ইসমাঈল সিদ্দিক
১৬ ডিসেম্বর আমাদের জীবনে তাৎপর্যমণ্ডিত একটি দিন। এই দিনে আমাদের বিজয়ের রক্তিম সূর্য উদিত হয়েছে। বাঙালি পেয়েছে তাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। একজন মুমিন আল্লাহর এই মহান নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা হিসেবে কী কী আমল করতে পারেন, তা এখানে আলোচনা করা হলো।
এক. আল্লাহর প্রশংসা, কৃতজ্ঞতা ও পবিত্রতার কথা বর্ণনা করা এবং তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে ইসলামে প্রবেশ করতে দেখবে, তখন স্বীয় পরওয়ারদিগারের প্রশংসার সঙ্গে তাসবিহ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
দুই. বিজয়ে অহংকার নয়; বিনয় প্রদর্শনই নবীজির শিক্ষা। দীর্ঘ ১০ বছর পর ১০ হাজার সাহাবায়ে কেরামের বিশাল বহর নিয়ে যখন তিনি পবিত্র মক্কায় গিয়েছিলেন, তখন তিনি গর্ব-অহংকার করেননি; বরং একটি উটনির ওপর আরোহণ করে মাটির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে খুবই বিনয়ের সঙ্গে মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন।
তিন. বিজয়ের কৃতজ্ঞতা হিসেবে নামাজ আদায় করা উচিত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মক্কা বিজয়ের দিন সেখানে পৌঁছার পর নবী (সা.) কাবাঘরে প্রবেশ করে মহান আল্লাহর দরবারে সিজদায় লুটিয়ে পড়েন। তিনি দীর্ঘক্ষণ সেখানে অবস্থান করেন, নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। (বুখারি: ২৯৮৮)
চার. প্রতিপক্ষকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। মক্কা বিজয়ের পর নবী (সা.) কোরাইশ সম্প্রদায়কে বলেন, ‘আমি আজ তোমাদের সবার জন্য হজরত ইউসুফ (আ.)-এর মতো সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলাম। যাও, তোমাদের থেকে কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে না।’ (বায়হাকি: ৯/১১৮)
পাঁচ. শহীদদের জন্য দোয়া করা এবং ইসালে সওয়াবের ব্যবস্থা করা উচিত। হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যে মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহরও কৃতজ্ঞ হয় না।’ (তিরমিজি: ১৯৫৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
১৬ ডিসেম্বর আমাদের জীবনে তাৎপর্যমণ্ডিত একটি দিন। এই দিনে আমাদের বিজয়ের রক্তিম সূর্য উদিত হয়েছে। বাঙালি পেয়েছে তাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। একজন মুমিন আল্লাহর এই মহান নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা হিসেবে কী কী আমল করতে পারেন, তা এখানে আলোচনা করা হলো।
এক. আল্লাহর প্রশংসা, কৃতজ্ঞতা ও পবিত্রতার কথা বর্ণনা করা এবং তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে মানুষকে ইসলামে প্রবেশ করতে দেখবে, তখন স্বীয় পরওয়ারদিগারের প্রশংসার সঙ্গে তাসবিহ পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন।’ (সুরা নাসর: ১-৩)
দুই. বিজয়ে অহংকার নয়; বিনয় প্রদর্শনই নবীজির শিক্ষা। দীর্ঘ ১০ বছর পর ১০ হাজার সাহাবায়ে কেরামের বিশাল বহর নিয়ে যখন তিনি পবিত্র মক্কায় গিয়েছিলেন, তখন তিনি গর্ব-অহংকার করেননি; বরং একটি উটনির ওপর আরোহণ করে মাটির দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে খুবই বিনয়ের সঙ্গে মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন।
তিন. বিজয়ের কৃতজ্ঞতা হিসেবে নামাজ আদায় করা উচিত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মক্কা বিজয়ের দিন সেখানে পৌঁছার পর নবী (সা.) কাবাঘরে প্রবেশ করে মহান আল্লাহর দরবারে সিজদায় লুটিয়ে পড়েন। তিনি দীর্ঘক্ষণ সেখানে অবস্থান করেন, নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। (বুখারি: ২৯৮৮)
চার. প্রতিপক্ষকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। মক্কা বিজয়ের পর নবী (সা.) কোরাইশ সম্প্রদায়কে বলেন, ‘আমি আজ তোমাদের সবার জন্য হজরত ইউসুফ (আ.)-এর মতো সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলাম। যাও, তোমাদের থেকে কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে না।’ (বায়হাকি: ৯/১১৮)
পাঁচ. শহীদদের জন্য দোয়া করা এবং ইসালে সওয়াবের ব্যবস্থা করা উচিত। হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘যে মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহরও কৃতজ্ঞ হয় না।’ (তিরমিজি: ১৯৫৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিয়ের বর-কনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, বিয়েতে কারও পছন্দের ব্যাপারে মানুষ চারটি বিষয় দেখে। যথা—সম্পদ, আভিজাত্য, সৌন্দর্য এবং খোদাভীতি। এর মধ্যে ভাগ্যবান এবং শ্রেষ্ঠ সে, যে একজন ধার্মিক মেয়েকে বিয়ে করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষকে আরও সতর্ক করে দেন...
২ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
১ দিন আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
১ দিন আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
১ দিন আগে