ইসলাম ডেস্ক

রোজার বিধান মহানবী (সা.)-এর আনীত ধর্ম ইসলামেই রয়েছে, এমনটি নয়। প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে অনেক নবী-রাসুলের আমলেই রোজার বিধানের কথা জানা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা যখন মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ করেন, তখন সেদিকে ইঙ্গিত করে মুসলমানদের সাহস জুগিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
আদম (আ.)-এর সময়ে রোজা
প্রথম নবী হজরত আদম (আ.)-এর ধর্মে রোজার বিধান দেওয়া হয়েছিল বলে তাফসির গ্রন্থগুলোতে উল্লেখ পাওয়া যায়। অবশ্য সেই রোজার ধরন ও প্রকৃতি কেমন ছিল—তা জানা যায় না। এ বিষয়ে বাইবেল, কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের কিতাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে কেউ কেউ বলেছেন, আগের যুগের প্রত্যেক নবীর ধর্মেই চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার বিধান ছিল। এই রোজা আইয়ামে বিজের রোজা নামে পরিচিত।
নুহ (আ.)-এর সময়ে রোজা
তাফসিরে ইবনে কাসিরে এসেছে, প্রসিদ্ধ তাফসিরবিদ মুয়াজ (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), আতা (রহ.), কাতাদা (রহ.) ও দহহাক (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত নুহ (আ.) থেকে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত প্রত্যেক নবীর যুগেই প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখার বিধান ছিল। পরে তা রমজানের রোজার বিধানের মাধ্যমে রহিত হয়। (ইবনে কাসির: ১ / ৪৯৭) ; কুরতুবি : ২ / ২৭৫) ; তাবারি: ৩ / ৪১১), তাফসিরুল মানার : ২ / ১১৬)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত নুহ (আ.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন বাদে সারা বছর রোজা রাখতেন। (ইবনে মাজাহ : ১৭১৪)
তবে আলবানি বলেছেন, হাদিসটির সনদ দুর্বল।
ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে রোজা
মুসলিম জাতির পিতা সহিফাপ্রাপ্ত নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর যুগে ৩০টি রোজা ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি রমজানের ১ তারিখ সহিফা অবতীর্ণ হয়। এ জন্য তিনি রমজানের ১ তারিখ রোজা রাখতেন। তাঁর অনুসারীদের জন্য ১, ২ ও ৩ রমজান রোজা রাখা ফরজ ছিল। নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে মুক্তির স্মরণে ১০ মহররম তিনি ও তাঁর অনুসারীদের জন্য রোজা রাখা ফরজ ছিল। কোরবানির স্মরণে ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজসহ মোট সাত দিন ইবরাহিম, ইসমাইল ও ইসহাক (আ.)-এর উম্মতের জন্য রোজা ফরজ ছিল।
দাউদ (আ.)-এর সময়ে রোজা
আসমানি কিতাব যবুরপ্রাপ্ত নবী হজরত দাউদ (আ.)-এর সময়ও রোজার প্রচলন ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় রোজা দাউদ (আ.)-এর রোজা। তিনি এক দিন রোজা রাখতেন এবং এক দিন বিনা রোজায় থাকতেন।’ (মুসলিম: ১১৫৯) অর্থাৎ, নবী দাউদ (আ.) সারা বছর একদিন পরপর রোজা রাখতেন।
মুসা (আ.)-এর সময়ে রোজা
ইহুদিদের জন্য প্রতি শনিবার, বছরের মধ্যে মহররমের ১০ তারিখে আশুরার দিন এবং অন্যান্য সময় রোজা ফরজ ছিল। ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় হিজরত করে ইহুদিদের আশুরার দিনে রোজা রাখতে দেখলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ তোমরা কিসের রোজা রাখছ?’ তারা বলল, ‘এটা সেই মহান দিন, যেদিন আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও তাঁর সম্প্রদায়কে বনি ইসরাইল ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করেছিলেন। ফলে শুকরিয়াস্বরূপ মুসা (আ.) ওই দিনে রোজা রেখেছিলেন, তাই আমরা আজ রোজা রাখছি।’ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি তোমাদের চেয়ে মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটজন।’ এরপর তিনি এই দিন রোজা রাখলেন এবং সবাইকে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (বুখারি: ২০০৪ ; মুসলিম: ১১৩০)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তুর পাহাড়ে আল্লাহর কাছ থেকে তাওরাতপ্রাপ্তির আগে ৪০ দিন পানাহার ত্যাগ করেছিলেন বলে জানা যায়। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতে বিষয়টি বর্ণিত আছে। ইহুদিরা সাধারণভাবে এই ৪০টি রোজা রাখা ভালো মনে করত। ৪০তম দিনটিতে রোজা রাখা তাদের জন্য ফরজ ছিল। ওই দিনটিকেই আশুরা বা দশম দিন বলা হয়। এ ছাড়া ইহুদি সহিফাতে অন্যান্য রোজারও সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।
ইসা (আ.)-এর সময়ে রোজা
আসমানি কিতাব ইঞ্জিলপ্রাপ্ত নবী হজরত ইসা (আ.)-এর যুগেও রোজার প্রমাণ পাওয়া যায়। ইসা (আ.)-এর অনুসারী খ্রিষ্টান সম্প্রদায় রোজা রাখতেন। বর্তমানে তাদের মধ্যে দুই ধরনের রোজা প্রচলিত আছে।
প্রথমটি হলো, তাদের পিতার উপদেশে নির্দিষ্ট কয়েক দিন খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা, আর ইফতার হবে নিরামিষ দিয়ে, মাছ, মাংস ও দুগ্ধজাত জিনিস খাওয়া যাবে না। যেমন— বড় দিনের রোজা, তওবার রোজা, যা ৫৫ দিন পর্যন্ত দীর্ঘ হয়; এমনিভাবে সপ্তাহে বুধ ও শুক্রবারের রোজা। দ্বিতীয়টি হলো— খাদ্য থেকে বিরত থাকা, তবে মাছ ভক্ষণ করা যাবে। এই রোজার মধ্যে ছোট রোজা বা জন্মদিনের রোজা, যা ৪৩ দিন দীর্ঘায়িত হয়, দূতগণের রোজা, মারিয়ামের রোজা ইত্যাদি। তবে খ্রিষ্টান ধর্মে কোনো রোজাই ফরজ নয়। (তাফসিরে তাবারি : ৩ / ৪১১)
ইসা (আ.) ধর্ম প্রচারের শুরুতে ইঞ্জিল পাওয়ার আগে জঙ্গলে ৪০ দিন সিয়াম সাধনা করেছিলেন। একদিন ইসা (আ.)-কে তাঁর অনুসারীরা জিজ্ঞেস করেন যে, ‘আমরা অপবিত্র আত্মাকে কী করে বের করব?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘তা দোয়া ও রোজা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে বের হতে পারে না।’ (মথি: ৭-৬৬ ; সিরাতুন নবী, ৫ / ২৮৭-২৮৮)
সূত্র : আবদুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী রচিত বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে সাওম

রোজার বিধান মহানবী (সা.)-এর আনীত ধর্ম ইসলামেই রয়েছে, এমনটি নয়। প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে অনেক নবী-রাসুলের আমলেই রোজার বিধানের কথা জানা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা যখন মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ করেন, তখন সেদিকে ইঙ্গিত করে মুসলমানদের সাহস জুগিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
আদম (আ.)-এর সময়ে রোজা
প্রথম নবী হজরত আদম (আ.)-এর ধর্মে রোজার বিধান দেওয়া হয়েছিল বলে তাফসির গ্রন্থগুলোতে উল্লেখ পাওয়া যায়। অবশ্য সেই রোজার ধরন ও প্রকৃতি কেমন ছিল—তা জানা যায় না। এ বিষয়ে বাইবেল, কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের কিতাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে কেউ কেউ বলেছেন, আগের যুগের প্রত্যেক নবীর ধর্মেই চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার বিধান ছিল। এই রোজা আইয়ামে বিজের রোজা নামে পরিচিত।
নুহ (আ.)-এর সময়ে রোজা
তাফসিরে ইবনে কাসিরে এসেছে, প্রসিদ্ধ তাফসিরবিদ মুয়াজ (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), আতা (রহ.), কাতাদা (রহ.) ও দহহাক (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত নুহ (আ.) থেকে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত প্রত্যেক নবীর যুগেই প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখার বিধান ছিল। পরে তা রমজানের রোজার বিধানের মাধ্যমে রহিত হয়। (ইবনে কাসির: ১ / ৪৯৭) ; কুরতুবি : ২ / ২৭৫) ; তাবারি: ৩ / ৪১১), তাফসিরুল মানার : ২ / ১১৬)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত নুহ (আ.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন বাদে সারা বছর রোজা রাখতেন। (ইবনে মাজাহ : ১৭১৪)
তবে আলবানি বলেছেন, হাদিসটির সনদ দুর্বল।
ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে রোজা
মুসলিম জাতির পিতা সহিফাপ্রাপ্ত নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর যুগে ৩০টি রোজা ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি রমজানের ১ তারিখ সহিফা অবতীর্ণ হয়। এ জন্য তিনি রমজানের ১ তারিখ রোজা রাখতেন। তাঁর অনুসারীদের জন্য ১, ২ ও ৩ রমজান রোজা রাখা ফরজ ছিল। নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে মুক্তির স্মরণে ১০ মহররম তিনি ও তাঁর অনুসারীদের জন্য রোজা রাখা ফরজ ছিল। কোরবানির স্মরণে ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজসহ মোট সাত দিন ইবরাহিম, ইসমাইল ও ইসহাক (আ.)-এর উম্মতের জন্য রোজা ফরজ ছিল।
দাউদ (আ.)-এর সময়ে রোজা
আসমানি কিতাব যবুরপ্রাপ্ত নবী হজরত দাউদ (আ.)-এর সময়ও রোজার প্রচলন ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় রোজা দাউদ (আ.)-এর রোজা। তিনি এক দিন রোজা রাখতেন এবং এক দিন বিনা রোজায় থাকতেন।’ (মুসলিম: ১১৫৯) অর্থাৎ, নবী দাউদ (আ.) সারা বছর একদিন পরপর রোজা রাখতেন।
মুসা (আ.)-এর সময়ে রোজা
ইহুদিদের জন্য প্রতি শনিবার, বছরের মধ্যে মহররমের ১০ তারিখে আশুরার দিন এবং অন্যান্য সময় রোজা ফরজ ছিল। ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় হিজরত করে ইহুদিদের আশুরার দিনে রোজা রাখতে দেখলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ তোমরা কিসের রোজা রাখছ?’ তারা বলল, ‘এটা সেই মহান দিন, যেদিন আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও তাঁর সম্প্রদায়কে বনি ইসরাইল ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করেছিলেন। ফলে শুকরিয়াস্বরূপ মুসা (আ.) ওই দিনে রোজা রেখেছিলেন, তাই আমরা আজ রোজা রাখছি।’ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি তোমাদের চেয়ে মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটজন।’ এরপর তিনি এই দিন রোজা রাখলেন এবং সবাইকে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (বুখারি: ২০০৪ ; মুসলিম: ১১৩০)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তুর পাহাড়ে আল্লাহর কাছ থেকে তাওরাতপ্রাপ্তির আগে ৪০ দিন পানাহার ত্যাগ করেছিলেন বলে জানা যায়। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতে বিষয়টি বর্ণিত আছে। ইহুদিরা সাধারণভাবে এই ৪০টি রোজা রাখা ভালো মনে করত। ৪০তম দিনটিতে রোজা রাখা তাদের জন্য ফরজ ছিল। ওই দিনটিকেই আশুরা বা দশম দিন বলা হয়। এ ছাড়া ইহুদি সহিফাতে অন্যান্য রোজারও সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।
ইসা (আ.)-এর সময়ে রোজা
আসমানি কিতাব ইঞ্জিলপ্রাপ্ত নবী হজরত ইসা (আ.)-এর যুগেও রোজার প্রমাণ পাওয়া যায়। ইসা (আ.)-এর অনুসারী খ্রিষ্টান সম্প্রদায় রোজা রাখতেন। বর্তমানে তাদের মধ্যে দুই ধরনের রোজা প্রচলিত আছে।
প্রথমটি হলো, তাদের পিতার উপদেশে নির্দিষ্ট কয়েক দিন খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা, আর ইফতার হবে নিরামিষ দিয়ে, মাছ, মাংস ও দুগ্ধজাত জিনিস খাওয়া যাবে না। যেমন— বড় দিনের রোজা, তওবার রোজা, যা ৫৫ দিন পর্যন্ত দীর্ঘ হয়; এমনিভাবে সপ্তাহে বুধ ও শুক্রবারের রোজা। দ্বিতীয়টি হলো— খাদ্য থেকে বিরত থাকা, তবে মাছ ভক্ষণ করা যাবে। এই রোজার মধ্যে ছোট রোজা বা জন্মদিনের রোজা, যা ৪৩ দিন দীর্ঘায়িত হয়, দূতগণের রোজা, মারিয়ামের রোজা ইত্যাদি। তবে খ্রিষ্টান ধর্মে কোনো রোজাই ফরজ নয়। (তাফসিরে তাবারি : ৩ / ৪১১)
ইসা (আ.) ধর্ম প্রচারের শুরুতে ইঞ্জিল পাওয়ার আগে জঙ্গলে ৪০ দিন সিয়াম সাধনা করেছিলেন। একদিন ইসা (আ.)-কে তাঁর অনুসারীরা জিজ্ঞেস করেন যে, ‘আমরা অপবিত্র আত্মাকে কী করে বের করব?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘তা দোয়া ও রোজা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে বের হতে পারে না।’ (মথি: ৭-৬৬ ; সিরাতুন নবী, ৫ / ২৮৭-২৮৮)
সূত্র : আবদুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী রচিত বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে সাওম
ইসলাম ডেস্ক

রোজার বিধান মহানবী (সা.)-এর আনীত ধর্ম ইসলামেই রয়েছে, এমনটি নয়। প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে অনেক নবী-রাসুলের আমলেই রোজার বিধানের কথা জানা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা যখন মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ করেন, তখন সেদিকে ইঙ্গিত করে মুসলমানদের সাহস জুগিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
আদম (আ.)-এর সময়ে রোজা
প্রথম নবী হজরত আদম (আ.)-এর ধর্মে রোজার বিধান দেওয়া হয়েছিল বলে তাফসির গ্রন্থগুলোতে উল্লেখ পাওয়া যায়। অবশ্য সেই রোজার ধরন ও প্রকৃতি কেমন ছিল—তা জানা যায় না। এ বিষয়ে বাইবেল, কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের কিতাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে কেউ কেউ বলেছেন, আগের যুগের প্রত্যেক নবীর ধর্মেই চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার বিধান ছিল। এই রোজা আইয়ামে বিজের রোজা নামে পরিচিত।
নুহ (আ.)-এর সময়ে রোজা
তাফসিরে ইবনে কাসিরে এসেছে, প্রসিদ্ধ তাফসিরবিদ মুয়াজ (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), আতা (রহ.), কাতাদা (রহ.) ও দহহাক (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত নুহ (আ.) থেকে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত প্রত্যেক নবীর যুগেই প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখার বিধান ছিল। পরে তা রমজানের রোজার বিধানের মাধ্যমে রহিত হয়। (ইবনে কাসির: ১ / ৪৯৭) ; কুরতুবি : ২ / ২৭৫) ; তাবারি: ৩ / ৪১১), তাফসিরুল মানার : ২ / ১১৬)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত নুহ (আ.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন বাদে সারা বছর রোজা রাখতেন। (ইবনে মাজাহ : ১৭১৪)
তবে আলবানি বলেছেন, হাদিসটির সনদ দুর্বল।
ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে রোজা
মুসলিম জাতির পিতা সহিফাপ্রাপ্ত নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর যুগে ৩০টি রোজা ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি রমজানের ১ তারিখ সহিফা অবতীর্ণ হয়। এ জন্য তিনি রমজানের ১ তারিখ রোজা রাখতেন। তাঁর অনুসারীদের জন্য ১, ২ ও ৩ রমজান রোজা রাখা ফরজ ছিল। নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে মুক্তির স্মরণে ১০ মহররম তিনি ও তাঁর অনুসারীদের জন্য রোজা রাখা ফরজ ছিল। কোরবানির স্মরণে ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজসহ মোট সাত দিন ইবরাহিম, ইসমাইল ও ইসহাক (আ.)-এর উম্মতের জন্য রোজা ফরজ ছিল।
দাউদ (আ.)-এর সময়ে রোজা
আসমানি কিতাব যবুরপ্রাপ্ত নবী হজরত দাউদ (আ.)-এর সময়ও রোজার প্রচলন ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় রোজা দাউদ (আ.)-এর রোজা। তিনি এক দিন রোজা রাখতেন এবং এক দিন বিনা রোজায় থাকতেন।’ (মুসলিম: ১১৫৯) অর্থাৎ, নবী দাউদ (আ.) সারা বছর একদিন পরপর রোজা রাখতেন।
মুসা (আ.)-এর সময়ে রোজা
ইহুদিদের জন্য প্রতি শনিবার, বছরের মধ্যে মহররমের ১০ তারিখে আশুরার দিন এবং অন্যান্য সময় রোজা ফরজ ছিল। ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় হিজরত করে ইহুদিদের আশুরার দিনে রোজা রাখতে দেখলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ তোমরা কিসের রোজা রাখছ?’ তারা বলল, ‘এটা সেই মহান দিন, যেদিন আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও তাঁর সম্প্রদায়কে বনি ইসরাইল ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করেছিলেন। ফলে শুকরিয়াস্বরূপ মুসা (আ.) ওই দিনে রোজা রেখেছিলেন, তাই আমরা আজ রোজা রাখছি।’ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি তোমাদের চেয়ে মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটজন।’ এরপর তিনি এই দিন রোজা রাখলেন এবং সবাইকে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (বুখারি: ২০০৪ ; মুসলিম: ১১৩০)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তুর পাহাড়ে আল্লাহর কাছ থেকে তাওরাতপ্রাপ্তির আগে ৪০ দিন পানাহার ত্যাগ করেছিলেন বলে জানা যায়। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতে বিষয়টি বর্ণিত আছে। ইহুদিরা সাধারণভাবে এই ৪০টি রোজা রাখা ভালো মনে করত। ৪০তম দিনটিতে রোজা রাখা তাদের জন্য ফরজ ছিল। ওই দিনটিকেই আশুরা বা দশম দিন বলা হয়। এ ছাড়া ইহুদি সহিফাতে অন্যান্য রোজারও সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।
ইসা (আ.)-এর সময়ে রোজা
আসমানি কিতাব ইঞ্জিলপ্রাপ্ত নবী হজরত ইসা (আ.)-এর যুগেও রোজার প্রমাণ পাওয়া যায়। ইসা (আ.)-এর অনুসারী খ্রিষ্টান সম্প্রদায় রোজা রাখতেন। বর্তমানে তাদের মধ্যে দুই ধরনের রোজা প্রচলিত আছে।
প্রথমটি হলো, তাদের পিতার উপদেশে নির্দিষ্ট কয়েক দিন খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা, আর ইফতার হবে নিরামিষ দিয়ে, মাছ, মাংস ও দুগ্ধজাত জিনিস খাওয়া যাবে না। যেমন— বড় দিনের রোজা, তওবার রোজা, যা ৫৫ দিন পর্যন্ত দীর্ঘ হয়; এমনিভাবে সপ্তাহে বুধ ও শুক্রবারের রোজা। দ্বিতীয়টি হলো— খাদ্য থেকে বিরত থাকা, তবে মাছ ভক্ষণ করা যাবে। এই রোজার মধ্যে ছোট রোজা বা জন্মদিনের রোজা, যা ৪৩ দিন দীর্ঘায়িত হয়, দূতগণের রোজা, মারিয়ামের রোজা ইত্যাদি। তবে খ্রিষ্টান ধর্মে কোনো রোজাই ফরজ নয়। (তাফসিরে তাবারি : ৩ / ৪১১)
ইসা (আ.) ধর্ম প্রচারের শুরুতে ইঞ্জিল পাওয়ার আগে জঙ্গলে ৪০ দিন সিয়াম সাধনা করেছিলেন। একদিন ইসা (আ.)-কে তাঁর অনুসারীরা জিজ্ঞেস করেন যে, ‘আমরা অপবিত্র আত্মাকে কী করে বের করব?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘তা দোয়া ও রোজা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে বের হতে পারে না।’ (মথি: ৭-৬৬ ; সিরাতুন নবী, ৫ / ২৮৭-২৮৮)
সূত্র : আবদুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী রচিত বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে সাওম

রোজার বিধান মহানবী (সা.)-এর আনীত ধর্ম ইসলামেই রয়েছে, এমনটি নয়। প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে অনেক নবী-রাসুলের আমলেই রোজার বিধানের কথা জানা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা যখন মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ করেন, তখন সেদিকে ইঙ্গিত করে মুসলমানদের সাহস জুগিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
আদম (আ.)-এর সময়ে রোজা
প্রথম নবী হজরত আদম (আ.)-এর ধর্মে রোজার বিধান দেওয়া হয়েছিল বলে তাফসির গ্রন্থগুলোতে উল্লেখ পাওয়া যায়। অবশ্য সেই রোজার ধরন ও প্রকৃতি কেমন ছিল—তা জানা যায় না। এ বিষয়ে বাইবেল, কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের কিতাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে কেউ কেউ বলেছেন, আগের যুগের প্রত্যেক নবীর ধর্মেই চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার বিধান ছিল। এই রোজা আইয়ামে বিজের রোজা নামে পরিচিত।
নুহ (আ.)-এর সময়ে রোজা
তাফসিরে ইবনে কাসিরে এসেছে, প্রসিদ্ধ তাফসিরবিদ মুয়াজ (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), আতা (রহ.), কাতাদা (রহ.) ও দহহাক (রহ.) বর্ণনা করেন, হজরত নুহ (আ.) থেকে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত প্রত্যেক নবীর যুগেই প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখার বিধান ছিল। পরে তা রমজানের রোজার বিধানের মাধ্যমে রহিত হয়। (ইবনে কাসির: ১ / ৪৯৭) ; কুরতুবি : ২ / ২৭৫) ; তাবারি: ৩ / ৪১১), তাফসিরুল মানার : ২ / ১১৬)
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত নুহ (আ.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন বাদে সারা বছর রোজা রাখতেন। (ইবনে মাজাহ : ১৭১৪)
তবে আলবানি বলেছেন, হাদিসটির সনদ দুর্বল।
ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে রোজা
মুসলিম জাতির পিতা সহিফাপ্রাপ্ত নবী হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর যুগে ৩০টি রোজা ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি রমজানের ১ তারিখ সহিফা অবতীর্ণ হয়। এ জন্য তিনি রমজানের ১ তারিখ রোজা রাখতেন। তাঁর অনুসারীদের জন্য ১, ২ ও ৩ রমজান রোজা রাখা ফরজ ছিল। নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে মুক্তির স্মরণে ১০ মহররম তিনি ও তাঁর অনুসারীদের জন্য রোজা রাখা ফরজ ছিল। কোরবানির স্মরণে ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজসহ মোট সাত দিন ইবরাহিম, ইসমাইল ও ইসহাক (আ.)-এর উম্মতের জন্য রোজা ফরজ ছিল।
দাউদ (আ.)-এর সময়ে রোজা
আসমানি কিতাব যবুরপ্রাপ্ত নবী হজরত দাউদ (আ.)-এর সময়ও রোজার প্রচলন ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় রোজা দাউদ (আ.)-এর রোজা। তিনি এক দিন রোজা রাখতেন এবং এক দিন বিনা রোজায় থাকতেন।’ (মুসলিম: ১১৫৯) অর্থাৎ, নবী দাউদ (আ.) সারা বছর একদিন পরপর রোজা রাখতেন।
মুসা (আ.)-এর সময়ে রোজা
ইহুদিদের জন্য প্রতি শনিবার, বছরের মধ্যে মহররমের ১০ তারিখে আশুরার দিন এবং অন্যান্য সময় রোজা ফরজ ছিল। ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় হিজরত করে ইহুদিদের আশুরার দিনে রোজা রাখতে দেখলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ তোমরা কিসের রোজা রাখছ?’ তারা বলল, ‘এটা সেই মহান দিন, যেদিন আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও তাঁর সম্প্রদায়কে বনি ইসরাইল ফেরাউনের কবল থেকে মুক্ত করেছিলেন। ফলে শুকরিয়াস্বরূপ মুসা (আ.) ওই দিনে রোজা রেখেছিলেন, তাই আমরা আজ রোজা রাখছি।’ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি তোমাদের চেয়ে মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটজন।’ এরপর তিনি এই দিন রোজা রাখলেন এবং সবাইকে রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (বুখারি: ২০০৪ ; মুসলিম: ১১৩০)
এ ছাড়া মুসা (আ.) তুর পাহাড়ে আল্লাহর কাছ থেকে তাওরাতপ্রাপ্তির আগে ৪০ দিন পানাহার ত্যাগ করেছিলেন বলে জানা যায়। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতে বিষয়টি বর্ণিত আছে। ইহুদিরা সাধারণভাবে এই ৪০টি রোজা রাখা ভালো মনে করত। ৪০তম দিনটিতে রোজা রাখা তাদের জন্য ফরজ ছিল। ওই দিনটিকেই আশুরা বা দশম দিন বলা হয়। এ ছাড়া ইহুদি সহিফাতে অন্যান্য রোজারও সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।
ইসা (আ.)-এর সময়ে রোজা
আসমানি কিতাব ইঞ্জিলপ্রাপ্ত নবী হজরত ইসা (আ.)-এর যুগেও রোজার প্রমাণ পাওয়া যায়। ইসা (আ.)-এর অনুসারী খ্রিষ্টান সম্প্রদায় রোজা রাখতেন। বর্তমানে তাদের মধ্যে দুই ধরনের রোজা প্রচলিত আছে।
প্রথমটি হলো, তাদের পিতার উপদেশে নির্দিষ্ট কয়েক দিন খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা, আর ইফতার হবে নিরামিষ দিয়ে, মাছ, মাংস ও দুগ্ধজাত জিনিস খাওয়া যাবে না। যেমন— বড় দিনের রোজা, তওবার রোজা, যা ৫৫ দিন পর্যন্ত দীর্ঘ হয়; এমনিভাবে সপ্তাহে বুধ ও শুক্রবারের রোজা। দ্বিতীয়টি হলো— খাদ্য থেকে বিরত থাকা, তবে মাছ ভক্ষণ করা যাবে। এই রোজার মধ্যে ছোট রোজা বা জন্মদিনের রোজা, যা ৪৩ দিন দীর্ঘায়িত হয়, দূতগণের রোজা, মারিয়ামের রোজা ইত্যাদি। তবে খ্রিষ্টান ধর্মে কোনো রোজাই ফরজ নয়। (তাফসিরে তাবারি : ৩ / ৪১১)
ইসা (আ.) ধর্ম প্রচারের শুরুতে ইঞ্জিল পাওয়ার আগে জঙ্গলে ৪০ দিন সিয়াম সাধনা করেছিলেন। একদিন ইসা (আ.)-কে তাঁর অনুসারীরা জিজ্ঞেস করেন যে, ‘আমরা অপবিত্র আত্মাকে কী করে বের করব?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘তা দোয়া ও রোজা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে বের হতে পারে না।’ (মথি: ৭-৬৬ ; সিরাতুন নবী, ৫ / ২৮৭-২৮৮)
সূত্র : আবদুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী রচিত বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে সাওম

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

রোজার বিধান মহানবী (সা.)-এর আনীত ধর্ম ইসলামেই রয়েছে, এমনটি নয়। প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে অনেক নবী-রাসুলের আমলেই রোজার বিধানের কথা জানা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা যখন মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ করেন, তখন সেদিকে ইঙ্গিত করে মুসলমানদের সাহস জুগিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জ
২৫ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রোজার বিধান মহানবী (সা.)-এর আনীত ধর্ম ইসলামেই রয়েছে, এমনটি নয়। প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে অনেক নবী-রাসুলের আমলেই রোজার বিধানের কথা জানা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা যখন মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ করেন, তখন সেদিকে ইঙ্গিত করে মুসলমানদের সাহস জুগিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জ
২৫ মার্চ ২০২৩
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ দিন আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

রোজার বিধান মহানবী (সা.)-এর আনীত ধর্ম ইসলামেই রয়েছে, এমনটি নয়। প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে অনেক নবী-রাসুলের আমলেই রোজার বিধানের কথা জানা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা যখন মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ করেন, তখন সেদিকে ইঙ্গিত করে মুসলমানদের সাহস জুগিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জ
২৫ মার্চ ২০২৩
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

রোজার বিধান মহানবী (সা.)-এর আনীত ধর্ম ইসলামেই রয়েছে, এমনটি নয়। প্রথম নবী হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে অনেক নবী-রাসুলের আমলেই রোজার বিধানের কথা জানা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা যখন মুসলমানদের জন্য রোজা ফরজ করেন, তখন সেদিকে ইঙ্গিত করে মুসলমানদের সাহস জুগিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমাদের জ
২৫ মার্চ ২০২৩
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
১ দিন আগে