ইসলাম ডেস্ক
আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়। এই লুটতরাজ ও গণহত্যার ঘটনা উসমানি সালতানাতের জাতীয় সংকট কিছুটা প্রকট করে তুলেছিল।
উসমানি আমলে সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, সাইপ্রাস, জর্ডান ও এশিয়া মাইনর অঞ্চলের হজযাত্রীরা প্রথমে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে জড়ো হতেন। এরপর সেখান থেকে একজন আমিরুল হজ তথা হজপ্রধানের নেতৃত্বে রসদপত্র নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেন। কাফেলা সশস্ত্র সেনাদের কড়া পাহারায় দীর্ঘ মরুপথ পাড়ি দিত। বেদুইনদের রাহাজানি-লুটতরাজের ভয়েই সৈন্যদের সঙ্গে নেওয়া হতো। কাফেলায় আক্রমণ তখন অভাবী বেদুইনদের উপার্জনের বড় উৎসে পরিণত হয়েছিল। আক্রমণ থেকে বাঁচতে দামেস্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের একটি বড় অংশ সাধারণত বেদুইন গোত্রগুলোকে চাঁদা হিসেবে দিতে হতো। নিরাপদে কাফেলা যেতে দেওয়ার শর্তে যাওয়ার সময় অর্ধেক এবং আসার সময় অর্ধেক অর্থ আদায় করার নিয়ম ছিল। এরপরও অনেক বেদুইন গোত্র কাফেলা লুট করত।
১৭৫৭ সালে দামেস্কের গভর্নর হুসাইন পাশা ইবনে আলির নেতৃত্বে হজ কাফেলা কোনো ঝামেলা ছাড়াই মক্কায় পৌঁছেছিল। তবে ফেরার পথে সেনাদের অগ্রবর্তী দল জর্ডানের কাতরানা এলাকায় পৌঁছালে বনি সাখর গোত্রের আক্রমণের শিকার হয় এবং ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। কমান্ডার মুসা পাশা আহত হয়ে কয়েক দিন পর মারা যান। পালিয়ে যাওয়া সৈন্যদের কয়েকজন দামেস্কে খবর পৌঁছায়। তাবুকে অবস্থান করা মূল কাফেলার নিরাপত্তা দিতে দামেস্ক থেকে একটি সৈন্যদলও পাঠানো হয়। তবে সেই দলও বেদুইনদের আক্রমণের শিকার হয়। আমিরুল হজ হুসাইন পাশার কানে এই খবর পৌঁছলে তিনি কিছুটা সতর্ক হন এবং শেখ কাদান গোত্রের কাছে আশ্রয় চেয়েও ব্যর্থ হন।
এদিকে বনি সখর ও তাদের মিত্র বেদুইন গোত্রগুলো কাফেলা লুট করার জন্য অধীর আগ্রহে বসে ছিল। এসব খবর জেনেও গভর্নর হুসাইন পাশা কাফেলা নিয়ে তাবুক ত্যাগ করে দামেস্কের পথে পা বাড়ান। তাবুক থেকে যাত্রার তৃতীয় দিনে, বর্তমান সৌদি আরব ও জর্ডানের সীমান্তবর্তী তাবুক-মাআনের রাস্তায় কাফেলা তুমুল আক্রমণের শিকার হয়। অসংখ্য হজযাত্রী মারা পড়েন। বেদুইনেরা কাফেলার রসদপত্র লুট করে নিয়ে যায়, যার মধ্যে উসমানি সুলতানের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ পালকি ‘মাহমাল’ও ছিল। বলা হয়, এই আক্রমণে প্রায় ২০ হাজার হজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। খোদ সুলতানের বোনও নিহতদের তালিকায় ছিলেন। হুসাইন পাশা বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে এরপর কোনো দিন তিনি আর দামেস্কে ফেরেননি।
এমন নৃশংস হামলা, লুণ্ঠন ও হত্যায় উসমানি সাম্রাজ্যে হইচই পড়ে যায়। উসমানি শাসনের প্রতি মানুষের মনে অনাস্থার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা ঘটেছিল ১৭৫৭ সালের সেপ্টেম্বরে। অক্টোবরে সুলতান তৃতীয় ওসমান মারা যান এবং সুলতান তৃতীয় মুস্তফা ইস্তাম্বুলের সিংহাসনে বসেন। তিনি কয়েকজন গভর্নরকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে শাস্তি দিয়েছিলেন এবং হুসাইন পাশাকে সব পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। এ ছাড়া এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ইস্তাম্বুলের রাজপ্রাসাদের সামনে তাঁদের দ্বিখণ্ডিত মাথা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। হামলাকারী বেদুইন গোত্রগুলোকেও চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। উসমানি সুলতানের নির্দেশে তাদের ওপর ব্যাপক প্রতিশোধমূলক আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। এতে অনেক লোক মারা পড়ে।
আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়। এই লুটতরাজ ও গণহত্যার ঘটনা উসমানি সালতানাতের জাতীয় সংকট কিছুটা প্রকট করে তুলেছিল।
উসমানি আমলে সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, সাইপ্রাস, জর্ডান ও এশিয়া মাইনর অঞ্চলের হজযাত্রীরা প্রথমে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে জড়ো হতেন। এরপর সেখান থেকে একজন আমিরুল হজ তথা হজপ্রধানের নেতৃত্বে রসদপত্র নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেন। কাফেলা সশস্ত্র সেনাদের কড়া পাহারায় দীর্ঘ মরুপথ পাড়ি দিত। বেদুইনদের রাহাজানি-লুটতরাজের ভয়েই সৈন্যদের সঙ্গে নেওয়া হতো। কাফেলায় আক্রমণ তখন অভাবী বেদুইনদের উপার্জনের বড় উৎসে পরিণত হয়েছিল। আক্রমণ থেকে বাঁচতে দামেস্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের একটি বড় অংশ সাধারণত বেদুইন গোত্রগুলোকে চাঁদা হিসেবে দিতে হতো। নিরাপদে কাফেলা যেতে দেওয়ার শর্তে যাওয়ার সময় অর্ধেক এবং আসার সময় অর্ধেক অর্থ আদায় করার নিয়ম ছিল। এরপরও অনেক বেদুইন গোত্র কাফেলা লুট করত।
১৭৫৭ সালে দামেস্কের গভর্নর হুসাইন পাশা ইবনে আলির নেতৃত্বে হজ কাফেলা কোনো ঝামেলা ছাড়াই মক্কায় পৌঁছেছিল। তবে ফেরার পথে সেনাদের অগ্রবর্তী দল জর্ডানের কাতরানা এলাকায় পৌঁছালে বনি সাখর গোত্রের আক্রমণের শিকার হয় এবং ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। কমান্ডার মুসা পাশা আহত হয়ে কয়েক দিন পর মারা যান। পালিয়ে যাওয়া সৈন্যদের কয়েকজন দামেস্কে খবর পৌঁছায়। তাবুকে অবস্থান করা মূল কাফেলার নিরাপত্তা দিতে দামেস্ক থেকে একটি সৈন্যদলও পাঠানো হয়। তবে সেই দলও বেদুইনদের আক্রমণের শিকার হয়। আমিরুল হজ হুসাইন পাশার কানে এই খবর পৌঁছলে তিনি কিছুটা সতর্ক হন এবং শেখ কাদান গোত্রের কাছে আশ্রয় চেয়েও ব্যর্থ হন।
এদিকে বনি সখর ও তাদের মিত্র বেদুইন গোত্রগুলো কাফেলা লুট করার জন্য অধীর আগ্রহে বসে ছিল। এসব খবর জেনেও গভর্নর হুসাইন পাশা কাফেলা নিয়ে তাবুক ত্যাগ করে দামেস্কের পথে পা বাড়ান। তাবুক থেকে যাত্রার তৃতীয় দিনে, বর্তমান সৌদি আরব ও জর্ডানের সীমান্তবর্তী তাবুক-মাআনের রাস্তায় কাফেলা তুমুল আক্রমণের শিকার হয়। অসংখ্য হজযাত্রী মারা পড়েন। বেদুইনেরা কাফেলার রসদপত্র লুট করে নিয়ে যায়, যার মধ্যে উসমানি সুলতানের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ পালকি ‘মাহমাল’ও ছিল। বলা হয়, এই আক্রমণে প্রায় ২০ হাজার হজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। খোদ সুলতানের বোনও নিহতদের তালিকায় ছিলেন। হুসাইন পাশা বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে এরপর কোনো দিন তিনি আর দামেস্কে ফেরেননি।
এমন নৃশংস হামলা, লুণ্ঠন ও হত্যায় উসমানি সাম্রাজ্যে হইচই পড়ে যায়। উসমানি শাসনের প্রতি মানুষের মনে অনাস্থার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা ঘটেছিল ১৭৫৭ সালের সেপ্টেম্বরে। অক্টোবরে সুলতান তৃতীয় ওসমান মারা যান এবং সুলতান তৃতীয় মুস্তফা ইস্তাম্বুলের সিংহাসনে বসেন। তিনি কয়েকজন গভর্নরকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে শাস্তি দিয়েছিলেন এবং হুসাইন পাশাকে সব পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। এ ছাড়া এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ইস্তাম্বুলের রাজপ্রাসাদের সামনে তাঁদের দ্বিখণ্ডিত মাথা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। হামলাকারী বেদুইন গোত্রগুলোকেও চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। উসমানি সুলতানের নির্দেশে তাদের ওপর ব্যাপক প্রতিশোধমূলক আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। এতে অনেক লোক মারা পড়ে।
ইসলাম ডেস্ক
আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়। এই লুটতরাজ ও গণহত্যার ঘটনা উসমানি সালতানাতের জাতীয় সংকট কিছুটা প্রকট করে তুলেছিল।
উসমানি আমলে সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, সাইপ্রাস, জর্ডান ও এশিয়া মাইনর অঞ্চলের হজযাত্রীরা প্রথমে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে জড়ো হতেন। এরপর সেখান থেকে একজন আমিরুল হজ তথা হজপ্রধানের নেতৃত্বে রসদপত্র নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেন। কাফেলা সশস্ত্র সেনাদের কড়া পাহারায় দীর্ঘ মরুপথ পাড়ি দিত। বেদুইনদের রাহাজানি-লুটতরাজের ভয়েই সৈন্যদের সঙ্গে নেওয়া হতো। কাফেলায় আক্রমণ তখন অভাবী বেদুইনদের উপার্জনের বড় উৎসে পরিণত হয়েছিল। আক্রমণ থেকে বাঁচতে দামেস্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের একটি বড় অংশ সাধারণত বেদুইন গোত্রগুলোকে চাঁদা হিসেবে দিতে হতো। নিরাপদে কাফেলা যেতে দেওয়ার শর্তে যাওয়ার সময় অর্ধেক এবং আসার সময় অর্ধেক অর্থ আদায় করার নিয়ম ছিল। এরপরও অনেক বেদুইন গোত্র কাফেলা লুট করত।
১৭৫৭ সালে দামেস্কের গভর্নর হুসাইন পাশা ইবনে আলির নেতৃত্বে হজ কাফেলা কোনো ঝামেলা ছাড়াই মক্কায় পৌঁছেছিল। তবে ফেরার পথে সেনাদের অগ্রবর্তী দল জর্ডানের কাতরানা এলাকায় পৌঁছালে বনি সাখর গোত্রের আক্রমণের শিকার হয় এবং ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। কমান্ডার মুসা পাশা আহত হয়ে কয়েক দিন পর মারা যান। পালিয়ে যাওয়া সৈন্যদের কয়েকজন দামেস্কে খবর পৌঁছায়। তাবুকে অবস্থান করা মূল কাফেলার নিরাপত্তা দিতে দামেস্ক থেকে একটি সৈন্যদলও পাঠানো হয়। তবে সেই দলও বেদুইনদের আক্রমণের শিকার হয়। আমিরুল হজ হুসাইন পাশার কানে এই খবর পৌঁছলে তিনি কিছুটা সতর্ক হন এবং শেখ কাদান গোত্রের কাছে আশ্রয় চেয়েও ব্যর্থ হন।
এদিকে বনি সখর ও তাদের মিত্র বেদুইন গোত্রগুলো কাফেলা লুট করার জন্য অধীর আগ্রহে বসে ছিল। এসব খবর জেনেও গভর্নর হুসাইন পাশা কাফেলা নিয়ে তাবুক ত্যাগ করে দামেস্কের পথে পা বাড়ান। তাবুক থেকে যাত্রার তৃতীয় দিনে, বর্তমান সৌদি আরব ও জর্ডানের সীমান্তবর্তী তাবুক-মাআনের রাস্তায় কাফেলা তুমুল আক্রমণের শিকার হয়। অসংখ্য হজযাত্রী মারা পড়েন। বেদুইনেরা কাফেলার রসদপত্র লুট করে নিয়ে যায়, যার মধ্যে উসমানি সুলতানের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ পালকি ‘মাহমাল’ও ছিল। বলা হয়, এই আক্রমণে প্রায় ২০ হাজার হজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। খোদ সুলতানের বোনও নিহতদের তালিকায় ছিলেন। হুসাইন পাশা বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে এরপর কোনো দিন তিনি আর দামেস্কে ফেরেননি।
এমন নৃশংস হামলা, লুণ্ঠন ও হত্যায় উসমানি সাম্রাজ্যে হইচই পড়ে যায়। উসমানি শাসনের প্রতি মানুষের মনে অনাস্থার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা ঘটেছিল ১৭৫৭ সালের সেপ্টেম্বরে। অক্টোবরে সুলতান তৃতীয় ওসমান মারা যান এবং সুলতান তৃতীয় মুস্তফা ইস্তাম্বুলের সিংহাসনে বসেন। তিনি কয়েকজন গভর্নরকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে শাস্তি দিয়েছিলেন এবং হুসাইন পাশাকে সব পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। এ ছাড়া এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ইস্তাম্বুলের রাজপ্রাসাদের সামনে তাঁদের দ্বিখণ্ডিত মাথা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। হামলাকারী বেদুইন গোত্রগুলোকেও চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। উসমানি সুলতানের নির্দেশে তাদের ওপর ব্যাপক প্রতিশোধমূলক আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। এতে অনেক লোক মারা পড়ে।
আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়। এই লুটতরাজ ও গণহত্যার ঘটনা উসমানি সালতানাতের জাতীয় সংকট কিছুটা প্রকট করে তুলেছিল।
উসমানি আমলে সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, সাইপ্রাস, জর্ডান ও এশিয়া মাইনর অঞ্চলের হজযাত্রীরা প্রথমে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে জড়ো হতেন। এরপর সেখান থেকে একজন আমিরুল হজ তথা হজপ্রধানের নেতৃত্বে রসদপত্র নিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেন। কাফেলা সশস্ত্র সেনাদের কড়া পাহারায় দীর্ঘ মরুপথ পাড়ি দিত। বেদুইনদের রাহাজানি-লুটতরাজের ভয়েই সৈন্যদের সঙ্গে নেওয়া হতো। কাফেলায় আক্রমণ তখন অভাবী বেদুইনদের উপার্জনের বড় উৎসে পরিণত হয়েছিল। আক্রমণ থেকে বাঁচতে দামেস্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের একটি বড় অংশ সাধারণত বেদুইন গোত্রগুলোকে চাঁদা হিসেবে দিতে হতো। নিরাপদে কাফেলা যেতে দেওয়ার শর্তে যাওয়ার সময় অর্ধেক এবং আসার সময় অর্ধেক অর্থ আদায় করার নিয়ম ছিল। এরপরও অনেক বেদুইন গোত্র কাফেলা লুট করত।
১৭৫৭ সালে দামেস্কের গভর্নর হুসাইন পাশা ইবনে আলির নেতৃত্বে হজ কাফেলা কোনো ঝামেলা ছাড়াই মক্কায় পৌঁছেছিল। তবে ফেরার পথে সেনাদের অগ্রবর্তী দল জর্ডানের কাতরানা এলাকায় পৌঁছালে বনি সাখর গোত্রের আক্রমণের শিকার হয় এবং ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। কমান্ডার মুসা পাশা আহত হয়ে কয়েক দিন পর মারা যান। পালিয়ে যাওয়া সৈন্যদের কয়েকজন দামেস্কে খবর পৌঁছায়। তাবুকে অবস্থান করা মূল কাফেলার নিরাপত্তা দিতে দামেস্ক থেকে একটি সৈন্যদলও পাঠানো হয়। তবে সেই দলও বেদুইনদের আক্রমণের শিকার হয়। আমিরুল হজ হুসাইন পাশার কানে এই খবর পৌঁছলে তিনি কিছুটা সতর্ক হন এবং শেখ কাদান গোত্রের কাছে আশ্রয় চেয়েও ব্যর্থ হন।
এদিকে বনি সখর ও তাদের মিত্র বেদুইন গোত্রগুলো কাফেলা লুট করার জন্য অধীর আগ্রহে বসে ছিল। এসব খবর জেনেও গভর্নর হুসাইন পাশা কাফেলা নিয়ে তাবুক ত্যাগ করে দামেস্কের পথে পা বাড়ান। তাবুক থেকে যাত্রার তৃতীয় দিনে, বর্তমান সৌদি আরব ও জর্ডানের সীমান্তবর্তী তাবুক-মাআনের রাস্তায় কাফেলা তুমুল আক্রমণের শিকার হয়। অসংখ্য হজযাত্রী মারা পড়েন। বেদুইনেরা কাফেলার রসদপত্র লুট করে নিয়ে যায়, যার মধ্যে উসমানি সুলতানের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ পালকি ‘মাহমাল’ও ছিল। বলা হয়, এই আক্রমণে প্রায় ২০ হাজার হজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। খোদ সুলতানের বোনও নিহতদের তালিকায় ছিলেন। হুসাইন পাশা বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে এরপর কোনো দিন তিনি আর দামেস্কে ফেরেননি।
এমন নৃশংস হামলা, লুণ্ঠন ও হত্যায় উসমানি সাম্রাজ্যে হইচই পড়ে যায়। উসমানি শাসনের প্রতি মানুষের মনে অনাস্থার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা ঘটেছিল ১৭৫৭ সালের সেপ্টেম্বরে। অক্টোবরে সুলতান তৃতীয় ওসমান মারা যান এবং সুলতান তৃতীয় মুস্তফা ইস্তাম্বুলের সিংহাসনে বসেন। তিনি কয়েকজন গভর্নরকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে শাস্তি দিয়েছিলেন এবং হুসাইন পাশাকে সব পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। এ ছাড়া এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ইস্তাম্বুলের রাজপ্রাসাদের সামনে তাঁদের দ্বিখণ্ডিত মাথা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। হামলাকারী বেদুইন গোত্রগুলোকেও চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। উসমানি সুলতানের নির্দেশে তাদের ওপর ব্যাপক প্রতিশোধমূলক আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। এতে অনেক লোক মারা পড়ে।
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেযশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
১০ ঘণ্টা আগেঅগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
২০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৬ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৮ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৯ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫০ মিনিট | ০৫: ২৬ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৮ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়।
২১ মে ২০২৩যশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
১০ ঘণ্টা আগেঅগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
২০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেরায়হান আল ইমরান
যশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
আবু হানিফা (রহ.)-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
তাঁর পুরো নাম, নুমান বিন সাবেত বিন মারজুবান আল-কুফি। তবে ‘আবু হানিফা’ উপাধিতেই বেশি পরিচিত। বর্ণনা অনুযায়ী, তৎকালীন কুফায় ‘হানিফা’ শব্দটি দোয়াত বা কলমের কালি বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। যেহেতু তিনি অধিকাংশ সময় গবেষণা ও লেখালেখিতে ব্যস্ত থাকতেন, তাই তিনি ‘আবু হানিফা’ উপাধি লাভ করেন।
তিনি ৮০ হিজরি বর্তমান ইরাকের কুফায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি তীক্ষ্ণ মেধাবী ও অধ্যবসায়ী ছিলেন। মেধা ও সাধনার সমন্বয়েই একসময় তিনি নিজেকে সময়ের শ্রেষ্ঠ ফকিহ, মুহাদ্দিস ও মুফাসসির হিসেবে গড়ে তোলেন।
হানাফি মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা
তিনি ইসলামি ফিকহ তথা আইনশাস্ত্রের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। ফিকহ গবেষণায় তাঁর গভীর যুক্তি, তীক্ষ্ণ চিন্তাশক্তি ও উপলব্ধিই একদিন তাঁকে পরিণত করে হানাফি মাজহাবের স্থপতিতে, যা আজও বিশ্বের বহু দেশে অনুসৃত।
তিনি একজন তাবেয়ি
তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ি, যা তাঁর মর্যাদাকে ফুটিয়ে তোলে। তিনি কয়েকজন উল্লেখযোগ্য সাহাবির সাক্ষাৎ পেয়ে ধন্য হোন। যাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেন, তাঁরা হলেন হজরত আনাস বিন মালিক, আবদুল্লাহ বিন হারিস, আমর বিন হুরাইস, জাবির বিন আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ বিন আবি আওফা, সাহল বিন সাদ, আবু তোফাইল, ওয়াসেলা বিন আসকা, আবদুল্লাহ বিন উনাইস, মাকিল বিন ইয়াসার, আয়েশা বিনতে আজরাদ (রা.)।
বিচারপতি পদ গ্রহণে অস্বীকৃতি
তখন ক্ষমতার মসনদে ছিলেন উমাইয়া খলিফা ইয়াজিদ বিন হুবায়রা। তিনি একদিন সময়ের শ্রেষ্ঠ ফকিহ ইমাম আবু হানিফা (রা.)-কে ডেকে পাঠান রাজপ্রসাদে। সেখানে এলে তিনি তাঁকে কুফার বিচারপতি (কাজি) হওয়ার প্রস্তাব দেন।
এ প্রস্তাব বাহ্যিকভাবে যদিও সম্মানের; কিন্তু এর পেছনে ছিল খলিফার চতুর রাজনীতি। খলিফা মনে করতেন—তিনি বিচারপতি হলে খিলাফতের ভিত মজবুত হবে, খলিফার বৈধতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু এ দায়িত্ব যে এতটা মসৃণ নয়; তা আবু হানিফা (রহ.) আগে থেকেই বুঝতে সক্ষম হোন। তাই তিনি স্পষ্টভাবে অস্বীকৃতি জানান।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর এই স্পষ্ট অস্বীকৃতিতে থমকে যায় পুরো রাজদরবার। কিন্তু শাসকের ক্রোধ থামেনি। তিনি ইমামকে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেন।
শাসকের আদেশ লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। তাই শুরু হয় মর্মান্তিক শাস্তি। প্রতিদিন ১০টি করে মোট ১০০টি বেত্রাঘাত করা হয় তাঁকে। তবু তিনি ন্যায়ের পথ থেকে একচুলও নড়েননি।
আবারও প্রস্তাব, আবারও প্রত্যাখ্যান
সময় গড়ায়। ক্ষমতায় আসেন আব্বাসি খলিফা আবু জাফর আল-মানসুর। এবার তিনিও আবু হানিফা (রহ.)-কে একই পদের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু হানিফা (রহ.) আগের মতোই দৃঢ়ভাবে নাকচ করেন এবং খলিফার রোষানলে পড়েন। খলিফা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারের জীবদ্দশায় খলিফা একদিন আবু হানিফা (রহ.)-কে ডেকে নেন এবং জিজ্ঞেস করেন, এ দায়িত্ব গ্রহণে কেন আপনি অনিচ্ছুক? তিনি জবাব দেন—আমি নিজেকে এ দায়িত্বের যোগ্য মনে করি না। তাঁর এ কথায় খলিফা ক্ষুব্ধ হন। বললেন, তুমি মিথ্যা বলছ! আবু হানিফা (রহ.) দৃঢ়ভাবে জবাব দেন, যদি আমি সত্য বলি, তবে আমি অযোগ্য; আর যদি মিথ্যা বলি, তবে আপনি একজন মিথ্যাবাদীকে বিচারপতি বানাতে চাচ্ছেন। খলিফা তাঁর এমন যুক্তিসংগত কথায় খুব বেশি ক্ষিপ্ত হন এবং তাঁকে পুনরায় কারাগারে বন্দী ও বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন।
খলিফার কথামতো বেত্রাঘাতসহ নানা নিপীড়ন শুরু হয় তাঁর ওপর। ফলে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। অতঃপর ১৫০ হিজরিতে, বন্দিদশায়ই আপন প্রভুর সান্নিধ্যে গমন করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা
সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে, তবুও সত্য বলাই শ্রেয়। সম্মান বা পদ নয়, একজন মানুষের আসল পরিচয়—তার নীতি ও আদর্শ। ক্ষমতার মোহ সবাইকে পায় না; বরং কেউ হন ব্যতিক্রম, যিনি যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকেন।
তথ্যসূত্র: উকুদুল জুমান ফি মানাকিবিল ইমাম আজম আবি হানিফা আন নুমান ও আল-খাইরাতুল হিসান ফি মানাকিবিল ইমাম আজম আবি হানিফা আন নুমান।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
যশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
আবু হানিফা (রহ.)-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
তাঁর পুরো নাম, নুমান বিন সাবেত বিন মারজুবান আল-কুফি। তবে ‘আবু হানিফা’ উপাধিতেই বেশি পরিচিত। বর্ণনা অনুযায়ী, তৎকালীন কুফায় ‘হানিফা’ শব্দটি দোয়াত বা কলমের কালি বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। যেহেতু তিনি অধিকাংশ সময় গবেষণা ও লেখালেখিতে ব্যস্ত থাকতেন, তাই তিনি ‘আবু হানিফা’ উপাধি লাভ করেন।
তিনি ৮০ হিজরি বর্তমান ইরাকের কুফায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি তীক্ষ্ণ মেধাবী ও অধ্যবসায়ী ছিলেন। মেধা ও সাধনার সমন্বয়েই একসময় তিনি নিজেকে সময়ের শ্রেষ্ঠ ফকিহ, মুহাদ্দিস ও মুফাসসির হিসেবে গড়ে তোলেন।
হানাফি মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা
তিনি ইসলামি ফিকহ তথা আইনশাস্ত্রের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। ফিকহ গবেষণায় তাঁর গভীর যুক্তি, তীক্ষ্ণ চিন্তাশক্তি ও উপলব্ধিই একদিন তাঁকে পরিণত করে হানাফি মাজহাবের স্থপতিতে, যা আজও বিশ্বের বহু দেশে অনুসৃত।
তিনি একজন তাবেয়ি
তিনি ছিলেন একজন তাবেয়ি, যা তাঁর মর্যাদাকে ফুটিয়ে তোলে। তিনি কয়েকজন উল্লেখযোগ্য সাহাবির সাক্ষাৎ পেয়ে ধন্য হোন। যাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেন, তাঁরা হলেন হজরত আনাস বিন মালিক, আবদুল্লাহ বিন হারিস, আমর বিন হুরাইস, জাবির বিন আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ বিন আবি আওফা, সাহল বিন সাদ, আবু তোফাইল, ওয়াসেলা বিন আসকা, আবদুল্লাহ বিন উনাইস, মাকিল বিন ইয়াসার, আয়েশা বিনতে আজরাদ (রা.)।
বিচারপতি পদ গ্রহণে অস্বীকৃতি
তখন ক্ষমতার মসনদে ছিলেন উমাইয়া খলিফা ইয়াজিদ বিন হুবায়রা। তিনি একদিন সময়ের শ্রেষ্ঠ ফকিহ ইমাম আবু হানিফা (রা.)-কে ডেকে পাঠান রাজপ্রসাদে। সেখানে এলে তিনি তাঁকে কুফার বিচারপতি (কাজি) হওয়ার প্রস্তাব দেন।
এ প্রস্তাব বাহ্যিকভাবে যদিও সম্মানের; কিন্তু এর পেছনে ছিল খলিফার চতুর রাজনীতি। খলিফা মনে করতেন—তিনি বিচারপতি হলে খিলাফতের ভিত মজবুত হবে, খলিফার বৈধতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু এ দায়িত্ব যে এতটা মসৃণ নয়; তা আবু হানিফা (রহ.) আগে থেকেই বুঝতে সক্ষম হোন। তাই তিনি স্পষ্টভাবে অস্বীকৃতি জানান।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর এই স্পষ্ট অস্বীকৃতিতে থমকে যায় পুরো রাজদরবার। কিন্তু শাসকের ক্রোধ থামেনি। তিনি ইমামকে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেন।
শাসকের আদেশ লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। তাই শুরু হয় মর্মান্তিক শাস্তি। প্রতিদিন ১০টি করে মোট ১০০টি বেত্রাঘাত করা হয় তাঁকে। তবু তিনি ন্যায়ের পথ থেকে একচুলও নড়েননি।
আবারও প্রস্তাব, আবারও প্রত্যাখ্যান
সময় গড়ায়। ক্ষমতায় আসেন আব্বাসি খলিফা আবু জাফর আল-মানসুর। এবার তিনিও আবু হানিফা (রহ.)-কে একই পদের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু হানিফা (রহ.) আগের মতোই দৃঢ়ভাবে নাকচ করেন এবং খলিফার রোষানলে পড়েন। খলিফা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারের জীবদ্দশায় খলিফা একদিন আবু হানিফা (রহ.)-কে ডেকে নেন এবং জিজ্ঞেস করেন, এ দায়িত্ব গ্রহণে কেন আপনি অনিচ্ছুক? তিনি জবাব দেন—আমি নিজেকে এ দায়িত্বের যোগ্য মনে করি না। তাঁর এ কথায় খলিফা ক্ষুব্ধ হন। বললেন, তুমি মিথ্যা বলছ! আবু হানিফা (রহ.) দৃঢ়ভাবে জবাব দেন, যদি আমি সত্য বলি, তবে আমি অযোগ্য; আর যদি মিথ্যা বলি, তবে আপনি একজন মিথ্যাবাদীকে বিচারপতি বানাতে চাচ্ছেন। খলিফা তাঁর এমন যুক্তিসংগত কথায় খুব বেশি ক্ষিপ্ত হন এবং তাঁকে পুনরায় কারাগারে বন্দী ও বেত্রাঘাতের নির্দেশ দেন।
খলিফার কথামতো বেত্রাঘাতসহ নানা নিপীড়ন শুরু হয় তাঁর ওপর। ফলে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। অতঃপর ১৫০ হিজরিতে, বন্দিদশায়ই আপন প্রভুর সান্নিধ্যে গমন করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা
সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে, তবুও সত্য বলাই শ্রেয়। সম্মান বা পদ নয়, একজন মানুষের আসল পরিচয়—তার নীতি ও আদর্শ। ক্ষমতার মোহ সবাইকে পায় না; বরং কেউ হন ব্যতিক্রম, যিনি যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকেন।
তথ্যসূত্র: উকুদুল জুমান ফি মানাকিবিল ইমাম আজম আবি হানিফা আন নুমান ও আল-খাইরাতুল হিসান ফি মানাকিবিল ইমাম আজম আবি হানিফা আন নুমান।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়।
২১ মে ২০২৩নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেঅগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
২০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
অগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা। এই আমলগুলো কেবল মানসিক শক্তি জোগায় না, বরং আল্লাহর রহমতে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
১. উচ্চ স্বরে তাকবির দেওয়া: অগ্নিকাণ্ড দেখলে সর্বাগ্রে যে আমলটি রয়েছে, তা হলো তাকবির দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন (উচ্চ স্বরে) তাকবির দাও।’ (তাবরানি: ১ / ৩০৭)
২. কোরআনের আয়াত পাঠ: বিপদের সময় কোরআনের সাহায্য প্রার্থনা করা মুমিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। পবিত্র কোরআনে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যা আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.)-এর জন্য আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ করে দিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় এই আয়াতটি পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ: ‘ইয়া না-রু কু-নি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।’ অর্থ: ‘হে আগুন, তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)
৩. আল্লাহর কাছে সাহায্য ও আজান: তাকবির এবং আয়াত পাঠের পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নেভানোর নিয়তে উচ্চ স্বরে আজান দেওয়াও অনেক আলেম উত্তম বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ আজানের ধ্বনিও শয়তানকে বিতাড়িত করে। এ ছাড়া, সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) ও তওবা করা জরুরি।
আগুন মানুষকে মুহূর্তেই নিঃস্ব করে দিতে পারে, কিন্তু মুমিন কখনো নিরাশ হয় না। কারণ সে জানে, সব বিপদের নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতেই। অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়ংকর দুর্যোগেও একজন ইমানদার আল্লাহর স্মরণে আশ্রয় নেয়, তাকবির ও কোরআনের আয়াত পাঠে মন স্থির রাখে এবং দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য কামনা করে। পার্থিব চেষ্টা ও আধ্যাত্মিক আমলের এই সমন্বয়ই হলো প্রকৃত ইমানদারের পথ। কেননা, আগুন নেভানোর যন্ত্র যেমন বাহ্যিক আগুন নেভায়, তেমনি আল্লাহর স্মরণ অন্তরের ভয় ও অস্থিরতা নিভিয়ে দেয়।
অগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা। এই আমলগুলো কেবল মানসিক শক্তি জোগায় না, বরং আল্লাহর রহমতে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
১. উচ্চ স্বরে তাকবির দেওয়া: অগ্নিকাণ্ড দেখলে সর্বাগ্রে যে আমলটি রয়েছে, তা হলো তাকবির দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন (লাগতে) দেখো, তখন (উচ্চ স্বরে) তাকবির দাও।’ (তাবরানি: ১ / ৩০৭)
২. কোরআনের আয়াত পাঠ: বিপদের সময় কোরআনের সাহায্য প্রার্থনা করা মুমিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। পবিত্র কোরআনে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যা আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.)-এর জন্য আগুনের ক্রিয়া নিস্তেজ করে দিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় এই আয়াতটি পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ: ‘ইয়া না-রু কু-নি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম।’ অর্থ: ‘হে আগুন, তুমি ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া: ৬৯)
৩. আল্লাহর কাছে সাহায্য ও আজান: তাকবির এবং আয়াত পাঠের পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নেভানোর নিয়তে উচ্চ স্বরে আজান দেওয়াও অনেক আলেম উত্তম বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ আজানের ধ্বনিও শয়তানকে বিতাড়িত করে। এ ছাড়া, সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) ও তওবা করা জরুরি।
আগুন মানুষকে মুহূর্তেই নিঃস্ব করে দিতে পারে, কিন্তু মুমিন কখনো নিরাশ হয় না। কারণ সে জানে, সব বিপদের নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতেই। অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়ংকর দুর্যোগেও একজন ইমানদার আল্লাহর স্মরণে আশ্রয় নেয়, তাকবির ও কোরআনের আয়াত পাঠে মন স্থির রাখে এবং দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য কামনা করে। পার্থিব চেষ্টা ও আধ্যাত্মিক আমলের এই সমন্বয়ই হলো প্রকৃত ইমানদারের পথ। কেননা, আগুন নেভানোর যন্ত্র যেমন বাহ্যিক আগুন নেভায়, তেমনি আল্লাহর স্মরণ অন্তরের ভয় ও অস্থিরতা নিভিয়ে দেয়।
আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়।
২১ মে ২০২৩নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেযশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
১০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪১ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪২ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৫০ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫১ মিনিট | ০৫: ২৭ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৯ মিনিট | ০৬: ৪৩ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৪ মিনিট | ০৪: ৪১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪১ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪২ মিনিট | ০৫: ৫৭ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৫০ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫১ মিনিট | ০৫: ২৭ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৯ মিনিট | ০৬: ৪৩ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৪ মিনিট | ০৪: ৪১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
আগের যুগে মক্কাগামী হজ কাফেলায় আরব বেদুইনদের ছোটখাটো আক্রমণের ঘটনা ঘটত। তবে ১৭৫৭ সালে হাজিদের ওপর বেদুইনদের আক্রমণটি ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার একটি। এতে প্রায় ২০ হাজার হাজযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। ইতিহাসে এটি ‘১৭৫৭ সালের হজ কাফেলা আক্রমণ’ নামে পরিচিতি পায়।
২১ মে ২০২৩নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগেযশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
১০ ঘণ্টা আগেঅগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
২০ ঘণ্টা আগে