ইসলাম ডেস্ক
আত্মনির্ভরশীল মানুষমাত্রই সমাজে শ্রদ্ধার পাত্র। ইসলাম তার অনুসারীদের কেবল আত্মনির্ভরশীল হতে উৎসাহিতই করে না, বরং এই প্রচেষ্টাকে ইবাদত হিসেবে গণ্য করে। ইসলামে মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষিতা মুমিনের মর্যাদার প্রতীক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের সম্মান তাহাজ্জুদ পড়ার মধ্যে এবং তার মর্যাদা মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষী থাকার মধ্যে।’ (তাবারানি)। ইসলামের এই সুমহান শিক্ষা স্বয়ং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর শৈশব থেকেই আত্মনির্ভরশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি তাঁর চাচার সংসারে অভাব-অনটন দেখে স্বেচ্ছায় ছাগল চরানোর সংকল্প করেন এবং পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এই কাজ করতেন। এটি প্রমাণ করে, কোনো কাজকেই ইসলামে ছোট করে দেখা হয় না।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা এমন কোনো নবী পাঠাননি, যিনি বকরি চরাননি।’ তখন সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনিও?’ তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি কয়েক কিরাতের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের বকরি চরাতাম।’ (সহিহ বুখারি)। শৈশবে ছাগল চারণের পর তিনি ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করেন এবং নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে সমাজের কাছে স্বীয় সততা প্রতিষ্ঠা করেন।
ঘরের কাজে রাসুল (সা.) ছিলেন আত্মনির্ভরশীল। অতি প্রয়োজন ছাড়া তিনি স্ত্রী বা দাসদের কোনো কাজের আদেশ দিতেন না। বরং তিনি নিজেই স্ত্রীদের সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করতেন।
আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী করিম (সা.) নিজের জুতা নিজেই ঠিক করতেন, কাপড় সেলাই করতেন এবং তোমরা যেমন ঘরে কাজ করো তেমনি কাজ করতেন।’ (মুসনাদে আহমদ)। এই দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে যে ঘরের কাজে সহযোগিতা পুরুষের মর্যাদা কমায় না, বরং বাড়ায়।
শুধু ঘরে নয়, জনগুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজেও রাসুল (সা.) সবার সঙ্গে সমানভাবে শরিক হতেন। খন্দক যুদ্ধের সময় তিনি সাহাবিদের সঙ্গে মাটি বহন করেছিলেন। বারাআ (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) খন্দক যুদ্ধের দিন মাটি বহন করেছিলেন। এমনকি মাটি তাঁর পেট ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল।’ (সহিহ বুখারি)
আত্মনির্ভরশীল মানুষমাত্রই সমাজে শ্রদ্ধার পাত্র। ইসলাম তার অনুসারীদের কেবল আত্মনির্ভরশীল হতে উৎসাহিতই করে না, বরং এই প্রচেষ্টাকে ইবাদত হিসেবে গণ্য করে। ইসলামে মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষিতা মুমিনের মর্যাদার প্রতীক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের সম্মান তাহাজ্জুদ পড়ার মধ্যে এবং তার মর্যাদা মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষী থাকার মধ্যে।’ (তাবারানি)। ইসলামের এই সুমহান শিক্ষা স্বয়ং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর শৈশব থেকেই আত্মনির্ভরশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি তাঁর চাচার সংসারে অভাব-অনটন দেখে স্বেচ্ছায় ছাগল চরানোর সংকল্প করেন এবং পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এই কাজ করতেন। এটি প্রমাণ করে, কোনো কাজকেই ইসলামে ছোট করে দেখা হয় না।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা এমন কোনো নবী পাঠাননি, যিনি বকরি চরাননি।’ তখন সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনিও?’ তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি কয়েক কিরাতের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের বকরি চরাতাম।’ (সহিহ বুখারি)। শৈশবে ছাগল চারণের পর তিনি ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করেন এবং নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে সমাজের কাছে স্বীয় সততা প্রতিষ্ঠা করেন।
ঘরের কাজে রাসুল (সা.) ছিলেন আত্মনির্ভরশীল। অতি প্রয়োজন ছাড়া তিনি স্ত্রী বা দাসদের কোনো কাজের আদেশ দিতেন না। বরং তিনি নিজেই স্ত্রীদের সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করতেন।
আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী করিম (সা.) নিজের জুতা নিজেই ঠিক করতেন, কাপড় সেলাই করতেন এবং তোমরা যেমন ঘরে কাজ করো তেমনি কাজ করতেন।’ (মুসনাদে আহমদ)। এই দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে যে ঘরের কাজে সহযোগিতা পুরুষের মর্যাদা কমায় না, বরং বাড়ায়।
শুধু ঘরে নয়, জনগুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজেও রাসুল (সা.) সবার সঙ্গে সমানভাবে শরিক হতেন। খন্দক যুদ্ধের সময় তিনি সাহাবিদের সঙ্গে মাটি বহন করেছিলেন। বারাআ (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) খন্দক যুদ্ধের দিন মাটি বহন করেছিলেন। এমনকি মাটি তাঁর পেট ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলামে পরিচ্ছন্নতা শুধু বাহ্যিক পরিধি বা স্বাস্থ্যবিধি নয়, বরং এটি ইমানের অপরিহার্য অংশ। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (সহিহ্ মুসলিম)। এটি প্রমাণ করে যে একজন মুমিনের জীবনে পবিত্রতার গুরুত্ব কতখানি।
৫ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগেমানবজীবনের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলাম এই অর্থনৈতিক খাতকে শুধু জীবিকার মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। তবে এ জন্য প্রয়োজন ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও আল্লাহভীতি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে পারস্পরিক...
১৮ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআন হলো ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি এবং মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি কেবল ধর্মীয় উপদেশের সংগ্রহ নয়, বরং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ ও এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রতিটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থের গভীরে এমন প্রজ্ঞা ও জ্ঞান নিহিত, যা মানব মস্তিষ্ককে...
১ দিন আগে