Ajker Patrika

সামুদ জাতির ধ্বংসের কারণ ও আমাদের শিক্ষা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সমাজের দুর্বল ও নিরীহ মানুষজন হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার। মানুষ ভুলে গেছে পরকাল, আল্লাহর ভয় এবং জাহান্নামের কঠিন আগুনকে।

যদি মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর ভয় থাকত, তবে এসব অন্যায়, অপরাধ ও জুলুম কখনো বাড়ত না। আল্লাহ তাআলা ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দিয়ে মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন, কিন্তু তবুও মানুষ শিক্ষা নিচ্ছে না। ইতিহাসের পাতায় এমন অনেক জাতি আছে, যাদেরকে আল্লাহ তাদের কৃত অন্যায় ও সীমালঙ্ঘনের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে সেই সব ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির বিবরণ এসেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল সামুদ জাতি।

প্রাচুর্য থেকে পাপে নিমজ্জিত সামুদ

একসময় পৃথিবীতে সামুদ জাতি ছিল অত্যন্ত অর্থশালী ও শক্তিশালী। তাদের সুখ-শান্তি বা প্রাচুর্যের কোনো কমতি ছিল না। তারা বড় বড় প্রাসাদ এবং পাহাড় কেটে দৃষ্টিনন্দন দালানকোঠা নির্মাণ করত। শিল্প ও নকশায় তারা ছিল অসামান্য, পাথর দিয়ে তৈরি করত সুন্দর প্রাসাদ। কিন্তু চরম প্রাচুর্য লাভ করে তারা মহান সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গেল। তারা শুরু করল পাথর পূজা, মূর্তি পূজা ও দেব-দেবীর পূজা। তাদের সমাজে অন্যায়, অপরাধ ও নির্যাতন সীমাহীনভাবে বৃদ্ধি পেল।

আদ জাতি ধ্বংস হওয়ার প্রায় ৫০০ বছর পর, আল্লাহ এই পথভ্রষ্ট সামুদ জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে তাদেরই মধ্য থেকে একজন নবী হজরত সালেহ (আ.)-কে মনোনীত করে পাঠালেন। আল্লাহ তাআলা আল-কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘আমি সামুদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর। কিন্তু তারা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হলো।’ (সুরা নামল: ৪৫)

হজরত সালেহ (আ.) সামুদ জাতিকে আল্লাহর প্রতি ইমান আনার জন্য বারবার আহ্বান জানালেও তারা মানতে অস্বীকার করল। অল্প কিছু সংখ্যক লোক ইমান আনলেও বেশির ভাগই তাঁর কথা শুনল না।

অলৌকিক উট ও জাতির চরম ঔদ্ধত্য

বারংবার দাওয়াতের জবাবে সামুদ জাতি ঔদ্ধত্য দেখাল এবং হজরত সালেহ (আ.)-কে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করল। তারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলল, যদি তিনি সত্য নবী হন, তবে একটি অলৌকিক নিদর্শন (মোজেজা) দেখান। তাদের চাহিদা ছিল: ওই পাহাড় থেকে একটি গর্ভবতী উট বেরিয়ে আসবে, তাৎক্ষণিক বাচ্চা প্রসব করবে এবং রীতিমতো দুধ পান করাবে।

আল্লাহর নির্দেশে হজরত সালেহ (আ.) তাদের কাছ থেকে ইমানের অঙ্গীকার আদায় করলেন এবং আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গেই পাহাড়ের ভেতর থেকে এক অতি সুন্দর উট বেরিয়ে এলো এবং একটি বাচ্চা প্রসব করল। এই অলৌকিক দৃশ্য দেখেও সামুদ জাতির অনেকেই তাদের ওয়াদা ভঙ্গ করল এবং ইমান আনল না।

সামুদ জাতির পানি পানের জন্য একটি কূপ ছিল, যেখান থেকে সাতটি গোত্রের সবাই পানি পান করত। অলৌকিক সেই উটটি এক দিন পুরো কূপের পানি পান করে শেষ করে দিত। আবার অন্য দিন সবাই উটটি দোহন করে মহা তৃপ্তিতে দুধ পান করত, কিন্তু উটের বাঁটের দুধ সামান্যও কমত না। হজরত সালেহ (আ.) সতর্ক করে দিলেন যে, এটি আল্লাহর বিশেষ উট, কেউ যেন একে কোনোভাবে বিরক্ত না করে, অন্যথায় কঠিন শাস্তি নেমে আসবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর হে আমার কওম, এটা হচ্ছে আল্লাহর উষ্ট্রী যা তোমাদের জন্য নিদর্শন। অতএব ওকে ছেড়ে দাও যেন আল্লাহর জমিনে চরে খায়, আর ওকে খারাপ উদ্দেশে স্পর্শ কর না, অন্যথায় তোমাদেরকে আকস্মিক শাস্তি এসে পাকড়াও করতে পারে।’ (সুরা হুদ: ৬৪)

ধ্বংসের চূড়ান্ত পরিণতি

এরপরও সামুদ জাতির ঔদ্ধত্য থামল না। একসময় কেদার ও মেসদা নামের দুই দুষ্কৃতকারী উটটিকে হত্যা করার ফন্দি আঁটল। কওমের অনেক শরাবপায়ী তাদের এই কাজে উৎসাহ দিল। উটটি যখন কূপের ধারে পানি পান করতে আসে, তখন কেদার তীর নিক্ষেপ করে তাকে আহত করে। মেসদা পেছন দিক থেকে তরবারি দিয়ে পায়ে আঘাত করে উটটিকে হত্যা করে ফেলল। এই অন্যায় কাজটিকে উপস্থিত জনতা নীরব সম্মতি দিল।

উট হত্যার খবর শুনে হজরত সালেহ (আ.) এসে কওমের লোকদের বললেন, ‘তোমরা এখন আর মাত্র তিনটি দিন দুনিয়াবি আরাম-আয়েশ করে নিতে পার। তোমাদের হায়াত আর মাত্র তিন দিন আছে।’ তিনি ধ্বংসের সুস্পষ্ট পূর্ব-নিদর্শন বর্ণনা করলেন: প্রথম দিন তাদের চেহারা সবুজ, দ্বিতীয় দিন লাল এবং তৃতীয় দিন ঘোর কালো রং ধারণ করবে।

এই নিদর্শনগুলো যখন একে একে প্রকাশ পেল, তখন উট হত্যাকারীরা ভীত হয়ে হজরত সালেহ (আ.)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাঁর ঘরে যাত্রা করল। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাদের ওপর আল্লাহর গজব এসে পড়ল। আল্লাহর নির্দেশে হজরত জিবরাইল (আ.) এমন এক প্রচণ্ড হুংকার দিলেন, যার বিকট শব্দে সামুদ জাতির সব লোক অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল এবং চিরদিনের জন্য মাটির সঙ্গে বিলীন হয়ে গেল। তাদের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট রইল না। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, ‘এইতো তাদের ঘরবাড়ি সীমা লঙ্ঘন হেতু যা জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে; এতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নামল: ৫২)

সামুদ জাতির ধ্বংসের এই কাহিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ক্ষমতা, সম্পদ বা প্রযুক্তির দম্ভে আল্লাহকে ভুলে গেলে এবং সমাজে জুলুম-অত্যাচার বাড়ালে আল্লাহর চূড়ান্ত শাস্তি অনিবার্য। বর্তমান সমাজে যারা অন্যায় ও দুর্নীতিতে ডুবে আছে, সামুদ জাতির পরিণতি থেকে তাদের শিক্ষা নেওয়া অপরিহার্য।

লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০:০০০৫: ০৮ মিনিট
ফজর০৫: ০৯ মিনিট০৬: ২৮ মিনিট
জোহর১১: ৫২ মিনিট০৩: ৩৫ মিনিট
আসর০৩: ৩৬ মিনিট০৫: ১১ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৩ মিনিট০৬: ৩১ মিনিট
এশা০৬: ৩২ মিনিট০৫: ০৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে শিশু-কিশোরকে নামাজে উৎসাহিত করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর মনোহরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করে বিশেষ পুরস্কার পেল ৩৭ জন শিশু-কিশোর। নামাজে উৎসাহিত করতে আল-ইহদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাদের প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের সাভারদিয়া ঈদগাহ মাঠে এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মনোহরদী উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সজিব।

অনুষ্ঠানে বক্তারা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ শিশু-কিশোরদের মধ্যে নামাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার কারণে এটি এলাকায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধেও অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোররা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানায়, এমন আয়োজন তাদের নিয়মিতভাবে জামাতে নামাজ আদায়ে আরও বেশি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যে দোয়া পাঠ করলে স্মরণশক্তি বাড়ে

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দোয়া ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। মুমিনের জীবনে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মুমিন তার সকল চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষার জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই হাত তোলেন।

আল্লাহর কাছে যে চায়, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং যে চায় না, তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। স্মৃতিশক্তি ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া এ বিষয়ে অত্যন্ত কার্যকরী।

রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ওহি মুখস্থ করতেন, অনেক ক্ষেত্রে তাঁর কষ্ট হতো। সেই সময় আল্লাহ তাআলা এই দোয়াটি নাজিল করেন—‘রাব্বি জিদনি ইলমা।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।’ (সুরা তোহা: ১১৪)

এই দোয়াটি নাজিল হওয়ার পর রাসুল (সা.) এটি বেশি বেশি পাঠ করা শুরু করেন। এর ফলে তিনি ওহি আয়ত্ত করে প্রশান্তি লাভ করেন। এই ছোট্ট দোয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিয়মিত পাঠ করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।

এ ছাড়া আল্লাহর কাছে নিয়মিত দোয়া, গুনাহ বর্জন, জিকির এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রখ্যাত আলেমের নামে ঢাকায় সড়কের নামকরণ

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ইতিহাসে তওবার রাজনীতির প্রবর্তক, প্রখ্যাত আলেম ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)-এর নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।

‘মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর সরণি’ নামে রাজধানীর উত্তরার কসাইবাড়ি থেকে কাঁচকুড়া বাজার পর্যন্ত উন্নয়ন করা সড়কটির নামকরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সড়কের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের যে ভূমিকা, হাফেজ্জী হুজুর ছিলেন তার অগ্রদূত। একসময় আলেম-ওলামারা শুধু দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলেম সমাজকে যুক্ত করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাফেজ্জী হুজুর দেশের সব আলেম-ওলামার কাছেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তাঁর অবদান স্মরণ করেই সড়কটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আজমপুর থেকে কলোনি পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণমুখী প্রধান সড়কটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের নামে নামকরণ করা হবে।’

এ সময় হাফেজ্জী হুজুরের নাতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে বাংলাদেশ এলডিপির সেলিম, প্রার্থী হবেন ধানের শীষের

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত