রায়হান রাশেদ
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২০ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা নামলের ৬০ থেকে সুরা কাসাস ও সুরা আনকাবুতের ১ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু পরবর্তী জীবন, রিজিক, দুই নদীর মাঝখানে পার্থক্যরেখা, মুসা (আ.) ও ফেরাউনের কাহিনি, কারুনের ঘটনা, মুসলমানদের দুঃখ-কষ্ট, সত্য-মিথ্যার পার্থক্যসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
দুই নদীর পানি একসঙ্গে মিশে না
আল্লাহ তাআলা পানি থেকে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। পানির উৎস সাগর, নদ-নদী বা জলাধার। ভূপৃষ্ঠের তিন ভাগের দুই ভাগই সাগরের পানিতে ঢাকা। এখানে আছে সাগর-মহাসাগর, নদী-নালা, খাল-বিল। এক সাগরের সঙ্গে লেগে আছে আরেক সাগর, নদীর সঙ্গে নদী। কিন্তু দুই সাগরের পানি একসঙ্গে মিশে না। নদী ও সাগরের মিষ্টি ও লবণাক্ত পানি একত্রে মিশ্রণ হয় না। এটা আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সেই সত্তা, যিনি দুই সাগরের মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা নামল: ৬১)
ঘটনায় গাঁথা সুরা কাসাস
সুরা কাসাস মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৮৮। কোরআনের ২৮ তম সুরা এটি। কাসাস অর্থ ধারাবাহিকভাবে ঘটনার বর্ণনা। এ সুরায় বিস্তারিতভাবে মুসা (আ.)-এর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, তাই এটিকে সুরা কাসাস বলা হয়।
ফেরাউনের প্রাসাদে মুসা (সা.)-এর বেড়ে ওঠার কাহিনি
সুরা কাসাসের ৩ থেকে ৫০ নম্বর আয়াতে মুসা (আ.)-এর জন্মের সময় ফেরাউন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বনি ইসরাইলের সব পুত্র সন্তানকে হত্যার নির্দেশ, তাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা, শিশু মুসাকে আল্লাহর আদেশে বাক্সে ভরে দরিয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া, ভাসমান বাক্সের পেছনে মুসার বোনের ছোটাছুটি, ফেরাউনের লোক কর্তৃক বাক্স ওঠানো, শত্রুর ঘরে অথচ মায়ের দুধে তাঁর লালন-পালন, যৌবনে পদার্পণ, মুসার হাতে জনৈক কিবতির হত্যা, ফেরাউন কর্তৃক মুসাকে হত্যার নির্দেশ, এক ব্যক্তির পরামর্শে শহর ছেড়ে মাদায়েনে গমন, কূপ থেকে জন্তুকে পানি খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে শুআইব (আ.)-এর মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, আট থেকে দশ বছর শুআইব (আ.)-এর ঘরে কাজ করা, তাঁর কন্যার সঙ্গে বিয়ে, নবুওয়ত ও মোজেজা লাভ, হারুন (আ.)-এর নবী হওয়ার প্রেক্ষাপট এবং মুসার বিরোধিতার জন্য ফেরাউনের নির্দেশে হামান কর্তৃক প্রাসাদ তৈরি, ফেরাউন ও তার দলবলের পরিণতি ইত্যাদি বিষয়ের কথা বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে।
সম্পদের অহংকার ধ্বংস করে কারুনকে
সুরা কাসাসের ৭৬ থেকে ৮২ নম্বর আয়াতে সম্পদশালী কারুনের দম্ভ, অবাধ্যতা ও ধ্বংসের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। বাইবেল ও তালমুদে কারুনের নাম পাওয়া যায় কোরহ। তাফসিরে তাবারিতে আছে, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসের (রা.) মতে, ‘কারুন ছিল মুসা (আ.)-এর চাচাতো ভাই। মুসা (আ.) বনি ইসরাইলের এক অঞ্চলের নেতৃত্ব দিতেন এবং কারুন নেতৃত্ব দিত অন্য অঞ্চলের।’
কারুনের ছিল অঢেল সম্পত্তি। তার ধনভান্ডারের চাবিগুলো বহন করা একদল শক্তিশালী বাহিনীর পক্ষে ছিল কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সম্পদের প্রাচুর্য তাকে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছিল। সে অহংকার করত। কাউকে দান করত না। মুসা (আ.) তাকে বোঝালেন। আল্লাহর ভয় দেখালেন। আখেরাতের কথা বললেন। মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র হতে বললেন। কাজ হয়নি। কিন্তু অবশেষে আল্লাহ তাআলা কারুনকে তার বাড়িঘরসহ জমিনে ধসিয়ে দেন।
মিসরের ফায়ুম শহরে ‘কারুন হ্রদ’ নামে একটি স্থান রয়েছে। রাজধানী কায়রো থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখন লোকে চেনে ‘বিরকেত কারুন’ নামে।
সুরা আনকাবুতে মাকড়সার জালের উদাহরণ
সুরা আনকাবুত মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৬৯। কোরআনের ২৯ তম সুরা এটি। সুরার অনেকাংশে বর্ণিত হয়েছে পূর্ববর্তী জাতিদের অবিশ্বাস, অবাধ্যতা ও ধ্বংসের কাহিনি। শেষে দেওয়া হয়েছে মুসলমানদের সান্ত্বনা। মুসলমানেরা তখন মক্কায়। প্রতিনিয়ত তাঁরা কাফেরদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাঁরা ঘাবড়ে যান। ভয় পেয়ে বসেন। ‘মুমিনদের পরীক্ষা করা আল্লাহর প্রাচীন রীতির কথা’ আল্লাহ এ সুরার জানিয়ে দেন। পূর্ববর্তী বিশ্বাসী মুসলমানদের কষ্ট ও ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে নুহ (আ.), ইবরাহিম (আ.), লুত (আ.), শুয়াইব (আ.)-এর উদাহরণ দেন। আদ ও সামুদ জাতি, কারুন, ফেরাউন ও হামানদের ধ্বংসের কাহিনি উল্লেখ করেন।
নবী-রাসুলরাও একত্ববাদের দাওয়াত দিতে গিয়ে কষ্ট করেছেন। জীবন দিয়েছেন। এদিকে পৃথিবীর শক্তিশালী জাতি ও ব্যক্তি—যারা আল্লাহর অবাধ্যতা করেছে, কেউই বাঁচতে পারেনি। আল্লাহর আজাব থেকে তাদের কেউ রক্ষা করতে পারেনি। এমনকি তাদের কথিত প্রভুরাও। আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেছে, তাদের দৃষ্টান্ত হলো মাকড়সার মতো। সে ঘর বানায়, আর ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই সবচেয়ে দুর্বল; যদি তারা জানত।’ (সুরা আনকাবুত: ৪১)
এ ছাড়া আজকের তারাবির অংশে আল্লাহর কুদরত, আসমান-জমিন সৃষ্টি, সবুজ-শ্যামল বাগান সৃষ্টি, মিঠা পানি ও লবণাক্ত পানির দরিয়া, কোরআন আঁকড়ে ধরা, হেদায়ত আল্লাহর হাতে, আল্লাহর ক্ষমতা, ইমানদারের পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২০ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা নামলের ৬০ থেকে সুরা কাসাস ও সুরা আনকাবুতের ১ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে মৃত্যু পরবর্তী জীবন, রিজিক, দুই নদীর মাঝখানে পার্থক্যরেখা, মুসা (আ.) ও ফেরাউনের কাহিনি, কারুনের ঘটনা, মুসলমানদের দুঃখ-কষ্ট, সত্য-মিথ্যার পার্থক্যসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
দুই নদীর পানি একসঙ্গে মিশে না
আল্লাহ তাআলা পানি থেকে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। পানির উৎস সাগর, নদ-নদী বা জলাধার। ভূপৃষ্ঠের তিন ভাগের দুই ভাগই সাগরের পানিতে ঢাকা। এখানে আছে সাগর-মহাসাগর, নদী-নালা, খাল-বিল। এক সাগরের সঙ্গে লেগে আছে আরেক সাগর, নদীর সঙ্গে নদী। কিন্তু দুই সাগরের পানি একসঙ্গে মিশে না। নদী ও সাগরের মিষ্টি ও লবণাক্ত পানি একত্রে মিশ্রণ হয় না। এটা আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সেই সত্তা, যিনি দুই সাগরের মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা নামল: ৬১)
ঘটনায় গাঁথা সুরা কাসাস
সুরা কাসাস মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৮৮। কোরআনের ২৮ তম সুরা এটি। কাসাস অর্থ ধারাবাহিকভাবে ঘটনার বর্ণনা। এ সুরায় বিস্তারিতভাবে মুসা (আ.)-এর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, তাই এটিকে সুরা কাসাস বলা হয়।
ফেরাউনের প্রাসাদে মুসা (সা.)-এর বেড়ে ওঠার কাহিনি
সুরা কাসাসের ৩ থেকে ৫০ নম্বর আয়াতে মুসা (আ.)-এর জন্মের সময় ফেরাউন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বনি ইসরাইলের সব পুত্র সন্তানকে হত্যার নির্দেশ, তাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা, শিশু মুসাকে আল্লাহর আদেশে বাক্সে ভরে দরিয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া, ভাসমান বাক্সের পেছনে মুসার বোনের ছোটাছুটি, ফেরাউনের লোক কর্তৃক বাক্স ওঠানো, শত্রুর ঘরে অথচ মায়ের দুধে তাঁর লালন-পালন, যৌবনে পদার্পণ, মুসার হাতে জনৈক কিবতির হত্যা, ফেরাউন কর্তৃক মুসাকে হত্যার নির্দেশ, এক ব্যক্তির পরামর্শে শহর ছেড়ে মাদায়েনে গমন, কূপ থেকে জন্তুকে পানি খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে শুআইব (আ.)-এর মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, আট থেকে দশ বছর শুআইব (আ.)-এর ঘরে কাজ করা, তাঁর কন্যার সঙ্গে বিয়ে, নবুওয়ত ও মোজেজা লাভ, হারুন (আ.)-এর নবী হওয়ার প্রেক্ষাপট এবং মুসার বিরোধিতার জন্য ফেরাউনের নির্দেশে হামান কর্তৃক প্রাসাদ তৈরি, ফেরাউন ও তার দলবলের পরিণতি ইত্যাদি বিষয়ের কথা বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে।
সম্পদের অহংকার ধ্বংস করে কারুনকে
সুরা কাসাসের ৭৬ থেকে ৮২ নম্বর আয়াতে সম্পদশালী কারুনের দম্ভ, অবাধ্যতা ও ধ্বংসের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। বাইবেল ও তালমুদে কারুনের নাম পাওয়া যায় কোরহ। তাফসিরে তাবারিতে আছে, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসের (রা.) মতে, ‘কারুন ছিল মুসা (আ.)-এর চাচাতো ভাই। মুসা (আ.) বনি ইসরাইলের এক অঞ্চলের নেতৃত্ব দিতেন এবং কারুন নেতৃত্ব দিত অন্য অঞ্চলের।’
কারুনের ছিল অঢেল সম্পত্তি। তার ধনভান্ডারের চাবিগুলো বহন করা একদল শক্তিশালী বাহিনীর পক্ষে ছিল কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সম্পদের প্রাচুর্য তাকে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছিল। সে অহংকার করত। কাউকে দান করত না। মুসা (আ.) তাকে বোঝালেন। আল্লাহর ভয় দেখালেন। আখেরাতের কথা বললেন। মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র হতে বললেন। কাজ হয়নি। কিন্তু অবশেষে আল্লাহ তাআলা কারুনকে তার বাড়িঘরসহ জমিনে ধসিয়ে দেন।
মিসরের ফায়ুম শহরে ‘কারুন হ্রদ’ নামে একটি স্থান রয়েছে। রাজধানী কায়রো থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখন লোকে চেনে ‘বিরকেত কারুন’ নামে।
সুরা আনকাবুতে মাকড়সার জালের উদাহরণ
সুরা আনকাবুত মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৬৯। কোরআনের ২৯ তম সুরা এটি। সুরার অনেকাংশে বর্ণিত হয়েছে পূর্ববর্তী জাতিদের অবিশ্বাস, অবাধ্যতা ও ধ্বংসের কাহিনি। শেষে দেওয়া হয়েছে মুসলমানদের সান্ত্বনা। মুসলমানেরা তখন মক্কায়। প্রতিনিয়ত তাঁরা কাফেরদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাঁরা ঘাবড়ে যান। ভয় পেয়ে বসেন। ‘মুমিনদের পরীক্ষা করা আল্লাহর প্রাচীন রীতির কথা’ আল্লাহ এ সুরার জানিয়ে দেন। পূর্ববর্তী বিশ্বাসী মুসলমানদের কষ্ট ও ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে নুহ (আ.), ইবরাহিম (আ.), লুত (আ.), শুয়াইব (আ.)-এর উদাহরণ দেন। আদ ও সামুদ জাতি, কারুন, ফেরাউন ও হামানদের ধ্বংসের কাহিনি উল্লেখ করেন।
নবী-রাসুলরাও একত্ববাদের দাওয়াত দিতে গিয়ে কষ্ট করেছেন। জীবন দিয়েছেন। এদিকে পৃথিবীর শক্তিশালী জাতি ও ব্যক্তি—যারা আল্লাহর অবাধ্যতা করেছে, কেউই বাঁচতে পারেনি। আল্লাহর আজাব থেকে তাদের কেউ রক্ষা করতে পারেনি। এমনকি তাদের কথিত প্রভুরাও। আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেছে, তাদের দৃষ্টান্ত হলো মাকড়সার মতো। সে ঘর বানায়, আর ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই সবচেয়ে দুর্বল; যদি তারা জানত।’ (সুরা আনকাবুত: ৪১)
এ ছাড়া আজকের তারাবির অংশে আল্লাহর কুদরত, আসমান-জমিন সৃষ্টি, সবুজ-শ্যামল বাগান সৃষ্টি, মিঠা পানি ও লবণাক্ত পানির দরিয়া, কোরআন আঁকড়ে ধরা, হেদায়ত আল্লাহর হাতে, আল্লাহর ক্ষমতা, ইমানদারের পরীক্ষা ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
সর্বশেষ নাজিল হওয়া আসমানি গ্রন্থ পবিত্র কোরআন। বিশ্বমানবের হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে এর আগমন। ইসলামের অনুপম নিদর্শন এবং চিরসত্যের ঐশী বাণী। যার তিলাওয়াত মনে প্রশান্তি আনে। অন্তরে রবের প্রকৃত ভালোবাসা এবং অফুরান তৃপ্তির অনুভূতি জাগায়। ইমান সতেজ ও সবল করে।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলামি শরিয়তে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, নৈতিক উন্নয়ন, পারলৌকিক ও পার্থিব কল্যাণ, উত্তম গুণাবলি, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ নৈতিকতা গড়ে তোলার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ...
২১ ঘণ্টা আগেরাগ মানুষের একটি মন্দ স্বভাব—যা মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। অতিরিক্ত রাগ মানুষের বিবেক বোধকে নষ্ট করে দেয়, স্মৃতিশক্তি লোপ করে এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। তাই ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১ দিন আগে