মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

তারাবির নামাজ রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর রমজানের রোজা পালন করা ফরজ করেছেন। আর আমি তোমাদের জন্য কিয়াম পালন করা তথা তারাবির নামাজ পড়া সুন্নত করেছি। সুতরাং যে ইমান ও একিনের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে সিয়াম ও কিয়াম পালন করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (নাসায়ি ও ইবনে মাজাহ)
রাসুল (সা.) সাহাবিদের নিয়ে কয়েক দিন তারাবি পড়েছিলেন। পরে আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরজ করে দেওয়ার আশঙ্কায় তিনি আর মসজিদে না এসে ঘরে একাকী তারাবি আদায় করেন। এরপর থেকে সাহাবিদের কেউ বাড়িতে বা মসজিদে একাকী, কেউ ছোট ছোট জামাতবদ্ধ হয়ে তারাবি পড়তেন। পরে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) মসজিদে নববিতে হজরত উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে ইমাম বানিয়ে এক জামাতে তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সব সাহাবি তাঁর এ সিদ্ধান্ত মেনে নেন। (বুখারি ও মুয়াত্তা মালেক)
এরপর থেকে সাহাবি, তাবেয়ি, তাবে তাবেয়িগণসহ যুগ যুগ ধরে সব মুসলমান জামাত সহকারে তারাবি পড়ে আসছেন। সব মতের ফকিহগণ এ নামাজকে নারী–পুরুষ উভয়ের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলেছেন এবং পুরুষের জন্য জামাত সহকারে পড়াকে সুন্নতে কিফায়া বলেছেন। (বাদায়িয়ুস সানায়ে) সুন্নতে কিফায়ার পরিচয় হলো, প্রতি এলাকায় কিছু মানুষকে অবশ্যই জামাতের সহিত তারাবি পড়তে হবে, কেউই না পড়লে পুরো এলাকাবাসী গুনাহগার হবে।
রমজানের প্রতি রাতে তারাবি পড়া সুন্নত। আবার তারাবিতে একবার পূর্ণাঙ্গ কোরআন খতম করা আলাদা সুন্নত। দুইবার খতম করা ভালো। তিনবার খতম করা আরও ভালো। খতম তারাবি পড়ালে মানুষ মসজিদে আসতে অলসতা করে এ অজুহাতে খতম তারাবি না পড়ানো ঠিক নয়। (ফাতাওয়া শামি)
ফিকহে হানাফির গ্রহণযোগ্য কিতাব মাবসুতে সারাখসিতে বলা হয়েছে, ‘তারাবিতে কোরআন খতম করা সুন্নত। এর দলিল হলো, ওমর (রা.) তিনজন ইমামকে ডেকে তাদের তিলাওয়াত শুনলেন। এরপর তাদের একজনকে প্রতি রাকাতে ৩০ আয়াত করে, দ্বিতীয় জনকে ২৫ আয়াত করে এবং অন্যজনকে ২০ আয়াত করে পড়ার নির্দেশ দিলেন। যেহেতু পুরো রমজানে ৬০০ রাকাত তারাবি পড়া হয় এবং কোরআনের আয়াত সংখ্যা ছয় হাজারের কিছু বেশি, সেহেতু প্রতি রাকাতে ১০ আয়াত করে পড়লেও এক খতম হয়ে যায়। আর যদি হুবহু হজরত ওমর (রা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী পড়া হয়, তাহলে দুই-তিন বার খতম হবে।’ ইমাম কাসানি (রহ.) উক্ত বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন, ইমাম আবু হানিফা যেটা বলেছেন (অর্থাৎ পুরো মাসে তারাবিতে একবার কুরআন খতম করা) সেটা সুন্নত। আর ওমর (রা.) যেটা বলেছেন (অর্থাৎ একাধিকবার খতম করা) সেটা উত্তম। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
তবে ঠিক কত দিনে খতম শেষ করতে হবে, তা নির্দিষ্ট নয়। তিন, পাঁচ, সাত, দশ যত দিনে ইচ্ছা কোরআন খতম করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
এক. কোরআনকে মাখরাজ, মাদ, ওয়াকফ ইত্যাদির নিয়ম অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ তাজভিদ সহকারে পড়তে হবে। দ্রুত শেষ করার জন্য তাড়াতাড়ি কোরআন পড়ার চেয়ে অল্প অল্প পড়ে দেরিতে খতম শেষ করা ঢের ভালো।
দুই. তিন-সাত-দশ দিনের খতমে কিছু মানুষ ইমামের রুকুতে যাওয়া পর্যন্ত বসে থাকে, রুকুতে গেলে তড়িঘড়ি করে নামাজে যুক্ত হয়। এটা মারাত্মক ভুল। এভাবে খতম আদায় হয় না এবং জামাতে কোরআন শোনার সওয়াবও পাওয়া যায় না।
তিন. অনেকেই খতম শেষ হওয়ার পর আর তারাবিই পড়ে না। অথচ তারাবিতে কোরআন খতম করা এবং রমজানের প্রতি রাতে তারাবি পড়া দুটি স্বতন্ত্র সুন্নত। তিন বা দশ দিনে খতম শেষ হয়ে গেলেও বাকি রাতগুলোতে তারাবি পড়তে হবে। (ফাতাওয়া দারুল উলুম দেউবন্দ)
সম্ভব হলে হাফেজ ইমামের পেছনে খতম তারাবি পড়া উত্তম। সাহাবিগণ তাই করতেন। সাহাবি সালাবা ইবনে আবু মালেক (রা.) বলেন, রমজানের এক রাতে রাসুল (সা.) বাইরে এলেন। তিনি মসজিদের এক পাশে কিছু লোককে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে দেখলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘এরা কী করছে?’ একজন উত্তর দিল, ‘এই লোকদের পুরো কোরআন মুখস্থ নেই। আর উবাই ইবনে কাআবের পুরোটা মুখস্থ আছে। তাই তারা তাঁর পেছনে নামাজ আদায় করতে এসেছে।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘এটা তারা ভালো করেছে।’ (বাইহাকি)
অবশ্য অসুস্থতা, শারীরিক দুর্বলতা, নানাবিধ ব্যস্ততা থাকলে অথবা অন্য কোনো কারণে খতম তারাবি পড়তে না চাইলে সুরা তারাবি পড়ার অবকাশ আছে। এ ক্ষেত্রে ইসলাম তার প্রতি কোনোরকম দোষারোপ করে না। সুরা তারাবি পড়ার সময় প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর একটি ছোট সুরা অথবা কমপক্ষে তিনটি ছোট আয়াত বা তিনটি ছোট আয়াতের সমান একটি বড় আয়াত তিলাওয়াত করা আবশ্যক। এর কম হলে নামাজ আদায় হবে না। (ফাতাওয়া শামি)

তারাবির নামাজ রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর রমজানের রোজা পালন করা ফরজ করেছেন। আর আমি তোমাদের জন্য কিয়াম পালন করা তথা তারাবির নামাজ পড়া সুন্নত করেছি। সুতরাং যে ইমান ও একিনের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে সিয়াম ও কিয়াম পালন করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (নাসায়ি ও ইবনে মাজাহ)
রাসুল (সা.) সাহাবিদের নিয়ে কয়েক দিন তারাবি পড়েছিলেন। পরে আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরজ করে দেওয়ার আশঙ্কায় তিনি আর মসজিদে না এসে ঘরে একাকী তারাবি আদায় করেন। এরপর থেকে সাহাবিদের কেউ বাড়িতে বা মসজিদে একাকী, কেউ ছোট ছোট জামাতবদ্ধ হয়ে তারাবি পড়তেন। পরে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) মসজিদে নববিতে হজরত উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে ইমাম বানিয়ে এক জামাতে তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সব সাহাবি তাঁর এ সিদ্ধান্ত মেনে নেন। (বুখারি ও মুয়াত্তা মালেক)
এরপর থেকে সাহাবি, তাবেয়ি, তাবে তাবেয়িগণসহ যুগ যুগ ধরে সব মুসলমান জামাত সহকারে তারাবি পড়ে আসছেন। সব মতের ফকিহগণ এ নামাজকে নারী–পুরুষ উভয়ের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলেছেন এবং পুরুষের জন্য জামাত সহকারে পড়াকে সুন্নতে কিফায়া বলেছেন। (বাদায়িয়ুস সানায়ে) সুন্নতে কিফায়ার পরিচয় হলো, প্রতি এলাকায় কিছু মানুষকে অবশ্যই জামাতের সহিত তারাবি পড়তে হবে, কেউই না পড়লে পুরো এলাকাবাসী গুনাহগার হবে।
রমজানের প্রতি রাতে তারাবি পড়া সুন্নত। আবার তারাবিতে একবার পূর্ণাঙ্গ কোরআন খতম করা আলাদা সুন্নত। দুইবার খতম করা ভালো। তিনবার খতম করা আরও ভালো। খতম তারাবি পড়ালে মানুষ মসজিদে আসতে অলসতা করে এ অজুহাতে খতম তারাবি না পড়ানো ঠিক নয়। (ফাতাওয়া শামি)
ফিকহে হানাফির গ্রহণযোগ্য কিতাব মাবসুতে সারাখসিতে বলা হয়েছে, ‘তারাবিতে কোরআন খতম করা সুন্নত। এর দলিল হলো, ওমর (রা.) তিনজন ইমামকে ডেকে তাদের তিলাওয়াত শুনলেন। এরপর তাদের একজনকে প্রতি রাকাতে ৩০ আয়াত করে, দ্বিতীয় জনকে ২৫ আয়াত করে এবং অন্যজনকে ২০ আয়াত করে পড়ার নির্দেশ দিলেন। যেহেতু পুরো রমজানে ৬০০ রাকাত তারাবি পড়া হয় এবং কোরআনের আয়াত সংখ্যা ছয় হাজারের কিছু বেশি, সেহেতু প্রতি রাকাতে ১০ আয়াত করে পড়লেও এক খতম হয়ে যায়। আর যদি হুবহু হজরত ওমর (রা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী পড়া হয়, তাহলে দুই-তিন বার খতম হবে।’ ইমাম কাসানি (রহ.) উক্ত বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন, ইমাম আবু হানিফা যেটা বলেছেন (অর্থাৎ পুরো মাসে তারাবিতে একবার কুরআন খতম করা) সেটা সুন্নত। আর ওমর (রা.) যেটা বলেছেন (অর্থাৎ একাধিকবার খতম করা) সেটা উত্তম। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
তবে ঠিক কত দিনে খতম শেষ করতে হবে, তা নির্দিষ্ট নয়। তিন, পাঁচ, সাত, দশ যত দিনে ইচ্ছা কোরআন খতম করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
এক. কোরআনকে মাখরাজ, মাদ, ওয়াকফ ইত্যাদির নিয়ম অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ তাজভিদ সহকারে পড়তে হবে। দ্রুত শেষ করার জন্য তাড়াতাড়ি কোরআন পড়ার চেয়ে অল্প অল্প পড়ে দেরিতে খতম শেষ করা ঢের ভালো।
দুই. তিন-সাত-দশ দিনের খতমে কিছু মানুষ ইমামের রুকুতে যাওয়া পর্যন্ত বসে থাকে, রুকুতে গেলে তড়িঘড়ি করে নামাজে যুক্ত হয়। এটা মারাত্মক ভুল। এভাবে খতম আদায় হয় না এবং জামাতে কোরআন শোনার সওয়াবও পাওয়া যায় না।
তিন. অনেকেই খতম শেষ হওয়ার পর আর তারাবিই পড়ে না। অথচ তারাবিতে কোরআন খতম করা এবং রমজানের প্রতি রাতে তারাবি পড়া দুটি স্বতন্ত্র সুন্নত। তিন বা দশ দিনে খতম শেষ হয়ে গেলেও বাকি রাতগুলোতে তারাবি পড়তে হবে। (ফাতাওয়া দারুল উলুম দেউবন্দ)
সম্ভব হলে হাফেজ ইমামের পেছনে খতম তারাবি পড়া উত্তম। সাহাবিগণ তাই করতেন। সাহাবি সালাবা ইবনে আবু মালেক (রা.) বলেন, রমজানের এক রাতে রাসুল (সা.) বাইরে এলেন। তিনি মসজিদের এক পাশে কিছু লোককে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে দেখলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘এরা কী করছে?’ একজন উত্তর দিল, ‘এই লোকদের পুরো কোরআন মুখস্থ নেই। আর উবাই ইবনে কাআবের পুরোটা মুখস্থ আছে। তাই তারা তাঁর পেছনে নামাজ আদায় করতে এসেছে।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘এটা তারা ভালো করেছে।’ (বাইহাকি)
অবশ্য অসুস্থতা, শারীরিক দুর্বলতা, নানাবিধ ব্যস্ততা থাকলে অথবা অন্য কোনো কারণে খতম তারাবি পড়তে না চাইলে সুরা তারাবি পড়ার অবকাশ আছে। এ ক্ষেত্রে ইসলাম তার প্রতি কোনোরকম দোষারোপ করে না। সুরা তারাবি পড়ার সময় প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর একটি ছোট সুরা অথবা কমপক্ষে তিনটি ছোট আয়াত বা তিনটি ছোট আয়াতের সমান একটি বড় আয়াত তিলাওয়াত করা আবশ্যক। এর কম হলে নামাজ আদায় হবে না। (ফাতাওয়া শামি)
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

তারাবির নামাজ রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর রমজানের রোজা পালন করা ফরজ করেছেন। আর আমি তোমাদের জন্য কিয়াম পালন করা তথা তারাবির নামাজ পড়া সুন্নত করেছি। সুতরাং যে ইমান ও একিনের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে সিয়াম ও কিয়াম পালন করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (নাসায়ি ও ইবনে মাজাহ)
রাসুল (সা.) সাহাবিদের নিয়ে কয়েক দিন তারাবি পড়েছিলেন। পরে আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরজ করে দেওয়ার আশঙ্কায় তিনি আর মসজিদে না এসে ঘরে একাকী তারাবি আদায় করেন। এরপর থেকে সাহাবিদের কেউ বাড়িতে বা মসজিদে একাকী, কেউ ছোট ছোট জামাতবদ্ধ হয়ে তারাবি পড়তেন। পরে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) মসজিদে নববিতে হজরত উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে ইমাম বানিয়ে এক জামাতে তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সব সাহাবি তাঁর এ সিদ্ধান্ত মেনে নেন। (বুখারি ও মুয়াত্তা মালেক)
এরপর থেকে সাহাবি, তাবেয়ি, তাবে তাবেয়িগণসহ যুগ যুগ ধরে সব মুসলমান জামাত সহকারে তারাবি পড়ে আসছেন। সব মতের ফকিহগণ এ নামাজকে নারী–পুরুষ উভয়ের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলেছেন এবং পুরুষের জন্য জামাত সহকারে পড়াকে সুন্নতে কিফায়া বলেছেন। (বাদায়িয়ুস সানায়ে) সুন্নতে কিফায়ার পরিচয় হলো, প্রতি এলাকায় কিছু মানুষকে অবশ্যই জামাতের সহিত তারাবি পড়তে হবে, কেউই না পড়লে পুরো এলাকাবাসী গুনাহগার হবে।
রমজানের প্রতি রাতে তারাবি পড়া সুন্নত। আবার তারাবিতে একবার পূর্ণাঙ্গ কোরআন খতম করা আলাদা সুন্নত। দুইবার খতম করা ভালো। তিনবার খতম করা আরও ভালো। খতম তারাবি পড়ালে মানুষ মসজিদে আসতে অলসতা করে এ অজুহাতে খতম তারাবি না পড়ানো ঠিক নয়। (ফাতাওয়া শামি)
ফিকহে হানাফির গ্রহণযোগ্য কিতাব মাবসুতে সারাখসিতে বলা হয়েছে, ‘তারাবিতে কোরআন খতম করা সুন্নত। এর দলিল হলো, ওমর (রা.) তিনজন ইমামকে ডেকে তাদের তিলাওয়াত শুনলেন। এরপর তাদের একজনকে প্রতি রাকাতে ৩০ আয়াত করে, দ্বিতীয় জনকে ২৫ আয়াত করে এবং অন্যজনকে ২০ আয়াত করে পড়ার নির্দেশ দিলেন। যেহেতু পুরো রমজানে ৬০০ রাকাত তারাবি পড়া হয় এবং কোরআনের আয়াত সংখ্যা ছয় হাজারের কিছু বেশি, সেহেতু প্রতি রাকাতে ১০ আয়াত করে পড়লেও এক খতম হয়ে যায়। আর যদি হুবহু হজরত ওমর (রা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী পড়া হয়, তাহলে দুই-তিন বার খতম হবে।’ ইমাম কাসানি (রহ.) উক্ত বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন, ইমাম আবু হানিফা যেটা বলেছেন (অর্থাৎ পুরো মাসে তারাবিতে একবার কুরআন খতম করা) সেটা সুন্নত। আর ওমর (রা.) যেটা বলেছেন (অর্থাৎ একাধিকবার খতম করা) সেটা উত্তম। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
তবে ঠিক কত দিনে খতম শেষ করতে হবে, তা নির্দিষ্ট নয়। তিন, পাঁচ, সাত, দশ যত দিনে ইচ্ছা কোরআন খতম করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
এক. কোরআনকে মাখরাজ, মাদ, ওয়াকফ ইত্যাদির নিয়ম অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ তাজভিদ সহকারে পড়তে হবে। দ্রুত শেষ করার জন্য তাড়াতাড়ি কোরআন পড়ার চেয়ে অল্প অল্প পড়ে দেরিতে খতম শেষ করা ঢের ভালো।
দুই. তিন-সাত-দশ দিনের খতমে কিছু মানুষ ইমামের রুকুতে যাওয়া পর্যন্ত বসে থাকে, রুকুতে গেলে তড়িঘড়ি করে নামাজে যুক্ত হয়। এটা মারাত্মক ভুল। এভাবে খতম আদায় হয় না এবং জামাতে কোরআন শোনার সওয়াবও পাওয়া যায় না।
তিন. অনেকেই খতম শেষ হওয়ার পর আর তারাবিই পড়ে না। অথচ তারাবিতে কোরআন খতম করা এবং রমজানের প্রতি রাতে তারাবি পড়া দুটি স্বতন্ত্র সুন্নত। তিন বা দশ দিনে খতম শেষ হয়ে গেলেও বাকি রাতগুলোতে তারাবি পড়তে হবে। (ফাতাওয়া দারুল উলুম দেউবন্দ)
সম্ভব হলে হাফেজ ইমামের পেছনে খতম তারাবি পড়া উত্তম। সাহাবিগণ তাই করতেন। সাহাবি সালাবা ইবনে আবু মালেক (রা.) বলেন, রমজানের এক রাতে রাসুল (সা.) বাইরে এলেন। তিনি মসজিদের এক পাশে কিছু লোককে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে দেখলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘এরা কী করছে?’ একজন উত্তর দিল, ‘এই লোকদের পুরো কোরআন মুখস্থ নেই। আর উবাই ইবনে কাআবের পুরোটা মুখস্থ আছে। তাই তারা তাঁর পেছনে নামাজ আদায় করতে এসেছে।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘এটা তারা ভালো করেছে।’ (বাইহাকি)
অবশ্য অসুস্থতা, শারীরিক দুর্বলতা, নানাবিধ ব্যস্ততা থাকলে অথবা অন্য কোনো কারণে খতম তারাবি পড়তে না চাইলে সুরা তারাবি পড়ার অবকাশ আছে। এ ক্ষেত্রে ইসলাম তার প্রতি কোনোরকম দোষারোপ করে না। সুরা তারাবি পড়ার সময় প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর একটি ছোট সুরা অথবা কমপক্ষে তিনটি ছোট আয়াত বা তিনটি ছোট আয়াতের সমান একটি বড় আয়াত তিলাওয়াত করা আবশ্যক। এর কম হলে নামাজ আদায় হবে না। (ফাতাওয়া শামি)

তারাবির নামাজ রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর রমজানের রোজা পালন করা ফরজ করেছেন। আর আমি তোমাদের জন্য কিয়াম পালন করা তথা তারাবির নামাজ পড়া সুন্নত করেছি। সুতরাং যে ইমান ও একিনের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে সিয়াম ও কিয়াম পালন করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (নাসায়ি ও ইবনে মাজাহ)
রাসুল (সা.) সাহাবিদের নিয়ে কয়েক দিন তারাবি পড়েছিলেন। পরে আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরজ করে দেওয়ার আশঙ্কায় তিনি আর মসজিদে না এসে ঘরে একাকী তারাবি আদায় করেন। এরপর থেকে সাহাবিদের কেউ বাড়িতে বা মসজিদে একাকী, কেউ ছোট ছোট জামাতবদ্ধ হয়ে তারাবি পড়তেন। পরে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) মসজিদে নববিতে হজরত উবাই ইবনে কাআব (রা.)-কে ইমাম বানিয়ে এক জামাতে তারাবি পড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সব সাহাবি তাঁর এ সিদ্ধান্ত মেনে নেন। (বুখারি ও মুয়াত্তা মালেক)
এরপর থেকে সাহাবি, তাবেয়ি, তাবে তাবেয়িগণসহ যুগ যুগ ধরে সব মুসলমান জামাত সহকারে তারাবি পড়ে আসছেন। সব মতের ফকিহগণ এ নামাজকে নারী–পুরুষ উভয়ের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলেছেন এবং পুরুষের জন্য জামাত সহকারে পড়াকে সুন্নতে কিফায়া বলেছেন। (বাদায়িয়ুস সানায়ে) সুন্নতে কিফায়ার পরিচয় হলো, প্রতি এলাকায় কিছু মানুষকে অবশ্যই জামাতের সহিত তারাবি পড়তে হবে, কেউই না পড়লে পুরো এলাকাবাসী গুনাহগার হবে।
রমজানের প্রতি রাতে তারাবি পড়া সুন্নত। আবার তারাবিতে একবার পূর্ণাঙ্গ কোরআন খতম করা আলাদা সুন্নত। দুইবার খতম করা ভালো। তিনবার খতম করা আরও ভালো। খতম তারাবি পড়ালে মানুষ মসজিদে আসতে অলসতা করে এ অজুহাতে খতম তারাবি না পড়ানো ঠিক নয়। (ফাতাওয়া শামি)
ফিকহে হানাফির গ্রহণযোগ্য কিতাব মাবসুতে সারাখসিতে বলা হয়েছে, ‘তারাবিতে কোরআন খতম করা সুন্নত। এর দলিল হলো, ওমর (রা.) তিনজন ইমামকে ডেকে তাদের তিলাওয়াত শুনলেন। এরপর তাদের একজনকে প্রতি রাকাতে ৩০ আয়াত করে, দ্বিতীয় জনকে ২৫ আয়াত করে এবং অন্যজনকে ২০ আয়াত করে পড়ার নির্দেশ দিলেন। যেহেতু পুরো রমজানে ৬০০ রাকাত তারাবি পড়া হয় এবং কোরআনের আয়াত সংখ্যা ছয় হাজারের কিছু বেশি, সেহেতু প্রতি রাকাতে ১০ আয়াত করে পড়লেও এক খতম হয়ে যায়। আর যদি হুবহু হজরত ওমর (রা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী পড়া হয়, তাহলে দুই-তিন বার খতম হবে।’ ইমাম কাসানি (রহ.) উক্ত বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন, ইমাম আবু হানিফা যেটা বলেছেন (অর্থাৎ পুরো মাসে তারাবিতে একবার কুরআন খতম করা) সেটা সুন্নত। আর ওমর (রা.) যেটা বলেছেন (অর্থাৎ একাধিকবার খতম করা) সেটা উত্তম। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
তবে ঠিক কত দিনে খতম শেষ করতে হবে, তা নির্দিষ্ট নয়। তিন, পাঁচ, সাত, দশ যত দিনে ইচ্ছা কোরআন খতম করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
এক. কোরআনকে মাখরাজ, মাদ, ওয়াকফ ইত্যাদির নিয়ম অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ তাজভিদ সহকারে পড়তে হবে। দ্রুত শেষ করার জন্য তাড়াতাড়ি কোরআন পড়ার চেয়ে অল্প অল্প পড়ে দেরিতে খতম শেষ করা ঢের ভালো।
দুই. তিন-সাত-দশ দিনের খতমে কিছু মানুষ ইমামের রুকুতে যাওয়া পর্যন্ত বসে থাকে, রুকুতে গেলে তড়িঘড়ি করে নামাজে যুক্ত হয়। এটা মারাত্মক ভুল। এভাবে খতম আদায় হয় না এবং জামাতে কোরআন শোনার সওয়াবও পাওয়া যায় না।
তিন. অনেকেই খতম শেষ হওয়ার পর আর তারাবিই পড়ে না। অথচ তারাবিতে কোরআন খতম করা এবং রমজানের প্রতি রাতে তারাবি পড়া দুটি স্বতন্ত্র সুন্নত। তিন বা দশ দিনে খতম শেষ হয়ে গেলেও বাকি রাতগুলোতে তারাবি পড়তে হবে। (ফাতাওয়া দারুল উলুম দেউবন্দ)
সম্ভব হলে হাফেজ ইমামের পেছনে খতম তারাবি পড়া উত্তম। সাহাবিগণ তাই করতেন। সাহাবি সালাবা ইবনে আবু মালেক (রা.) বলেন, রমজানের এক রাতে রাসুল (সা.) বাইরে এলেন। তিনি মসজিদের এক পাশে কিছু লোককে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে দেখলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘এরা কী করছে?’ একজন উত্তর দিল, ‘এই লোকদের পুরো কোরআন মুখস্থ নেই। আর উবাই ইবনে কাআবের পুরোটা মুখস্থ আছে। তাই তারা তাঁর পেছনে নামাজ আদায় করতে এসেছে।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘এটা তারা ভালো করেছে।’ (বাইহাকি)
অবশ্য অসুস্থতা, শারীরিক দুর্বলতা, নানাবিধ ব্যস্ততা থাকলে অথবা অন্য কোনো কারণে খতম তারাবি পড়তে না চাইলে সুরা তারাবি পড়ার অবকাশ আছে। এ ক্ষেত্রে ইসলাম তার প্রতি কোনোরকম দোষারোপ করে না। সুরা তারাবি পড়ার সময় প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর একটি ছোট সুরা অথবা কমপক্ষে তিনটি ছোট আয়াত বা তিনটি ছোট আয়াতের সমান একটি বড় আয়াত তিলাওয়াত করা আবশ্যক। এর কম হলে নামাজ আদায় হবে না। (ফাতাওয়া শামি)

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

সম্ভব হলে হাফেজ ইমামের পেছনে খতম তারাবি পড়া উত্তম। সাহাবিগণ তাই করতেন। সাহাবি সালাবা ইবনে আবু মালেক (রা.) বলেন, রমজানের এক রাতে রাসুল (সা.) বাইরে এলেন। তিনি মসজিদের এক পাশে কিছু লোককে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে দেখলেন।
০৫ মার্চ ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

সম্ভব হলে হাফেজ ইমামের পেছনে খতম তারাবি পড়া উত্তম। সাহাবিগণ তাই করতেন। সাহাবি সালাবা ইবনে আবু মালেক (রা.) বলেন, রমজানের এক রাতে রাসুল (সা.) বাইরে এলেন। তিনি মসজিদের এক পাশে কিছু লোককে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে দেখলেন।
০৫ মার্চ ২০২৫
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সম্ভব হলে হাফেজ ইমামের পেছনে খতম তারাবি পড়া উত্তম। সাহাবিগণ তাই করতেন। সাহাবি সালাবা ইবনে আবু মালেক (রা.) বলেন, রমজানের এক রাতে রাসুল (সা.) বাইরে এলেন। তিনি মসজিদের এক পাশে কিছু লোককে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে দেখলেন।
০৫ মার্চ ২০২৫
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

সম্ভব হলে হাফেজ ইমামের পেছনে খতম তারাবি পড়া উত্তম। সাহাবিগণ তাই করতেন। সাহাবি সালাবা ইবনে আবু মালেক (রা.) বলেন, রমজানের এক রাতে রাসুল (সা.) বাইরে এলেন। তিনি মসজিদের এক পাশে কিছু লোককে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে দেখলেন।
০৫ মার্চ ২০২৫
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে