িমসি করাকে জুলুমের অন্তর্ভুক্ত এবং অকৃতজ্ঞতার শামিল বলা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণ মূলত একটি আমানত। সময়মতো তা আদায় না করা একধরনের খেয়ানত।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যেন তোমরা আমানত তার প্রাপকের নিকট ফিরিয়ে দাও।’ (সুরা নিসা: ৫৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই, যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২২৩২)
ঋণ গ্রহণ করার সময় কোনো ব্যক্তি যদি আন্তরিকভাবে তা পরিশোধ করার নিয়ত রাখে এবং আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখে, তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন। হাদিস শরিফে ঋণ আদায়ের এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের জনৈক ব্যক্তির কথা বলেছেন। একবার সে বনি ইসরাইলের আরেক ব্যক্তির কাছে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ঋণ চেয়েছিল। ঋণদাতা তখন বলল, ‘আমার নিকট সাক্ষী নিয়ে এসো।’ ঋণগ্রহীতা বলল, ‘সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’
লোকটি আবার বলল, ‘তাহলে একজন জামিনদার (ঋণের দায়বদ্ধ সহযোগী) নিয়ে এসো।’ সে বলল, ‘জামিন হিসেবেও আল্লাহই যথেষ্ট।’
এ কথা শুনে ঋণদাতা আশ্বস্ত হলো এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের শর্তে তাকে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে দিল।
ঋণগ্রহীতা সেই এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সমুদ্রপথে যাত্রা করল। নির্ধারিত সময়ে সে তার ব্যবসা সফল করল এবং ঋণ পরিশোধের জন্য সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে একটি নৌযান খুঁজতে লাগল। কিন্তু কোনো নৌযান খুঁজে না পেয়ে সে হতাশ হলো।
অতঃপর সে কাঠের একটি টুকরা নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং তার মধ্যে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ও প্রাপকের নামে একটি পত্র ঢুকিয়ে দিল। তারপর ছিদ্রটি বন্ধ করে সে সমুদ্রে চলে এল এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করল, ‘হে আল্লাহ! তুমি জানো যে, আমি অমুকের কাছে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ঋণ চেয়েছিলাম। সে একজন জামিনদার চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, জামিন হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। তোমার নাম বলাতে সে রাজি হয়েছিল। এরপর সে একজন সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। এ কথা শুনে সে রাজি হয়ে গিয়েছিল। আমি যথাসময়ে তার প্রাপ্য পৌঁছানোর জন্য একটি নৌযান খুঁজতে যথেষ্ট চেষ্টা করি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা করতে পারিনি। এখন এগুলো তোমার নিকট আমানত রাখছি।’
এই বলে সে কাঠের টুকরাটি পানিতে ফেলে দিল। আল্লাহর ইচ্ছায় তা সমুদ্রে ভাসতে লাগল। এদিকে ঋণদাতা আশা নিয়ে নদীর তীরে এসে পৌঁছাল, এই ভেবে যে হয়তো তার প্রাপ্য কোনো নৌযানে করে এসেছে। হঠাৎ তার নজরে পড়ল ওই কাঠের টুকরাটি। নিজের পরিবারের রান্নার লাকড়ি হিসেবে সে এটি উঠিয়ে নিল। ঘরে এনে যখন একটি কুঠার দিয়ে এটি চিরল, তখন তার মধ্যে রাখা স্বর্ণমুদ্রাগুলো এবং পত্রটি পেয়ে গেল।
কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে এসে হাজির হয়ে বলল, ‘শপথ আল্লাহর! আপনার সম্পদ যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমি সব সময় নৌযান খুঁজেছিলাম, কিন্তু কোনো নৌযান পাইনি। তাই আমার বিলম্ব হয়েছে।’
ঋণদাতা তখন বলল, ‘তুমি কি এর আগে আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে?’
লোকটি বলল, ‘আমি তোমাকে তো বলেছি যে এর আগে কোনো যানবাহন পাইনি।’
তখন ঋণদাতা বলল, ‘তুমি কাষ্ঠখণ্ডে করে যা পাঠিয়েছিলে, আল্লাহ তাআলা তা তোমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দিয়েছেন।’
এ কথা শুনে লোকটি ওই এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে অত্যন্ত খুশিমনে ফিরে এল। (সহিহ্ বুখারি: ২২৯১)
এই হাদিস থেকে আমরা শিখতে পারি যে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টাকে কতটা মূল্য দেন। যখন একজন মানুষ তার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয় এবং কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তখন আল্লাহ তাকে এমনভাবে সাহায্য করেন, যা মানবীয় বুদ্ধির কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়।
লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
পৃথিবীতে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবনের নানা প্রয়োজনে মানুষকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি একটি প্রয়োজন হলো আর্থিক আদান-প্রদান বা ঋণ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন কিংবা জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একে অপরের কাছে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামে এই ঋণ দেওয়া ও নেওয়া—উভয়কেই অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনে কাউকে ঋণ প্রদান করাকে আল্লাহ তাআলা এত বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, একে সরাসরি আল্লাহকে ঋণ দেওয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এমন কে আছে যে আল্লাহকে দেবে উত্তম ঋণ (কর্জ হাসানা), অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাকে (তার প্রতিদানকে) দ্বিগুণ—বহুগুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা বাকারা: ২৪৫)
ঋণ দিলে তা সদকার সমপরিমাণ সওয়াব এনে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুবার ঋণ দেওয়া একবার সদকা করা থেকে উত্তম।’ (জামে সগির: ৬১০০)
অন্যদিকে, ঋণগ্রহীতার জন্য যথাসময়ে তা পরিশোধ করা অপরিহার্য কর্তব্য। ঋণ আদায়ে গড়িমসি করাকে জুলুমের অন্তর্ভুক্ত এবং অকৃতজ্ঞতার শামিল বলা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণ মূলত একটি আমানত। সময়মতো তা আদায় না করা একধরনের খেয়ানত।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যেন তোমরা আমানত তার প্রাপকের নিকট ফিরিয়ে দাও।’ (সুরা নিসা: ৫৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই, যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২২৩২)
ঋণ গ্রহণ করার সময় কোনো ব্যক্তি যদি আন্তরিকভাবে তা পরিশোধ করার নিয়ত রাখে এবং আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখে, তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন। হাদিস শরিফে ঋণ আদায়ের এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের জনৈক ব্যক্তির কথা বলেছেন। একবার সে বনি ইসরাইলের আরেক ব্যক্তির কাছে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ঋণ চেয়েছিল। ঋণদাতা তখন বলল, ‘আমার নিকট সাক্ষী নিয়ে এসো।’ ঋণগ্রহীতা বলল, ‘সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’
লোকটি আবার বলল, ‘তাহলে একজন জামিনদার (ঋণের দায়বদ্ধ সহযোগী) নিয়ে এসো।’ সে বলল, ‘জামিন হিসেবেও আল্লাহই যথেষ্ট।’
এ কথা শুনে ঋণদাতা আশ্বস্ত হলো এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের শর্তে তাকে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে দিল।
ঋণগ্রহীতা সেই এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সমুদ্রপথে যাত্রা করল। নির্ধারিত সময়ে সে তার ব্যবসা সফল করল এবং ঋণ পরিশোধের জন্য সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে একটি নৌযান খুঁজতে লাগল। কিন্তু কোনো নৌযান খুঁজে না পেয়ে সে হতাশ হলো।
অতঃপর সে কাঠের একটি টুকরা নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং তার মধ্যে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ও প্রাপকের নামে একটি পত্র ঢুকিয়ে দিল। তারপর ছিদ্রটি বন্ধ করে সে সমুদ্রে চলে এল এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করল, ‘হে আল্লাহ! তুমি জানো যে, আমি অমুকের কাছে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ঋণ চেয়েছিলাম। সে একজন জামিনদার চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, জামিন হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। তোমার নাম বলাতে সে রাজি হয়েছিল। এরপর সে একজন সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম, সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। এ কথা শুনে সে রাজি হয়ে গিয়েছিল। আমি যথাসময়ে তার প্রাপ্য পৌঁছানোর জন্য একটি নৌযান খুঁজতে যথেষ্ট চেষ্টা করি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা করতে পারিনি। এখন এগুলো তোমার নিকট আমানত রাখছি।’
এই বলে সে কাঠের টুকরাটি পানিতে ফেলে দিল। আল্লাহর ইচ্ছায় তা সমুদ্রে ভাসতে লাগল। এদিকে ঋণদাতা আশা নিয়ে নদীর তীরে এসে পৌঁছাল, এই ভেবে যে হয়তো তার প্রাপ্য কোনো নৌযানে করে এসেছে। হঠাৎ তার নজরে পড়ল ওই কাঠের টুকরাটি। নিজের পরিবারের রান্নার লাকড়ি হিসেবে সে এটি উঠিয়ে নিল। ঘরে এনে যখন একটি কুঠার দিয়ে এটি চিরল, তখন তার মধ্যে রাখা স্বর্ণমুদ্রাগুলো এবং পত্রটি পেয়ে গেল।
কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে এসে হাজির হয়ে বলল, ‘শপথ আল্লাহর! আপনার সম্পদ যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমি সব সময় নৌযান খুঁজেছিলাম, কিন্তু কোনো নৌযান পাইনি। তাই আমার বিলম্ব হয়েছে।’
ঋণদাতা তখন বলল, ‘তুমি কি এর আগে আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে?’
লোকটি বলল, ‘আমি তোমাকে তো বলেছি যে এর আগে কোনো যানবাহন পাইনি।’
তখন ঋণদাতা বলল, ‘তুমি কাষ্ঠখণ্ডে করে যা পাঠিয়েছিলে, আল্লাহ তাআলা তা তোমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দিয়েছেন।’
এ কথা শুনে লোকটি ওই এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে অত্যন্ত খুশিমনে ফিরে এল। (সহিহ্ বুখারি: ২২৯১)
এই হাদিস থেকে আমরা শিখতে পারি যে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টাকে কতটা মূল্য দেন। যখন একজন মানুষ তার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয় এবং কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তখন আল্লাহ তাকে এমনভাবে সাহায্য করেন, যা মানবীয় বুদ্ধির কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়।
লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
পৃথিবীতে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবনের নানা প্রয়োজনে মানুষকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি একটি প্রয়োজন হলো আর্থিক আদান-প্রদান বা ঋণ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন কিংবা জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একে অপরের কাছে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামে এই ঋণ দেওয়া ও নেওয়া—উভয়কেই অত্যন্ত...
২১ আগস্ট ২০২৫একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
পৃথিবীতে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবনের নানা প্রয়োজনে মানুষকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি একটি প্রয়োজন হলো আর্থিক আদান-প্রদান বা ঋণ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন কিংবা জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একে অপরের কাছে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামে এই ঋণ দেওয়া ও নেওয়া—উভয়কেই অত্যন্ত...
২১ আগস্ট ২০২৫নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
পৃথিবীতে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবনের নানা প্রয়োজনে মানুষকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি একটি প্রয়োজন হলো আর্থিক আদান-প্রদান বা ঋণ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন কিংবা জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একে অপরের কাছে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামে এই ঋণ দেওয়া ও নেওয়া—উভয়কেই অত্যন্ত...
২১ আগস্ট ২০২৫নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১৯ ঘণ্টা আগেএ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।
তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)
এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।
কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।
কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।
অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।
লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা
পৃথিবীতে কোনো মানুষই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবনের নানা প্রয়োজনে মানুষকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি একটি প্রয়োজন হলো আর্থিক আদান-প্রদান বা ঋণ। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক প্রয়োজন কিংবা জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ একে অপরের কাছে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ইসলামে এই ঋণ দেওয়া ও নেওয়া—উভয়কেই অত্যন্ত...
২১ আগস্ট ২০২৫নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে