ইসলাম ডেস্ক
হিজরি সনের একাদশ মাস জিলকদ। কোরআনে বর্ণিত সম্মানিত চার মাসের একটি। আরবি ‘জুলকাআদাহ’ শব্দ থেকেই জিলকদ শব্দটি এসেছে। এর অর্থ বসা, বিশ্রাম নেওয়া ইত্যাদি। রমজান ও ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা ও কোরবানির মাঝে নির্দিষ্ট কোনো আবশ্যক ইবাদত নেই বলে এটিকে জিলকদ বা বিশ্রামের মাস বলা হয়। তবে হাদিসে বর্ণিত বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে মাসটি জীবন্ত করে রাখা মুমিনের একান্ত কর্তব্য। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখনই অবসর পাও,, দাঁড়িয়ে যাও; তোমার পালনকর্তার ইবাদতে মশগুল হও।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৭-৮)
অবসরকে হেলায় নষ্ট না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এটি মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সময়ের কসম, নিশ্চয়ই সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; তবে তারা নয়, যারা ইমান আনে, সৎকর্ম করে, সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উৎসাহ প্রদান করে।’ (সুরা আসর: ১-৩) অবসরকে কাজে লাগানোর নির্দেশনা দিয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, পাঁচটি বিষয়ের আগে পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দাও—ব্যস্ততার আগে অবসরকে, অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে, দারিদ্র্যের আগে প্রাচুর্যকে, বার্ধক্যের আগে যৌবনকে এবং মৃত্যুর আগে জীবনকে।’ (মুসলিম)
তাই এই মাসে কাজা নামাজ, কাজা রোজা, অনাদায়কৃত জাকাত ইত্যাদি আদায়ের প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে। নিয়মিত আদায়যোগ্য নফল ইবাদতগুলো গুরুত্ব দিয়ে পালন করতে হবে। সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবারের নফল রোজা পালনের ফজিলত অনেক। চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজের রোজা রাখার কথাও হাদিসে এসেছে। এ ছাড়া অন্যান্য সুন্নত ও নফল নামাজ যেমন—তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত, আওয়াবিন ও সালাতুত তাসবিহ বেশি বেশি আদায় করা উচিত। বিশেষ করে এই মাসে হজ ও কোরবানির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং এ বিষয়ক বিধিবিধান জেনে নেওয়া মুমিনের জন্য আবশ্যক।
হিজরি সনের একাদশ মাস জিলকদ। কোরআনে বর্ণিত সম্মানিত চার মাসের একটি। আরবি ‘জুলকাআদাহ’ শব্দ থেকেই জিলকদ শব্দটি এসেছে। এর অর্থ বসা, বিশ্রাম নেওয়া ইত্যাদি। রমজান ও ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা ও কোরবানির মাঝে নির্দিষ্ট কোনো আবশ্যক ইবাদত নেই বলে এটিকে জিলকদ বা বিশ্রামের মাস বলা হয়। তবে হাদিসে বর্ণিত বিভিন্ন নফল ইবাদতের মাধ্যমে মাসটি জীবন্ত করে রাখা মুমিনের একান্ত কর্তব্য। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখনই অবসর পাও,, দাঁড়িয়ে যাও; তোমার পালনকর্তার ইবাদতে মশগুল হও।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৭-৮)
অবসরকে হেলায় নষ্ট না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এটি মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সময়ের কসম, নিশ্চয়ই সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; তবে তারা নয়, যারা ইমান আনে, সৎকর্ম করে, সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উৎসাহ প্রদান করে।’ (সুরা আসর: ১-৩) অবসরকে কাজে লাগানোর নির্দেশনা দিয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, পাঁচটি বিষয়ের আগে পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দাও—ব্যস্ততার আগে অবসরকে, অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে, দারিদ্র্যের আগে প্রাচুর্যকে, বার্ধক্যের আগে যৌবনকে এবং মৃত্যুর আগে জীবনকে।’ (মুসলিম)
তাই এই মাসে কাজা নামাজ, কাজা রোজা, অনাদায়কৃত জাকাত ইত্যাদি আদায়ের প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে। নিয়মিত আদায়যোগ্য নফল ইবাদতগুলো গুরুত্ব দিয়ে পালন করতে হবে। সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবারের নফল রোজা পালনের ফজিলত অনেক। চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজের রোজা রাখার কথাও হাদিসে এসেছে। এ ছাড়া অন্যান্য সুন্নত ও নফল নামাজ যেমন—তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত, আওয়াবিন ও সালাতুত তাসবিহ বেশি বেশি আদায় করা উচিত। বিশেষ করে এই মাসে হজ ও কোরবানির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং এ বিষয়ক বিধিবিধান জেনে নেওয়া মুমিনের জন্য আবশ্যক।
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
১২ ঘণ্টা আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
১ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
২ দিন আগেইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উচিত।
৩ দিন আগে