ইসলাম ডেস্ক
প্রতিবন্ধীদের প্রতি কোনো ধরনের অবজ্ঞাসূচক আচরণ ইসলামে অনুমোদিত নয়। হাদিসে এসেছে, একদিন রাসুল (সা.) কুরাইশের এক নেতৃস্থানীয় লোকের সঙ্গে কথা বলছিলেন এবং তার ইসলাম গ্রহণের আশা করছিলেন। তখন সেখানে অন্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) উপস্থিত হলেন। এসেই তিনি রাসুল (সা.)-এর কাছে একটি বিষয় জানার জন্য খুব পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন। রাসুল (সা.) যেহেতু কুরাইশের লোকটির হিদায়াতের আশা করছিলেন, তাই ইবনে উম্মে মাকতুম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে লোকটার প্রতি মনোনিবেশ করলেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন এবং মহানবী (সা.)-কে মৃদু তিরস্কার করে বলেন, ‘সে ভ্রু কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল, কারণ তার কাছে অন্ধ লোকটি এসেছে। তোমার জানা আছে কি, সে হয়তো শুদ্ধ হতো অথবা উপদেশ গ্রহণ করত, ফলে উপদেশ তার উপকারে আসত। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অগ্রাহ্য করছিল, তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিয়েছ। অথচ সে নিজেকে না শুধরালে তোমার কোনো দায়িত্ব নেই। অন্য পক্ষে, যে তোমার কাছে আল্লাহর ভয় নিয়ে ছুটে এল, তার প্রতি তুমি অবজ্ঞা প্রদর্শন করলে! কিছুতেই এমন করা উচিত নয়।’ (সুরা আবাসা: ১-১১)
সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর পায়ের নলা খুব চিকন ছিল। একদিন তিনি একটি গাছ থেকে মিসওয়াকের জন্য ডাল সংগ্রহ করছিলেন, এমন সময় দমকা বাতাস এসে তাঁকে ফেলে দিতে চাইল। তা দেখে লোকজন হেসে উঠল। রাসুল (সা.) তাদের হাসির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল, ‘ওর চিকন পা দেখে হাসছি।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর কসম, তাঁর এ চিকন পা দুটি আমলের পাল্লায় উহুদ পাহাড়ের চেয়ে বেশি ভারী হবে।’ (মুসনাদে আহমদ) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি (ঠাট্টার ছলে) অন্ধ ব্যক্তিকে ভুল পথ দেখায়, সে অভিশপ্ত।’ (মুসনাদে আহমদ)
প্রতিবন্ধীদের প্রতি কোনো ধরনের অবজ্ঞাসূচক আচরণ ইসলামে অনুমোদিত নয়। হাদিসে এসেছে, একদিন রাসুল (সা.) কুরাইশের এক নেতৃস্থানীয় লোকের সঙ্গে কথা বলছিলেন এবং তার ইসলাম গ্রহণের আশা করছিলেন। তখন সেখানে অন্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) উপস্থিত হলেন। এসেই তিনি রাসুল (সা.)-এর কাছে একটি বিষয় জানার জন্য খুব পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন। রাসুল (সা.) যেহেতু কুরাইশের লোকটির হিদায়াতের আশা করছিলেন, তাই ইবনে উম্মে মাকতুম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে লোকটার প্রতি মনোনিবেশ করলেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন এবং মহানবী (সা.)-কে মৃদু তিরস্কার করে বলেন, ‘সে ভ্রু কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল, কারণ তার কাছে অন্ধ লোকটি এসেছে। তোমার জানা আছে কি, সে হয়তো শুদ্ধ হতো অথবা উপদেশ গ্রহণ করত, ফলে উপদেশ তার উপকারে আসত। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অগ্রাহ্য করছিল, তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিয়েছ। অথচ সে নিজেকে না শুধরালে তোমার কোনো দায়িত্ব নেই। অন্য পক্ষে, যে তোমার কাছে আল্লাহর ভয় নিয়ে ছুটে এল, তার প্রতি তুমি অবজ্ঞা প্রদর্শন করলে! কিছুতেই এমন করা উচিত নয়।’ (সুরা আবাসা: ১-১১)
সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর পায়ের নলা খুব চিকন ছিল। একদিন তিনি একটি গাছ থেকে মিসওয়াকের জন্য ডাল সংগ্রহ করছিলেন, এমন সময় দমকা বাতাস এসে তাঁকে ফেলে দিতে চাইল। তা দেখে লোকজন হেসে উঠল। রাসুল (সা.) তাদের হাসির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল, ‘ওর চিকন পা দেখে হাসছি।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর কসম, তাঁর এ চিকন পা দুটি আমলের পাল্লায় উহুদ পাহাড়ের চেয়ে বেশি ভারী হবে।’ (মুসনাদে আহমদ) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি (ঠাট্টার ছলে) অন্ধ ব্যক্তিকে ভুল পথ দেখায়, সে অভিশপ্ত।’ (মুসনাদে আহমদ)
ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হজ পালনে এবার প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে সমবেত হয়েছেন। বুধবার আরাফাতের ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কেউ কেউ হেঁটেই সেখানে পৌঁছান। তাপমাত্রা তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত বছর বিদেশি হাজির সংখ্যা ছিল ১৬ লাখের বেশি।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজি (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ আদায় করুন এবং কোরবানি দিন।’ (সুরা কাউসার: ২)
১২ ঘণ্টা আগেইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর পঞ্চমটি হলো হজ। ইমান, নামাজ, জাকাত ও রোজার পরই হজের অবস্থান। সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওপর হজ ফরজ। অনেকেই শারীরিক ও আর্থিক অপারগতার কারণে হজ করার সামর্থ্য রাখে না। হজে যেতে না পারলেও মুসলমানদের জন্য এমন কিছু আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে সহজেই হজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেআরাফাহ হলো আরবি বর্ষপঞ্জির ১২তম মাসের ৯ তারিখ—যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ছাড়া এটি ঈদুল আজহার আগের দিন হওয়ায় মুসলমানরা ঈদের সর্বশেষ প্রস্তুতিও এই দিন নিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
১৫ ঘণ্টা আগে