মুফতি আবু দারদা

ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তন করে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় গ্রহণ করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা এসেছে।
হিজড়াদের সম্পর্কে শরিয়তের বিধান
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ মৌলিকভাবে দুই ধরনের—পুরুষ ও নারী। হিজড়াদের ইসলাম আলাদা মানব শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং তারা নারী বা পুরুষ শ্রেণিরই অন্তর্ভুক্ত। বিধানের দিক থেকে হিজড়া তিন ধরনের হয়ে থাকে।
এক. পুরুষ হিজড়া: যাদের মধ্যে পুরুষ হওয়ার প্রবণতাই প্রবল। যেমন পুরুষাঙ্গ আছে, দাড়ি-গোঁফ আছে, স্বপ্নদোষ হয়, যৌনমিলনের সক্ষমতা আছে ইত্যাদি। এ শ্রেণির মানুষের নারীসুলভ কিছু লক্ষণ দেখা গেলেও পুরুষই গণ্য করা হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে পুরুষদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে নারীত্বের ছাপ দূর করাও যাবে।
দুই. নারী হিজড়া: যাদের মধ্যে নারী হওয়ার আলামতই প্রবল। যেমন তাদের ঋতুস্রাব হয়, যোনি থাকে, গর্ভে সন্তান আসে ইত্যাদি। এদের মধ্যে পুরুষসুলভ কোনো আলামত দেখা গেলেও প্রবলতার বিবেচনায় তারা নারী হিসেবেই গণ্য হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে নারীদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এদের জন্য পুরুষত্বের ছাপ দূর করে ফেলা ইসলামে বৈধ।
তিন. জটিল হিজড়া: যাদের সুনির্দিষ্টভাবে পুরুষ বা নারীর কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলা যায় না। তাদের মধ্যে উভয় ধরনের লক্ষণই সমানভাবে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেন আলিমগণ। যেমন ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে তাদের নারীদের মতো ইবাদত সম্পাদন করতে হয়। হজের সময় নারীদের মতো ইহরাম পরতে হয়। তাদের ওপর জুমা ফরজ হয় না। গাইরে মাহরাম পুরুষদের সঙ্গে পর্দা করতে হয়। ইত্যাদি। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়াদের মানবাধিকার
হিজড়ারা আমাদের সমাজের বাইরের কেউ নয়। তাদের সব মানবিক অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তাদের সমাজচ্যুত করা ইসলাম অনুমোদন করে না। তাদের মধ্যে যাদের ওপরে উল্লিখিত ইসলামের নীতি অনুসারে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা পুরুষ হিসেবেই সমাজে পরিচিত হবে এবং যাদের নারী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা নারী হিসেবে সমাজে পরিচিত হবে। সম্পদের উত্তরাধিকার থেকে শুরু করে সব মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসৃত হবে। তবে জটিল হিজড়াদের ক্ষেত্রে যেহেতু লিঙ্গ নির্ধারণ জটিল হয়ে যায়, তাই তাদের সম্পদের উত্তরাধিকারে তুলনামূলক কম অংশটি দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাকে পুরুষ ধরা হলে যদি তার অংশ বেশি হয়, তবে তাকে নারী ধরে হিসাব করতে হবে। পক্ষান্তরে যদি নারী হিসাব করলে তার অংশ বেশি হয়ে যায়, তবে তাকে পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করে সম্পদ ভাগ করতে হবে। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়া হওয়া যেহেতু এক ধরনের প্রতিবন্ধিত্ব ও শারীরিক জটিলতা, তাই এর চিকিৎসা করানো সব অভিভাবকের কর্তব্য। কারণ, সন্তান যেমনই হোক, তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা ইসলামে বৈধ নয়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সন্তানদের মধ্যে সমতা বজায় রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম) বিশেষ করে এই শ্রেণির মানুষের চিকিৎসা করিয়ে তাদের মূলধারায় যুক্ত করা, বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা এবং অন্য প্রতিবন্ধীদের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
হিজড়াদের ভরণপোষণের দায়িত্ব
হিজড়ারা নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সদস্য। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকেরা তাদের ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তাঁদের বাধ্য করবেন। আর অভিভাবক অক্ষম হলে আদালত তাঁর জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা বরাদ্দ করার নির্দেশ দেবেন। (ফাতাওয়া আলমগিরি) আর হিজড়াদের যখন উপার্জন করার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন নিজেই নিজের খরচ বহন করবে। কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ, চাঁদাবাজি, মানুষকে হয়রানি ও অসম্মান করার অধিকার তাদের থাকবে না। হিজড়াদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে রাষ্ট্রের আন্তরিক হবে হবে। উপার্জনক্ষম হিজড়াদের জন্য বৈষম্যহীন কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ মতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। সরকার চাইলেই তাদের মধ্যে যারা উপার্জনক্ষম, তাদের কর্মসংস্থান এবং অক্ষমদের জন্য যথাযথ ভাতার ব্যবস্থা করতে পারে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিশাল নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারে।
ইসলামের আলোকে লিঙ্গ রূপান্তর
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত লিঙ্গ রূপান্তরবাদের সারকথা হলো, কোনো পুরুষের যদি নিজেকে নারী বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন নারী। সমাজ ও আইন তাকে নারী বলেই বিবেচনা করবে। একইভাবে কোনো নারীরও যদি নিজেকে পুরুষ মনে হয়, তাহলে সে পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং তারা চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামে অনুমোদিত নয়। লিঙ্গ রূপান্তরকামীদের অনেকে মূলত সম্পূর্ণরূপে পুরুষ বা নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং পরে ওই লিঙ্গের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এটি ইসলামে দেহ বিকৃতির শামিল, সব মাজহাবের আলিমদের মতে এটি হারাম ও কবিরা গুনাহ। হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পাত করেছেন। (বুখারি: ৫৮৮৫)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তন করে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় গ্রহণ করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা এসেছে।
হিজড়াদের সম্পর্কে শরিয়তের বিধান
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ মৌলিকভাবে দুই ধরনের—পুরুষ ও নারী। হিজড়াদের ইসলাম আলাদা মানব শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং তারা নারী বা পুরুষ শ্রেণিরই অন্তর্ভুক্ত। বিধানের দিক থেকে হিজড়া তিন ধরনের হয়ে থাকে।
এক. পুরুষ হিজড়া: যাদের মধ্যে পুরুষ হওয়ার প্রবণতাই প্রবল। যেমন পুরুষাঙ্গ আছে, দাড়ি-গোঁফ আছে, স্বপ্নদোষ হয়, যৌনমিলনের সক্ষমতা আছে ইত্যাদি। এ শ্রেণির মানুষের নারীসুলভ কিছু লক্ষণ দেখা গেলেও পুরুষই গণ্য করা হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে পুরুষদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে নারীত্বের ছাপ দূর করাও যাবে।
দুই. নারী হিজড়া: যাদের মধ্যে নারী হওয়ার আলামতই প্রবল। যেমন তাদের ঋতুস্রাব হয়, যোনি থাকে, গর্ভে সন্তান আসে ইত্যাদি। এদের মধ্যে পুরুষসুলভ কোনো আলামত দেখা গেলেও প্রবলতার বিবেচনায় তারা নারী হিসেবেই গণ্য হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে নারীদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এদের জন্য পুরুষত্বের ছাপ দূর করে ফেলা ইসলামে বৈধ।
তিন. জটিল হিজড়া: যাদের সুনির্দিষ্টভাবে পুরুষ বা নারীর কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলা যায় না। তাদের মধ্যে উভয় ধরনের লক্ষণই সমানভাবে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেন আলিমগণ। যেমন ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে তাদের নারীদের মতো ইবাদত সম্পাদন করতে হয়। হজের সময় নারীদের মতো ইহরাম পরতে হয়। তাদের ওপর জুমা ফরজ হয় না। গাইরে মাহরাম পুরুষদের সঙ্গে পর্দা করতে হয়। ইত্যাদি। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়াদের মানবাধিকার
হিজড়ারা আমাদের সমাজের বাইরের কেউ নয়। তাদের সব মানবিক অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তাদের সমাজচ্যুত করা ইসলাম অনুমোদন করে না। তাদের মধ্যে যাদের ওপরে উল্লিখিত ইসলামের নীতি অনুসারে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা পুরুষ হিসেবেই সমাজে পরিচিত হবে এবং যাদের নারী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা নারী হিসেবে সমাজে পরিচিত হবে। সম্পদের উত্তরাধিকার থেকে শুরু করে সব মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসৃত হবে। তবে জটিল হিজড়াদের ক্ষেত্রে যেহেতু লিঙ্গ নির্ধারণ জটিল হয়ে যায়, তাই তাদের সম্পদের উত্তরাধিকারে তুলনামূলক কম অংশটি দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাকে পুরুষ ধরা হলে যদি তার অংশ বেশি হয়, তবে তাকে নারী ধরে হিসাব করতে হবে। পক্ষান্তরে যদি নারী হিসাব করলে তার অংশ বেশি হয়ে যায়, তবে তাকে পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করে সম্পদ ভাগ করতে হবে। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়া হওয়া যেহেতু এক ধরনের প্রতিবন্ধিত্ব ও শারীরিক জটিলতা, তাই এর চিকিৎসা করানো সব অভিভাবকের কর্তব্য। কারণ, সন্তান যেমনই হোক, তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা ইসলামে বৈধ নয়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সন্তানদের মধ্যে সমতা বজায় রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম) বিশেষ করে এই শ্রেণির মানুষের চিকিৎসা করিয়ে তাদের মূলধারায় যুক্ত করা, বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা এবং অন্য প্রতিবন্ধীদের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
হিজড়াদের ভরণপোষণের দায়িত্ব
হিজড়ারা নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সদস্য। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকেরা তাদের ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তাঁদের বাধ্য করবেন। আর অভিভাবক অক্ষম হলে আদালত তাঁর জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা বরাদ্দ করার নির্দেশ দেবেন। (ফাতাওয়া আলমগিরি) আর হিজড়াদের যখন উপার্জন করার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন নিজেই নিজের খরচ বহন করবে। কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ, চাঁদাবাজি, মানুষকে হয়রানি ও অসম্মান করার অধিকার তাদের থাকবে না। হিজড়াদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে রাষ্ট্রের আন্তরিক হবে হবে। উপার্জনক্ষম হিজড়াদের জন্য বৈষম্যহীন কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ মতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। সরকার চাইলেই তাদের মধ্যে যারা উপার্জনক্ষম, তাদের কর্মসংস্থান এবং অক্ষমদের জন্য যথাযথ ভাতার ব্যবস্থা করতে পারে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিশাল নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারে।
ইসলামের আলোকে লিঙ্গ রূপান্তর
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত লিঙ্গ রূপান্তরবাদের সারকথা হলো, কোনো পুরুষের যদি নিজেকে নারী বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন নারী। সমাজ ও আইন তাকে নারী বলেই বিবেচনা করবে। একইভাবে কোনো নারীরও যদি নিজেকে পুরুষ মনে হয়, তাহলে সে পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং তারা চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামে অনুমোদিত নয়। লিঙ্গ রূপান্তরকামীদের অনেকে মূলত সম্পূর্ণরূপে পুরুষ বা নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং পরে ওই লিঙ্গের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এটি ইসলামে দেহ বিকৃতির শামিল, সব মাজহাবের আলিমদের মতে এটি হারাম ও কবিরা গুনাহ। হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পাত করেছেন। (বুখারি: ৫৮৮৫)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
মুফতি আবু দারদা

ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তন করে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় গ্রহণ করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা এসেছে।
হিজড়াদের সম্পর্কে শরিয়তের বিধান
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ মৌলিকভাবে দুই ধরনের—পুরুষ ও নারী। হিজড়াদের ইসলাম আলাদা মানব শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং তারা নারী বা পুরুষ শ্রেণিরই অন্তর্ভুক্ত। বিধানের দিক থেকে হিজড়া তিন ধরনের হয়ে থাকে।
এক. পুরুষ হিজড়া: যাদের মধ্যে পুরুষ হওয়ার প্রবণতাই প্রবল। যেমন পুরুষাঙ্গ আছে, দাড়ি-গোঁফ আছে, স্বপ্নদোষ হয়, যৌনমিলনের সক্ষমতা আছে ইত্যাদি। এ শ্রেণির মানুষের নারীসুলভ কিছু লক্ষণ দেখা গেলেও পুরুষই গণ্য করা হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে পুরুষদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে নারীত্বের ছাপ দূর করাও যাবে।
দুই. নারী হিজড়া: যাদের মধ্যে নারী হওয়ার আলামতই প্রবল। যেমন তাদের ঋতুস্রাব হয়, যোনি থাকে, গর্ভে সন্তান আসে ইত্যাদি। এদের মধ্যে পুরুষসুলভ কোনো আলামত দেখা গেলেও প্রবলতার বিবেচনায় তারা নারী হিসেবেই গণ্য হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে নারীদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এদের জন্য পুরুষত্বের ছাপ দূর করে ফেলা ইসলামে বৈধ।
তিন. জটিল হিজড়া: যাদের সুনির্দিষ্টভাবে পুরুষ বা নারীর কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলা যায় না। তাদের মধ্যে উভয় ধরনের লক্ষণই সমানভাবে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেন আলিমগণ। যেমন ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে তাদের নারীদের মতো ইবাদত সম্পাদন করতে হয়। হজের সময় নারীদের মতো ইহরাম পরতে হয়। তাদের ওপর জুমা ফরজ হয় না। গাইরে মাহরাম পুরুষদের সঙ্গে পর্দা করতে হয়। ইত্যাদি। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়াদের মানবাধিকার
হিজড়ারা আমাদের সমাজের বাইরের কেউ নয়। তাদের সব মানবিক অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তাদের সমাজচ্যুত করা ইসলাম অনুমোদন করে না। তাদের মধ্যে যাদের ওপরে উল্লিখিত ইসলামের নীতি অনুসারে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা পুরুষ হিসেবেই সমাজে পরিচিত হবে এবং যাদের নারী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা নারী হিসেবে সমাজে পরিচিত হবে। সম্পদের উত্তরাধিকার থেকে শুরু করে সব মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসৃত হবে। তবে জটিল হিজড়াদের ক্ষেত্রে যেহেতু লিঙ্গ নির্ধারণ জটিল হয়ে যায়, তাই তাদের সম্পদের উত্তরাধিকারে তুলনামূলক কম অংশটি দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাকে পুরুষ ধরা হলে যদি তার অংশ বেশি হয়, তবে তাকে নারী ধরে হিসাব করতে হবে। পক্ষান্তরে যদি নারী হিসাব করলে তার অংশ বেশি হয়ে যায়, তবে তাকে পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করে সম্পদ ভাগ করতে হবে। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়া হওয়া যেহেতু এক ধরনের প্রতিবন্ধিত্ব ও শারীরিক জটিলতা, তাই এর চিকিৎসা করানো সব অভিভাবকের কর্তব্য। কারণ, সন্তান যেমনই হোক, তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা ইসলামে বৈধ নয়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সন্তানদের মধ্যে সমতা বজায় রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম) বিশেষ করে এই শ্রেণির মানুষের চিকিৎসা করিয়ে তাদের মূলধারায় যুক্ত করা, বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা এবং অন্য প্রতিবন্ধীদের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
হিজড়াদের ভরণপোষণের দায়িত্ব
হিজড়ারা নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সদস্য। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকেরা তাদের ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তাঁদের বাধ্য করবেন। আর অভিভাবক অক্ষম হলে আদালত তাঁর জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা বরাদ্দ করার নির্দেশ দেবেন। (ফাতাওয়া আলমগিরি) আর হিজড়াদের যখন উপার্জন করার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন নিজেই নিজের খরচ বহন করবে। কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ, চাঁদাবাজি, মানুষকে হয়রানি ও অসম্মান করার অধিকার তাদের থাকবে না। হিজড়াদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে রাষ্ট্রের আন্তরিক হবে হবে। উপার্জনক্ষম হিজড়াদের জন্য বৈষম্যহীন কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ মতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। সরকার চাইলেই তাদের মধ্যে যারা উপার্জনক্ষম, তাদের কর্মসংস্থান এবং অক্ষমদের জন্য যথাযথ ভাতার ব্যবস্থা করতে পারে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিশাল নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারে।
ইসলামের আলোকে লিঙ্গ রূপান্তর
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত লিঙ্গ রূপান্তরবাদের সারকথা হলো, কোনো পুরুষের যদি নিজেকে নারী বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন নারী। সমাজ ও আইন তাকে নারী বলেই বিবেচনা করবে। একইভাবে কোনো নারীরও যদি নিজেকে পুরুষ মনে হয়, তাহলে সে পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং তারা চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামে অনুমোদিত নয়। লিঙ্গ রূপান্তরকামীদের অনেকে মূলত সম্পূর্ণরূপে পুরুষ বা নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং পরে ওই লিঙ্গের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এটি ইসলামে দেহ বিকৃতির শামিল, সব মাজহাবের আলিমদের মতে এটি হারাম ও কবিরা গুনাহ। হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পাত করেছেন। (বুখারি: ৫৮৮৫)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তন করে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় গ্রহণ করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা এসেছে।
হিজড়াদের সম্পর্কে শরিয়তের বিধান
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ মৌলিকভাবে দুই ধরনের—পুরুষ ও নারী। হিজড়াদের ইসলাম আলাদা মানব শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং তারা নারী বা পুরুষ শ্রেণিরই অন্তর্ভুক্ত। বিধানের দিক থেকে হিজড়া তিন ধরনের হয়ে থাকে।
এক. পুরুষ হিজড়া: যাদের মধ্যে পুরুষ হওয়ার প্রবণতাই প্রবল। যেমন পুরুষাঙ্গ আছে, দাড়ি-গোঁফ আছে, স্বপ্নদোষ হয়, যৌনমিলনের সক্ষমতা আছে ইত্যাদি। এ শ্রেণির মানুষের নারীসুলভ কিছু লক্ষণ দেখা গেলেও পুরুষই গণ্য করা হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে পুরুষদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে নারীত্বের ছাপ দূর করাও যাবে।
দুই. নারী হিজড়া: যাদের মধ্যে নারী হওয়ার আলামতই প্রবল। যেমন তাদের ঋতুস্রাব হয়, যোনি থাকে, গর্ভে সন্তান আসে ইত্যাদি। এদের মধ্যে পুরুষসুলভ কোনো আলামত দেখা গেলেও প্রবলতার বিবেচনায় তারা নারী হিসেবেই গণ্য হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে নারীদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এদের জন্য পুরুষত্বের ছাপ দূর করে ফেলা ইসলামে বৈধ।
তিন. জটিল হিজড়া: যাদের সুনির্দিষ্টভাবে পুরুষ বা নারীর কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলা যায় না। তাদের মধ্যে উভয় ধরনের লক্ষণই সমানভাবে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেন আলিমগণ। যেমন ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে তাদের নারীদের মতো ইবাদত সম্পাদন করতে হয়। হজের সময় নারীদের মতো ইহরাম পরতে হয়। তাদের ওপর জুমা ফরজ হয় না। গাইরে মাহরাম পুরুষদের সঙ্গে পর্দা করতে হয়। ইত্যাদি। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়াদের মানবাধিকার
হিজড়ারা আমাদের সমাজের বাইরের কেউ নয়। তাদের সব মানবিক অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তাদের সমাজচ্যুত করা ইসলাম অনুমোদন করে না। তাদের মধ্যে যাদের ওপরে উল্লিখিত ইসলামের নীতি অনুসারে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা পুরুষ হিসেবেই সমাজে পরিচিত হবে এবং যাদের নারী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা নারী হিসেবে সমাজে পরিচিত হবে। সম্পদের উত্তরাধিকার থেকে শুরু করে সব মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসৃত হবে। তবে জটিল হিজড়াদের ক্ষেত্রে যেহেতু লিঙ্গ নির্ধারণ জটিল হয়ে যায়, তাই তাদের সম্পদের উত্তরাধিকারে তুলনামূলক কম অংশটি দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাকে পুরুষ ধরা হলে যদি তার অংশ বেশি হয়, তবে তাকে নারী ধরে হিসাব করতে হবে। পক্ষান্তরে যদি নারী হিসাব করলে তার অংশ বেশি হয়ে যায়, তবে তাকে পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করে সম্পদ ভাগ করতে হবে। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়া হওয়া যেহেতু এক ধরনের প্রতিবন্ধিত্ব ও শারীরিক জটিলতা, তাই এর চিকিৎসা করানো সব অভিভাবকের কর্তব্য। কারণ, সন্তান যেমনই হোক, তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা ইসলামে বৈধ নয়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সন্তানদের মধ্যে সমতা বজায় রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম) বিশেষ করে এই শ্রেণির মানুষের চিকিৎসা করিয়ে তাদের মূলধারায় যুক্ত করা, বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা এবং অন্য প্রতিবন্ধীদের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
হিজড়াদের ভরণপোষণের দায়িত্ব
হিজড়ারা নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সদস্য। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকেরা তাদের ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তাঁদের বাধ্য করবেন। আর অভিভাবক অক্ষম হলে আদালত তাঁর জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা বরাদ্দ করার নির্দেশ দেবেন। (ফাতাওয়া আলমগিরি) আর হিজড়াদের যখন উপার্জন করার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন নিজেই নিজের খরচ বহন করবে। কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ, চাঁদাবাজি, মানুষকে হয়রানি ও অসম্মান করার অধিকার তাদের থাকবে না। হিজড়াদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে রাষ্ট্রের আন্তরিক হবে হবে। উপার্জনক্ষম হিজড়াদের জন্য বৈষম্যহীন কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ মতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। সরকার চাইলেই তাদের মধ্যে যারা উপার্জনক্ষম, তাদের কর্মসংস্থান এবং অক্ষমদের জন্য যথাযথ ভাতার ব্যবস্থা করতে পারে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিশাল নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারে।
ইসলামের আলোকে লিঙ্গ রূপান্তর
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত লিঙ্গ রূপান্তরবাদের সারকথা হলো, কোনো পুরুষের যদি নিজেকে নারী বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন নারী। সমাজ ও আইন তাকে নারী বলেই বিবেচনা করবে। একইভাবে কোনো নারীরও যদি নিজেকে পুরুষ মনে হয়, তাহলে সে পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং তারা চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামে অনুমোদিত নয়। লিঙ্গ রূপান্তরকামীদের অনেকে মূলত সম্পূর্ণরূপে পুরুষ বা নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং পরে ওই লিঙ্গের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এটি ইসলামে দেহ বিকৃতির শামিল, সব মাজহাবের আলিমদের মতে এটি হারাম ও কবিরা গুনাহ। হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পাত করেছেন। (বুখারি: ৫৮৮৫)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে