ইসলাম ডেস্ক

ইসলাম আমাদের জন্য মহান আল্লাহর এক অপরিমেয় নিয়ামত, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তিনি অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন।
আমরা বারবার ভুল করি, ভুল পথে চলে যাই। কিন্তু মহান রব আমাদের জন্য সর্বদা তাওবার দরজা খোলা রেখেছেন। জীবনের প্রতি সেকেন্ডে আমরা তাঁর অপার রহমতের পরশ পাই। যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ যখন জীবনের কঠিনতম সংকটে পড়েছেন, তখন তাঁরা সরাসরি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছেন। মহান আল্লাহ তাআলা তাঁদের সেই অব্যর্থ দোয়া কবুল করেছেন। পবিত্র কোরআনে সেই সব মূল্যবান দোয়া লিপিবদ্ধ আছে, যা মুমিনদের জন্য মহান রবের পক্ষ থেকে এক বিশেষ উপহার। এই দোয়াগুলো আমাদের জীবনের প্রতিটি সংকটে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।
নিচে কোরআনে বর্ণিত কয়েকজন নবী-রাসুলের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া উল্লেখ করা হলো:
হজরত আদম (আ.)-এর ক্ষমা প্রার্থনা
মানবজাতির আদি পিতা আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘনের পর অনুতপ্ত হয়ে দোয়া করেছিলেন, ‘রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন।’ অর্থ: ‘হে আমাদের রব, আমরা নিজেদের ওপর জুলুম করেছি। আর যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন এবং আমাদের দয়া না করেন—তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।’ (সুরা আরাফ: ২৩)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া
বিপর্যয় ও প্লাবনের সময় তিনি আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেছিলেন, ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়ালিওয়া-লিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও ওয়ালিল মুমিনা-তি ওয়ালা তাজিদিজ জোয়া-লিমিনা ইল্লা তাবারা।’ অর্থ: ‘হে আমার রব, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ইমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন। ধ্বংস ছাড়া আপনি জালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’ (সুরা নুহ: ২৮)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া
মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) মক্কাকে নিরাপদ নগরী বানানোর জন্য এবং তাঁর বংশধরদের প্রতিমাপূজা থেকে দূরে রাখার জন্য দোয়া করেন, ‘রাব্বিজ আল হাজাল বালাদা আমিনাও ওয়াজনুবনি ওয়া বানিইয়া আন নাবুদাল আসনাম...’ অর্থ: ‘হে আমার রব, এই নগরীকে নিরাপদ করো এবং আমাকে ও আমার বংশধরকে প্রতিমাপূজা থেকে দূরে রাখো...’ (সুরা ইবরাহিম: ৩৫-৩৮)
হজরত সোলাইমান (আ.)-এর দোয়া
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি এমন এক সার্বভৌমত্বের প্রার্থনা করেন, যা আর কারও জন্য থাকবে না। তাঁর দোয়া ছিল, ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়া হাবলি মুলকাল লা-ইয়ামবাগি লিআহাদিম মিম বাদি ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।’ অর্থ: ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য, যার অধিকারী আমি ছাড়া আর কেউ যেন না হয়। আপনি তো পরম দাতা।’ (সুরা সাদ: ৩৫)
হজরত আইয়ুব (আ.)-এর ফরিয়াদ
অসুস্থতাকালে তিনি আল্লাহর কাছে আরজি পেশ করেন, ‘রাব্বি আন্নি মাস্ সানিয়াদ্ দুররু ওয়া আন্তা আরহামুর-রাহিমিন।’ অর্থ: ‘আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি আর তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৩)
হজরত ইউনুস (আ.)-এর দোয়া
মাছের পেটে থাকার সময় তিনি দোয়া করেছিলেন, ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’ অর্থ: ‘আপনি (আল্লাহ) ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আপনি পবিত্র ও মহান, আমি তো সীমালঙ্ঘনকারী।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৭)
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রার্থনা
আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর মাধ্যমে কোরআনে মুমিনদের জন্য ইহকাল ও পরকালের শ্রেষ্ঠ কল্যাণের দোয়া শেখানো হয়েছে—‘রাব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আজাবান নার।
অর্থ: ‘হে আমাদের রব, আমাদের পৃথিবীতে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের শাস্তি থেকে।’ (সুরা বাকারা: ২০১)
লেখক: আলমগীর কবির, ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলাম আমাদের জন্য মহান আল্লাহর এক অপরিমেয় নিয়ামত, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তিনি অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন।
আমরা বারবার ভুল করি, ভুল পথে চলে যাই। কিন্তু মহান রব আমাদের জন্য সর্বদা তাওবার দরজা খোলা রেখেছেন। জীবনের প্রতি সেকেন্ডে আমরা তাঁর অপার রহমতের পরশ পাই। যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ যখন জীবনের কঠিনতম সংকটে পড়েছেন, তখন তাঁরা সরাসরি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছেন। মহান আল্লাহ তাআলা তাঁদের সেই অব্যর্থ দোয়া কবুল করেছেন। পবিত্র কোরআনে সেই সব মূল্যবান দোয়া লিপিবদ্ধ আছে, যা মুমিনদের জন্য মহান রবের পক্ষ থেকে এক বিশেষ উপহার। এই দোয়াগুলো আমাদের জীবনের প্রতিটি সংকটে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।
নিচে কোরআনে বর্ণিত কয়েকজন নবী-রাসুলের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া উল্লেখ করা হলো:
হজরত আদম (আ.)-এর ক্ষমা প্রার্থনা
মানবজাতির আদি পিতা আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘনের পর অনুতপ্ত হয়ে দোয়া করেছিলেন, ‘রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন।’ অর্থ: ‘হে আমাদের রব, আমরা নিজেদের ওপর জুলুম করেছি। আর যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন এবং আমাদের দয়া না করেন—তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।’ (সুরা আরাফ: ২৩)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া
বিপর্যয় ও প্লাবনের সময় তিনি আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেছিলেন, ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়ালিওয়া-লিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও ওয়ালিল মুমিনা-তি ওয়ালা তাজিদিজ জোয়া-লিমিনা ইল্লা তাবারা।’ অর্থ: ‘হে আমার রব, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ইমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন। ধ্বংস ছাড়া আপনি জালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’ (সুরা নুহ: ২৮)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া
মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) মক্কাকে নিরাপদ নগরী বানানোর জন্য এবং তাঁর বংশধরদের প্রতিমাপূজা থেকে দূরে রাখার জন্য দোয়া করেন, ‘রাব্বিজ আল হাজাল বালাদা আমিনাও ওয়াজনুবনি ওয়া বানিইয়া আন নাবুদাল আসনাম...’ অর্থ: ‘হে আমার রব, এই নগরীকে নিরাপদ করো এবং আমাকে ও আমার বংশধরকে প্রতিমাপূজা থেকে দূরে রাখো...’ (সুরা ইবরাহিম: ৩৫-৩৮)
হজরত সোলাইমান (আ.)-এর দোয়া
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি এমন এক সার্বভৌমত্বের প্রার্থনা করেন, যা আর কারও জন্য থাকবে না। তাঁর দোয়া ছিল, ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়া হাবলি মুলকাল লা-ইয়ামবাগি লিআহাদিম মিম বাদি ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।’ অর্থ: ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য, যার অধিকারী আমি ছাড়া আর কেউ যেন না হয়। আপনি তো পরম দাতা।’ (সুরা সাদ: ৩৫)
হজরত আইয়ুব (আ.)-এর ফরিয়াদ
অসুস্থতাকালে তিনি আল্লাহর কাছে আরজি পেশ করেন, ‘রাব্বি আন্নি মাস্ সানিয়াদ্ দুররু ওয়া আন্তা আরহামুর-রাহিমিন।’ অর্থ: ‘আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি আর তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৩)
হজরত ইউনুস (আ.)-এর দোয়া
মাছের পেটে থাকার সময় তিনি দোয়া করেছিলেন, ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’ অর্থ: ‘আপনি (আল্লাহ) ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আপনি পবিত্র ও মহান, আমি তো সীমালঙ্ঘনকারী।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৭)
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রার্থনা
আমাদের প্রিয় নবী (সা.)-এর মাধ্যমে কোরআনে মুমিনদের জন্য ইহকাল ও পরকালের শ্রেষ্ঠ কল্যাণের দোয়া শেখানো হয়েছে—‘রাব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আজাবান নার।
অর্থ: ‘হে আমাদের রব, আমাদের পৃথিবীতে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের শাস্তি থেকে।’ (সুরা বাকারা: ২০১)
লেখক: আলমগীর কবির, ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক, সফর, নেতৃত্ব ও সাহচর্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ ও সুন্নাহ। মহানবী (সা.)-এর পারিবারিক জীবনে দেখা যায়, তিনি স্ত্রীদের মর্যাদা দিতেন, তাঁদের মতামত গ্রহণ করতেন এবং প্রয়োজনীয় সফরে তাঁদের কাউকে সঙ্গী করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
নবীজি (সা.) এই দয়া শুধু মানুষের প্রতিই দেখাননি, প্রাণিকুলের প্রতিও তিনি ছিলেন সদয়। এক সাহাবি বর্ণনা করেন, আমরা এক সফরে ছিলাম। নবী করিম (সা.) সাময়িকভাবে দূরে গেলে আমরা একটি পাখি ও তার দুটি ছানা ধরে ফেলি। মা পাখিটি আমাদের ওপর চক্কর দিয়ে ডানা ঝাপটে কষ্ট প্রকাশ করছিল।
১৬ ঘণ্টা আগে
তবে অপ্রত্যাশিতভাবে কখনো কখনো ভুল-বোঝাবুঝি বা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে স্বামী-স্ত্রীর এই মধুর বন্ধন ভেঙে যায়। তাঁদের মধ্যে হয়ে যায় তালাক বা বিচ্ছেদ। এরপর ভুল বুঝতে পেরে স্ত্রীকে আবার অনেকে ফিরিয়ে আনতে চান। আর এ ক্ষেত্রে ইসলামের সঠিক বিধান না জানার কারণে অনেকেই ভুল করে বসেন। গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়েন।
১৯ ঘণ্টা আগেশাব্বির আহমদ

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক, সফর, নেতৃত্ব ও সাহচর্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ ও সুন্নাহ।
মহানবী (সা.)-এর পারিবারিক জীবনে দেখা যায়, তিনি স্ত্রীদের মর্যাদা দিতেন, তাঁদের মতামত গ্রহণ করতেন এবং প্রয়োজনীয় সফরে তাঁদের কাউকে সঙ্গী করতেন। শুধু দাম্পত্য সম্পর্ক নয়, বরং নবীজির সফরসঙ্গী হিসেবে স্ত্রীর উপস্থিতি ছিল শিক্ষা, পরামর্শ ও সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন।
ষষ্ঠ হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বনি মুস্তালিক মতান্তরে মুরাইসি যুদ্ধে যান, তখন স্ত্রীদের মধ্য থেকে হজরত আয়েশা (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে যান। এই যুদ্ধের আগে পর্দার বিধান নাজিল হয়েছিল। হজরত আয়েশা (রা.)-কে উটের পিঠে পালকির ওপর বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই যুদ্ধে হজরত আয়েশা (রা.)-কে বড় অপবাদও দেওয়া হয়েছিল, যার প্রতিবাদে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল করেছেন। (সহিহ বুখারি)
এ ছাড়া অন্যান্য সফরে অন্য স্ত্রীদের সঙ্গে নেওয়ার কথাও হাদিসে এসেছে। হুদাইবিয়ার সন্ধির সফরে নবীপত্নী উম্মে সালামা (রা.) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কুরাইশদের সঙ্গে এই সন্ধি করতে রাজি ছিলেন না অনেক সাহাবি, তাই এই চুক্তির পর সাহাবিরা বিমর্ষ ছিলেন। হজরত উম্মে সালামা (রা.)-এর পরামর্শেই তাঁদের শান্ত করেছিলেন মহানবী (সা.)। (সহিহ বুখারি)
সফরে স্ত্রীকে সঙ্গে নেওয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি সুস্পষ্ট সুন্নত, যা তিনি শুধু প্রেম-ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নয়, বরং পারিবারিক বন্ধনকে দৃঢ় রাখার একটি পন্থা হিসেবেও পালন করতেন। আজকের দিনে এই সুন্নাহগুলো শুধু জানলে হবে না, চর্চাও করতে হবে, যেন আমাদের দাম্পত্যজীবনে ভালোবাসার গভীরতা বৃদ্ধি পায়। পরিবারে নেমে আসে অনাবিল শান্তি।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক, সফর, নেতৃত্ব ও সাহচর্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ ও সুন্নাহ।
মহানবী (সা.)-এর পারিবারিক জীবনে দেখা যায়, তিনি স্ত্রীদের মর্যাদা দিতেন, তাঁদের মতামত গ্রহণ করতেন এবং প্রয়োজনীয় সফরে তাঁদের কাউকে সঙ্গী করতেন। শুধু দাম্পত্য সম্পর্ক নয়, বরং নবীজির সফরসঙ্গী হিসেবে স্ত্রীর উপস্থিতি ছিল শিক্ষা, পরামর্শ ও সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন।
ষষ্ঠ হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বনি মুস্তালিক মতান্তরে মুরাইসি যুদ্ধে যান, তখন স্ত্রীদের মধ্য থেকে হজরত আয়েশা (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে যান। এই যুদ্ধের আগে পর্দার বিধান নাজিল হয়েছিল। হজরত আয়েশা (রা.)-কে উটের পিঠে পালকির ওপর বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই যুদ্ধে হজরত আয়েশা (রা.)-কে বড় অপবাদও দেওয়া হয়েছিল, যার প্রতিবাদে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল করেছেন। (সহিহ বুখারি)
এ ছাড়া অন্যান্য সফরে অন্য স্ত্রীদের সঙ্গে নেওয়ার কথাও হাদিসে এসেছে। হুদাইবিয়ার সন্ধির সফরে নবীপত্নী উম্মে সালামা (রা.) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। কুরাইশদের সঙ্গে এই সন্ধি করতে রাজি ছিলেন না অনেক সাহাবি, তাই এই চুক্তির পর সাহাবিরা বিমর্ষ ছিলেন। হজরত উম্মে সালামা (রা.)-এর পরামর্শেই তাঁদের শান্ত করেছিলেন মহানবী (সা.)। (সহিহ বুখারি)
সফরে স্ত্রীকে সঙ্গে নেওয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি সুস্পষ্ট সুন্নত, যা তিনি শুধু প্রেম-ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নয়, বরং পারিবারিক বন্ধনকে দৃঢ় রাখার একটি পন্থা হিসেবেও পালন করতেন। আজকের দিনে এই সুন্নাহগুলো শুধু জানলে হবে না, চর্চাও করতে হবে, যেন আমাদের দাম্পত্যজীবনে ভালোবাসার গভীরতা বৃদ্ধি পায়। পরিবারে নেমে আসে অনাবিল শান্তি।

ইসলাম আমাদের জন্য মহান আল্লাহর এক অপরিমেয় নিয়ামত, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তিনি অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
নবীজি (সা.) এই দয়া শুধু মানুষের প্রতিই দেখাননি, প্রাণিকুলের প্রতিও তিনি ছিলেন সদয়। এক সাহাবি বর্ণনা করেন, আমরা এক সফরে ছিলাম। নবী করিম (সা.) সাময়িকভাবে দূরে গেলে আমরা একটি পাখি ও তার দুটি ছানা ধরে ফেলি। মা পাখিটি আমাদের ওপর চক্কর দিয়ে ডানা ঝাপটে কষ্ট প্রকাশ করছিল।
১৬ ঘণ্টা আগে
তবে অপ্রত্যাশিতভাবে কখনো কখনো ভুল-বোঝাবুঝি বা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে স্বামী-স্ত্রীর এই মধুর বন্ধন ভেঙে যায়। তাঁদের মধ্যে হয়ে যায় তালাক বা বিচ্ছেদ। এরপর ভুল বুঝতে পেরে স্ত্রীকে আবার অনেকে ফিরিয়ে আনতে চান। আর এ ক্ষেত্রে ইসলামের সঠিক বিধান না জানার কারণে অনেকেই ভুল করে বসেন। গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়েন।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৬ মিনিট | ০৬: ২৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৯ মিনিট | ০৩: ৩৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৫: ০৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৬ মিনিট | ০৬: ২৫ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৯ মিনিট | ০৩: ৩৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৫: ০৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলাম আমাদের জন্য মহান আল্লাহর এক অপরিমেয় নিয়ামত, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তিনি অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক, সফর, নেতৃত্ব ও সাহচর্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ ও সুন্নাহ। মহানবী (সা.)-এর পারিবারিক জীবনে দেখা যায়, তিনি স্ত্রীদের মর্যাদা দিতেন, তাঁদের মতামত গ্রহণ করতেন এবং প্রয়োজনীয় সফরে তাঁদের কাউকে সঙ্গী করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
নবীজি (সা.) এই দয়া শুধু মানুষের প্রতিই দেখাননি, প্রাণিকুলের প্রতিও তিনি ছিলেন সদয়। এক সাহাবি বর্ণনা করেন, আমরা এক সফরে ছিলাম। নবী করিম (সা.) সাময়িকভাবে দূরে গেলে আমরা একটি পাখি ও তার দুটি ছানা ধরে ফেলি। মা পাখিটি আমাদের ওপর চক্কর দিয়ে ডানা ঝাপটে কষ্ট প্রকাশ করছিল।
১৬ ঘণ্টা আগে
তবে অপ্রত্যাশিতভাবে কখনো কখনো ভুল-বোঝাবুঝি বা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে স্বামী-স্ত্রীর এই মধুর বন্ধন ভেঙে যায়। তাঁদের মধ্যে হয়ে যায় তালাক বা বিচ্ছেদ। এরপর ভুল বুঝতে পেরে স্ত্রীকে আবার অনেকে ফিরিয়ে আনতে চান। আর এ ক্ষেত্রে ইসলামের সঠিক বিধান না জানার কারণে অনেকেই ভুল করে বসেন। গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়েন।
১৯ ঘণ্টা আগেকাউসার লাবীব

আমাদের নবী করিম (সা.) মানুষের মাঝে দয়ার বাণী ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর ওপর মক্কার কাফিররা শত অত্যাচার করার পরও তিনি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তিনি ইসলামকে ঘোষণা দিয়েছিলেন শান্তির ধর্ম হিসেবে। তাঁর ঐতিহাসিক বাণী—‘দয়াশীলদের ওপর করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ: ৪৯৪১)
নবীজি (সা.) এই দয়া শুধু মানুষের প্রতিই দেখাননি, প্রাণিকুলের প্রতিও তিনি ছিলেন সদয়। এক সাহাবি বর্ণনা করেন, আমরা এক সফরে ছিলাম। নবী করিম (সা.) সাময়িকভাবে দূরে গেলে আমরা একটি পাখি ও তার দুটি ছানা ধরে ফেলি। মা পাখিটি আমাদের ওপর চক্কর দিয়ে ডানা ঝাপটে কষ্ট প্রকাশ করছিল। নবীজি (সা.) ফিরে এসে বললেন, ‘কে এই পাখিটিকে কষ্ট দিয়েছে? তার ছানাগুলো ফিরিয়ে দাও।’ (সুনানে আবু দাউদ)
প্রাণীদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য নবীজি (সা.) সবাইকে সাবধান করে দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো চড়ুইকে অযথা হত্যা করল, সেই চড়ুই কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার কাছে উঁচু স্বরে ফরিয়াদ করে বলবে—হে আল্লাহ, অমুক ব্যক্তি আমাকে অযথা হত্যা করেছিল।’ (সুনানে নাসায়ি: ৪৪৪৭)
অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, যে কোনো প্রাণীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে, আল্লাহ তাকে বিচারের মুখোমুখি করবেন। (সুনানে নাসায়ি)
কুকুর পাহারা ও শিকারে উপকারী প্রাণী। কোরআনের সুরা কাহাফে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী কিছু যুবক যখন নিপীড়ন থেকে পালিয়ে গুহায় আশ্রয় নেয়, তাদের সঙ্গী ছিল একটি কুকুর। তবে বিনা প্রয়োজনে কুকুর নিজ ঘরে পুষতে নিরুৎসাহিত করেছে ইসলাম। কিন্তু তাকে কোনোভাবেই নির্যাতনের অনুমতি দেয়নি। বরং এসব অবলা প্রাণীকে খাবার দেওয়ার মধ্যে রয়েছে অনেক সওয়াব। রয়েছে ক্ষমার ঘোষণা।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে দেখতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। পানির পিপাসা তাকে মুমূর্ষু করে দিয়েছিল। তখন সেই নারী তার মোজা খুলে তার ওড়নার সঙ্গে বাঁধল। অতঃপর সে কূপ থেকে পানি তুলল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করাল) এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হলো।’ (সহিহ বুখারি: ৩৩২১)
অন্য এক হাদিসে প্রাণীকে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলার জন্য এক নারীকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করানো হয়েছে মর্মে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক নারীকে একটি বিড়ালের কারণে আজাব দেওয়া হয়েছিল। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল। সে অবস্থায় বিড়ালটি মরে যায়। মহিলাটি ওই কারণে জাহান্নামে গেল। কেননা সে বিড়ালটিকে খানাপিনা কিছুই করায়নি এবং ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে।’ (সহিহ বুখারি ৩৪৮২)

আমাদের নবী করিম (সা.) মানুষের মাঝে দয়ার বাণী ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর ওপর মক্কার কাফিররা শত অত্যাচার করার পরও তিনি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তিনি ইসলামকে ঘোষণা দিয়েছিলেন শান্তির ধর্ম হিসেবে। তাঁর ঐতিহাসিক বাণী—‘দয়াশীলদের ওপর করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ: ৪৯৪১)
নবীজি (সা.) এই দয়া শুধু মানুষের প্রতিই দেখাননি, প্রাণিকুলের প্রতিও তিনি ছিলেন সদয়। এক সাহাবি বর্ণনা করেন, আমরা এক সফরে ছিলাম। নবী করিম (সা.) সাময়িকভাবে দূরে গেলে আমরা একটি পাখি ও তার দুটি ছানা ধরে ফেলি। মা পাখিটি আমাদের ওপর চক্কর দিয়ে ডানা ঝাপটে কষ্ট প্রকাশ করছিল। নবীজি (সা.) ফিরে এসে বললেন, ‘কে এই পাখিটিকে কষ্ট দিয়েছে? তার ছানাগুলো ফিরিয়ে দাও।’ (সুনানে আবু দাউদ)
প্রাণীদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য নবীজি (সা.) সবাইকে সাবধান করে দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো চড়ুইকে অযথা হত্যা করল, সেই চড়ুই কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার কাছে উঁচু স্বরে ফরিয়াদ করে বলবে—হে আল্লাহ, অমুক ব্যক্তি আমাকে অযথা হত্যা করেছিল।’ (সুনানে নাসায়ি: ৪৪৪৭)
অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, যে কোনো প্রাণীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে, আল্লাহ তাকে বিচারের মুখোমুখি করবেন। (সুনানে নাসায়ি)
কুকুর পাহারা ও শিকারে উপকারী প্রাণী। কোরআনের সুরা কাহাফে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী কিছু যুবক যখন নিপীড়ন থেকে পালিয়ে গুহায় আশ্রয় নেয়, তাদের সঙ্গী ছিল একটি কুকুর। তবে বিনা প্রয়োজনে কুকুর নিজ ঘরে পুষতে নিরুৎসাহিত করেছে ইসলাম। কিন্তু তাকে কোনোভাবেই নির্যাতনের অনুমতি দেয়নি। বরং এসব অবলা প্রাণীকে খাবার দেওয়ার মধ্যে রয়েছে অনেক সওয়াব। রয়েছে ক্ষমার ঘোষণা।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে দেখতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। পানির পিপাসা তাকে মুমূর্ষু করে দিয়েছিল। তখন সেই নারী তার মোজা খুলে তার ওড়নার সঙ্গে বাঁধল। অতঃপর সে কূপ থেকে পানি তুলল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করাল) এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হলো।’ (সহিহ বুখারি: ৩৩২১)
অন্য এক হাদিসে প্রাণীকে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলার জন্য এক নারীকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করানো হয়েছে মর্মে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক নারীকে একটি বিড়ালের কারণে আজাব দেওয়া হয়েছিল। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল। সে অবস্থায় বিড়ালটি মরে যায়। মহিলাটি ওই কারণে জাহান্নামে গেল। কেননা সে বিড়ালটিকে খানাপিনা কিছুই করায়নি এবং ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে।’ (সহিহ বুখারি ৩৪৮২)

ইসলাম আমাদের জন্য মহান আল্লাহর এক অপরিমেয় নিয়ামত, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তিনি অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক, সফর, নেতৃত্ব ও সাহচর্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ ও সুন্নাহ। মহানবী (সা.)-এর পারিবারিক জীবনে দেখা যায়, তিনি স্ত্রীদের মর্যাদা দিতেন, তাঁদের মতামত গ্রহণ করতেন এবং প্রয়োজনীয় সফরে তাঁদের কাউকে সঙ্গী করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
তবে অপ্রত্যাশিতভাবে কখনো কখনো ভুল-বোঝাবুঝি বা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে স্বামী-স্ত্রীর এই মধুর বন্ধন ভেঙে যায়। তাঁদের মধ্যে হয়ে যায় তালাক বা বিচ্ছেদ। এরপর ভুল বুঝতে পেরে স্ত্রীকে আবার অনেকে ফিরিয়ে আনতে চান। আর এ ক্ষেত্রে ইসলামের সঠিক বিধান না জানার কারণে অনেকেই ভুল করে বসেন। গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়েন।
১৯ ঘণ্টা আগেমুফতি শাব্বির আহমদ

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মানবজীবনের অন্যতম পবিত্র ও মধুর বন্ধন। এটি নিছক আকদ নয়; বরং ভালোবাসা, সহানুভূতি, দায়িত্ববোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক। একটি আদর্শ দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি তৈরি হয় পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং একে অপরকে বুঝে নেওয়ার মানসিকতার মাধ্যমে। স্বামী যেন স্ত্রীর শ্রেষ্ঠ আশ্রয় হয়, আর স্ত্রী যেন স্বামীর প্রশান্তির উৎস হয়; এটাই ইসলামের শিক্ষা।
সংসারজীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও ভালোবাসার মর্যাদা ব্যাপক। দাম্পত্য জীবনে উত্তম আচার-আচরণে রয়েছে সওয়াব, কল্যাণ ও ভালোবাসার হাতছানি। আল্লাহ তাআলা বিয়েকে একটি পবিত্র বন্ধন বানিয়েছেন। বিয়ের মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক, বংশ বৃদ্ধি, গুনাহ মুক্তিসহ অনেক ভালো বিষয় রয়েছে।
তবে অপ্রত্যাশিতভাবে কখনো কখনো ভুল-বোঝাবুঝি বা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে স্বামী-স্ত্রীর এই মধুর বন্ধন ভেঙে যায়। তাঁদের মধ্যে হয়ে যায় তালাক বা বিচ্ছেদ। এরপর ভুল বুঝতে পেরে স্ত্রীকে আবার অনেকে ফিরিয়ে আনতে চান। আর এ ক্ষেত্রে ইসলামের সঠিক বিধান না জানার কারণে অনেকেই ভুল করে বসেন। গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়েন।
তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার সঠিক পদ্ধতি নির্ভর করে তালাকের প্রকার ও পরিস্থিতির ওপর। ইসলামের পরিভাষা অনুযায়ী তালাকের প্রকার ও পদ্ধতি বিষয়ে আমরা জেনে নিলে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
ক. তালাকে রাজয়ি: এটি হলো তিন তালাকের মধ্যে প্রথম বা দ্বিতীয় তালাক। স্বামী যদি প্রথম বা দ্বিতীয়বার তালাক দেয় এবং ইদ্দত শেষ হওয়ার আগেই স্ত্রীকে ফেরত নিতে চায়, তাহলে এই প্রকারে পড়বে।
এই রুজু করার জন্য নতুন করে স্ত্রীকে বিয়ে করতে হবে না এবং স্ত্রী বা অভিভাবকের সম্মতি লাগবে না। কারণ, তালাকে রাজয়িতে ইদ্দতের সময় পর্যন্ত স্ত্রী স্বামীর অধীনে থাকে।
খ. তালাকে বাইন: এই তালাক হলো যেখানে তালাকের পর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীকে তালাকে বাইন দেয় বা শর্তযুক্ত তালাক অথবা খোলা করে। তখন ফেরত নিতে চাইলে মোহরসহ নতুনভাবে বিয়ে করতে হবে। এটি করা যাবে প্রথম বা দ্বিতীয় তালাকের পর। তৃতীয় তালাক দিলে, আবার বিয়ে করেও ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে নিচের বিধানটি কার্যকর হবে।
গ. তালাকে মুগাল্লাজা (তৃতীয় তালাক বা একত্রে ৩ তালাক): এ ক্ষেত্রে সরাসরি রুজু বা পুনরায় বিয়ে করার কোনো সুযোগ নেই। কেবল হিল্লা শরয়ি, অর্থাৎ অন্য স্বামীর সঙ্গে বৈধভাবে বিয়ে করে সংসার করার পর যদি সে তালাক দেয় বা মারা যায়, তাহলে ইদ্দত পালনের পরই প্রথম স্বামী পুনরায় বিয়ে করতে পারবে।
তালাকের ইদ্দত হলো তিন হায়েজ। যদি হায়েজ না আসে, তাহলে তিন মাস। আর গর্ভাবস্থায় হলে সন্তান জন্ম পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র: সুরা বাকারা: ২২৮, সুরা তালাক: ৪, সহিহ্ বুখারি: ৫২৬১, সহিহ্ মুসলিম: ১৪০৭, ফাতাওয়া আলমগিরি: ১/৩৭৩
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মানবজীবনের অন্যতম পবিত্র ও মধুর বন্ধন। এটি নিছক আকদ নয়; বরং ভালোবাসা, সহানুভূতি, দায়িত্ববোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক। একটি আদর্শ দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি তৈরি হয় পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং একে অপরকে বুঝে নেওয়ার মানসিকতার মাধ্যমে। স্বামী যেন স্ত্রীর শ্রেষ্ঠ আশ্রয় হয়, আর স্ত্রী যেন স্বামীর প্রশান্তির উৎস হয়; এটাই ইসলামের শিক্ষা।
সংসারজীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও ভালোবাসার মর্যাদা ব্যাপক। দাম্পত্য জীবনে উত্তম আচার-আচরণে রয়েছে সওয়াব, কল্যাণ ও ভালোবাসার হাতছানি। আল্লাহ তাআলা বিয়েকে একটি পবিত্র বন্ধন বানিয়েছেন। বিয়ের মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক, বংশ বৃদ্ধি, গুনাহ মুক্তিসহ অনেক ভালো বিষয় রয়েছে।
তবে অপ্রত্যাশিতভাবে কখনো কখনো ভুল-বোঝাবুঝি বা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে স্বামী-স্ত্রীর এই মধুর বন্ধন ভেঙে যায়। তাঁদের মধ্যে হয়ে যায় তালাক বা বিচ্ছেদ। এরপর ভুল বুঝতে পেরে স্ত্রীকে আবার অনেকে ফিরিয়ে আনতে চান। আর এ ক্ষেত্রে ইসলামের সঠিক বিধান না জানার কারণে অনেকেই ভুল করে বসেন। গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়েন।
তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার সঠিক পদ্ধতি নির্ভর করে তালাকের প্রকার ও পরিস্থিতির ওপর। ইসলামের পরিভাষা অনুযায়ী তালাকের প্রকার ও পদ্ধতি বিষয়ে আমরা জেনে নিলে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
ক. তালাকে রাজয়ি: এটি হলো তিন তালাকের মধ্যে প্রথম বা দ্বিতীয় তালাক। স্বামী যদি প্রথম বা দ্বিতীয়বার তালাক দেয় এবং ইদ্দত শেষ হওয়ার আগেই স্ত্রীকে ফেরত নিতে চায়, তাহলে এই প্রকারে পড়বে।
এই রুজু করার জন্য নতুন করে স্ত্রীকে বিয়ে করতে হবে না এবং স্ত্রী বা অভিভাবকের সম্মতি লাগবে না। কারণ, তালাকে রাজয়িতে ইদ্দতের সময় পর্যন্ত স্ত্রী স্বামীর অধীনে থাকে।
খ. তালাকে বাইন: এই তালাক হলো যেখানে তালাকের পর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীকে তালাকে বাইন দেয় বা শর্তযুক্ত তালাক অথবা খোলা করে। তখন ফেরত নিতে চাইলে মোহরসহ নতুনভাবে বিয়ে করতে হবে। এটি করা যাবে প্রথম বা দ্বিতীয় তালাকের পর। তৃতীয় তালাক দিলে, আবার বিয়ে করেও ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে নিচের বিধানটি কার্যকর হবে।
গ. তালাকে মুগাল্লাজা (তৃতীয় তালাক বা একত্রে ৩ তালাক): এ ক্ষেত্রে সরাসরি রুজু বা পুনরায় বিয়ে করার কোনো সুযোগ নেই। কেবল হিল্লা শরয়ি, অর্থাৎ অন্য স্বামীর সঙ্গে বৈধভাবে বিয়ে করে সংসার করার পর যদি সে তালাক দেয় বা মারা যায়, তাহলে ইদ্দত পালনের পরই প্রথম স্বামী পুনরায় বিয়ে করতে পারবে।
তালাকের ইদ্দত হলো তিন হায়েজ। যদি হায়েজ না আসে, তাহলে তিন মাস। আর গর্ভাবস্থায় হলে সন্তান জন্ম পর্যন্ত।
তথ্যসূত্র: সুরা বাকারা: ২২৮, সুরা তালাক: ৪, সহিহ্ বুখারি: ৫২৬১, সহিহ্ মুসলিম: ১৪০৭, ফাতাওয়া আলমগিরি: ১/৩৭৩
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলাম আমাদের জন্য মহান আল্লাহর এক অপরিমেয় নিয়ামত, যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানবজাতির হেদায়েতের জন্য তিনি অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে পারিবারিক সম্পর্ক, সফর, নেতৃত্ব ও সাহচর্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ ও সুন্নাহ। মহানবী (সা.)-এর পারিবারিক জীবনে দেখা যায়, তিনি স্ত্রীদের মর্যাদা দিতেন, তাঁদের মতামত গ্রহণ করতেন এবং প্রয়োজনীয় সফরে তাঁদের কাউকে সঙ্গী করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
নবীজি (সা.) এই দয়া শুধু মানুষের প্রতিই দেখাননি, প্রাণিকুলের প্রতিও তিনি ছিলেন সদয়। এক সাহাবি বর্ণনা করেন, আমরা এক সফরে ছিলাম। নবী করিম (সা.) সাময়িকভাবে দূরে গেলে আমরা একটি পাখি ও তার দুটি ছানা ধরে ফেলি। মা পাখিটি আমাদের ওপর চক্কর দিয়ে ডানা ঝাপটে কষ্ট প্রকাশ করছিল।
১৬ ঘণ্টা আগে