Ajker Patrika

স্ত্রীর ওয়াজিব কোরবানি কি স্বামী আদায় করতে পারবে

তানবিরুল হক আবিদ
মুসলিম দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত
মুসলিম দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত

কোরবানি মাহাত্ম্যপূর্ণ ইবাদত। অনেকেই ভাবেন, এটি শুধুমাত্র পশু জবাই আর মাংস খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু আসলেই কি তাই! কোরবানির আসল তাৎপর্য অনেক গভীর এবং অন্তর্নিহিত। এটি শুধু বাহ্যিক ইবাদত নয়, বরং অন্তরের আত্মশুদ্ধি।

নিজের প্রিয় কিছু আল্লাহর নামে ত্যাগ করার মানসিকতা, মানবিক সহানুভূতি, আত্মত্যাগের মহিমা ও ভ্রাতৃত্ব কোরবানির মূল শিক্ষা।

কোরবানি ওয়াজিব প্রত্যেক মুসলমান, প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন, মুকিম, পুরুষ ও নারীর ওপর—যারা ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মালিক থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিন্ন ভিন্ন সম্পদের একত্র মূল্যের পরিমাণ যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের সমান হয়—তাহলেও কোরবানি ওয়াজিব হবে।

এ ক্ষেত্রে নেসাব পরিমাণ সম্পদ এক বছর অতিবাহিত হওয়া আবশ্যক নয়। শুধু কোরবানির তিন দিন এই পরিমাণ সম্পদ থাকলেই হবে।

এক পরিবারে একাধিক ব্যক্তি সামর্থ্যবান হলে প্রত্যেকের পক্ষ থেকে পৃথক কোরবানি করা ওয়াজিব। স্বামী ও স্ত্রী দুজনই সম্পদশালী ও সামর্থ্যবান হলে স্বামী ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে পৃথক কোরবানি করতে হবে। তবে স্ত্রীর সন্তুষ্টি ও অনুমতি সাপেক্ষে স্বামী তার পক্ষ থেকে কোরবানি আদায় করতে পারবে।

এ ছাড়া স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই তার পক্ষ থেকে কোরবানি করলেও, কোরবানি আদায় হয়ে যাবে। তবে এমনটি করা অনুচিত।

তথ্যসূত্র: ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২৫০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫/৩০২, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১৭/৪৪৫, ইমদাদুল আহকাম: ৪/২১৩, ফাতাওয়া মাদানিয়া: ৩/২৯৮

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত